
তোমরা বলো, আমি নাকি পুরুষ বিদ্বেষী হয়ে গেছি,
কিন্তু তোমরা কি জানো, এই ঘৃণা আমি জন্মসূত্রে পাইনি,
এটা আমি সময়ের সাথে রক্ত দিয়ে, কান্না দিয়ে, ভাঙা হৃদয় দিয়ে অর্জন করেছি।
তোমরা দেখোনি, কীভাবে আমি একজন পুরুষকে আমার সব দিয়ে ভালোবেসেছিলাম,
নিজের আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে তার পাশেই ছিলাম,
তার অপমান সহ্য করেছি, তার রাগ, তার চিৎকার, তার প্রহার পর্যন্ত সহ্য করেছি,
ভেবেছি একদিন হয়তো সে বদলাবে,
একদিন হয়তো বুঝবে, কী পেল সে এই ভালোবাসার ভেতর।
কিন্তু না, সে বদলায়নি, বরং প্রতিবার আরও নির্মম হয়ে উঠেছে,
ভালোবাসা তার কাছে কেবল একটি খেলা,
একটার পর একটা বিয়ে, তারপর ডিভোর্স, আরেকটা সম্পর্ক, আরেকটা ভাঙন,
কারো সাথেই সে টিকতে পারে না,
কারণ তার ভেতরে নেই কোনো স্থিরতা, নেই কোনো দায়িত্ববোধ, নেই কোনো হৃদয়।
আমি সেই নারী, যে সব জেনেও সহ্য করেছিলাম,
তবু আজ আমি ঘৃণা করি তাকে,
কারণ সে ভালোবাসার যোগ্য না, মানুষের মুখোশ পড়া একটা স্বার্থপর প্রাণী মাত্র।
তোমরা বলো, আমি কঠোর হয়ে গেছি,
হ্যাঁ, আমি কঠোর হয়েছি, কারণ আমার কোমলতা কেড়ে নিয়েছে এমন একজন,
যে শুধু নিয়েছে, কিছুই দেয়নি, শুধু ভেঙেছে, কিছুই গড়েনি।
আমি আর নরম হব না, আমি আর কাঁদব না,
আমি আর কাউকে বলব না, আমি কেমন আছি,
কারণ এখন আমি জানি, ভালোবাসার নামে যারা নারীর জীবন পুড়িয়ে দেয়,
তাদের প্রতি ঘৃণা অপরাধ নয়,
বরং আত্মরক্ষার একমাত্র পথ।
তাই হ্যাঁ, আমি পুরুষ বিদ্বেষী নই,
আমি বিদ্বেষী সেই পুরুষের প্রতি,
যে নারীর হৃদয় নিয়ে খেলে, বিশ্বাস ভাঙে, ভালোবাসাকে পদদলিত করে।
আমি আজও ভালোবাসতে পারি,
কিন্তু এখন আমি আগে নিজেকে ভালোবাসি,
সেই পুরুষকে নয়,
যে ভালোবাসার নাম দিয়ে শুধু কষ্ট দেয়।