মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

জুলাই স্মৃতি চারন নিয়ে পিপল টকের এম এ সিদ্দিক

এম এ সিদ্দিক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৪:৫৭ পিএম | 42 বার পড়া হয়েছে
জুলাই স্মৃতি চারন নিয়ে পিপল টকের এম এ সিদ্দিক

রক্তভেজা ইতিহাস- কবে বলতে পারবো আর এমন জুলাই আসবে না এই দেশে?

জুলাই এসেছে। এসেছে নতুন মাস, নতুন সূর্য, নতুন কর্মসূচি। কিন্তু এই জুলাই মানেই এখন আর ক্যালেন্ডারের একটা পাতা নয়-এটা হয়ে গেছে অগণিত পরিবারে রক্তে লেখা স্মৃতি।

এ মাসের পরিপ্রেক্ষিতে কেউ চাকরি পেয়েছে,কেউ রাজনৈতিক পদে পদায়ন হয়েছে, কেউবা উন্নয়নের নামে বুদ্ধি বিলাচ্ছে টিভির টকশোতে। কেউ হয়েছে উপদেষ্টা, কেউ হয়েছে পার্টির নেতা। সব ঠিকঠাকই চলছে…

কিন্তু আমার সেই ভাইটা? যে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলো, যে বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিলো একদিন মানুষ হবে, সে কি ফিরে এসেছে?

না।
সে ফিরেছে কফিনে মোড়া লাশ হয়ে।

কেউ ছিল পুলিশের চাকরিতে-পরিবার চালানোর দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে ডিউটিতে গিয়েছিল,ফিরেছে লাশ হয়ে, ইউনিফর্মে রক্ত মাখা দাগ নিয়ে।

কেউ ছিল ছাত্র-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়া এক তরুণ,যে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল বই হাতে, ফিরেছে রক্তাক্ত বস্তায় মোড়া মৃতদেহ হয়ে।

আবার এমন অনেকেই আছে-যাদের আজও কোনো খোঁজ নেই,মা-বাবা কান্না করে বলেন,
“আমার ছেলে বাঁচলো কি মরলো, শুধু একবার জানতে চাই।”

জুলাই,
বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন এক বর্বরতম মাস-যেখানে রক্ত ঝরেছে, লাশ পড়েছে, স্বজনেরা পেয়েছে শুধু নিরবতা আর নিঃস্বতা।

আজ আমরা অনেকেই বড় বড় কথা বলি, অথচ আমরা সেই রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম নিরাপদ বিছানায়।আর যারা রাজপথে ছিলো-
তারা কেউ কবরে, কেউ হাসপাতালে, কেউ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বসে আছে বাড়ির এক কোণে।

রাষ্ট্র এখনো কোনো দায় নেয়নি। কেউ বলে না-ভুল হয়েছিল, কেউ বলে না-আমরা ব্যর্থ হয়েছিলাম তাদের রক্ষা করতে।

আর যারা হারিয়েছে-তারা কিছুই ফিরে পায়নি।একজন মা এখনো প্রতিরাতে কান্না করেন অজান্তেই, একজন বাবা আজও পকেটে সন্তানের ছবি রাখেন,এক বোন এখনো ভাইয়ের প্রিয় জামাটা ভাঁজ করে রাখে,এক বন্ধু আজও হঠাৎ চুপ করে যায়-কারণ সে জানে, আর কখনো “দোস্ত” বলে ডাক দেবে কেউ না।

লাশ তো এসেছে ভাই,
কিন্তু ন্যায় আসেনি।
জানাজা হয়েছে,
কিন্তু বিচার হয়নি।

আমরা কি কেবল এই শহীদদের ব্যবহার করেছিলাম সময় পার করতে?আজ কে মনে রাখছে তাদের নাম? কে রেখেছে তাদের পরিবারের খোঁজ?

যে বাবা তার সন্তান হারালেন – স্ত্রী হয়েছেন বিধবা, নানান স্বপ্ন নিয়ে শুরু করা নতুন সংসার ভেঙে গেলো টুকরো টুকরো, দুনিয়া চলছে ঠিকই, কিন্তু সেই বেদনা কি ভোলা যায়? যে মা সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন বুনতেন, সে আজও রাতের অন্ধকারে প্রশ্ন করেন-আমার সন্তান কি ফিরে পাবো কোনোদিন?

রাজনৈতিক পালাবদল হবে?ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটবে?চেয়ারে নতুনরা বসবে। কিন্তু বারবার প্রশ্ন জাগে- এই দেশে আর কতবার জুলাই আসবে? আর কতবার রক্তে লাল হবে ইতিহাসের পাতা? আর কতবার মায়ের কান্না ভেসে যাবে বাতাসে?
কবে আমরা বলতে পারবো? আর এমন জুলাই আসবে না এই দেশে!

তারা কোনো অপরাধী ছিল না, তারা দেশের জন্য দাঁড়িয়েছিলো, তারা প্রশ্ন করেছিলো,আর তার জবাব ছিল গুলির আওয়াজ।

বিলাইছড়িতে রুপকুমার কার্বারীর প্রচেষ্টায় নির্মান হলো বিশ্রামাগার

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৭:৫১ পিএম
বিলাইছড়িতে রুপকুমার কার্বারীর প্রচেষ্টায় নির্মান হলো বিশ্রামাগার

বিলাইছড়ি (রাঙ্গামাটি)প্রতিনধি- বিলাইছড়িতে রুপকুমার কার্বারীর প্রচেষ্টায় এবং প্রশাসনের সহায়তায় ২ নং কেংড়াছড়ি ইউনিয়নে ৮ নং ওয়ার্ডে ভালাছড়ি মূখ পাড়ায় নির্মান করা হলো একটি  কাঠের তৈরি বিশ্রাগার/ ধর্মঘর।এতে সুবিধা হয়েছে বলে জানান স্থানীয়ও পথচারীরা।

সরেজমিনে দেখতে গেলে দেখা যায়,১২৭ নং কেরন ছড়ি মৌজার ভালাছড়ির কার্বারী মূখ পাড়ায়  মুক্ত পরিবেশে, ছায়াযুক্ত স্থানে, সিঁড়ির ঘাটে, মূল রাস্তার পাশে  নির্মাণ করা হয়। বিলাইছড়ি লঞ্চঘাট নতুবা নলছড়ি লঞ্চঘাট হতে পর্যটকরা মুপ্প্যাছড়া ঝর্ণায়  যাওয়ার পথে কিংবা ভালাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নকাটাছড়া, আজাছড়া,বাঙ্গালকাটা, পরিহলা মৌন, এমনকি জুরাছড়ি যাওয়ার সময় সেখান বিশ্রাম/ জিরানো  যাবে।

এতে রুপকুমার কার্বারী জানান, বিশ্রামাগারটি মূলতঃ আমরা ধর্মঘর বা জিরোনী হলা বলি।আগের দিনে এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় হেঁটে যেতে অনেক সময় লাগে। তাই রাস্তার  মাঝখানে এভাবে ঘর নির্মান করে রেস্ট করা হয়। সেখানে পথিকের জন্য পানি  ও অন্যান্য খাবার দাবারের ব্যবস্থা থাকে। পানি পান করাতে পারলে তারা / আমরা অনেক খুশি হই এবং অনেক পূণ্য হয় বলে মনে করা হয়। এজন্য সে আদলে এদিক থেকে যারা আসা- যাওয়া করে তীব্র গরমে, কালবৈশাখী ঝড়ে কিংবা প্রচন্ড শীতে  সকল সময়ে  তাদের জন্য এ জিরোনী হলা ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশে রয়েছে ডিপ টিউবওয়েলও।

চিলমারীতে কড়ই গাছের ভেতরে জ্বলছে আগুন, নেভাতে ব্যর্থ ফায়ার সার্ভিস

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ রুহুল আমিন রুকু প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৭:৪৬ পিএম
চিলমারীতে কড়ই গাছের ভেতরে জ্বলছে আগুন, নেভাতে ব্যর্থ ফায়ার সার্ভিস

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে শতবর্ষী এক কড়াই গাছের ভিতরে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আলোচনা সমালোচনা করতে শোনা যাচ্ছে। অনেকে বলছেন, এটা আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে আবার কেউ বলছে এটা আল্লাহ প্রদত্ত আগুন। এদিকে সকালে দমকলবাহিনী গিয়ে সেই গাছের আগুন নিভাতে ব্যর্থ হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১জুলাই) সকালে এমন বিস্ময়কর ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের রমনা রেলস্টেশনে।

এঘটনাটি সকালে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লোকজন, স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ছুটে আসেন দেখতে।

এসময় স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমরা লোকমুখে খবর পাই যে রমনায় গাছে আগুন লেগেছে। তাই এসে দেখি আসলেই ঘটনা সত্যি গাছে আগুন লেগেছে। তারপর শুনলাম ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়েছেন আসলে এ আগুন কোথা থেকে আসলো আমরাও বুঝতে পারছিনা।

স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী মিষ্টি বলেন, আমি সকালে স্কুলে এসে শুনতে পাই গাছের ভিতর আগুন জ্বলছে। পরে বান্ধবীদের সাথে এখানে দেখতে এসেছি।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সবুজ কুমার বসাক জানান, গাছটি রেলওয়ের জায়গায় আছে। আমরা সকালে গিয়েছিলাম পরে ফায়ারসার্ভিস আগুন নেভানোর জন্য সকল দিক থেকে চেষ্টা করেও আগুন নিভানো যায়নি। পরে রেলওয়ে ও বনবিভাগ কে বিষয়টি জানানো হয়েছে এখন তারা সিদ্ধান্ত নেবে গাছটির ব্যাপারে।

মাদারীপুরে কুমার নদে বস্তাবন্দি এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

অপি মুন্সী : শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৫:৫৬ পিএম
মাদারীপুরে কুমার নদে বস্তাবন্দি এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলার রাস্তি এলাকা থেকে লা*শটি উদ্ধার করা হয়। তবে, নি*হতের পরিচয় এখনো শনাক্ত সম্ভব হয়নি।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাঈমুল হাছান জানান, রাস্তি এলাকায় কুমার নদে বস্তাবন্দি একটি লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অর্ধগলিত নারীর লাশটি উদ্ধার করে। পরিচয় শনাক্তের জন্য নৌপুলিশ ও সিআইডিকে খবর দেয়া হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয়েছে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে। এ ব্যাপারে নেয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা।

error: Content is protected !!