মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

ইলমে মারেফত علم معرفة

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৯:২০ এএম | 50 বার পড়া হয়েছে
ইলমে মারেফত علم معرفة

ফোরাত নদীর তীরে হযরত হাসান বসরী (রহঃ) দেখতে পেলেন হযরত রাবেয়া বসরী (রহঃ)-কে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় বসে আছেন। হযরত হাসান বসরী (রহঃ), যিনি আধ্যাত্মিকতার এক উচ্চ মার্গের সাধক ছিলেন, অলৌকিকভাবে তাঁর জায়নামাজটি নদীর জলের উপর বিছিয়ে দিলেন। হাসিমুখে রাবেয়াকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “আসুন, হে রাবেয়া, এখানে দুই রাকাত নামাজ আদায় করি।”
হযরত রাবেয়া বসরী (রহঃ), যিনি প্রকৃত জ্ঞান ও বিনয়ের প্রতিমূর্তি ছিলেন, শান্তভাবে প্রত্যুত্তর দিলেন, “হে হযরত, যখন আখিরাতের প্রার্থীর সামনে দুনিয়ার বাজার উপস্থাপন করা হয়, তখন এমন কারামত প্রদর্শন করা উচিত যা আপনার সমকক্ষ আর কেউ করতে না পারে।”
এই কথা বলার পরপরই, এক অভাবনীয় দৃশ্যের অবতারণা হলো। হযরত রাবেয়া বসরী (রহঃ) তাঁর জায়নামাজটি হাওয়ায় উড়িয়ে দিলেন, যা মুহূর্তে আকাশের দিকে উড়তে শুরু করলো। তিনি হযরত হাসান বsrী (রহঃ)-কে আহ্বান করে বললেন, “আসুন হযরত, এবার আকাশে ভ্রমণ করি।”
হযরত হাসান বসরী (রহঃ)-কে বিনয়ী রাখতে এবং প্রকৃত আধ্যাত্মিকতার মর্ম বোঝাতে, রাবেয়া বসরী (রহঃ) এরপর বললেন, “হে মাননীয় হযরত! আপনি যা প্রদর্শন করলেন, তা তো একটি মাছ বা হংসও করে থাকে। আর আমি যা দেখালাম, তা তো একটি মাছিও অনায়াসে করতে পারে। মনে রাখবেন, প্রকৃত অলৌকিকতা বা কারামত এই সব তুচ্ছ প্রদর্শনের বহু ঊর্ধ্বে। সত্যিকারের কাজ হলো আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি অগাধ প্রেম এবং বিনয়।”
এই ঘটনাটি কেবল দুটি অলৌকিক প্রদর্শনীই ছিল না, এটি ছিল আধ্যাত্মিকতার গভীরতার এক অনুপম দৃষ্টান্ত—যেখানে বাহ্যিক শক্তির চেয়ে আত্মিক পরিশুদ্ধি ও খোদাভীতিকেই শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসানো হয়েছে।

মাদারীপুরে কুমার নদে বস্তাবন্দি এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

অপি মুন্সী : শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৫:৫৬ পিএম
মাদারীপুরে কুমার নদে বস্তাবন্দি এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলার রাস্তি এলাকা থেকে লা*শটি উদ্ধার করা হয়। তবে, নি*হতের পরিচয় এখনো শনাক্ত সম্ভব হয়নি।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাঈমুল হাছান জানান, রাস্তি এলাকায় কুমার নদে বস্তাবন্দি একটি লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অর্ধগলিত নারীর লাশটি উদ্ধার করে। পরিচয় শনাক্তের জন্য নৌপুলিশ ও সিআইডিকে খবর দেয়া হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয়েছে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে। এ ব্যাপারে নেয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা।

পুরুষ বিদ্বেষী

Nahida Akter প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৫:৪৫ পিএম
পুরুষ বিদ্বেষী

তোমরা বলো, আমি নাকি পুরুষ বিদ্বেষী হয়ে গেছি,
কিন্তু তোমরা কি জানো, এই ঘৃণা আমি জন্মসূত্রে পাইনি,
এটা আমি সময়ের সাথে রক্ত দিয়ে, কান্না দিয়ে, ভাঙা হৃদয় দিয়ে অর্জন করেছি।
তোমরা দেখোনি, কীভাবে আমি একজন পুরুষকে আমার সব দিয়ে ভালোবেসেছিলাম,
নিজের আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে তার পাশেই ছিলাম,
তার অপমান সহ্য করেছি, তার রাগ, তার চিৎকার, তার প্রহার পর্যন্ত সহ্য করেছি,
ভেবেছি একদিন হয়তো সে বদলাবে,
একদিন হয়তো বুঝবে, কী পেল সে এই ভালোবাসার ভেতর।
কিন্তু না, সে বদলায়নি, বরং প্রতিবার আরও নির্মম হয়ে উঠেছে,
ভালোবাসা তার কাছে কেবল একটি খেলা,
একটার পর একটা বিয়ে, তারপর ডিভোর্স, আরেকটা সম্পর্ক, আরেকটা ভাঙন,
কারো সাথেই সে টিকতে পারে না,
কারণ তার ভেতরে নেই কোনো স্থিরতা, নেই কোনো দায়িত্ববোধ, নেই কোনো হৃদয়।
আমি সেই নারী, যে সব জেনেও সহ্য করেছিলাম,
তবু আজ আমি ঘৃণা করি তাকে,
কারণ সে ভালোবাসার যোগ্য না, মানুষের মুখোশ পড়া একটা স্বার্থপর প্রাণী মাত্র।
তোমরা বলো, আমি কঠোর হয়ে গেছি,
হ্যাঁ, আমি কঠোর হয়েছি, কারণ আমার কোমলতা কেড়ে নিয়েছে এমন একজন,
যে শুধু নিয়েছে, কিছুই দেয়নি, শুধু ভেঙেছে, কিছুই গড়েনি।
আমি আর নরম হব না, আমি আর কাঁদব না,
আমি আর কাউকে বলব না, আমি কেমন আছি,
কারণ এখন আমি জানি, ভালোবাসার নামে যারা নারীর জীবন পুড়িয়ে দেয়,
তাদের প্রতি ঘৃণা অপরাধ নয়,
বরং আত্মরক্ষার একমাত্র পথ।
তাই হ্যাঁ, আমি পুরুষ বিদ্বেষী নই,
আমি বিদ্বেষী সেই পুরুষের প্রতি,
যে নারীর হৃদয় নিয়ে খেলে, বিশ্বাস ভাঙে, ভালোবাসাকে পদদলিত করে।
আমি আজও ভালোবাসতে পারি,
কিন্তু এখন আমি আগে নিজেকে ভালোবাসি,
সেই পুরুষকে নয়,
যে ভালোবাসার নাম দিয়ে শুধু কষ্ট দেয়।

একটা সাধারণ জীবন চাই

Nahida Akter প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৫:৪২ পিএম
একটা সাধারণ জীবন চাই

একটা সাধারণ জীবন চাই,
খুব সাধারণ…
যেখানে অভাব থাকলেও থাকবে শান্তি,
ভালোবাসা জমা থাকবে সিন্দুকে,
হোক না সে অল্প, তবু থাকবে পূর্ণতার অনুভূতি।
হিংসা নেই, অহংকার নেই,
নেই কারোর দীর্ঘ নিঃশ্বাস..
কেবল ঘুটঘুটে অন্ধকারে
একঝাঁক জোনাকির মিটমিটে আলোয়
ভরিয়ে তুলব আমাদের দিনগুলো।
আকাশকুসুম স্বপ্ন নয়,
তবু আকাশটা থাকবে এত কাছে,
যেন হাত বাড়ালেই ছুঁতে পারি,
বুকের জমা কষ্টগুলো মেঘ হয়ে উড়ে যাবে অনেক দূরে।
প্রকৃতির নিস্তব্ধতার মাঝে শুনতে চাই
তোমার মৃদু নিঃশ্বাসের শব্দ,
তোমার কোনো ভয় নেই,
আমিই ক্ষমা চাইব..
আমি নত হতে জানি,
জেতার অভ‍্যেস আমার নেই..
তাই হারানোরও ভয় নেই,
যা ফেলে ছড়িয়ে দেবে..সযত্নে তুলে রাখবো দুহাতে..
আর থাকবে..
শুধু এক মুঠো ভর্তি প্রশান্তি।
থাকবে না কোন ঘরে ফেরার তাড়া,
থাকবে না কোনো পিছুটানের বাঁধন।
যদি সেই সাধারণ জীবন কিনতে পারতাম,
দাম দিয়েই কিনতাম,
এই দামী জীবনটা বেচে দিতাম সস্তায়,
শুধু একটু সাধারণ হওয়ার লোভে..🌿❣️🌿

error: Content is protected !!