মোঃ জাহাঙ্গীর আলম পাবনা (ঈশ্বরদী)
ঈশ্বরদীতে এক দশকে আবাদি জমি কমেছে ৬৪৮ হেক্টর


যত্রতত্র কলকারখানা নির্মাণ, তিন ফসলি জমিতে বসতি স্থাপন, অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খনন এবং রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে জমি অধিগ্রহনের জন্য ঈশ্বরদীতে গত ১ দশকে চাষযোগ্য জমি কমেছে প্রায় ৬৪৮ হেক্টর। সে সূত্রে এ অঞ্চলে প্রতি বছরে কেবল মাত্র ধানের উৎপাদনই কমেছে ৯৩৫ মেট্রিক টন।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সূত্রমতে, ২০১৫ সালে অত্রাঞ্চলে মোট ফসলি জমি ছিল ১৮২৪৯ হেক্টর। যা কমে ২০২৫ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ১৭৬০১ হেক্টর। সে সূত্রে বলাযায় গত ১ দশকে মোট চাষ যোগ্য জমি কমেছে ৬৪৮ হেক্টর।
ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রমতে, উপজেলার চরাঞ্চলের (পাকশী, লক্ষীকুন্ডা, নবীনগর) বিতৃর্ণ এলাকার আবাদি জমি গুলোর সবচেয়ে বেশি ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে ইটভাটার কারনে। কেননা পুরো উপজেলা জুড়ে বৈধ/অবৈধ ইট ভাটা রয়েছে মোট ৪৯ টি । এই ইটভাটার জন্য অত্রাঞ্চলে জমি নষ্ট হয়েছে মোট ১৭০ হেক্টর। কেননা ভাটা গুলোর খোলা নির্মাণে প্রতিবছর প্রচুর আবাদি জমি নষ্ট হয়ে যায়। যা মোট আবাদি জমি কমার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
সূত্রে আরও জানা যায়, রুপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের জন্য জমি অধিগ্রহন হয়েছে ২৯৪ একর। যার ফলে প্রচুর চাষযোগ্য জমি নষ্ট হয়েছে। যেসব জমিতে এক সময় গম, সবজি, ডাল ও তৈল জাতীয় শষ্য উৎপাদন হত সেখনে এখন গড়ে উঠেছে আবাসন। যা চাষযোগ্য জমিকে নষ্ট করেছে বহুলাংশে।
ঈশ্বরদী উপজেলা ধান চাষে প্রসিদ্ধ এলাকা অরকোলা মাঠ, বাঘহাছলা, মুলাডুলি, খয়েরবাড়িয়া, পতিরাজপুর, আরকান্দি প্রভৃতি এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিস্তৃর্ণ এলাকা জুরে তিন ফসলি জমি গুলোতে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট আবাসন। এদের মধ্যে অরণকোলা ও পতিরাজপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি মিল কারখানাও গড়ে উঠেছে। সেই কারখানা গুলোকে কেন্দ্র করে আশপাশ ঘিরে ফসলি জমিতে খন�