রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

মোঃ শাহজাহান বাশার, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

অর্থনীতির নতুন দিগন্ত: পর্যটনশিল্পের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৩২ এএম | 121 বার পড়া হয়েছে
অর্থনীতির নতুন দিগন্ত: পর্যটনশিল্পের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে

বাংলাদেশ প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ভরপুর এক অপরূপ দেশ। এখানে রয়েছে সমুদ্র, পাহাড়, নদী, হাওর-বাঁওড়, চা-বাগান, মৎস্য ও পাখির অভয়ারণ্য, প্রাচীন স্থাপত্য, ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি—সবই মিলেমিশে গড়ে তুলেছে বৈচিত্র্যময় এক পর্যটন সম্ভাবনা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এই সম্ভাবনাময় শিল্প এখনো কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পথে পৌঁছাতে পারেনি। সঠিক পরিকল্পনা, উদ্যোগ, অবকাঠামো ও প্রচারণার অভাবে আমাদের পর্যটন খাতটি আজও অগোচরে পড়ে আছে।

কক্সবাজারের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, সেন্ট মার্টিনের প্রবাল দ্বীপ, সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিলেটের চা বাগান, রাঙামাটির পাহাড় ও লেক, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, ময়নামতি—এসবই বিশ্বকে মুগ্ধ করার মতো অনন্য সৌন্দর্যের প্রতীক। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো যেখানে কেবল একটি পর্যটন আকর্ষণকেন্দ্র দিয়েই অর্থনীতির বড় অংশ গড়ে তুলেছে, সেখানে বাংলাদেশে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান, যা সঠিক ব্যবস্থাপনা ও প্রচারের মাধ্যমে অর্থনীতির বড় চালিকাশক্তিতে পরিণত হতে পারে।

পর্যটনশিল্প হচ্ছে এমন একটি খাত, যা একই সঙ্গে বিদেশি মুদ্রা অর্জন বেকারত্ব নিরসনস্থানীয় অর্থনীতি সক্রিয়করণ এবং দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গঠন*—সবক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশ্ব পর্যটন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের মোট জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশই আসে পর্যটন খাত থেকে। অথচ বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটনের অবদান এখনো ৪ শতাংশেরও নিচে। এই ব্যবধানই প্রমাণ করে—আমাদের কতটা সম্ভাবনা অপ্রয়োগ অবস্থায় পড়ে আছে।

দেশের পর্যটন এলাকাগুলোর অধিকাংশ জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্বল মানসম্মত হোটেল-রিসোর্টের অভাব নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা সমস্যা এবং পর্যাপ্ত তথ্য ও দিকনির্দেশনার অভাব রয়েছে। বিদেশি পর্যটক তো দূরের কথা, দেশীয় পর্যটকরাও অনেক সময় এসব সমস্যার কারণে ভ্রমণে আগ্রহ হারান। অথচ সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগে পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়ন করলে, হাজার হাজার তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে।

ইকো ট্যুরিজম ও এগ্রো ট্যুরিজম সুন্দরবন, চা-বাগান, হাওর ও গ্রামীণ জীবনভিত্তিক পর্যটন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হতে পারে।রিলিজিয়াস ট্যুরিজম*: হাজীগঞ্জ, মাইজভান্ডার, চাঁদপুর, মাজার কেন্দ্রিক পর্যটন ধর্মীয় ভ্রমণকারীদের আকৃষ্ট করতে পারে।কালচারাল ট্যুরিজম: বাউল, নাচ, লোকসংস্কৃতি, মেলা, ঐতিহ্যবাহী খাবার—এসব বিদেশিদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে।ডিজিটাল প্রমোশন*: সামাজিক মাধ্যম, ওয়েবসাইট ও ইউটিউবে দেশীয় পর্যটনের ভিডিও কনটেন্ট ছড়িয়ে দিতে পারলে প্রচারণায় বিশাল পরিবর্তন আসবে।

সরকার চাইলে এই খাতকে “অগ্রাধিকার শিল্প” হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নীতিগত সহায়তা, কর রেয়াত, বিনিয়োগ প্রণোদনা ও অবকাঠামো উন্নয়ন করতে পারে। পর্যটন বোর্ডকে আরও কার্যকর ও আধুনিক রূপে গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি জেলা পর্যায়ে ট্যুরিজম ইনফরমেশন সেন্টার স্থাপন ও স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যোক্তা তৈরি করাও জরুরি।

পর্যটনশিল্প কোনো বিলাসী খাত নয়—এটি একটি *উৎপাদনশীল অর্থনৈতিক খাত*। বিশ্ব আজ টেকসই উন্নয়নের পথে হাঁটছে, যেখানে পর্যটন হবে পরিবেশবান্ধব অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ। তাই এখনই সময়, বাংলাদেশকে এই শিল্পের প্রকৃত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে—দূরদর্শী পরিকল্পনা, সৎ নেতৃত্ব, এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকারের মাধ্যমে।

নির্বাহী সম্পাদকঃ অঞ্জনা চৌধুরী

কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে

নির্বাহী সম্পাদকঃ অঞ্জনা চৌধুরী প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:০২ পিএম
কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে, যা মনসুরনগর চরের শিক্ষার্থীদেরসহ স্থানীয়দের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি করছে; বিশেষ করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে ও স্কুলে যেতে তাদের ডুবোচরের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে, যা একটি বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
মূল সমস্যা: শুষ্ক মৌসুমে জেগে ওঠা অসংখ্য ডুবোচর যাতায়াতে বাধা দিচ্ছে।
প্রভাব: ছাত্রছাত্রী, রোগীসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
উদাহরণ: মনসুরনগর চরের লোকজন কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে ও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৫০ এএম
কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে ৬ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস। এ দিবস পালন উপলক্ষ্যে সকালে হানাদার মুক্ত দিবসের বিজয় মিছিল,পুস্প্যমাল্য অর্পন ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত হয়। এই দিন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল চাপের মুখে পাকিস্তানি সেনারা পরাজয় মেনে নিয়ে কুড়িগ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস। কোম্পানি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাই সরকার বীর প্রতীকের নেতৃত্বে কুড়িগ্রাম ওভারহেড পানির টাংকির উপর প্রথম স্বাধীনতার বিজয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এই দিবসের শুরুতে সকাল ৯ টায় একটি বিজয় মিছিল কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হতে বেড় হয়ে শহর পদক্ষিন করে। পরে কলেজ মোড় স্বাধীনতার বিজয় স্থম্ভে পুস্প্য মাল্য অর্পণ করে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং সদর কমান্ডের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল বাতেন সরকারের সঞ্চালনায় এক স্মৃতি চারণ মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে বক্তব্য রাখেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা,কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন,এনডিসি এবিএম মেজবাহ উদ্দিন,সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুল্যা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাই সরকার (বীর প্রতীক), বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর আব্দুস সালাম(অবঃ), বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ,প্রবীন সাংবাদিক সফি খান,মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি মাহবুবুর রশীদ তালুকদার স্বপন,সহ সভাপতি নব কুমার সরখেল ববি,সাধারণ সম্পাদক আমানুর রহমান খোকন,উদীচী শিল্পিগোষ্ঠির অনিরুদ্ধ প্রণয় প্রান্তিক,১৯ সংগঠনের রাজ্য জ্যোতি,জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম সদস্য সচিব হেলাল আহমেদ,প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব আব্দুল মুমিন বাবু প্রমুখ ।

জাবিতে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি-সম্পাদক তাড়াশের মাসুদ ও মোন্নাফ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
জাবিতে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি-সম্পাদক তাড়াশের মাসুদ ও মোন্নাফ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধ্যয়নরত সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সদ্য গঠিত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম আবর্তনের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের কৃতী শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আব্দুল মোন্নাফ। একই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী, তাড়াশের নাদোসৈয়দপুর গ্রামের মাসুদ রানা।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। দায়িত্বগ্রহণের পর খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হবে বলে জানান নবনির্বাচিত সভাপতি ও সম্পাদক।

সংগঠনের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সভাপতি শাহরিয়ার আব্দুল মোন্নাফ বলেন, “প্রতিবারের মতো এবারও সিরাজগঞ্জ থেকে আগত শিক্ষার্থী ও ভর্তি পরীক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইনশাআল্লাহ, সংগঠনের কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করে আমরা আরও নতুনত্বের প্রকাশ ঘটাবো।”

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, “সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আমার জন্য এক বিশেষ সম্মান। এই বিশ্বাস ও ভালোবাসাকে শক্তি হিসেবে নিয়ে আমরা সমিতিকে আরও সংগঠিত, কার্যকর ও শিক্ষার্থীবান্ধব একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তুলব। আগামী দিনে সিরাজগঞ্জের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা, মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের ক্যাম্পাসের সম্পর্ক জোরদার করাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাব।”

নতুন কমিটি ঘোষণায় জাবির সিরাজগঞ্জের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।