রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া

কাহালুতে বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৪৫ এএম | 25 বার পড়া হয়েছে
কাহালুতে বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

বগুড়ার কাহালু উপজেলায় বিএনপি’র পক্ষ থেকে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। দেশনায়ক ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতির সামনে উপস্থাপিত এই ৩১ দফা দিকনির্দেশনামূলক কর্মসূচি গত ২ আগস্ট শনিবার বিকেল ৫টায় কাহালু উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিতরণ করেন স্থানীয় ও জেলা বিএনপির নেতারা।

এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও কাহালু পৌরসভার সাবেক মেয়র ফরিদুর রহমান ফরিদ, কাহালু উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন ফকির, সাবেক পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, আজিজুল হক মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নওয়াজ উদ্দিন, কাহালু উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আকরাম হোসেন, উপজেলা বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোনোয়ার হোসেন মিনু, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুঞ্জুরুল আলম পান্না, পৌর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক কমিশনার রাম চন্দ্র দাস, পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর রহমান, কাহালু উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুল হক, পাইকড় ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য জামিল উদ্দিন, যুবদলের কাহালু উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ ফকির, পৌর বিএনপির প্রচার সম্পাদক হাবিল উদ্দিন, পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, মাষ্টার মোজাফ্ফর হোসেন, যুব নেতা বারী প্রাং এবং পৌর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রাকিব হোসেন প্রমুখ।

এ সময় এক বক্তব্যে অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, “বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, যেটি জনগণের কল্যাণে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনটি বরাবরই বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এই এলাকার মানুষ বরাবরই জিয়া পরিবারকে ভালোবাসে এবং শ্রদ্ধা করে। তাই তৃণমূল নেতাকর্মীদের আকাঙ্ক্ষা, এ আসনে জিয়া পরিবারের কোনো সদস্যকে প্রার্থী করা হোক, অথবা বিকল্প হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে আসা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয়া হোক।”

তিনি আরও বলেন, “৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের এই কর্মসূচি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে তা পৌঁছে দিচ্ছি, যাতে মানুষ বুঝতে পারে বিএনপি শুধু ক্ষমতার রাজনীতি নয়, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিশ্বাস করে।”

এই সাহসী কার্যক্রমে কাহালু উপজেলার সর্বস্তরের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও শ্রমিক দলের নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। মাঠপর্যায়ে বিএনপির এই তৎপরতা আবারও প্রমাণ করে যে, তারা জনগণের সঙ্গে থেকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা

পলাশবাড়ীতে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, অভিযুক্ত আটক

মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৩:০১ পিএম
পলাশবাড়ীতে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, অভিযুক্ত আটক

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ভবানিপুর এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

শনিবার দুপুর ৩টার দিকে অভিযুক্ত শাকিল একই গ্রামের একটি শিশুকে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। শিশুটির চিৎকারে স্বজনরা দ্রুত এগিয়ে এলে শাকিল পালিয়ে যায়।

একই দিন রাত ২টার দিকে গাইবান্ধা সেনা ক্যাম্পের একটি দল ভবানিপুর গ্রামের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শাকিলকে আটক করে। আটক শাকিল একই গ্রামের বাসিন্দা।

গাইবান্ধা সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার জানান, অভিযুক্তকে পলাশবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরও জানান, সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ তৎপরতা চলমান থাকবে।

সেনা ক্যাম্প কমান্ডার সাধারণ জনগণকে যেকোনো অপরাধের তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া

রাজনীতিতে এক নিবেদিত প্রাণ সৈনিক আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল করিম

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম
রাজনীতিতে এক নিবেদিত প্রাণ সৈনিক আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল করিম

রাজনীতি তাঁর জন্য কোনো পেশা নয়, ছিল না কখনো ব্যক্তিস্বার্থের মাধ্যমও। বরং রাজনীতি তাঁর কাছে একটি ত্যাগের পথ, দেশের ও দলের জন্য নিবেদিত থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এক মহান ব্রত। আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল করিম সেই বিরলপ্রজ নেতাদের একজন, যিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে এখন বিএনপির কাহালু উপজেলার শক্তিশালী ভিত্তির অন্যতম রূপকার। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি কাহালু উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দলের প্রতিটি দুঃসময়ে তিনি ছিলেন অটল, কর্মীদের প্রেরণা দিয়ে সাহস জুগিয়েছেন মাটির কাছের ভাষায়, মাটির কাছের মানুষ হয়েই। ছাত্রজীবনে কাহালু হাই স্কুল থেকে শুরু করে সরকারি আজিজুল হক কলেজে পড়াকালীন সময়েই বিএনপির আদর্শে দীক্ষিত হয়ে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম, গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি তাঁর অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা তাঁকে একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক দর্শনের ধারক করে গড়ে তুলেছে। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি একজন সৎ, দায়িত্বশীল এবং নিষ্ঠাবান শিক্ষক। বর্তমানে তিনি ডঃ আব্দুস সোবহান উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। শিক্ষকতার পাশাপাশি শিক্ষা অধিকার রক্ষার সংগ্রামে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন। তিনি বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, কাহালু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কাহালু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারি কল্যাণ সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর নেতৃত্বে শিক্ষক সমাজ সংগঠিত হয়েছে, শক্তিশালী হয়েছে তাদের ন্যায্য দাবিতে। শুধু রাজনীতি ও শিক্ষকতাই নয়, ব্যবসায়িক সততাও তাঁর পরিচয়ের অংশ। তিনি মেসার্স এন.এস.পি ব্রিকস এবং সততা ট্রেডার্স এর সত্ত্বাধিকারী। ব্যবসায়িক অঙ্গনেও তিনি যেমন সৎ, তেমনি জনবান্ধব। কর্মীদের সুখে-দুঃখে তিনি সবসময় পাশে থাকেন, মানবিক নেতৃত্বের পরিচয় দেন প্রতিটি পদক্ষেপে। এলাকাবাসী এবং কর্মীরা তাঁকে একজন সহজ-সরল, বিনয়ী এবং দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে জানেন। তাঁর জনপ্রিয়তা কিংবা গ্রহণযোগ্যতা কখনো চিৎকারে তৈরি হয়নি, তৈরি হয়েছে নিরব সেবায়, অব্যাহত ত্যাগে এবং মানবিক সহমর্মিতায়। সাংবাদিকদের প্রতি রয়েছে তাঁর গভীর শ্রদ্ধা। সবসময় তিনি সংবাদকর্মীদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার পক্ষে থাকেন, যার ফলে তিনি সাংবাদিকবান্ধব নেতা হিসেবেও পরিচিত। রাজনীতি, শিক্ষা, ব্যবসা ও সমাজসেবার এই দুর্লভ সমন্বয়ে গঠিত মানুষটির নাম আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল করিম—যিনি আজ কাহালুর গর্ব, তৃণমূল বিএনপির আশার আলো, একজন আদর্শবান শিক্ষক ও মানবিক সংগঠক। সত্যিকার অর্থেই তিনি রাজনীতির ময়দানে এক নিবেদিত প্রাণ সৈনিক, যাঁর পথচলা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে থাকবে।

স্ত্রীর মন

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম
স্ত্রীর মন

পুরুষরা যেই জায়গাটাতে সবচেয়ে বেশি যত্নবান থাকে,
সেই জায়গাটাকেই না বুঝে আগে ধ্বং* স করে ফেলে।
আর সেটা হচ্ছে—তার নিজের স্ত্রীর মন।
এটা একটা তীব্র, তীক্ষ্ণ সত্য।
একটা এমন সত্য, যা অজস্র সংসারের গোপন কান্না হয়ে থাকে।
সমাজ যেটা দেখে না, শোনে না,
কিন্তু প্রতিদিন একটা একটা করে ভেঙে যায় অগণিত নারীর ভিতরটা।
সংসার চালানো আর স্ত্রীর মন বোঝা—এক জিনিস না।
সংসার চালানো মানে শুধু বাজার করা, বিল দেওয়া, দায়িত্ব পালন নয়।
একটা স্ত্রীর ভেতরের ক্লান্তি, তার অব্যক্ত কথা,
আর মনের গভীরে জমে থাকা হতাশাগুলো বুঝে ফেলা—
সেটাই প্রকৃত যত্ন, সেটাই ভালোবাসা।
যুগ বদলেছে।
মানুষ বদলেছে।
চাওয়া-পাওয়াও বদলে গেছে।
একটা স্ত্রীকে শুধুই দায়িত্ব পালনের মেশিন মনে করলে,
তার মন একদিন ধ্বংস হবেই।
কারণ শুধু বেঁচে থাকলেই তো বেঁচে থাকা হয় না।
স্ত্রীর মনটা শিশুর মতো।
একটা মেয়ে যখন কাউকে ভালোবেসে জীবন দেয়,
সে শুধু সংসার করতে চায় না—
সে চায় কেউ বুঝুক তাকে,
তার দুর্বলতাগুলো আলিঙ্গন করুক,
তার কষ্টগুলো ভাগ করে নিক।
কিন্তু যখন সে কষ্টের কথা বলতে চায়,
আর শুনতে পায় —
“তুমি ড্রামা করো”,
“তুমি অতিসেনসিটিভ”,
“তুমি কিছু বোঝো না”—
তখন সে ধীরে ধীরে নিঃশব্দ হয়ে যায়।
তাহলে কী করা উচিত?
• শুনুন, বোঝার চেষ্টা করুন: স্ত্রী কাঁদছে মানে সে শুধু কাঁদছে না। তার মনটা হয়তো কথার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে।
• তুলনা বন্ধ করুন: স্ত্রীকে নিজের মা, বোন কিংবা অন্য কারো সাথে তুলনা করা মানে তাকে অপমান করা।
• সময় দিন: ফোনের স্ক্রিনে চোখ রেখে নয়, তার চোখের ভাষা পড়ার চেষ্টা করুন।
• স্বীকৃতি দিন: ছোট ছোট কৃতজ্ঞতার শব্দ উচ্চারণ করুন —
“তুমি যা করো, তা আমি দেখি”,
“তোমার জন্যই আমার দিনটা সহজ হয়”।
সবচেয়ে মজবুত সম্পর্কগুলো ভেঙে যায় ‘নিরব অবহেলা’ দিয়ে।
পুরুষেরা সত্যিই যত্ন করে,
কিন্তু সেই যত্ন যদি বোঝার অভাবে আঘাতে পরিণত হয়—
তবে স্ত্রীর মনটাই হয়ে যায় সবচেয়ে বড় ধ্বংসস্তূপ।
জানি না, সবাই বুঝবে কিনা…
কিন্তু একজন স্বামী যদি একবার শুধু স্ত্রীর চোখে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে—
তবে বুঝবে, কতটা মনোযোগ আর মমতা চেয়েছিল সেই মনটা,
যেটাকে সে নিজের ভাবত।

 

error: Content is protected !!