মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

আগামী নির্বাচনে পাবনা-৩ এলাকার গ্রহণযোগ্য ত্যাগী নেতাকে মনোনয়নের দাবি রাজা’র

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ১১:৩৯ এএম | 56 বার পড়া হয়েছে
আগামী নির্বাচনে পাবনা-৩ এলাকার গ্রহণযোগ্য ত্যাগী নেতাকে মনোনয়নের দাবি রাজা’র

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও পাবনা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হাসানুল ইসলাম রাজা বলেছেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া অনেক দেরী। তফসিল ঘোষণার পর দলীয় মনোনয়ন বোর্ড মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে থেকে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত ঘোষণা করা হবে। আমি সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। দলীয় নীতি নির্ধারকগণ আমাদের চেয়ে অনেক জ্ঞানী প্রজ্ঞাবান দায়িত্বশীল। তারা মাঠ পর্যায়ে জরিপ করবেন। সাধারণ মানুষ কি চায় সেটি গুরুত্বের সাথে পর্যালোচনা করবেন৷ পাবনা-৩ আসনে অনেক ত্যাগী মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতা আছেন। তাদের মধ্য থেকে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নেতাকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের কান্ডারী হিসেবে চূড়ান্ত করবেন এবং সেই হিসেবে পাবনা-৩ এলাকার প্রার্থীদেরকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন বলে বিশ্বাস করি।
আজ বিকেলে পাবনার ফরিদপুরে মোটরসাইকেল শোডাউন ও পথসভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে ঢাকা থেকে সড়কপথে সিরাজগঞ্জের বাড়াবাড়ি এলাকায় এসে পৌঁছান এই বিএনপি নেতা৷ এ সময় পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেল বহরে নিয়ে নেতাকর্মী সমর্থকরা তাকে গ্রহন করেন। সেখান থেকে মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে ডেমরা, ফরিদপুর, ভেড়ামারা, ভাঙ্গুড়া, জারদিস মোড় ও চাটমোহরে মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং পথসভায় বক্তব্য দেন।
হাসানুল ইসলাম রাজা সাংবাদিকদের বলেন, পাবনা-৩ এলাকা আমার অস্তিত্ব, এই এলাকার মানুষ আমার অস্তিত্ব। তাদের এই অস্তিত্বের স্বার্থে আমি ৩০ দফা তুলে ধরেছি। যার মাধ্যমে সমাজের অসহায় অবহেলিত মেহনতি সুবিধা বঞ্ছিত মানুষের সকল সুবিধা ও উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে৷ আমি ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে পাবনা-৩ এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আগামীতেও তাদের পাশে থাকবো।
পাবনা-৩ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটের উপজেলা চাটমোহরের শতকরা ৯০ জনেরও বেশি মানুষ আমার পক্ষে কথা বলছেন দাবি করে এই নেতা বলেন, কে মনোনয়ন পাবেন সেটি দলের নীতি নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন৷ সামনে এখনও অনেক সময়। এটা নিয়ে এখনই ভাবার কোনো প্রশ্ন আসে না।
বিভিন্ন পথসভায় রাজা বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও পাবনা-৩ এলাকায় কাঙ্খিত উন্নয়ন হয় নাই। কারণ ইতিপূর্বে যেসব এমপিরা ছিলেন তাদের অধিকাংশই বাইরের এমপি। পাবনা-৩ এর মাটি মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো কমিটমেন্ট ছিলনা, বিধায় এই এলাকায় ন্যুনতম উন্নয়ন অগ্রগতি হয়নি। তাই আপনারা ঘরে ঘরে আওয়াজ তুলুন আমাদের স্বার্থে আমরা পাবনা-৩ এলাকা থেকে এই এলাকার নেতাকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই। আমরা বহিরাগত কাউকে এমপি হিসেবে মানবো না।
রাজা বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যেমন একশ্রেণীর মানুষ দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থে পাকিস্তানীদের সাথে হাত মিলিয়েছিল। ঠিক তেমনি ২০২৫ সালে এসে আমি পাবনা-৩ আসনে আরেক মুক্তিযুদ্ধের সম্সুখীন হয়েছি। যেখানে পাবনা-৩ এলাকার অসংখ্য নেতাকর্মী তাদের কমিটমেন্ট থেকে সরে গিয়ে এই এলাকার মানুষের কথা না ভেবে তাদের ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার চিন্তা করছে। তাই যেহেতু আমি এই এলাকার সন্তান। তাই এখানকার মানুষের কল্যানের স্বার্থে আমি আমৃত্যু কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।
শোডাউন ও পথসভায় অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চাটমোহর পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ন সম্পাদক জহুরুল ইসলাম মাস্টার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল করিম, বিএনপি নেতা আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা, মথুরাপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি রেজাউল করিম বাবু,
ফৈলজানা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম মাস্টার, বিএনপি নেতা মোবারক হোসেন, যুবদল নেতা আলামিন তালুকদার৷ ডিভিগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম সহ অনেকে।

“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

টঙ্গী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০৪ পিএম
“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

২০১৫ সালে ইতালি পাঠানোর নামে বাংলাদেশ থেকে ৪২ জনের পাসপোর্ট ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় ইব্রাহিম শেখ নামের এক প্রতারক। প্রতারণার সেই অঙ্ক তখনই দাঁড়িয়েছিল প্রায় দুই কোটি তিন লাখ টাকায়। এরপর থেকেই ইব্রাহিম যেন হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক চোরাকারবারির ‘প্রতীক’।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে অবৈধ পথে দালালের মাধ্যমে হংকং পাড়ি জমান তিনি। হংকংয়ে পৌঁছেই সেখানে গড়ে তোলেন একাধিক প্রতারণার নেটওয়ার্ক। ইউরোপ পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ, নকল আইফোন ও সোনা বিক্রি, এমনকি বাংলাদেশ থেকে নকল পণ্য পাচার—সবই চলতে থাকে একই ছকের ভেতরে।

স্থানীয় সূত্র বলছে, হংকং-এ অবস্থানকালে ইব্রাহিম একাধিক বিয়ে করেছেন পরিচয় গোপন করে। তার প্রতিটি প্রতারণার পেছনে ছিল সুপরিকল্পিত জালিয়াতি।

সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে, হংকং থেকে বাংলাদেশে ফিরেও থেমে থাকেননি এই ‘ন্যাশনাল প্রতারক’। আনুমানিক ১২৩ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে লুকিয়ে রেখেছেন একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এমনকি মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতারণা, মাদক, চোরাচালান—সবকিছুতে সম্পৃক্ত এই ইব্রাহিম এখন দেশের ভেতরেই অবস্থান করছেন ছদ্মবেশে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এতদিন ধরেই তার অপকর্ম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো? প্রতারিত পরিবারগুলো চাইছেন দ্রুত এই চক্রের মূলহোতা ইব্রাহিমকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হোক।

কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মো:স্বাধীন খান বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০১ পিএম
কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

বগুড়ার কাহালুতে জমির ড্রেনের পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে কর্নিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর। তাঁর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার।

কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

রুহুল আমিন, রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ১:৫৪ পিএম
কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

কুড়িগ্রাম সদরের হরিম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকার বেতারাঘাতে এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গত ৪ আগস্ট ২০২৫ ইং দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেনীর ক্লাসে হাসিনা খাতুন নামের এক শিক্ষিকা বেতারাঘাত করেন। এ সময় হাতে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে রাকিবুল হাসান রাকিবকে বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাটিয়ে দেয়া হয়। এর পর বাড়িতে হাত ফুলে গিয়ে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে তাকে সন্ধ্যায় তার অভিভাবক কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। রাকিব বলেন, হাসিনা আপা বড় বড় তিনটি প্রশ্ন লেখতে বলেন। আমি একটু পড়ে লেখতে চাইলেই বেত দিয়ে আমাকে খুব জোড়ে মারেন।এখন আমার হাতে অনেক ব্যাথা হচ্ছে। রাকিবের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, আমার ছেলেকে পড়া-লেখা শিখানোর জন্য স্কুলে দিয়েছি। শিক্ষকের মার খেয়ে হাসপাতালে আসার জন্য নয়। আমি এর বিচার চাই। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন,ঘটনার সময় আমি স্কুলের বাহিরে ছিলাম। শুনেছি হাসিনা বেত দিয়ে মেরেছে এতেই রাকিব ব্যাথা পায়। হাসিনা বেগম বলেন, আমি তাকে পড়ার জন্য মারিনি,মেরেছি নির্দাশিকা লাঠি দিয়ে দুষ্টুমি করার জন্য। উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলহাজ্ব বুলবুল হোসেন বলেন,আমি আমার অফিসের এক স্টাফ এর নিকট বিষয়টি শুনলাম। প্রধান শিক্ষিকাকে ফোনে পাইনি। কাল ছুটি আছে অফিস খুললেই জেনে ব্যবস্তা নিবো।

error: Content is protected !!