বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২
বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২

মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পর্যায়ে যতো কর্মসূচি

মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পর্যায়ে যতো কর্মসূচি প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫, ৩:১০ পিএম | 90 বার পড়া হয়েছে
মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পর্যায়ে যতো কর্মসূচি

আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়ে বলা হয়, এদিন ঢাকাসহ সারাদেশে প্রত্যুষে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

এছাড়াও জেলা ও উপজেলার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। দেশের সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবন এবং ঢাকা শহরে সহজে দৃশ্যমান ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। তবে ২৫ মার্চ গণহত্যার কালরাতে আলোকসজ্জা করা যাবে না।

ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে। এদিন সরকারি ছুটি থাকবে।

দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী প্রদান করবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র, নিবন্ধ ও সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ করবে। ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করছে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনের এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ফুটবল, টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট, কাবাডি, হাডুডু ইত্যাদি খেলার আয়োজন করবে।

এছাড়া মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করবে।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। দেশের সকল হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রসমূহে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে।

দেশের সকল শিশুপার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে উন্মুক্ত রাখা হবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, বরিশাল ও চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহ ঐদিন সকাল ৯টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে।

কক্সবাজার থেকে : কামরুন তানিয়া

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের বর্ষপূর্তিতে উখিয়া উপজেলা বিএনপির গণমিছিল পরিণত হয় জনসমুদ্রে

কক্সবাজার থেকে : কামরুন তানিয়া প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৩৪ এএম
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের বর্ষপূর্তিতে উখিয়া উপজেলা বিএনপির গণমিছিল পরিণত হয় জনসমুদ্রে

৫ ই আগস্টকে কেন্দ্র করে “” গণ অভ্যুত্থানের”” বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কক্সবাজার জেলার উখিয়ায় বিএনপির গণমিছিল এবং জন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত মিছিলে লাখো মানুষের তথা বিএনপির অঙ্গ,সংগঠনের লোক জমায়েত হয়। উখিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরওয়ার জাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে উখিয়া স্টেশন চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির আসনে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী।
তিনি বলেন, “গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্টদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে,চলমান থাকবে ইনশাআল্লাহ। জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির লড়াই শেষ হয়নি। এই আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলে জানান। পাশাপাশি তিনি উখিয়া টেকনাফের মানুষের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জানান।তিনি আরও বলেন যে,
তিনি উখিয়াকে পৌরসভা হিসেবে আগামীতে দেখতে চান।তিনি পৌরসভার ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “উখিয়াকে একটি পূর্ণাঙ্গ পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা হবে ইনশাআল্লাহ। সাবেক হুইপ আরও বলেন যে,দেশের কল্যাণে বিএনপির পাশে থাকার জন্য আমি উখিয়াবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছি।সেই সাথে তিনি তুলে ধরেন বিগত আমলে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির বিরুদ্ধে প্রচারিত মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, “ফেসবুকে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এসব মিথ্যাচারে কান না দিয়ে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিন। সত্যের পথে থাকুন, আন্দোলনের পথে থাকুন।অদ্য
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আরও উখিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব সোলতান মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, “৫ আগস্ট গণ অভ্যুত্থান আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে একটি মাইলফলক নজির সৃষ্টি করেছে।সেই দিনের চেতনাকে সামনে রেখেই আমাদের বর্তমান আন্দোলনকে সফল করতে হবে।এ সময় বক্তারা ৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি গভীর শোক, শ্রদ্ধা জানিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ হাজারো জনতা। সমাবেশর আগে বর্ণাঢ্য গণমিছিল রাজা পালং ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার সামনে থেকে শুরু হয়ে উখিয়া স্টেশনের সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
শৃঙ্খলাবদ্ধ এ মিছিলে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দলীয় শ্লোগানে মুখরিত ছিল। সমাবেশ ও মিছিলকে কেন্দ্র করে উখিয়াজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল।উখিয়ার পরিবেশ পরিস্থিতি খুবই টানটান এবং সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই সমাবেশ সমাপ্তি ঘোষণা করেন আছরের আজানের একটু আগে।

তাড়াশে ফসল বাঁচাতে রাস্তা কেটে দিল কৃষক

উজ্জ্বল বাংলাদেশ প্রতিবেদকঃ প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:১৫ এএম
তাড়াশে ফসল বাঁচাতে রাস্তা কেটে দিল কৃষক

গত কয়েকদিনের টানা প্রবল বর্ষণে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার কাটাগাড়ী আঞ্চলিক সড়কে মহিলা কলেজ সংলগ্ন যাতায়াতের সড়ক কেটে দিয়েছে কৃষকগণ। প্রায় ৩০- ৪০ গ্রামের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা প্রায় ২০০ হেক্টর আবাদি জমি তলিয়ে গেছে এতে চরম বিপাকে পড়েন কৃষক। রোপা আমন ধান যেন নষ্ট না হয় সেজন্য কোদাল সাবল দিয়ে রাস্তা কেটে আটকে থাকা ঢলের পানি বের করার ব্যবস্থা করলেন কৃষকগণ। তবে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের এমন বেহাল দশা মেনে নিতে পারছেন না সাধারণ মানুষ, কাটাগাড়ী, আড়ংগাইল, কাস্তা, সেরাজপুর, গুরমা সহ প্রায় ২০-৩০ গ্রামের মানুষ সহ মহিলা কলেজ জে আই টেকনিক্যাল স্কুল যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এই রাস্তাটি। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো যাত্রীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ দীর্ঘদিন যাবত এখানে এই ব্রিজটি র কাজ শেষ হচ্ছে না ফলে মাঝে মাঝেই যানবাহন উল্টে আহত হন মানুষ। চলনবিল উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক আব্দুল আজিজ বলেন এই ব্রিজ নিয়ে অনেক লেখা লেখি হয়েছে ঠিকাদার ও কতৃপক্ষের গাফিলতিতে আমাদের মত সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তি। এটার দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত। স্থানীয় বাসিন্দা ফরহাদ হোসেন বলেন রাস্তার পাশেই বমার বাড়ি এখানে খুব তারাতাড়ি বিকল্প সড়কের ব্যাবস্থা করার জন্য কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি তানাহলে যে বাঁশের ব্রিজ টি করা হয়েছে মানুষ পড়ে স্রোতে তলিয়ে মারা যাওয়ায় ঘটনা ঘটতে পারে। মাহবুবুল হক মিনু বলেন স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী রা কিভাবে যাতায়াত করবেন এই এলাকার কেউ অসুস্থ হলে কিভাবে হাসপাতালে নিবে দ্রুত এর একটা সমাধান হওয়া উচিত। জনগুরুত্বপূ্র্ণ ভুক্তভোগীরা দ্রুত উভয় সড়ক সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।

এলজিইডি নির্মাণাধীন সেতুর বিকল্প ব্রিজ নির্মাণের কাজ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। বাঁধের ওপর দিয়ে যান চলাচলের জন্য বিকল্প রাস্তার তেমন ব্যাবস্থা নেই, পানি যাওয়া-আসার সুযোগও রাখা হয়নি। এতে বাঁধের পূর্বদিকের অংশের ফসলি মাঠে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিজটির কাজ অনেক আগেই কাজ শেষ হবার কথা ছিল স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ পেলেও এলজিইডি বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেয়ায় আজ লাখ লাখ মানুষের এই অসুবিধা।

এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান বলেন, বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

✍ শোয়েব হোসেন

কালীগঞ্জে জমি দখলের ভয়ংকর চক্র সক্রিয়

✍ শোয়েব হোসেন প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
কালীগঞ্জে জমি দখলের ভয়ংকর চক্র সক্রিয়

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার চুয়ারিখোলা ও দরিপাড়া এলাকা বর্তমানে একদল দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর নিয়ন্ত্রণে। দিনের আলোতেই ঘটে চলেছে চুরি, ছিনতাই, হামলা ও মাদক ব্যবসার মতো ভয়ংকর অপরাধ। দীর্ঘদিন ধরে এইসব অপকর্মে লিপ্ত একটি চক্র প্রশাসনের নাকের ডগায় থেকে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

এই চক্রের বিরুদ্ধে বারবার প্রতিবাদ জানিয়ে আসা স্থানীয় ব্যবসায়ী মামুন মোল্লা ও তাঁর পরিবার সম্প্রতি প্রাণঘাতী হামলার শিকার হন। মামুনের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে এলেম হোসেন, সৌরভ হোসেন, জামান মিয়া, বাবুলসহ আরও কয়েকজন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী মামুনের বাড়িতে হামলা চালায়। তার বৃদ্ধ পিতাকে মারধর করে, বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং মামুনসহ তিনজনকে পাইপ ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

আহত মামুন বর্তমানে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, সন্ত্রাসীরা হামলার সময় ১০ আনার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় এবং চিকিৎসা ব্যয়ে মামুনের পরিবার ইতোমধ্যে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই অপরাধীচক্র ৫–৭ বছর ধরে তেল চুরি, জমি দখল, মাদক পাচার, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে লিপ্ত। বারবার অভিযুক্ত হয়েও তারা জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় একই অপরাধে যুক্ত হয় এবং রাজনৈতিক পরিচয় পাল্টে প্রশাসনের একাংশের প্রশ্রয়ে কার্যত ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে।

প্রতিবেশীরা জানান, এলাকায় এমন অবস্থা যে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। মামুন মোল্লা হচ্ছেন ব্যতিক্রম – যিনি চরম ঝুঁকি নিয়ে বারবার প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছেন। তার এই অবস্থার জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের নিরবতা ও ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

এছাড়া “হিউম্যান এইড এন্ড ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনাল” এর অনুসন্ধানে উঠে আসে, এই সন্ত্রাসীদের পেছনে প্রবাসী অর্থদাতা ও রাজনৈতিক শক্তির হাত রয়েছে। চুয়ারিখোলা এলাকার একটি পুরোনো টিনের ঘর ঘিরে রয়েছে বহু রহস্য। জনশ্রুতি অনুযায়ী, এর মালিক সৌদি প্রবাসী সাইফুল নামে এক ব্যক্তি, যিনি মাসে ৪০ হাজার টাকায় ওই ঘর ভাড়া দিয়ে সন্ত্রাসীদের সহায়তা করছেন।

স্থানীয়রা আতঙ্কিত। একজন বলেন, “আমাদের সন্তানরা সন্ত্রাসীদের ভয়ে ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়। প্রশাসন সব জেনেও নীরব কেন?”

সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো। এখন প্রশ্ন একটাই—এই অন্ধকার থেকে মুক্তি পাবে তো কালীগঞ্জ?

অনুসন্ধান চলমান…

error: Content is protected !!