বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২

মোঃ শাহজাহান বাশার, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

অর্থনীতির নতুন দিগন্ত: পর্যটনশিল্পের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে

মোঃ শাহজাহান বাশার, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৩২ এএম | 59 বার পড়া হয়েছে
অর্থনীতির নতুন দিগন্ত: পর্যটনশিল্পের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে

বাংলাদেশ প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ভরপুর এক অপরূপ দেশ। এখানে রয়েছে সমুদ্র, পাহাড়, নদী, হাওর-বাঁওড়, চা-বাগান, মৎস্য ও পাখির অভয়ারণ্য, প্রাচীন স্থাপত্য, ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি—সবই মিলেমিশে গড়ে তুলেছে বৈচিত্র্যময় এক পর্যটন সম্ভাবনা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এই সম্ভাবনাময় শিল্প এখনো কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পথে পৌঁছাতে পারেনি। সঠিক পরিকল্পনা, উদ্যোগ, অবকাঠামো ও প্রচারণার অভাবে আমাদের পর্যটন খাতটি আজও অগোচরে পড়ে আছে।

কক্সবাজারের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, সেন্ট মার্টিনের প্রবাল দ্বীপ, সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিলেটের চা বাগান, রাঙামাটির পাহাড় ও লেক, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, ময়নামতি—এসবই বিশ্বকে মুগ্ধ করার মতো অনন্য সৌন্দর্যের প্রতীক। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো যেখানে কেবল একটি পর্যটন আকর্ষণকেন্দ্র দিয়েই অর্থনীতির বড় অংশ গড়ে তুলেছে, সেখানে বাংলাদেশে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান, যা সঠিক ব্যবস্থাপনা ও প্রচারের মাধ্যমে অর্থনীতির বড় চালিকাশক্তিতে পরিণত হতে পারে।

পর্যটনশিল্প হচ্ছে এমন একটি খাত, যা একই সঙ্গে বিদেশি মুদ্রা অর্জন বেকারত্ব নিরসনস্থানীয় অর্থনীতি সক্রিয়করণ এবং দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গঠন*—সবক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশ্ব পর্যটন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের মোট জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশই আসে পর্যটন খাত থেকে। অথচ বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটনের অবদান এখনো ৪ শতাংশেরও নিচে। এই ব্যবধানই প্রমাণ করে—আমাদের কতটা সম্ভাবনা অপ্রয়োগ অবস্থায় পড়ে আছে।

দেশের পর্যটন এলাকাগুলোর অধিকাংশ জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্বল মানসম্মত হোটেল-রিসোর্টের অভাব নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা সমস্যা এবং পর্যাপ্ত তথ্য ও দিকনির্দেশনার অভাব রয়েছে। বিদেশি পর্যটক তো দূরের কথা, দেশীয় পর্যটকরাও অনেক সময় এসব সমস্যার কারণে ভ্রমণে আগ্রহ হারান। অথচ সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগে পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়ন করলে, হাজার হাজার তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে।

ইকো ট্যুরিজম ও এগ্রো ট্যুরিজম সুন্দরবন, চা-বাগান, হাওর ও গ্রামীণ জীবনভিত্তিক পর্যটন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হতে পারে।রিলিজিয়াস ট্যুরিজম*: হাজীগঞ্জ, মাইজভান্ডার, চাঁদপুর, মাজার কেন্দ্রিক পর্যটন ধর্মীয় ভ্রমণকারীদের আকৃষ্ট করতে পারে।কালচারাল ট্যুরিজম: বাউল, নাচ, লোকসংস্কৃতি, মেলা, ঐতিহ্যবাহী খাবার—এসব বিদেশিদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে।ডিজিটাল প্রমোশন*: সামাজিক মাধ্যম, ওয়েবসাইট ও ইউটিউবে দেশীয় পর্যটনের ভিডিও কনটেন্ট ছড়িয়ে দিতে পারলে প্রচারণায় বিশাল পরিবর্তন আসবে।

সরকার চাইলে এই খাতকে “অগ্রাধিকার শিল্প” হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নীতিগত সহায়তা, কর রেয়াত, বিনিয়োগ প্রণোদনা ও অবকাঠামো উন্নয়ন করতে পারে। পর্যটন বোর্ডকে আরও কার্যকর ও আধুনিক রূপে গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি জেলা পর্যায়ে ট্যুরিজম ইনফরমেশন সেন্টার স্থাপন ও স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যোক্তা তৈরি করাও জরুরি।

পর্যটনশিল্প কোনো বিলাসী খাত নয়—এটি একটি *উৎপাদনশীল অর্থনৈতিক খাত*। বিশ্ব আজ টেকসই উন্নয়নের পথে হাঁটছে, যেখানে পর্যটন হবে পরিবেশবান্ধব অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ। তাই এখনই সময়, বাংলাদেশকে এই শিল্পের প্রকৃত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে—দূরদর্শী পরিকল্পনা, সৎ নেতৃত্ব, এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকারের মাধ্যমে।

টাঙ্গাইলে শতবর্ষী ঐতিহ্যের বিদ্যাপীঠ: নিকলা দড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

মোহাম্মদ সোহেল (টাঙ্গাইল) প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:০৬ পিএম
টাঙ্গাইলে শতবর্ষী ঐতিহ্যের বিদ্যাপীঠ: নিকলা দড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

টাঙ্গাইলেন ভূঞাপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দক্ষিণে একটি প্রত্যন্ত গ্রামীণ পরিবেশে অবস্থিত ৪৭নং নিকলা দড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শতবর্ষের ঐতিহ্য বহনকারী এই প্রতিষ্ঠানটি সবুজ-শ্যামল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বিদ্যাপীঠ। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে বিদ্যালয়টি রয়েছে সুসজ্জিত। প্রবেশদ্বারেই রয়েছে সাজানো ফুলের বাগান। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রয়েছে ইসলাম ও নৈতিকতা শিক্ষার বিভিন্ন উপকরণ, ‘সালাতে জান্নাতের চাবি’ ও ‘মানব চক্র’। এছাড়াও রয়েছে একটি সুন্দর পতাকা স্ট্যান্ড ও মঞ্চ। শিশুদের মধ্যে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত করতে সৃষ্টি করা হয়েছে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টর’। রয়েছে একটি সুন্দর অভিভাবক ছাউনি। শিশুদের খেলার মাধ্যমেই শেখানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে নামতা শেখা, ভাগের ধারণা ও লসাগু-গসাগু শেখার বিভিন্ন আসর। শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলার জন্য রয়েছে মহাকাশযান ও সাটেলাইটের মডেল, যা দেখিয়ে বোঝানো হয় যে বিজ্ঞান কেবল বইয়ের পাতায় নয়, এটি আমাদের চারপাশেই বিরাজমান।

বিজ্ঞানের বিষয়বস্তু সহজে বোধগম্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছে নানা বাস্তব উপকরণ। যেমন: উদ্ভিদ ও প্রাণীর পারস্পরিক নির্ভরশীলতা, পানির উৎস, পানি দূষণ, বায়ু দূষণ, মাটি দূষণ, শব্দ দূষণ, পরিবেশ দূষণ, খাদ্য শৃঙ্খল, বার্ষিক গতি ও আহ্নিক গতি। এখানে শিক্ষার্থীরা খেলার ছলে ‘বি- ভার্ব’ (Be verb) এর ব্যবহার ও ‘প্রেজেন্ট কন্টিনিউয়াস টেন্স’

(বর্তমান ধারাবাহিক কাল) শিখতে পারে। গণিতের ভীতি দূর করতে তৈরি করা হয়েছে নানান উপকরণ। ১২ ঘন্টা ও ২৪ ঘন্টার সময়সূচীকে সহজভাবে বোঝার জন্য রয়েছে মৌলিক উপকরণ। এছাড়াও তৈরি করা হয়েছে জ্যামিতিক বক্সের সরঞ্জামাদি ও সেগুলোর ব্যবহার সম্পর্কে প্রদর্শনী। বিদ্যালয়ে রয়েছে একটি সজ্জিত ‘মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’। এখানে প্রদর্শিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দুর্লভ আলোকচিত্র ও যুদ্ধের ধারাবাহিক ইতিহাস। একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে, যাকে কেন্দ্র করে গঠন করা হয়েছে ‘ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব’। জাতীয় বিভিন্ন দিবসসমূহ বিদ্যালয়টি যথাযথ মর্যাদার সাথে উদযাপন করে। উপজেলা পর্যায়ে আয়োজিত খেলাধুলা, কাব কার্যক্রম, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়টি অসংখ্যবার প্রথম পুরস্কার অর্জন করেছে। শিক্ষার্থীদের বহুমুখী প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রাঙ্কন, উপস্থিত বক্তৃতা, কবিতা আবৃত্তি ও গল্প বলা প্রতিযোগিতার। এছাড়াও বিজ্ঞান মেলার আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষক অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে পর্যাপ্ত উপকরণ ব্যবহার করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করেন। একটি সুসজ্জিত মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে শিক্ষকগণ নিয়মিতভাবে ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে পাঠদান করেন। নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুসরণ করে ঘণ্টা বাজিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু ও শেষ করা হয়। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মুক্ত খেলাধুলার ব্যবস্থা রয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা উৎফুল্ল চিত্তে খেলাধুলার মাধ্যমে শিখনফল অর্জন করে।

প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে সহকারী শিক্ষকদের নিয়ে নিয়মিত স্টাফ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। এসব সভায় শিক্ষার্থীদের দুর্বল ও সবল দিকসমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়। হোম ভিজিট, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি বিষয়েও শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হয়। প্রধান শিক্ষক মো: বজলুর রহমান তালুকদার সহ মোট ১০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও একজন দপ্তরি

এই ১১ জন সদস্য দক্ষতার সাথে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করায় তারা ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, স্থানীয় জনতা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রশংসা অর্জন করেছেন। প্রধান শিক্ষক জানান, অভিভাবকদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি বাড়ানোসহ মাসিক সমন্বয় সভার মাধ্যমে উন্নত শিক্ষা কার্যক্রম ও উপস্থিতি বৃদ্ধির চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এরই ফসল হিসেবে নিকলা দড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এখন বিশেষ সুনাম অর্জন করেছে।

মাসুম মির্জা ব্রাক্ষণবাড়িয়া

নবীনগরে প্রবাসীর বাসা থেকে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার চুরির ঘটনায় আটক ১

মাসুম মির্জা ব্রাক্ষণবাড়িয়া প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:৪৬ পিএম
নবীনগরে প্রবাসীর বাসা থেকে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার চুরির ঘটনায় আটক ১

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের পদ্মপাড়া এলাকায় গতকাল রাত আনুমানিক ৮টায় প্রবাসীর বাসা থেকে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন-কে আটক করেছে নবীনগর থানা পুলিশ,তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পদ্মপাড়ার মাইন উদ্দিন সওদাগরের বাড়ির ভাড়াটিয়া ছলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড্ডা গ্রামের প্রবাসী শরিফ মিয়ার ঘরে চোর প্রবেশ করে, তারা ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে নগদ ৭ লাখ টাকা ও প্রায় ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে নিয়ে যায়। তখন বাসায় কারো আসার উপস্থিত টের পেয়ে চুরের দল তড়িঘড়ি করে তাদের ব্যবহৃত একটি বাইক ফেলেই পালিয়ে যায় চুর চক্র।

এ ঘটনার ঘন্টাখানেক পর স্হানীয় সংবাদকর্মী মোঃ সফর মিয়া তার আত্মীয়ের মোটর সাইকেল চুরি হয়েছে উল্লেখ করে একটি অভিযোগ করেন,সেই অভিযোগের এক নাম্বার স্বাক্ষী-ই ছিলেন মোঃ জাকারিয়া যা প্রবাসীর বাসায় চুরির ঘটনার আটককৃত ব্যক্তি, তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী উদ্ধার হয় চুরি হওয়া নগদ ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা।

এ বিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর ইসলাম জানান, এ ঘটনার একজনকে আটক করে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, এবং তার সহযোগীদের আটক করার চেষ্টা চলমান আছে।

এ চুরির ঘটনার পর ও তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগের বিষয়টি দেখে এবং অভিযোগের ১ নং স্বাক্ষী আটক ও তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নগদ টাকা উদ্ধার হওয়ায়, লোকজনের মাঝে চরম উদ্বেগ, মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছ।

মোহাম্মদ ওসমান চৌধুরী আরব আমিরাত প্রতিনিধি

আমিরাতে বাংলাদেশ প্রবাসী প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ-এর প্রস্তুতি শুরু

মোহাম্মদ ওসমান চৌধুরী আরব আমিরাত প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:৪২ পিএম
আমিরাতে বাংলাদেশ প্রবাসী প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ-এর প্রস্তুতি শুরু

প্রবাসের মাটিতে এবার দেশের ফুটবলকে ছড়িয়ে দিতে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের বিভাগকে প্রতিনিধিত্ব করে গঠিত হয়েছে ৮টি দল আর তাদের নিয়ে শুরু হতে চলেছে আমিরাতে ‘প্রবাসী প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ’। ইতিমধ্যেই দলগুলো তাদের প্রথম ধাপের অনুশীলন বা ফেক্টিস শুরু করেছে।

প্রবাসের ব্যস্ত জীবনের মাঝেও দেশের ফুটবলকে বাঁচিয়ে রাখার এক প্রাণবন্ত প্রচেষ্টা এটি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটি ও ফুটবলপ্রেমীদের উদ্যোগে এই প্রথম এমন বড় পরিসরে ফুটবল লীগের আয়োজন করা হচ্ছে।

টিমগুলো হচ্ছে, ঢাকা,চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর,ময়মনসিংহ অংশগ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটি।

চট্টগ্রাম বিভাগের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শাহাদাত হোসেন জানান, প্রবাসের মাটিতে এই ‘প্রবাসী প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ’ শুধু একটি টুর্নামেন্ট নয়, এটি হাজার হাজার মাইল দূরে থাকা প্রবাসীদের এক টুকরো বাংলাদেশকে কাছে পাওয়ার এক অনন্য মাধ্যম। এখন শুধু অপেক্ষা মাঠে বল গড়ানোর। প্রবাসের মাটিতে এ ফুটবল খেলার আয়োজনের মূল লক্ষ্য হলো প্রবাসে থাকা বাংলাদেশি তরুণ ও প্রতিভাবান ফুটবলারদের একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়া এবং তাদের মাঝে দেশীয় ফুটবলের আবেগ আরও দৃঢ় করা।

আয়োজক কমিটি জানান, আগামী ৭ নভেম্বর টুর্নামেন্টের উদ্বোধনের আগেই দলগুলো পুরোদমে তাদের প্রস্তুতি বা ফেক্টিস শুরু করেছে। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে দলগুলোর অনুশীলন পর্ব। খেলোয়াড়দের মাঝে যেমন উত্তেজনা, তেমনি কোচেরাও নিজেদের কৌশল সাজাতে ব্যস্ত। অনুশীলনে অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন প্রদেশের প্রবাসী বাংলাদেশি ফুটবলাররাও। মাঠের এই প্রস্তুতি দেখে মনে হচ্ছে, মূল টুর্নামেন্টে লড়াইটা হবে হাড্ডাহাড্ডি।