মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

যেভাবে স্ত্রীকে আদরে ভরিয়ে তুলবেন

ভালোবাসায় গড়া এক স্বর্গীয় সম্পর্ক

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫, ১০:৪৮ এএম | 1110 বার পড়া হয়েছে
ভালোবাসায় গড়া এক স্বর্গীয় সম্পর্ক

একটি নারীর জীবনে ভালোবাসা মানে শুধুই উপহার, ফুল বা চকোলেট নয়। তার কাছে ভালোবাসা মানে—কারও মনোযোগ, কারও অপেক্ষা, কারও মমতা। প্রতিদিনের হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও কেউ একজন তার জন্য ভাবছে, তাকে অনুভব করছে—এই বিশ্বাসটাই তার বুকভরা প্রশান্তি। আর সেই মানুষটি যদি হয় তার স্বামী, তাহলে সে নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবতী নারী ভাবতে শুরু করে।
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথম যেই শব্দটা সে শুনতে চায়, সেটা যেন হয় আপনার মুখ থেকে তার প্রিয় একটি ডাকনাম—“রূপসী”, “কলিজা”, “পাগলী”, “সোহাগিনী” কিংবা “জীবন”। এই একটি নামেই তার দিনটা বদলে যেতে পারে। কেবল একটা শব্দ, কিন্তু যদি সেটা হয় ভালোবাসায় ভরা, তাহলে তা হয়ে ওঠে তার হৃদয়ের সবচেয়ে প্রিয় সঙ্গীত।
নারীরা ভুল করতেই পারে, তারা তো মানুষ। কিন্তু তার প্রতিটা ভুলের পেছনে একটা না বলা কাহিনি লুকিয়ে থাকে। রাগারাগি বা উপেক্ষা নয়, তাকে কাছে টেনে নিয়ে চোখে চোখ রেখে নরম গলায় বলুন, “আমি জানি, তুমি আমার ভালো চাও, চল একসাথে শেখা শুরু করি।” বিশ্বাস করুন, আপনার এই কোমলতা, এই সহনশীলতা তার চোখে আপনাকে আরও মহান করে তুলবে। নারী কখনো শক্তিতে নয়, ভালোবাসায় জয়ী হয়।
রান্নাঘরে যখন সে দাঁড়িয়ে থাকে—ঘামের ফোঁটা মিশে যায় কপালের ছোট্ট চুলে—তখন পেছন থেকে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরুন। একটা নরম চুমু রাখুন কাঁধে। বলুন, “তোমার হাতের মিষ্টি গন্ধেই আমি বাঁচি।” একটু পেঁয়াজ কেটে দিন, কিংবা চা বানিয়ে দিন তার জন্য। এই ছোট্ট সহানুভূতি তাকে বিশাল এক ভালোবাসার ছায়ায় আগলে রাখবে।
তার সঙ্গে গল্প করুন। আপনি ব্যস্ত, তা সে বোঝে। কিন্তু তার মনটাও এক একটা ছোট নদীর মতো, যা শুধু অপেক্ষা করে—কখন কেউ এসে তার বুকে ডুব দেবে। তার কথা শোনার সময় শুধু কান নয়, মনও দিন। মাঝেমধ্যে হেসে বলুন, “তুমি না আমার জীবনের সবচেয়ে মজার গল্প!” দেখবেন, সে শিশু হয়ে যাবে, আপনার কাঁধে মাথা রাখবে, এবং নিঃশব্দে বলবে—“এই জীবনটাই তো চেয়েছিলাম আমি।”
বিশেষ কোনো রাতে, যখন আকাশে পূর্ণিমার আলো, ছাঁদে উঠে তার চুলে একটা ছোট্ট ফুল গুঁজে দিন। তাকে শাড়ি পরাতে সাহায্য করুন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলুন, “আলো চাঁদের গায়েও পড়ে, কিন্তু তুমি তো নিজেই আলো।” পাশে বসে এক কাপ চা দিন, আর তার ঠোঁটের ছোঁয়া যেখানে, সেখানেই নিজের ঠোঁট ছুঁইয়ে নিন—এই এক মুগ্ধতার অনুভব তাকে জীবনের শেষ পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখবে।
প্রার্থনার সময় যখন আপনি নিজের রবের কাছে হাত তোলেন, তখন প্রিয়তমার কপালে একটি নরম চুমু দিয়ে বলুন, “তোমার জন্যই তো আমার সব চাওয়া।” এই ছোট্ট স্পর্শের মধ্যে লুকিয়ে থাকে এমন ভালোবাসা, যা শুধু শরীর নয়—আত্মাকেও জড়িয়ে রাখে। সে বুঝে নেয়, আপনি তাকে শুধু এই দুনিয়ার নয়, পরকাল পর্যন্ত চাইছেন।
ভালোবাসা মানে শুধু শারীরিক উপস্থিতি নয়, বরং এমন এক আত্মিক বন্ধন, যেখানে একজন আরেকজনকে অনুভব করে হৃদয়ের গভীর থেকে। আপনি যদি সত্যিই চান, স্ত্রী আপনার একমাত্র প্রেমে আবদ্ধ থাকুক, তাহলে তাকে এমন ভালোবাসুন যেন সে পৃথিবীর কারো কাছেই কোনো ঘাটতি অনুভব না করে। আপনার ছায়ায় সে যেন সবথেকে নিরাপদ, সবচেয়ে প্রিয়, আর সবচেয়ে দামী হয়ে উঠতে পারে।
এইরকম ভালোবাসার সংসারে কখনো পরকীয়া ঢুকতে পারে না। কারণ এখানে প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্তে দুজন মানুষের হৃদয় একে অপরের জন্য দোলা দেয়। ইনশাআল্লাহ, এমন একটি ঘর হবে জান্নাতের প্রতিচ্ছবি।

টাঙ্গাইলে ডাকাতি চেষ্টা: অস্ত্রসহ ৬ জন আটক

মোহাম্মদ সোহেল (বিশেষ) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২:০২ পিএম
টাঙ্গাইলে ডাকাতি চেষ্টা: অস্ত্রসহ ৬ জন আটক

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ ছয় সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার ভোর রাতে কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। যমুনা সেতু পূর্ব থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ থেকে পাবনাগামী পামওয়েল বোঝাই একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট-১৪-৭৫৭৯) হাতিয়া এলাকায় পৌঁছালে একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো গ-৪৩-৫৪৮৬) ও একটি পাজেরো গাড়ি (ঢাকা মেট্রো ঘ-২১-৭৬৯৯) ট্রাকটির গতিরোধ করে। এসময় টহলরত পুলিশের নজরে পড়ে। পুলিশের পুলিশের তল্লাশিতে ১টি লাইসেন্সকৃত শর্টগান, ৬টি সিসা কার্তুজ, ১টি লেজার লাইট, ২টি সিগন্যাল লাইট, ৪টি শর্ট ওয়াকি-টকি

২টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে।

আটককৃত ছয় সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে যমুনা সেতু পূর্ব থানার একজন কর্মকর্তা বলেন, “ডাকাতির প্রস্তুতিমূলক সকল উপকরণসহ সন্দেহভাজনদের আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি আরও তদন্ত চলছে।

আমিনপুরে ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যাক্তি গ্রেফতার

মোঃ ওমর ফারুক (সানি), স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৪১ পিএম
আমিনপুরে ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যাক্তি গ্রেফতার

পাবনার আমিনপুর থানার বুলন্দর চর এলাকায় ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ৭৫ বছর বয়সী তাকাই প্রামানিক নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় শিশুটির বাবা আমিনপুর থানায় মামলাটি করেন। ধর্ষণের শিকার শিশুটি বর্তমানে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গ্রেফতার বৃদ্ধ একই গ্রামের মৃত ছবেদ প্রামানিকের ছেলে।

লিখিত এজাহার থেকে জানা গেছে, শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে শিশুটি চাচার বাড়ির সামনে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। এ সময় বৃদ্ধ তাকাই প্রামানিক তাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে পাশের একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে টাকা দেওয়ার প্রলোভন ও হত্যার হুমকি দিয়ে শিশুটিকে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে। সন্ধ্যায় শিশুটির রক্তপাত শুরু হয়ে অসুস্থ হলে পরিবার বিষয়টি বুঝতে পারে।

শিশুটির ভাইয়ের স্ত্রী লাবনী খাতুন জানান, তিনি তাকাই প্রামানিককে ওই ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেন এবং কিছুক্ষণ পর শিশুটিকেও সেখান থেকে বের হতে দেখেন। পরিবারের জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটি ধর্ষণের কথা জানায়।

আমিনপুর থানার ডিউটি অফিসার এসআই রেজাউল করিম বৃদ্ধকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামি থানায় রয়েছে।

জেলার এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুজানগর ও আমিনপুর সার্কেল) নাম না প্রকাশ করে জানান, আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে।

মো: রাজিবুল করিম রোমিও

এমন ভাবে লিখব তোমার গল্প 💔😭

মো: রাজিবুল করিম রোমিও প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৩৮ পিএম
এমন ভাবে লিখব তোমার গল্প 💔😭

এমন ভাবে লিখব তোমার গল্প, যে পড়বে, সে বুকের ভেতর অজানা একটা ব্যথা অনুভব করবে, চোখের পাপড়িতে জমে উঠবে হালকা কুয়াশার মতো জল, মনে হবে-এই ভালোবাসাটা বুঝি কোথাও গিয়ে থেমে গেছে, ঠিক শেষ পাতার আগেই ভেঙে গেছে এক সুন্দর স্বপ্নের অধ্যায়…!
তারা ছটফট করবে তোমাকে এক নজর দেখার জন্য, আর বলবে -কে সেই ভাগ্যবান। যে এমন গভীর ভালোবাসা পেয়েও তার হয়ে থাকতে পারলো না!
যে ভালোবাসার কদর বুঝতে পারেনি, যে হারিয়ে ফেলেছে এমন একজনকে, যে তাকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতো প্রাণ দিয়ে…
তোমার গল্পটা যেন এক নীরব আর্তনাদ, যেখানে শব্দ নেই, কিন্তু অনুভূতিতে আছে ঝড়-অপেক্ষার, না-পাওয়ার, আর না-বলা হাজারো কথার।
তুমি ছিলে কারো জীবনের স্বপ্ন, আর সেই স্বপ্নটা আজ শুধু ভাঙা টুকরো হয়ে ছড়িয়ে আছে স্মৃতির গহীনে…
হয়তো একদিন কেউ এই গল্পটা পড়ে নিঃশব্দে চোখ মুছবে, আর বলবে-“ভালোবাসা এমনও হয়..!!💔😭

মো: রাজিবুল করিম রোমিও