মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

বিএনপি-জামায়াত প্রকাশ্য বিবাদে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫, ১২:২৭ পিএম | 44 বার পড়া হয়েছে
বিএনপি-জামায়াত প্রকাশ্য বিবাদে

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপি সম্পর্কে ভালো যাচ্ছে না। গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রদের রাজনৈতিক দল এনসিপির সঙ্গেও বিএনপির সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। তবে এক সময়ের জোটসঙ্গী জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব ক্রমেই প্রকাশ্যে আসছে। শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে চলছে কথার লড়াই। আর রাজপথে কর্মীদের পরস্পরকে আক্রমণ করে দেওয়া স্লোগানও বিষবাস্প ছড়াচ্ছে। এতে করে উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছে। বাড়ছে রাজনীতিতে অস্থিরতারও।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের একের পর এক বৈঠকে কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছিল। নির্বাচনমুখী হচ্ছিল দেশ। দীর্ঘ ১৬ বছরের শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের কবল থেকে মুক্ত হয়ে দেশ গণতন্ত্রের পথে দেশ এগিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু একটা স্বপ্ন যখন মানুষ দেখতে শুরু করেছিল ঠিক তখনই বর্তমান বাস্তবতায় রাজনীতির দুই পরাশক্তি বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এলো। সম্প্রতি রাজধানীর পুরান ঢাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের বিতর্কের লড়াইয়ে জড়িয়েছে এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলনও। এই দুই দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে কর্মীদের বক্তব্যও রীতিমতো রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভেদের আগুনে যেন ঘি ঢালছে।

বিএনপি জামায়াতের প্রকাশ্যে এমন দ্বন্দ্বে গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও। তাদের মতে, বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যান্য দলগুলোর এ দ্বৈরথ দেশের রাজনীতিতে নতুন করে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ সংকট সমাধান না হলে দেশকে বড় ধরনের সহিংসতার দিতে ঠেলে দিতে পারে। গত কয়েক মাস ধরেই দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা অপরাধমূলক ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম জড়ানোর পর বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা শোনা যাচ্ছিলো। যদিও দলটির নেতারা অনেক ঘটনায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তারপরেও দলটি কেন তার কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সেটি বড় প্রশ্ন হয়ে এসেছে।

সর্বশেষ মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের ভিডিও শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর রাতেই বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের কয়েকটি জায়গায় কোথায় ‘ছাত্র-জনতা’ আবার কোথাও ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ পরিচয় দিয়ে প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। কিন্তু এসব মিছিল থেকে এক পর্যায়ে বিএনপির লন্ডনে থাকা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে স্লোগানও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয় বিএনপিতে। তারেক রহমানকে নিয়ে ‘কুরুচিপূর্ণ’ স্লোগান দেওয়া হয়েছে বলে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির নেতারা।

এসব মিছিলের যেসব ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে এসেছে সেখানে ‘টিনের চালে কাউয়া, তারেক কোন…’ ‘আগের জুলাইয়ে লীগ তাড়াইছি…এবারে দল তাড়াবো’, ‘হাসিনা গেছে যে পথে, খালেদা যাবে সেই পথে’, ‘ঢাকা না লন্ডন.. ঢাকা ঢাকা’ এবং ‘চাঁদা তোলে পল্টনে… ভাগ যায় লন্ডনে’- এমন সব স্লোগান শোনা গেছে। এছাড়া নামে-বেনামে সামাজিক মাধ্যমে ফটোকার্ড দিয়ে লন্ডনে থাকা তারেক রহমানের ‘জীবনযাত্রার ব্যয় এবং আয়ের উৎস নিয়েও’ নানা ধরনের প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

বিএনপির কর্মীরাও তাদের ভাষায় এসব অপপ্রচারের জন্য জামায়াত ও এনসিপিকে দায়ী বা ইঙ্গিত করে পাল্টা প্রচারণা শুরু করে। আবার বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলোও এর বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে জামায়াত-শিবিরকে ইঙ্গিত করে ‘গোপন তৎপরতায় অভ্যস্ত একটি গুপ্ত সংগঠন কর্তৃক মব সৃষ্টির অপচেষ্টা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির’ অভিযোগ এনেছে। এসব প্রচার পাল্টা প্রচারে দলগুলো পরস্পরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি কিংবা অর্থ আদায়ের জন্য নানা কৌশল অবলম্বনের প্রচার- পাল্টা প্রচার করছেন যেখানে, ‘চাঁদাবাজি, ডোনেশন, বাইতুল মাল, হাদিয়া কিংবা বিকাশ’ এমন শব্দগুলো তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করছেন। আবার জামায়াত গত কয়েকমাস ধরেই দেশজুড়ে চাঁদাবাজির জন্য বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে আসছিলো।

সেটিই গত কয়েকদিনে আরও জোরালো হতে দেখা গেছে সামাজিক মাধ্যমে। তবে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আমাদের দলের কেউ অন্য কোনো দল বা দলের নেতাকে নিয়ে অশ্লীল কোনো স্লোগান বা বক্তব্য দেয়নি। আমরা শুধু দেশজুড়ে চাঁদাবাজি, নিষ্ঠুরতাসহ যেসব অপকর্ম হচ্ছে তার প্রতিবাদ করছি রাজনৈতিক বক্তব্যের মাধ্যমে। মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়েছে একটি গোষ্ঠীর তৎপরতায়। মানুষের কথাটাই আমরা বলছি শুধু।

এর আগে রোববার এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তাদের ওপর ‘সাইবার অ্যাটাক হয়েছে চতুর্দিক থেকে।…পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য, বিএনপিকে উড়িয়ে দেওয়ার জন্য। এরপর দু’পক্ষের মধ্যেই প্রচার-পাল্টা প্রচারে বার বার উঠে আসে তারেক রহমানের নাম।

এমন প্রেক্ষাপটে গত সোমবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন ‘একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে আমাদের দল এবং শীর্ষ নেতৃত্বের শালীনতা ও চরিত্র হননের দুঃসাহস প্রদর্শন করছে।’ দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্যই মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি বাস্তবায়নে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল মুখে কোনো দলের নাম উচ্চারণ না করলেও বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলোর কর্মসূচিতে ‘তারেক রহমান বিরোধী প্রচারের জন্য’ জামায়াত-শিবির ও এনসিপিকে দায়ী করেই বক্তব্য দিয়েছেন এসব সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তবে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলছেন, বিএনপি আগের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ধারাবাহিকতায় তারেক রহমানকে রাজনৈতিক কাল্ট হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে। একটা দলের ভালো কাজের ক্রেডিট যখন দলের অন্যান্য নেতাদের না দিয়ে শুধু তাকে দেওয়া হয়, তখন দলের খারাপ কাজ বা অন্যায়ের দায়ও তার ওপর যায়। তার দলের কেউ কোনো অন্যায় করলে জনগণ তার সমালোচনা করছে বা তাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছে-গণতন্ত্রে এটা তো স্বাভাবিক। বিএনপি মহাসচিব সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে তার দল সরকার পরিচালনার দায়িত্বে না থাকা সত্ত্বেও দল ও তার প্রধান নেতৃত্বকে দায়ী করে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন করেছেন।

এর জবাবে আরিফুল ইসলাম আদীব বলছেন, ‘৫ আগস্টের পর গণমাধ্যম থেকে শুরু করে রাষ্ট্রযন্ত্রের অন্যান্য এস্টাবলিশমেন্টে বিএনপি পরোক্ষভাবে সবকিছুতেই নিয়ন্ত্রণ বা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, কর্মসূচিসহ সবকিছুতেই দেখবেন উনি (তারেক রহমান) সবকিছুর ঊর্ধ্বে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে জনগণ ও শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করা শিখে গিয়েছে। সুতরাং, তার দলের লোকজনের কর্মকাণ্ডের দায় সেজন্য শিক্ষার্থী বা জনগণ এখন প্রশ্ন তুলছে।’

এর আগে শনিবার দলের এক অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, রাজধানীতে পাথর ছুড়ে প্রকাশ্যে যুবক হত্যার দায়-দায়িত্ব বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেই নিতে হবে।

এর প্রতিক্রিয়ায় গত সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে বক্তৃতায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামী ও চরমোনাই পীরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, আমাদের নেতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন, কোথায় ছিল জামায়াত-চরমোনাই?

মির্জা আব্বাস বলেন, মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তার পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। যে ছেলেটিকে হত্যা করা হয়েছে, সে বিএনপি করত। তার পারিবারও বিএনপির সমর্থক। এটা একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন খুব কাছ থেকে ভিডিও করছে। কোনো নড়াচড়া নেই।

তিনি বলেন, আমি হত্যাকাণ্ডে জড়িত একজনের ছবি দেখাতে পারব। এনসিপি নেতার সঙ্গে মাহিন নামের একজনের ছবি আছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, দেখাতে পারব। বিএনপির ওপর দায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

জামায়াত প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, এরশাদের সময়ে তার কাঁধে ভর করে। আওয়ামী লীগের সময় তাদের কাঁধে ভর করে। বিএনপির সময় আমাদের কাঁধে ভর করবে। নিজেদের কোনো মুরোদ নেই।

অন্যদিকে গত সোমবার বিকালে পটুয়াখালী সার্কিট হাউস সংলগ্ন হৃদয় তরুয়া চত্বরের পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিএনপি এখন চাঁদাবাজদের দলে পরিণত হয়েছে। সন্ত্রাসীদের দল তৈরি হয়েছে। মুজিববাদের নতুন পাহারাদার হিসেবে তাদের আবির্ভাব ঘটেছে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রতি মানুষের যে সমর্থন, আস্থা ও উচ্ছ্বাস রয়েছে সেটি সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। আমরা বলেছিলাম, মুজিববাদ বাংলাদেশের সংবিধানে বিভাজন তৈরি করেছে, রাষ্ট্রকে এগোতে দেয়নি। অথচ এখন বিএনপি সেই ’৭২ সালের মুজিববাদী সংবিধান টিকিয়ে রাখতে চাইছে।

“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

টঙ্গী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০৪ পিএম
“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

২০১৫ সালে ইতালি পাঠানোর নামে বাংলাদেশ থেকে ৪২ জনের পাসপোর্ট ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় ইব্রাহিম শেখ নামের এক প্রতারক। প্রতারণার সেই অঙ্ক তখনই দাঁড়িয়েছিল প্রায় দুই কোটি তিন লাখ টাকায়। এরপর থেকেই ইব্রাহিম যেন হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক চোরাকারবারির ‘প্রতীক’।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে অবৈধ পথে দালালের মাধ্যমে হংকং পাড়ি জমান তিনি। হংকংয়ে পৌঁছেই সেখানে গড়ে তোলেন একাধিক প্রতারণার নেটওয়ার্ক। ইউরোপ পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ, নকল আইফোন ও সোনা বিক্রি, এমনকি বাংলাদেশ থেকে নকল পণ্য পাচার—সবই চলতে থাকে একই ছকের ভেতরে।

স্থানীয় সূত্র বলছে, হংকং-এ অবস্থানকালে ইব্রাহিম একাধিক বিয়ে করেছেন পরিচয় গোপন করে। তার প্রতিটি প্রতারণার পেছনে ছিল সুপরিকল্পিত জালিয়াতি।

সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে, হংকং থেকে বাংলাদেশে ফিরেও থেমে থাকেননি এই ‘ন্যাশনাল প্রতারক’। আনুমানিক ১২৩ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে লুকিয়ে রেখেছেন একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এমনকি মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতারণা, মাদক, চোরাচালান—সবকিছুতে সম্পৃক্ত এই ইব্রাহিম এখন দেশের ভেতরেই অবস্থান করছেন ছদ্মবেশে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এতদিন ধরেই তার অপকর্ম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো? প্রতারিত পরিবারগুলো চাইছেন দ্রুত এই চক্রের মূলহোতা ইব্রাহিমকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হোক।

কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মো:স্বাধীন খান বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০১ পিএম
কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

বগুড়ার কাহালুতে জমির ড্রেনের পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে কর্নিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর। তাঁর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার।

কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

রুহুল আমিন, রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ১:৫৪ পিএম
কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

কুড়িগ্রাম সদরের হরিম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকার বেতারাঘাতে এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গত ৪ আগস্ট ২০২৫ ইং দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেনীর ক্লাসে হাসিনা খাতুন নামের এক শিক্ষিকা বেতারাঘাত করেন। এ সময় হাতে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে রাকিবুল হাসান রাকিবকে বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাটিয়ে দেয়া হয়। এর পর বাড়িতে হাত ফুলে গিয়ে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে তাকে সন্ধ্যায় তার অভিভাবক কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। রাকিব বলেন, হাসিনা আপা বড় বড় তিনটি প্রশ্ন লেখতে বলেন। আমি একটু পড়ে লেখতে চাইলেই বেত দিয়ে আমাকে খুব জোড়ে মারেন।এখন আমার হাতে অনেক ব্যাথা হচ্ছে। রাকিবের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, আমার ছেলেকে পড়া-লেখা শিখানোর জন্য স্কুলে দিয়েছি। শিক্ষকের মার খেয়ে হাসপাতালে আসার জন্য নয়। আমি এর বিচার চাই। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন,ঘটনার সময় আমি স্কুলের বাহিরে ছিলাম। শুনেছি হাসিনা বেত দিয়ে মেরেছে এতেই রাকিব ব্যাথা পায়। হাসিনা বেগম বলেন, আমি তাকে পড়ার জন্য মারিনি,মেরেছি নির্দাশিকা লাঠি দিয়ে দুষ্টুমি করার জন্য। উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলহাজ্ব বুলবুল হোসেন বলেন,আমি আমার অফিসের এক স্টাফ এর নিকট বিষয়টি শুনলাম। প্রধান শিক্ষিকাকে ফোনে পাইনি। কাল ছুটি আছে অফিস খুললেই জেনে ব্যবস্তা নিবো।

error: Content is protected !!