মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

বিএনপি নেতা মতিন কাজী: ভোটযুদ্ধের সৈনিক অন্যায়ের শিকার

এস এম সালমান, বগুড়া প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ৯:৫৩ এএম | 113 বার পড়া হয়েছে
বিএনপি নেতা মতিন কাজী: ভোটযুদ্ধের সৈনিক অন্যায়ের শিকার

বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলার ৬নং গোহাইল ইউনিয়নের একজন জনপ্রিয়, সাহসী এবং ত্যাগী রাজনৈতিক নেতা মোঃ মিজানুর রহমান মতিন কাজী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গোহাইল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং গোহাইল ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তৃণমূলের মানুষের সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয় ভূমিকার কারণে তিনি এলাকাবাসীর আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত।

২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তিনি। সেই নির্বাচনে এলাকার জনগণের বিপুল সমর্থন পেলেও ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, তিনি সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে। উল্লেখ্য, ঐ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন গোহাইল ইউনিয়ন পরিষদের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলী আতোয়ার তালুকদার ফজু। এলাকাবাসীর অভিযোগ—‘ফজুবাহিনী’ নামে পরিচিত একটি চক্র ভোট কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান এবং প্রশাসনকে প্রভাবিত করে নির্বাচনে অনিয়ম ঘটায়, যার ফলে প্রকৃত বিজয়ী ধানের শীষের প্রার্থী মতিন কাজীকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়। বগুড়ার মাটিতে ধানের শীষের ঘাঁটিতে এ ধরনের ভোট কারচুপি বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি করে।

মতিন কাজী নিজেও বিশ্বাস করেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তিনি নিশ্চিতভাবে বিজয়ী হতেন। তার বক্তব্যে উঠে আসে, “জনগণ আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছে, কিন্তু প্রশাসনিক প্রশ্রয়ে দখলদাররা সেই ভোটের রায় ছিনিয়ে নিয়েছে। আমি হারিনি, আমার জয় কেড়ে নেওয়া হয়েছে।”

তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, বগুড়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু এমপির অনুসারী হিসেবে এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়।

এমন একটি প্রেক্ষাপটে, ৫ই আগস্ট ২০২৪ তারিখে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে এবং দেশের মানুষ ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারে আন্দোলন করে সফল হয়। এর মধ্য দিয়ে গঠিত হয় একটি নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যাদের প্রতি জনগণের বিশ্বাস জন্মেছে যে তারা একটি সুস্থ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারবে। এই আশাবাদ থেকেই গোহাইল ইউনিয়নের জনগণ আবারো দেখতে চান মোঃ মিজানুর রহমান মতিন কাজীকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে।

আগামী নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মতিন কাজী এগিয়ে রয়েছেন বলেই অনেক নেতাকর্মী বিশ্বাস করেন। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে মনোনয়নের দৌড়ে তার সঙ্গে রয়েছেন গোহাইল ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান সভাপতি ও শাহিন গ্রুপের নেতা আব্দুল মান্নান। তবে এলাকাবাসীর মতে, মতিন কাজী একজন ভালো, সৎ এবং জনগণের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত মানুষ—তাকে ধানের শীষের মনোনয়ন দিলে এবং নির্বাচনে নেতৃত্বে আনলে দল যেমন শক্তিশালী হবে, তেমনি ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক উন্নয়ন ও জনকল্যাণ নিশ্চিত হবে।

মতিন কাজী হলেন সেই নির্ভীক সৈনিক, যিনি ভোটযুদ্ধে জয়ী হয়েও অন্যায়ের শিকার হয়েছেন। তার জনপ্রিয়তা, নেতৃত্বগুণ এবং রাজনৈতিক স্পষ্টতা আজও গোহাইল ইউনিয়নে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। জনগণ বিশ্বাস করে, ন্যায়বিচার একদিন প্রতিষ্ঠা হবেই—আর সেদিন বিজয়ী হবে মতিন কাজীর মত সাহসী ও ত্যাগী নেতারাই।

“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

টঙ্গী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০৪ পিএম
“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

২০১৫ সালে ইতালি পাঠানোর নামে বাংলাদেশ থেকে ৪২ জনের পাসপোর্ট ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় ইব্রাহিম শেখ নামের এক প্রতারক। প্রতারণার সেই অঙ্ক তখনই দাঁড়িয়েছিল প্রায় দুই কোটি তিন লাখ টাকায়। এরপর থেকেই ইব্রাহিম যেন হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক চোরাকারবারির ‘প্রতীক’।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে অবৈধ পথে দালালের মাধ্যমে হংকং পাড়ি জমান তিনি। হংকংয়ে পৌঁছেই সেখানে গড়ে তোলেন একাধিক প্রতারণার নেটওয়ার্ক। ইউরোপ পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ, নকল আইফোন ও সোনা বিক্রি, এমনকি বাংলাদেশ থেকে নকল পণ্য পাচার—সবই চলতে থাকে একই ছকের ভেতরে।

স্থানীয় সূত্র বলছে, হংকং-এ অবস্থানকালে ইব্রাহিম একাধিক বিয়ে করেছেন পরিচয় গোপন করে। তার প্রতিটি প্রতারণার পেছনে ছিল সুপরিকল্পিত জালিয়াতি।

সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে, হংকং থেকে বাংলাদেশে ফিরেও থেমে থাকেননি এই ‘ন্যাশনাল প্রতারক’। আনুমানিক ১২৩ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে লুকিয়ে রেখেছেন একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এমনকি মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতারণা, মাদক, চোরাচালান—সবকিছুতে সম্পৃক্ত এই ইব্রাহিম এখন দেশের ভেতরেই অবস্থান করছেন ছদ্মবেশে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এতদিন ধরেই তার অপকর্ম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো? প্রতারিত পরিবারগুলো চাইছেন দ্রুত এই চক্রের মূলহোতা ইব্রাহিমকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হোক।

কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মো:স্বাধীন খান বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০১ পিএম
কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

বগুড়ার কাহালুতে জমির ড্রেনের পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে কর্নিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর। তাঁর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার।

কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

রুহুল আমিন, রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ১:৫৪ পিএম
কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

কুড়িগ্রাম সদরের হরিম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকার বেতারাঘাতে এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গত ৪ আগস্ট ২০২৫ ইং দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেনীর ক্লাসে হাসিনা খাতুন নামের এক শিক্ষিকা বেতারাঘাত করেন। এ সময় হাতে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে রাকিবুল হাসান রাকিবকে বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাটিয়ে দেয়া হয়। এর পর বাড়িতে হাত ফুলে গিয়ে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে তাকে সন্ধ্যায় তার অভিভাবক কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। রাকিব বলেন, হাসিনা আপা বড় বড় তিনটি প্রশ্ন লেখতে বলেন। আমি একটু পড়ে লেখতে চাইলেই বেত দিয়ে আমাকে খুব জোড়ে মারেন।এখন আমার হাতে অনেক ব্যাথা হচ্ছে। রাকিবের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, আমার ছেলেকে পড়া-লেখা শিখানোর জন্য স্কুলে দিয়েছি। শিক্ষকের মার খেয়ে হাসপাতালে আসার জন্য নয়। আমি এর বিচার চাই। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন,ঘটনার সময় আমি স্কুলের বাহিরে ছিলাম। শুনেছি হাসিনা বেত দিয়ে মেরেছে এতেই রাকিব ব্যাথা পায়। হাসিনা বেগম বলেন, আমি তাকে পড়ার জন্য মারিনি,মেরেছি নির্দাশিকা লাঠি দিয়ে দুষ্টুমি করার জন্য। উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলহাজ্ব বুলবুল হোসেন বলেন,আমি আমার অফিসের এক স্টাফ এর নিকট বিষয়টি শুনলাম। প্রধান শিক্ষিকাকে ফোনে পাইনি। কাল ছুটি আছে অফিস খুললেই জেনে ব্যবস্তা নিবো।

error: Content is protected !!