মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

তিন শব্দের তওবা

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫, ৫:০৭ পিএম | 74 বার পড়া হয়েছে
তিন শব্দের তওবা

এক লোক বহু বছর ধরে গুনাহ করে যাচ্ছিল।
সে জানত না কীভাবে তওবা করতে হয়, কী দোয়া পড়তে হয়, কোন সময় করলে বেশি কবুল হয়…
একদিন গভীর রাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে সে শুধু বলল:
“হে আল্লাহ, ক্লান্ত হয়ে গেছি!”
সেই রাতেই তার জীবনে বদল এলো।
সে নামাজ শুরু করল, কুরআন পড়া শুরু করল, ধীরে ধীরে গুনাহ ছেড়ে দিল।
মানুষ বলত, “তুই বদলে গেছিস!”
সে বলত, “না, আমার রব আমাকে বদলে দিয়েছেন!”
🔸 শিক্ষা: কখনো কখনো শুধু অন্তরের কান্না ও কয়েকটি সাধারণ শব্দই আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে যায়।
➡ আপনি যা পারেন, সেখান থেকেই শুরু করুন। রব অপেক্ষা করছেন শুধু আপনার ফিরে আসার।

ভূঞাপুরে প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা দূর্নীতির অভিযোগ

তারিকুল ইসলাম শিপন ভুঞাপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ টাংগাইল প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ১১:২৭ এএম
ভূঞাপুরে প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা দূর্নীতির অভিযোগ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান দিলিপ ফকির ও সচিব শেখ ফজলুল করিম সবুর এর বিরুদ্ধে যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ নিকট থেকে প্রাপ্ত হোল্ডিং ট্যাক্সের ৪৬ লাখ টাকা থেকে অন্তত ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে (২০২২-২৩, ২০২৩-২৪, ২০২৪-২৫) তিন অর্থবছরের হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদ পেয়েছে মোট ৪৬ লাখ টাকা। এ অর্থের বড় অংশ ভুয়া প্রকল্পের নামে তুলে নেয়া হয়েছে। এমনকি এসব অনিয়ম নিয়ে সাংবাদিকের প্রতিবেদন প্রকাশ ঠেকানোর অপচেষ্টাও করেন অভিযুক্তরা।

সচিব সবুরের দেয়া ভুয়া প্রকল্পের ছায়া হিসাব অনুযায়ী নিম্নলিখিত খাতে ৩০ লাখ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে: ১০ জন মেম্বারদের সম্মানী ভাতা: ১০ লাখ ১১ হাজার টাকা, রাস্তা সংস্কার (মাটির কাজ) প্রকল্প-১: ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, নলকূপ স্থাপন: ২ লাখ টাকা, সেলাই মেশিন বিতরণ: ২ লাখ টাকা, রাস্তা সংস্কার (মাটির কাজ) প্রকল্প-২: ১৪ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

তবে এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রকল্প-১ ও প্রকল্প-২ কোনোটিরই বাস্তবায়নের দৃশ্যমান কোন প্রমাণ মেলেনি। প্রকল্প-১ এর বরাদ্দ দেয়া অর্থ দিয়ে রাস্তা সংস্কারের পরিবর্তে পরিষদের হিসাব সহকারীকে ৫০ হাজার টাকা, আয়া কর্মীকে ২০ হাজার এবং গ্রাম পুলিশদের মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে “সম্মানী” হিসেবে। যা বিধি বহির্ভূত কাজ অনেকের দাবী।

আর প্রকল্প-২ এ দেখানো ১৪ লাখ টাকা সম্পর্কে সচিব দাবি করেন, “এই টাকা উপরের দপ্তরে যোগাযোগ ও যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করতেই খরচ করা হয়েছে।” তবে এর কোনো লিখিত বা নিরীক্ষাযোগ্য প্রমাণ দিতে পারেননি তিনি।

এছাড়াও সাংবাদিকের সংগ্রহে থাকা ১টি অডিওতে শোনা যায়, অভিযুক্ত প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিব অবশিষ্ট ট্যাক্সের ১৬ লাখ টাকা ব্যয় করতে নতুন কিছু প্রকল্প সাজাচ্ছেন। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে: দুটি মাটির রাস্তার কাজ, ইউনিয়ন পরিষদের মসজিদ সংস্কার, পরিষদের পুরাতন ও নতুন ভবন পুনঃসংস্কার, উদ্যোক্তার ল্যাপটপ-প্রিন্টার-ফটোকপি মেশিন ক্রয় ইত্যাদি।

তবে এসব প্রকল্পের কোনোটিরই নেই কোনো সরকারি অনুমোদন বা ইউনিয়ন পরিষদ সভার সিদ্ধান্ত।

একাধিক ইউপি সদস্য ও এলাকাবাসীর অনেকের ভাষ্যমতে, “প্রশাসনের চোখের সামনেই চলছে এই দুর্নীতি। এই ইউনিয়নে যমুনা সেতুর কাছ থেকে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা আসে, অথচ রাস্তাঘাট গুলো অচল অবস্থায় নানা সমস্যায় জর্জরিত, জনসেবা নেই বললেই চলে।” তারা প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিবের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

স্থানীয় মোছাঃ শিরিনা বেগম বলেন, “আমাদের এলাকার রাস্তার কাজ আরো আগে করার কথা ছিল, তবে হয়নি। বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে যায়, এতে আমাদের যাতায়াতে খুব কষ্ট হয়। কেউ দ্বায়িত্ব নিয়ে কাজটি করলে আমাদের অনেক উপকার হবে।”

স্থানীয় স্বপন মিয়া বলেন, “যমুনা সেতুর ট্যাক্সের টাকা এলাকার উন্নয়নে খরচ হওয়ার কথা। কিন্তু এসব প্রকল্প শুধু কাগজে-কলমে আছে। এলাকাবাসী কিছুই পাচ্ছে না।” তাছাড়া রাস্তা-ঘাটেরও বেহাল দশা!

ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য মোন্নাফ বলেন, “ ট্যাক্সের টাকা ও প্রকল্প গুলোর বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। পরিষদে কোনো সভা হয়নি। টাকাগুলা কোথায় খরচ হচ্ছে, সেটা বোঝারও উপায় নেই, সব হচ্ছে গোপনে। প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিবের মনগড়া ভাবেই চলছে”

আরেকজন সদস্য আমজাদ হোসেন বলেন, আমার ওয়ার্ডে ২টি মাটির রাস্তার কাজ হয়েছে তালিকায় দেখলাম, অথচ আমি এর কিছুই জানি না। সেলাই মেশিন ও টিউবওয়েলের ২টি প্রকল্প দিয়েছেন সেটি এবং ট্যাক্সের ৩০ লাখ টাকা কোথায় কোন প্রকল্প দেখিয়ে খরচ করেছেন আমরা তাও জানি না। সবই জানেন প্যানেল চেয়ারম্যান, বলা চলে ইউনিয়ন পরিষদ চলছেই তার একক সিদ্ধান্তে।

ঘটনায় অভিযুক্ত সচিব সবুর খান মুঠোফোনে বলেন, কিছু টাকার হিসেব এদিক-সেদিক হইছে, কারণ ট্যাক্সের টাকা তুলতে উপর মহলেই অনেক খরচ হয়েছে। তাছাড়া ১০ জন মেম্বারদের সম্মানী ভাতা, হিসাব সহকারী, গ্রাম পুলিশ ও আয়ার সম্মানী ভাতা, নলকুপ ও সেলাই মেশিন প্রকল্প, মাটির রাস্তা প্রকল্প সব মিলিয়ে ট্যাক্সের টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এছাড়া সংবাদ প্রকাশ ঠেকানোর অপচেষ্টাও করেন তিনি।

অভিযুক্ত প্যানেল চেয়ারম্যান দিলিপ বলেন, আমি স্বপন ফকিরের ভাই, ইউনিয়নের মানুষের সেবা করাই আমার ধর্ম। ট্যাক্সের সব টাকা বৈধ ভাবে খরচ করা হয়েছে। এমন কোন কাজ করবো না যে আমার মানের ক্ষতি হয়, সমস্যা নেই। দেখা কইরেন সাক্ষাতে বিস্তারিত কথা বলবো।

উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিনজানুর রহমান বলেন, নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ইউনিটে এমন প্রকাশ্য দুর্নীতি, ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ এবং সংবাদ প্রকাশ দমনের অপচেষ্টা— সবকিছু মিলিয়ে গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপই পারে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে।

ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আবু রায়হান বলেন, “যমুনা সেতু ট্যাক্সের টাকা থেকে যদি ইউনিয়ন পরিষদ কোন প্রকল্প গ্রহণ করে থাকে এবং সরেজমিনে যদি আমরা সেটা না পাই বা এটা যদি কোন অস্তিত্ব না থাকে। এ ব্যাপারে যদি আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পাই, তাহলে অবশ্যই আমরা তদন্ত করে আইনগত ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

ইলমে মারেফত علم معرفة

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৯:২০ এএম
ইলমে মারেফত علم معرفة

ফোরাত নদীর তীরে হযরত হাসান বসরী (রহঃ) দেখতে পেলেন হযরত রাবেয়া বসরী (রহঃ)-কে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় বসে আছেন। হযরত হাসান বসরী (রহঃ), যিনি আধ্যাত্মিকতার এক উচ্চ মার্গের সাধক ছিলেন, অলৌকিকভাবে তাঁর জায়নামাজটি নদীর জলের উপর বিছিয়ে দিলেন। হাসিমুখে রাবেয়াকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “আসুন, হে রাবেয়া, এখানে দুই রাকাত নামাজ আদায় করি।”
হযরত রাবেয়া বসরী (রহঃ), যিনি প্রকৃত জ্ঞান ও বিনয়ের প্রতিমূর্তি ছিলেন, শান্তভাবে প্রত্যুত্তর দিলেন, “হে হযরত, যখন আখিরাতের প্রার্থীর সামনে দুনিয়ার বাজার উপস্থাপন করা হয়, তখন এমন কারামত প্রদর্শন করা উচিত যা আপনার সমকক্ষ আর কেউ করতে না পারে।”
এই কথা বলার পরপরই, এক অভাবনীয় দৃশ্যের অবতারণা হলো। হযরত রাবেয়া বসরী (রহঃ) তাঁর জায়নামাজটি হাওয়ায় উড়িয়ে দিলেন, যা মুহূর্তে আকাশের দিকে উড়তে শুরু করলো। তিনি হযরত হাসান বsrী (রহঃ)-কে আহ্বান করে বললেন, “আসুন হযরত, এবার আকাশে ভ্রমণ করি।”
হযরত হাসান বসরী (রহঃ)-কে বিনয়ী রাখতে এবং প্রকৃত আধ্যাত্মিকতার মর্ম বোঝাতে, রাবেয়া বসরী (রহঃ) এরপর বললেন, “হে মাননীয় হযরত! আপনি যা প্রদর্শন করলেন, তা তো একটি মাছ বা হংসও করে থাকে। আর আমি যা দেখালাম, তা তো একটি মাছিও অনায়াসে করতে পারে। মনে রাখবেন, প্রকৃত অলৌকিকতা বা কারামত এই সব তুচ্ছ প্রদর্শনের বহু ঊর্ধ্বে। সত্যিকারের কাজ হলো আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি অগাধ প্রেম এবং বিনয়।”
এই ঘটনাটি কেবল দুটি অলৌকিক প্রদর্শনীই ছিল না, এটি ছিল আধ্যাত্মিকতার গভীরতার এক অনুপম দৃষ্টান্ত—যেখানে বাহ্যিক শক্তির চেয়ে আত্মিক পরিশুদ্ধি ও খোদাভীতিকেই শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসানো হয়েছে।

তুলতুল: ভালোবেসে খাগড়াছড়ির পাঠকরা রাজকন্যা উপাধি দেন।

তুলতুল প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৮:৩৫ এএম
তুলতুল: ভালোবেসে খাগড়াছড়ির পাঠকরা রাজকন্যা উপাধি দেন।

লেখাপড়ায় চরম ফাঁকিবাজ ছিলেন।
টিচার এলে নানা অজুহাতে তাড়াতেন। কিন্তু অতি ভালো রেজাল্ট না করেও তিনি ভালো ফলাফল করে দেশ সেরা কলেজের ছাত্রী ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক।

বলছি চট্টগ্রামের মেয়ে তরুণ লেখক ও কথাসাহিত্যিক শাম্মী তুলতুল। তিনি একাধারে একজন লেখক. কবি. উপন্যাসিক.গল্পকার. শিশুসাহিত্যিক.নজরুল অনুরাগী.রেডিও অনুষ্ঠান পরিচালক. খবর পাঠিকা ও দাবা খেলোয়াড়।বাংলাদেশের জনপ্রিয় জাতীয় পত্রিকায় লিখছেন ছোটবেলা থেকেই । যেমন. কালের কন্ঠ. প্রথম আলো। বাংলাদেশ প্রতিদিন.ইত্তেফাক.খোলা কাগজ.প্রতিদিনের সংবাদ.এন টিভি অনলাইন. মানবকন্ঠ.আজাদী. পূর্বকোণ. সরকারী পত্রিকা শিশু.নবারুণ সহ অন্যান্য পত্রিকায়। তাছাড়া তিনি এপার বাংলা আর ওপার বাংলা দুই জায়গায় সমান তালে লেখনি দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাকে দুই বাংলার জনপ্রিয় লেখকও বলা হয়ে থাকে। লিখছেন জার্মানি, সিংগাপুর, অস্ট্রেলিয়ার. প্যারিসের বাংলা পত্রিকাগুলোতেও।

তার জন্ম একটি সাহিত্য.সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক. মুক্তিযোদ্ধা ও অভিজাত পরিবারে।
বুকের ভেতর রয়েছে অফুরন্ত গল্পের বাস
সে সব গল্প বলে যেতে চান তার লেখায়।জন্ম চট্টগ্রামে হলেও গ্রাম রাউজান। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে বিখ্যাত নদী হালদা।যার স্রোতের সাথে জুড়ে আছে একেক গল্প।তার মতে এসব গ্রামীণ গল্পই আমাদের প্রাণ.চলার পথে শেখার ভিত্তি।সে তার প্রতিটি লেখনীতে সমাজ পরিবর্তনের কোন না কোন ম্যাসেজ রাখেন।লেখালেখির হাতেখড়ি ছোট থেকেই পত্রিকাঅ দিয়ে শুরু।

একটি রক্ষনশীল পরিবার থেকে উঠে এসে নিজেকে সাহিত্যিক হিসেবে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন।।
।খুব অল্প বয়সেই তিনি দেশ ও দেশের বাইরে তার লেখনি দিয়ে জয় করছেন অজশ্র মানুষের ভালোবাসা।
দাদাও একজন লেখক. শিক্ষক.বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা ছিলেন। ।নানীও কাজী লতিফা হক বেগম পত্রিকার সুপরিচিত লেখক ছিলেন। উল্লেখ্য যে দাদা আব্দুল কুদ্দুস মাষ্টার কবি কাজী নজরুল ইসলামের বাল্যকালের বন্ধু ছিলেন। এর উপর ভিত্তি করে তিনি লিখেছেন উপন্যাস একজন কুদ্দুস ও কবি নজরুল।
এই পর্যন্ত বইয়ের সংখ্যা ১৬ টি। ভারতে প্রকাশিয় হয়েছে ২০২২ কলকাতা বইমেলায় তার গল্পের বই “নরকে আলিঙ্গন”।বইটি পুরাঅ ভারত জুড়ে
ফ্লিপকার্ট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।
স্বরচিত ছড়া পাঠ করে প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন শিশু বয়সেই।
একে একে লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস অ চোরাবালির বাসিন্দা,অ বাল্যবিবাহের ওপর লিখিত উপন্যাস পদ্মবু, এইডসের ওপর লিখিত প্রেমের উপন্যাস মনজুয়াড়ি এই বইগুলো যথেষ্ট পাঠকপ্রিয়তা পেয়ে বেস্ট সেলার হয়েছে । লেখালেখির জন্য পেয়েছেন অনেক জাতীয় আর আন্তর্জাতিক পুরস্কার। উল্লেখ্যযোগ্য হলো মাদার তেরেসা এওয়ার্ড /মহাত্মাগান্ধী পিস এওয়ার্ড / সাউথ এশিয়া গোল্ডেন পিস এওয়ার্ড /নজরুল অগ্নীবীনা সাহিত্য পুরস্কার /দাদা সাহেব ফালকে এওয়ার্ড ( ভারত)/সোনার বাংলা সাহিত্য সম্মাননা/ রোটারী সম্মাননা /নারী দিবসে নারী সম্মাননা/সুপারস্টার এওয়ার্ড সিলেট জাগো দুর্গা সম্মাননা (ভারত)/পর্যটন নগরী খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক সম্মাননা/ভালোবেসে খাছড়াছড়ির পাঠকরা তাকে রাজকন্যা উপাধি দিয়েছিলেন। স্বাধীবাংলা সাহিত্য সম্মাননা/নারী দিবসে পেয়েছেন উইমেন পাওয়ার লিডারশীপ এওয়ার্ড ২০২৫/ সাইথ এশিয়া গোলডেন পিস এওয়ার্ড /সাইথ এশিয়া গোল্ডেন সিনে স্টার এওয়ার্ড৷ ২০২৫ / ময়ূরপঙ্খী স্টার এওয়ার্ড ২০২৫/প্রকাশনা সংস্থা বাঙালি
সাহিত্য সম্মাননা.দৈনিক আজাদী প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক সম্মাননা.সাপ্রতিক দেশকাল পত্রিকা সম্মাননা
সহ আরও অসংখ্য পুরস্কার।

শিশু- কিশোরদের জন্য সফল একজন গল্পকার তুলতুল। বড়দের পাশাপাশি শিশুদের জন্য লিখছেন প্রচুর।
বাংলাদেশের সকল বই পাওয়া যাচ্ছে অনলাইন বইয়ের বাজার রকমারি ডট কম, প্রথম আলোর অনলাইন ওয়েবসাইট প্রথমা ডট কম, দারাজ ডট কমে। জনপ্রিয় ই বুক বইঘরে তার বই যেখোনো প্রান্ত থেকে তার পাঠক রা পড়তে পারবেন। তিনি চট্টগ্রাম টেলিভিশনে নিয়মিত আবৃত্তিও করে থাকেন।

তার লিখিত গল্প পিঁপড়ে ও হাতির যুদ্ধ জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল দিপ্ত টিভিতে নাটক হিসেবে প্রকাশিত হয়।।তাছাড়া তার রচনায় লাল শরবত নাটক প্রচারিত হয় সিটি এফ এম এ।
তিনি কিছুদিন আগে বেগম রোকেয়া চরিত্রে একটি ম্যাগাজিনের কাভার মডেল হন। তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া আমাদের আইডল। তাঁর চরিত্রে মডেল হতে পেরে একজন লেখক হিসেবে আমি গর্বিত। সব চেয়ে বড় কথা তিনিও লেখক ছিলেন। তিনি বলেন,লেখনি দিয়ে বিশ্বে নিজেকে তুলে ধরতে চান ।
চট্টগ্রামের মেয়ে হয়ে পুরো বাংলাদেশ ভারত এবং আন্তর্জাতিক অংগনে নিজ লেখা দিয়ে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। লেখালেখিকে আপন ঠিকানা করে আরও সামনে এগিয়ে যেতে চান তুলতুল।

error: Content is protected !!