স্ত্রীর মন


পুরুষরা যেই জায়গাটাতে সবচেয়ে বেশি যত্নবান থাকে,
সেই জায়গাটাকেই না বুঝে আগে ধ্বং* স করে ফেলে।
আর সেটা হচ্ছে—তার নিজের স্ত্রীর মন।
এটা একটা তীব্র, তীক্ষ্ণ সত্য।
একটা এমন সত্য, যা অজস্র সংসারের গোপন কান্না হয়ে থাকে।
সমাজ যেটা দেখে না, শোনে না,
কিন্তু প্রতিদিন একটা একটা করে ভেঙে যায় অগণিত নারীর ভিতরটা।
সংসার চালানো আর স্ত্রীর মন বোঝা—এক জিনিস না।
সংসার চালানো মানে শুধু বাজার করা, বিল দেওয়া, দায়িত্ব পালন নয়।
একটা স্ত্রীর ভেতরের ক্লান্তি, তার অব্যক্ত কথা,
আর মনের গভীরে জমে থাকা হতাশাগুলো বুঝে ফেলা—
সেটাই প্রকৃত যত্ন, সেটাই ভালোবাসা।
যুগ বদলেছে।
মানুষ বদলেছে।
চাওয়া-পাওয়াও বদলে গেছে।
একটা স্ত্রীকে শুধুই দায়িত্ব পালনের মেশিন মনে করলে,
তার মন একদিন ধ্বংস হবেই।
কারণ শুধু বেঁচে থাকলেই তো বেঁচে থাকা হয় না।
স্ত্রীর মনটা শিশুর মতো।
একটা মেয়ে যখন কাউকে ভালোবেসে জীবন দেয়,
সে শুধু সংসার করতে চায় না—
সে চায় কেউ বুঝুক তাকে,
তার দুর্বলতাগুলো আলিঙ্গন করুক,
তার কষ্টগুলো ভাগ করে নিক।
কিন্তু যখন সে কষ্টের কথা বলতে চায়,
আর শুনতে পায় —
“তুমি ড্রামা করো”,
“তুমি অতিসেনসিটিভ”,
“তুমি কিছু বোঝো না”—
তখন সে ধীরে ধীরে নিঃশব্দ হয়ে যায়।
তাহলে কী করা উচিত?
• শুনুন, বোঝার চেষ্টা করুন: স্ত্রী কাঁদছে মানে সে শুধু কাঁদছে না। তার মনটা হয়তো কথার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে।
• তুলনা বন্ধ করুন: স্ত্রীকে নিজের মা, বোন কিংবা অন্য কারো সাথে তুলনা করা মানে তাকে অপমান করা।
• সময় দিন: ফোনের স্ক্রিনে চোখ রেখে নয়, তার চোখের ভাষা পড়ার চেষ্টা করুন।
• স্বীকৃতি দিন: ছোট ছোট কৃতজ্ঞতার শব্দ উচ্চারণ করুন —
“তুমি যা করো, তা আমি দেখি”,
“তোমার জন্যই আমার দিনটা সহজ হয়”।
সবচেয়ে মজবুত সম্পর্কগুলো ভেঙে যায় ‘নিরব অবহেলা’ দিয়ে।
পুরুষেরা সত্যিই যত্ন করে,
কিন্তু সেই যত্ন যদি বোঝার অভাবে আঘাতে পরিণত হয়—
তবে স্ত্রীর মনটাই হয়ে যায় সবচেয়ে বড় ধ্বংসস্তূপ।
জানি না, সবাই বুঝবে কিনা…
কিন্তু একজন স্বামী যদি একবার শুধু স্ত্রীর চোখে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে—
তবে বুঝবে, কতটা মনোযোগ আর মমতা চেয়েছিল সেই মনটা,
যেটাকে সে নিজের ভাবত।