বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২
বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২

আওয়ামী সরকারের পতনের এক বছর পূর্তিতে টঙ্গীতে আনন্দ মিছিল

মোঃলিমন হোসেন প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১০:২৯ এএম | 45 বার পড়া হয়েছে
আওয়ামী সরকারের পতনের এক বছর পূর্তিতে টঙ্গীতে আনন্দ মিছিল

ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতনের এক বছর পূর্তিতে গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির উদ্যোগে, টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির বিপ্লবী সভাপতি মোঃ জাবেদ আহমেদ সুমন এর সভাপতিত্বে আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

টঙ্গী বাজার সেনা কল্যাণ মার্কেট এর সামনে থেকে আনন্দ মিছিলটি শুরু হয়ে টঙ্গী ষ্টেশন রোড হয়ে টঙ্গী শহর এর বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে যাবেদ আহমেদ সুমন এর বাসভবনের সামনে এসে শেষ হয়।এ সময় টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপি সহ সকল সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আনন্দ মিছিল থেকে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ,যাবেদ আহমেদ সুমন এর বিকল্প নেই বলেও স্লোগান দিতে দেখা যায়।

জাবেদ আহমেদ সুমন বলেন এ বিজয় হাজারো মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়।

কোন অপশক্তির কাছে এ বিজয়ের সম্মান ম্লান হতে দেব না।

তিনি আরো বলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর নিজ হাতে গড়া দল।

এই দল একদিনে গড়ে ওঠে নাই।তাই ইচ্ছে করলেই এ দলের কোনো ক্ষতি করা সম্ভব হবে না।

তৌহিদুর রহমান, শেরপুর থেকেঃ

শ্রীবরদীতে ঘর-বাড়ি হারিয়ে অন্যগ্রামেও নিরাপদে নেই গৃহবধূ

তৌহিদুর রহমান, শেরপুর থেকেঃ প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ৩:৫৫ পিএম
শ্রীবরদীতে ঘর-বাড়ি হারিয়ে অন্যগ্রামেও নিরাপদে নেই গৃহবধূ

শেরপুরের শ্রীবরদীতে জমিসংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ঘরবাড়ি হারিয়ে গ্রাম ছেড়ে অন্যগ্রামেও নিরাপদে নেই গৃহবধূ তানসিম জাহান। ঘটনাটি ঘটে সম্প্রতি উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের বিলভরট গ্রামে। গৃহবধূ তানসিম ওই গ্রামের মিল্লাত মিয়ার স্ত্রী। জানা গেছে, মিল্লাত মিয়া একজন গার্মেন্টস কর্মী। তিনি ঢাকায় থাকেন। ২ সন্তান নিয়ে তার স্ত্রী তানসিম জাহান থাকেন বাড়িতে। তানসিম জাহান জানান দীর্ঘ ২০ বছর পূর্বে তার স্বামী মিল্লাত মিয়া তার ফুফুর কাছ থেকে ৭ শতাংশ জমি ক্রয় করে ঘরবাড়ি নির্মান করে বসবাস করে আসছেন তারা। তাদের জমির পাশ দিয়ে তার শশুর সিরাজুল হকের জমি ও রয়েছে। সিরাজুল হক ও স পরিবারে ঢাকায় থাকেন। তানসিম জাহান বলেন তার শশুর সিরাজুল হক কিছু দিন পূর্বে বাড়ির ১০ শতাংশ জমি তার দেবর মিলন মিয়াকে লিখে দেন। অভিযোগ প্রকাশ, মিলন মিয়া পিতার কাছ থেকে জমি লিখে নেয়ার পর ২০২৪ সালে তার বড় ভাই এর স্ত্রী তানসিম জাহানকে তার বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করে। গৃহবধূ তানসিম জাহানকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে আসছিল মিলন মিয়া ও তার ভাড়াটিয়া লোকজন। পরে ১ডিসেম্বর ২০২৪ সালে গৃহবধূ তানসিম জাহান বাদি হয়ে মিলন মিয়াও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে শেরপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত উক্ত জমিতে আইন শৃংখলা রক্ষায় থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) দখল বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। কিন্তু মিলন মিয়া আদালতের নির্দেশ অমান্য করে একটি ভাড়াটি বাহিনী নিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর তানসিম জাহানের বসতবাড়িতে হামলা চালায়। এসময় বিবাদীরা তার বসতবাড়িটি সম্পুর্ন গুড়িয়ে দেয়। ঘরের সমস্ত মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। বাড়ির গাছ পালাগুলো কেটে নিয়ে যায়। তানসিম জাহান বাধা দিতে গেলে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তানসিম জাহানকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে তানসিম জাহান হাসধরা গ্রামে তার বাড়িতে আশ্রয় নেন। এব্যাপারে তানসিম জাহান বাদি হয়ে মিলন মিয়াসহ ১২ জনকে আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি চলমাম রয়েছে। অপরদিকে আসামীরা জামিনে ছাড়া পেয়ে মামলা তুলে নিতে বাদীনিকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাননাশের হুমকি প্রদর্শন করে আসছেন।বিবাদীদের দাবি অনুযায়ী মামলা তুলে না নেয়ায় গত ২৯ জুলাই তানসিম জাহান ভায়াডাঙ্গা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময উৎপেতে থাকা বিবাদীরা তার উপর হামলা চালায়। তানসিম জাহানের ডাকচিৎকারে আসপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামীরা পালিয়ে যায়। ফলে পিতার বাড়িতে থেকেও পরিবারটি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এব্যাপারে তানসিম জাহান নিরাপত্তা চেয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার জাহিদ বলেন অভিযোগের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থ প্রক্রিয়াধীন।

ভাঙনের মুখে একাধিক বাড়ি

কাহালুর পিলকুঞ্জ থলপাড়ায় খোলা ড্রেন ও পায়খানায় জনদুর্ভোগ

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ৩:৫৩ পিএম
কাহালুর পিলকুঞ্জ থলপাড়ায় খোলা ড্রেন ও পায়খানায় জনদুর্ভোগ

বগুড়ার কাহালু উপজেলার পিলকুঞ্জ থলপাড়া গ্রামে খোলা ড্রেন ও খোলা পায়খানার কারণে প্রতিদিনের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ভেঙে পড়ছে এলাকার পরিবেশ ও রাস্তা, সৃষ্টি হয়েছে চরম জনদুর্ভোগ। সবচেয়ে ভীতিকর বিষয় হলো, ড্রেনের ভয়াবহ অবস্থার কারণে স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আব্দুল মুমিনের বাড়িসহ আশেপাশের আরও কয়েকটি বাড়ি বর্তমানে ভাঙনের মুখে পড়েছে।

স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মী মোঃ আব্দুল মুমিন, সহকারী স্বাস্থ্য প্রদর্শক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কাহালু বলেন, “গ্রামের ভেতর দিয়ে খোলা ড্রেন এবং খোলা পায়খানার ব্যবহার আমাদের জীবনে অভিশাপ হয়ে উঠেছে। ড্রেনের মাধ্যমে মলমূত্র প্রবাহিত হয়ে দুর্গন্ধ, মশার উপদ্রব ও মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করছে। এটি এখন আর শুধু পরিবেশগত সমস্যা নয়, মানুষের নিরাপত্তা ও জীবনের জন্য হুমকি।”

স্থানীয়রা জানান, মোঃ আজহার আলী (পিতা: মৃত মোজাহার আলী), মোঃ শাহিন (পিতা: মৃত আবুল হোসেন), ও মোঃ আব্দুর রশিদ (পিতা: মৃত ফজলার রহমান) দীর্ঘদিন ধরে এই ড্রেন সংলগ্ন খোলা পায়খানা ব্যবহার করে আসছেন। তাদেরকে একাধিকবার নিষেধ করলেও কোনো প্রকার কর্ণপাত করেননি। ফলে রাস্তাটি বর্তমানে চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এমতাবস্থায় স্থানীয়রা কালাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিকার পাননি। বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় পরিবেশের এমন অবনতি শিশু-বৃদ্ধসহ সকলের স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তাই, পিলকুঞ্জ থলপাড়ার জনগণ দ্রুত এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে মাননীয় জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি

পাইকগাছার পল্লীতে বাসস চেয়ারম্যানের উদ্যোগে দুই সহস্রাধিক চক্ষু রোগীর চিকিৎসা প্রদান

শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ৩:৫১ পিএম
পাইকগাছার পল্লীতে বাসস চেয়ারম্যানের উদ্যোগে দুই সহস্রাধিক চক্ষু রোগীর চিকিৎসা প্রদান

শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি:- মানবসেবার ধারাবাহিক কর্মযজ্ঞের অংশ হিসেবে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার নগর শ্রীরামপুরে জিয়া প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টারের উদ্যোগে চক্ষু চিকিৎসা ও ছানি অপারেশন ক‍্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসসের চেয়ারম‍্যান ও দৈনিক ইত্তেফাকের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার আলদীনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই ক‍্যাম্পে দুই সহস্রাধিক মানুষকে বিনা মূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত সাইটসেভার্সের অর্থায়নে ব্র্যাক ও খুলনা বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের অভিজ্ঞ–বিশেষজ্ঞ ডাক্তার-নার্সদের সমন্বয়ে গঠিত ১২ জনের মেডিকেল টিম চক্ষু রোগীদের চিকিৎসা প্রদান ও ছানি রোগীদের বাছাই করেন।বাছাই করা রোগীদের পর্যায়ক্রমে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন করা হবে।ছানি অপারেশনের পর কালো চশমা ও ১ মাসের ঔষধ বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় এই ক‍্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
সভাপতিত্ব করেন পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডাঃ আব্দুল মজিদ। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আনোয়ার আলদীন।উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির অন‍্যতম সিনিয়র নেতা কে এম আশরাফুল আলম নান্নু,শেখ সামসুল আলম পিন্টু ,যুবদলের পাইকগাছা আহ্বায়ক তহিদুজ্জামান মুকুল,ছাত্রদল সভাপতি
সরজিৎ ঘোষ দেবেন,বিএনপি নেতা শেখ ইমাদুল ইসলাম ,আবুল হোসেন,মাসুদুজ্জামান বাবু ,তুষার কান্তি মন্ডল,শেখ আনারুল ইসলাম,তানভীর আলম,মহিলা দলের নেত্রী চুমকি ,মীর শাফায়েত হোসেন,শাহ আলম,আকিজ উদ্দিন,শহিদুল ইসলাম, আকারাম জোয়ারদার,হুরায়রা বাদশা,শহিদুর রহমান,আজাহারুল ইসলাম গাজী ,সুমন কাজী,শেখ আবদুল গফুর,জাহাঙ্গীর গাজী,শেখ বিল্লাল,গাজী জাহিদ,খান মাসুম,সাব্বির আহমেদ,মোস্তফা মোড়ল , কবির গাজী প্রমুখ।কপিলমুনি মেহেরন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রহিমা আক্তার শম্পা,মানবাধিকার সংগঠক সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান পারভেজ ,শফিউল ইসলাম হাজারা,অলিউল ইসলাম শেখ,জহিরুল হাসান শাকিল,জাহিদ আলম,বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা.হাফিজুর রহমান আশিক,ডা.আসিফ হাসান ,ডা.হাবিবুল্লাহ,ডা.অয়ন,ডা.আশিক,ডা.ফুয়াদ প্রমুখ।এই বিনা মূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদান ক‍্যাম্পে পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলাসহ আশপাশ এলাকার গরীব দুঃস্থসহ সর্বস্তরের মানুষ প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্রি চিকিৎসা সুবিধা গ্রহণ করেন।ক্যাম্পে আগত রোগীদের ফ্রি চোখের পরীক্ষা,অভিজ্ঞ চক্ষু বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরামর্শ ও চিকিৎসা,প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্রি চশমা ও ওষুধ প্রদান ও নির্বাচিত রোগীদের ফ্রি ক্যাটারাক্ট (ছানি) অপারেশনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।ছানিজনিত কারণে যে সকল রোগী দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন,তাদের চোখের ছানি অপারেশন এবং (আইএলও) লেন্স স্থাপনের লক্ষ্যে ছানি রোগী শনাক্তকরণ করা হয়।রোগী শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে বিনামূল্যে রোগীর প্রয়োজনীয় কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।যেমন, চোখের প্রেশার,শরীরের রক্ত চাপ,ডায়াবেটিস ইত্যাদি।প্রয়োজনীয় সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে পাঁচ শতাধিক রোগীকে ছানি অপারেশনের জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়।আনোয়ার আলদীন বলেন,সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে সাধারণ মানুষের জন্য এ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে।বহু মানুষ চোখের নানা ধরনের দৃষ্টি সমস্যায় ভুগছেন।কিন্তু অনেকেই অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন না। তাই আমরা বিনা মূল্যের চক্ষু ক্যাম্পের আয়োজন করি।এ আয়োজনে সব শ্রেণির মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। আগামীতে এ ধরনের কার্যক্রম আরো অনুষ্ঠিত হবে বলেও তিনি জানান।
চিকিৎসা নিতে আসা আনোয়ারা খাতুন বলেন,চোখে সমস্যা ছিল,কিন্তু টাকা না থাকায় চিকিৎসা করাতে পারিনি।আজ ফ্রি ক্যাম্পে এসে ডাক্তার দেখালাম,অপারেশনের সুযোগও পেলাম।আল্লাহ যেন তাদের ভালো রাখেন।এমন উদ্যোগ গরিবদের জন্য আশীর্বাদ। তারা চান ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম চলমান থাকুক এ প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
আনোয়ার আলদীন দীর্ঘদিন ধরে অত্র অঞ্চলে বহুবিধ দাতব্যমূলক,কল্যাণমূলক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন।নান্দনিক জামে মসজিদ,মাদ্রাসা এতিমখানা হেফজখানা,ক্লিনিক ,রাস্তা ঘাট ড্রেনেজ নির্মাণ ও স্থাপন করেছেন। ৩০ বছর রাজনৈতিক দলীয় দূর্বৃত্তদের দখলে থাকা একটি ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ সরকারি নাছিরপুর খাল দখলমুক্ত করে স্থানীয় সর্বসাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন।এছাড়া প্রতিবছর শীতে শীতবস্ত্র প্রদান,কোরবানির সময় হাজার হাজার দুঃস্থ অসহায় গরিব মানুষকে মাংসের সংস্থান,ঈদুল ফিতরের সময় গরীবদের মাঝে খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছেন ।

error: Content is protected !!