শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

জুলাই স্মৃতি চারন নিয়ে পিপল টকের এম এ সিদ্দিক

এম এ সিদ্দিক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৪:৫৭ পিএম | 147 বার পড়া হয়েছে
জুলাই স্মৃতি চারন নিয়ে পিপল টকের এম এ সিদ্দিক

রক্তভেজা ইতিহাস- কবে বলতে পারবো আর এমন জুলাই আসবে না এই দেশে?

জুলাই এসেছে। এসেছে নতুন মাস, নতুন সূর্য, নতুন কর্মসূচি। কিন্তু এই জুলাই মানেই এখন আর ক্যালেন্ডারের একটা পাতা নয়-এটা হয়ে গেছে অগণিত পরিবারে রক্তে লেখা স্মৃতি।

এ মাসের পরিপ্রেক্ষিতে কেউ চাকরি পেয়েছে,কেউ রাজনৈতিক পদে পদায়ন হয়েছে, কেউবা উন্নয়নের নামে বুদ্ধি বিলাচ্ছে টিভির টকশোতে। কেউ হয়েছে উপদেষ্টা, কেউ হয়েছে পার্টির নেতা। সব ঠিকঠাকই চলছে…

কিন্তু আমার সেই ভাইটা? যে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলো, যে বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিলো একদিন মানুষ হবে, সে কি ফিরে এসেছে?

না।
সে ফিরেছে কফিনে মোড়া লাশ হয়ে।

কেউ ছিল পুলিশের চাকরিতে-পরিবার চালানোর দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে ডিউটিতে গিয়েছিল,ফিরেছে লাশ হয়ে, ইউনিফর্মে রক্ত মাখা দাগ নিয়ে।

কেউ ছিল ছাত্র-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়া এক তরুণ,যে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল বই হাতে, ফিরেছে রক্তাক্ত বস্তায় মোড়া মৃতদেহ হয়ে।

আবার এমন অনেকেই আছে-যাদের আজও কোনো খোঁজ নেই,মা-বাবা কান্না করে বলেন,
“আমার ছেলে বাঁচলো কি মরলো, শুধু একবার জানতে চাই।”

জুলাই,
বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন এক বর্বরতম মাস-যেখানে রক্ত ঝরেছে, লাশ পড়েছে, স্বজনেরা পেয়েছে শুধু নিরবতা আর নিঃস্বতা।

আজ আমরা অনেকেই বড় বড় কথা বলি, অথচ আমরা সেই রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম নিরাপদ বিছানায়।আর যারা রাজপথে ছিলো-
তারা কেউ কবরে, কেউ হাসপাতালে, কেউ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বসে আছে বাড়ির এক কোণে।

রাষ্ট্র এখনো কোনো দায় নেয়নি। কেউ বলে না-ভুল হয়েছিল, কেউ বলে না-আমরা ব্যর্থ হয়েছিলাম তাদের রক্ষা করতে।

আর যারা হারিয়েছে-তারা কিছুই ফিরে পায়নি।একজন মা এখনো প্রতিরাতে কান্না করেন অজান্তেই, একজন বাবা আজও পকেটে সন্তানের ছবি রাখেন,এক বোন এখনো ভাইয়ের প্রিয় জামাটা ভাঁজ করে রাখে,এক বন্ধু আজও হঠাৎ চুপ করে যায়-কারণ সে জানে, আর কখনো “দোস্ত” বলে ডাক দেবে কেউ না।

লাশ তো এসেছে ভাই,
কিন্তু ন্যায় আসেনি।
জানাজা হয়েছে,
কিন্তু বিচার হয়নি।

আমরা কি কেবল এই শহীদদের ব্যবহার করেছিলাম সময় পার করতে?আজ কে মনে রাখছে তাদের নাম? কে রেখেছে তাদের পরিবারের খোঁজ?

যে বাবা তার সন্তান হারালেন – স্ত্রী হয়েছেন বিধবা, নানান স্বপ্ন নিয়ে শুরু করা নতুন সংসার ভেঙে গেলো টুকরো টুকরো, দুনিয়া চলছে ঠিকই, কিন্তু সেই বেদনা কি ভোলা যায়? যে মা সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন বুনতেন, সে আজও রাতের অন্ধকারে প্রশ্ন করেন-আমার সন্তান কি ফিরে পাবো কোনোদিন?

রাজনৈতিক পালাবদল হবে?ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটবে?চেয়ারে নতুনরা বসবে। কিন্তু বারবার প্রশ্ন জাগে- এই দেশে আর কতবার জুলাই আসবে? আর কতবার রক্তে লাল হবে ইতিহাসের পাতা? আর কতবার মায়ের কান্না ভেসে যাবে বাতাসে?
কবে আমরা বলতে পারবো? আর এমন জুলাই আসবে না এই দেশে!

তারা কোনো অপরাধী ছিল না, তারা দেশের জন্য দাঁড়িয়েছিলো, তারা প্রশ্ন করেছিলো,আর তার জবাব ছিল গুলির আওয়াজ।

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।