শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

বৃষ্টি এবং নারী

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৫:২৫ পিএম | 46 বার পড়া হয়েছে
বৃষ্টি এবং নারী

কেন বৃষ্টি ও নারী নিয়ে এত গান, এত কবিতা? বৃষ্টির ছোঁয়ায় মেয়েদের মন বেশি পুলকিত হয় কেন?
✓শুধু আবেগ নয় এই প্রশ্নের উত্তরে- রয়েছে মনস্তত্ত্ব, নারীবাদী চেতনা, প্রকৃতির প্রতীকী তাৎপর্য এবং গভীর আধ্যাত্মিক ভাবনা।
বৃষ্টির ছোঁয়ায় মেয়েরা পুলকিত হয় কেন? চলো, প্রথমে এই বিষয়টি আলোচনা করি-
🌧️ ১. নারী ও বৃষ্টির মিল (উর্বরতা, সৃষ্টিশীলতা, কোমলতা):
নারী ও প্রকৃতি -দুটিই সৃষ্টিশীল, উর্বর, এবং ধারণক্ষমতা সম্পন্ন। বৃষ্টি যেমন মাটিকে জাগিয়ে তোলে, তেমনি নারীর মনও স্নিগ্ধতা, করুণা ও সৃষ্টির সম্ভাবনায় ভরপুর।
নারীর হৃদয় কোমল সংবেদনশীল- আর বৃষ্টি সেই সংবেদনশীল অনুভবগুলিকে আলতো করে জাগিয়ে তোলে। এ যেন ভেতর থেকে এক ‘স্ত্রীপ্রকৃতি’র পুনর্জাগরণ। এ যেন এক অপার প্রেমের মাতামাতি- সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।
🌿 ২. আবেগ প্রকাশে নারীরা বেশি সপ্রতিভ, আর বৃষ্টি যেন সেই আবেগের ভাষা:
বৃষ্টি হলো এক চাপা কান্না, সুদূরে হারিয়ে যাওয়া কোন প্রেম, না বলা অনুভব… যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, কেবল অনুভবে ধরা যায়। আর আবেগ, অনুভব, অনুভূতি প্রকাশে নারীরা অত্যন্ত প্রবণ ও স্পর্শকাতর। তাই বৃষ্টি এলে, সেই সব আবেগ- যা হয়তো হৃদয়ের কোণে এতদিন জমে ছিল, তা অবলিলায় বেরিয়ে এসে হৃদয় প্লাবিত করে তুলে।
🎶 ৩. নান্দনিকতা ও কল্পনাশক্তির ক্ষেত্রেও নারীরা বৃষ্টির মতো:
মেয়েদের কল্পনাশক্তি, রোমান্টিকতা ও সৌন্দর্যবোধ প্রাকৃতিক নিয়ামক গুলোর (বৃষ্টি, ফুল, আকাশ, নদী, হাওয়া, খোলা প্রান্তর) স্পর্শে এসে উদ্বেলিত হয়ে উঠে এবং পাখা মেলে দিতে চায় নিরোদ্দেশের পথে।
বৃষ্টি মানে শুধু জলের ফোঁটা নয়; গান, নাচ, কল্পনা, স্মৃতি, অপেক্ষা- সব মিলিয়ে এক মায়াবী আবহের পরশ।
অনেক নারী বলেন, “বৃষ্টিতে ভিজলে, আমি যেন পুরোনো আমিকে খুঁজে পাই।”
এই নিজেকে ফিরে পাওয়ার যে অনুভূতি, তা এক অপার আনন্দের উৎস হয়ে হৃদয়ে নেচে উঠে।
💖 ৪. প্রেম ও বৃষ্টির আধ্যাত্মিক যোগ- নারীর হৃদয়ে গভীরতর প্রভাব ফেলে:
বৃষ্টি আদি থেকেই প্রেমের প্রতীক এবং প্রেম জাগানিয়া এক শক্তি। যে শক্তি নারীর হৃদয়বিণায় প্রেমের সুর তোলার অছিলা খোঁজে চলে অহর্নিশ।
তাছাড়া নারী সবকিছুকে যেমন হৃদয় দিয়ে ভালোবাসতে জানে, তেমনি বৃষ্টিকে তারা অনুভব করে আত্মার গভীর স্তর থেকে।
যখন আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি নামে, তখন নারীদের মনে এই রুপ অনুভূতি জেগে উঠে যে,
“এই আকাশ, এই মাটি, এই মুহূর্ত- সব কিছু যেন আমাকে জড়িয়ে ধরছে।”
এ যেন এক ধরনের অন্তরাত্মার আলিঙ্গন।
….এ যেন নাচুনে বুড়ির ঢোলের বাড়ি!!
🔮 ৫. নারীর ভেতরে এক ‘প্রাকৃতিক ছন্দ’ আছে, যা বৃষ্টির ছন্দে সাড়া দেয়:
নারীর দেহ ও মন চলাফেরা করে এক বিশেষ ধরণের চক্রের মধ্য দিয়ে- যা প্রকৃতির ঋতুচক্রের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। বৃষ্টি সেই প্রাকৃতিক ছন্দেরই একটি অংশ। তাই নারীরা কখনও বুঝে, কখনও না বুঝেই বৃষ্টির অবারিত সেই ছন্দে একাত্ম হয়ে পুলকিত হয়ে উঠে।
✨ সংক্ষেপে বললে:
বৃষ্টির স্পর্শে মেয়েরা পুলকিত হন, কারণ তারা নিজের ভেতরের সেই আলো, জল, কান্না ও ভালোবাসার গভীর স্তরগুলো স্পর্শ করতে পারেন- যা হয়তো অন্য সময়ে চাপা পড়ে থাকে।
“বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা যেন নারীর হৃদয়ে অঙ্কিত এক কবিতা, যা কেবল অনুভব করা যায়- বোঝানো যায় না।”
——
বৃষ্টি প্রসঙ্গে আরো কিছু আধ্যাত্মিক কথাঃ
✓প্রাচীন ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক ভাবনায়, বৃষ্টি পাপ ধুয়েমুছে, মাটি ও মানুষ- উভয়কে শুদ্ধ করে। যেমন ইসলামে বৃষ্টির পানি পবিত্র, হিন্দু দর্শনে গঙ্গাজলের মতোই তা জীবন দানকারী।
আধ্যাত্মিকভাবে, বৃষ্টি আমাদের অন্তর্গত ক্লান্তি, গ্লানি ও কষ্ট ধুয়ে দিয়ে এক নতুন জীবনবোধের জন্ম দিয়ে থাকে।
✓মেঘ জমে যেমন আকাশ অন্ধকার হয়, তেমনি মানুষের মনেও ক্লান্তির মেঘ জমে।
আর বৃষ্টি? সেই মেঘভরা অন্তরকে স্বস্তি, কান্না বা আনন্দের রূপে প্রকাশিত করে। অনেকেই বলে, “আমি কান্না চাপা দিতে বৃষ্টিতে বের হই” -কারণ বৃষ্টি মানে একটা নির্ভরযোগ্য আবরণ, যেখানে মানুষ নিজের আবেগকে ভয় ছাড়াই ঢেলে দিতে পারে।
✓বৃষ্টি হলো সৃষ্টি ও প্রেমের প্রতীক।
সব বীজ ঘুমিয়ে থাকে বৃষ্টি না আসা পর্যন্ত।
আধ্যাত্মিকভাবে, এই বীজ হলো আমাদের গভীর সম্ভাবনা। বৃষ্টি আসলে সৃষ্টির রহস্যে ঘেরা এক মহাজাগতিক আলিঙ্গন।
আর প্রেম? প্রেমও তো তেমনই- না দেখা এক আকাঙ্ক্ষা, যা ছুঁয়ে গেলে হৃদয় অঙ্কুরিত হয়ে জেগে উঠে।
তাই প্রেমিকেরা বৃষ্টিতে একসাথে ভিজতে চায়- এ যেন আবেগীয় এক আত্মিক মিলন।♥️
✓বৃষ্টি পড়লেই আধুনিক ব্যস্ততা স্তব্ধ হয়ে হঠাৎ করেই সময় থমকে যায় এবং আমরা নিজের সঙ্গে সচেতন ভাবে দেখা করি। এই ‘দেখা’ অনেকটা ধ্যানের মতো, যেখানে শব্দ নেই, কেবল অনুভব আছে। আধ্যাত্মিকভাবে, এই মুহূর্তটি হচ্ছে ‘বর্তমান’ ও ‘অমরতার’ স্পর্শ।
বৃষ্টি ঈশ্বরের কান্নাও হতে পারে। বিভিন্ন কবিতায় বা আধ্যাত্মিক ভাবনায় বলা হয়,
“আকাশ কাঁদে, পৃথিবী শান্ত হয়”-
এ যেন সৃষ্টিকর্তার হৃদয় নিঃসৃত করুণা, যা বাস্তবতার আঘাতে কঠিন হয়ে যাওয়া আমাদের মনকে গলিয়ে দেয়। এই কান্না মানবতার প্রতি এক নিরব আশীর্বাদ।
🌿 তাহলে, কেন মানুষ বৃষ্টি ও নারী নিয়ে এত গান, কবিতা রচনা করে?
কারণ বৃষ্টির আবহ এবং নারীর চিরায়ত রূপ আমাদের এমন এক অনুভূতির দরজা খুলে দেয়, যেখানে ভালোবাসা, শূন্যতা, তৃষ্ণা, অপেক্ষা আর পরিপূর্ণতা সব একসাথে বিরাজ করে।
আমরা যখন বৃষ্টি দেখি কিংবা নারীর অবারিত নান্দনিক রূপ-
পক্ষান্তরে আমরা আসলে নিজেকেই দেখি আর নিজের না বলা কথা শুনি।
তাই ‘নারী ও বৃষ্টি, শব্দ দুটি সেই অনুসঙ্গ, যা মূলতঃ আমাদের আত্মার ক্ষণিক পুনর্জাগরণ ঘটিয়ে থাকে।
✨ শেষ কথাঃ
“নারী কিংবা বৃষ্টি’ মূলতঃ প্রকৃতির নয়, আত্মার ভাষা। যা বাইরে থেকে নয়, আমাদের ভিজিয়ে দেয়- ভেতর থেকে।”🥰

হোসেনপুরে কিশোরগঞ্জ জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীর উপর হামলা

তপন চন্দ্র সরকার হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৮:৫৯ পিএম
হোসেনপুরে কিশোরগঞ্জ জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীর উপর হামলা

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী মাহবুবুর

আলম ছোটন (২৭) প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার পরিবারের লোকজন জানান, শুক্রবার (২০ জুন) আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে উপজেলা সদর থেকে বাড়ী ফেরার পথে

উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আনুহা জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় প্রতিপক্ষের লোকজন তার উপর হামলা করে। এ সময় তাঁর চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা মটর সাইকেলে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন আহত ছোটনকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সে ঐ এলাকার আবুল কালামের ছেলে ও বেসরকারী ঈশা খাঁ ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ৯ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। জানা যায় (১৩ জুন) উপজেলার বীল চাতল ও আনুহা গ্রামবাসীর মধ্যে তুচ্ছ ঘটনার জেরে মারামারি হয়। এ ঘটনায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে মঞ্জুরুল ইসলাম বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় একটি মামলা করেছেন ঐ মামলার ১নং স্বাক্ষী জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী ছোটন। সে প্রধান স্বাক্ষী হওয়ায় প্রতিপেক্ষর দুর্বৃত্তরা তার উপর হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ হোসেন জানান, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমতলীতে সড়ক দূর্ঘটনায় বাবা মেয়েসহ নিহত তিন ও শিশুসহ আহত চার

মাইনুল ইসলাম রাজু আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৮:৫৫ পিএম
আমতলীতে সড়ক দূর্ঘটনায় বাবা মেয়েসহ নিহত তিন ও শিশুসহ আহত চার

বরগুনার আমতলী- পটুয়াখালী- কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কে কেওয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ইকরা পরিবহন ও একটি ব্যাটারী চালিত ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ইজিবাইকে থাকা দুই বাবা মেয়েসহ তিন যাত্রী নিহত এবং শিশুসহ ৪ জন আরোহী গুরুত্বর আহত হয়েছে।

নিহতরা হলেন উপজেলার গাজীপুর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শাখার সিনিয়র শিক্ষক মৌলবী আঃ আজিজ (৫৫), তার মেয়ে মোছাদ্দিকা (২৫), বেয়াইন খালেদা (৪৫)। তাদের বাড়ী উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামে।

প্রত্যক্ষদর্শি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর ২ টায় দিকে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ইকরা পরিবহন (ঢাকা মেট্রো- ব -১৫-৮৯৫৩) নামের একটি দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহন বাস আমতলী- পটুয়াখালী- কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কে কেওয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে পাশর্^ রাস্তা (আকবারিয়া মাদ্রাসা সড়ক) স্থানে পৌছাইলে ওই রাস্তা দিয়ে মহাসড়কে উঠতে যাওয়া যাত্রী বোঝাই একটি ব্যাটারী চালিত ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ইাজবাইকটি দুমড়ে-মচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ইজিবাইকে থাকা দুই আরোহী বাবা মেয়ে মারা যায়। শিশুসহ আহত হয় আরো ৫ জন। গুরুত্বর আহত খালেদা বেগমকে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।

সংবাদ পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। স্থানীয়দের সহায়তায় নিহতদের উদ্ধার করে এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, দূর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।

নরসিংদীর পলাশে বি এন পির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলি বৃদ্ধ ২ নিহত ১

মোঃ কামাল হোসেন প্রধান জেলা প্রতিনিধি নরসিংদী  প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৭:৪৫ পিএম
নরসিংদীর পলাশে বি এন পির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলি বৃদ্ধ ২ নিহত ১

নরসিংদীর পলাশে ছাত্রদল ও বিএনপির সংঘর্ষে আহত ছাত্রদল কর্মী ঈসমাইল হোসেন (২৬) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার ছয়দিন অন্য ২১ জুন শনিবার দুপুর ২ টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়। নিহত ইসমাইল হোসেন পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর গ্রামের আব্দুর রহিম ভূঁইয়ার ছেলে।নিহতের বাবা আব্দুর রহিম ভূঁইয়া বলেন,২১ জুন শনিবার বেলা ২ টার দিকে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আমাদেরকে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে এবং আজই জানাযা শেষে গ্রামের বাড়িতে তার দাফন করা হবে। আমার ছেলের হত্যার বিচার ও জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার দাবি জানাই।পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ নাজমুল হোসেন সোহেল জানান, ইসমাইল ছাত্রদলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। আমাদের ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল ও তার লোকজন গুলিবর্ষণ করে। এতে ইসমাইল গুলিবিদ্ধ হয়ে ৬ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর আজ মারা যায়। এ ঘটনার যেন বার বার পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য তার গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনির হোসেন বলেন, আমরা জানতে পেরেছি,গুলিবিদ্ধ ঈসমাইল হোসেন মারা গেছেন। তবে,আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে এখনো জানায়নি। বিষয়টি জানানোর পর পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।উল্লেখ্য, রবিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার বিএডিসির মোড়ে পলাশ উপজেলা ছাত্রদল ও জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এছাড়া ছাত্রদল কর্মী ইসমাইল ও পথচারী সোহেল মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। পরে,আহত ঈসমাইলকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঈসমাইল হাসপাতালে ভর্তির ৬ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।এ ঘটনায় গত রবিবার রাতেই ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সিয়াম মিয়া বাদী হয়ে জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর কবির জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামী করে পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। জুয়েলের পক্ষ থেকে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনার গত বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বিএনপি নেতা জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে।