
বগুড়ার কাহালু উপজেলার পিলকুঞ্জ থলপাড়া গ্রামে খোলা ড্রেন ও খোলা পায়খানার কারণে প্রতিদিনের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ভেঙে পড়ছে এলাকার পরিবেশ ও রাস্তা, সৃষ্টি হয়েছে চরম জনদুর্ভোগ। সবচেয়ে ভীতিকর বিষয় হলো, ড্রেনের ভয়াবহ অবস্থার কারণে স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আব্দুল মুমিনের বাড়িসহ আশেপাশের আরও কয়েকটি বাড়ি বর্তমানে ভাঙনের মুখে পড়েছে।
স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মী মোঃ আব্দুল মুমিন, সহকারী স্বাস্থ্য প্রদর্শক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কাহালু বলেন, “গ্রামের ভেতর দিয়ে খোলা ড্রেন এবং খোলা পায়খানার ব্যবহার আমাদের জীবনে অভিশাপ হয়ে উঠেছে। ড্রেনের মাধ্যমে মলমূত্র প্রবাহিত হয়ে দুর্গন্ধ, মশার উপদ্রব ও মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করছে। এটি এখন আর শুধু পরিবেশগত সমস্যা নয়, মানুষের নিরাপত্তা ও জীবনের জন্য হুমকি।”
স্থানীয়রা জানান, মোঃ আজহার আলী (পিতা: মৃত মোজাহার আলী), মোঃ শাহিন (পিতা: মৃত আবুল হোসেন), ও মোঃ আব্দুর রশিদ (পিতা: মৃত ফজলার রহমান) দীর্ঘদিন ধরে এই ড্রেন সংলগ্ন খোলা পায়খানা ব্যবহার করে আসছেন। তাদেরকে একাধিকবার নিষেধ করলেও কোনো প্রকার কর্ণপাত করেননি। ফলে রাস্তাটি বর্তমানে চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এমতাবস্থায় স্থানীয়রা কালাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিকার পাননি। বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় পরিবেশের এমন অবনতি শিশু-বৃদ্ধসহ সকলের স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাই, পিলকুঞ্জ থলপাড়ার জনগণ দ্রুত এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে মাননীয় জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।