এ এস এম সাদেকুল ইসলাম
গণ-অভ্যুত্থানের নতুন ইতিহাস


অন্যায় অপরাধ দমনে শুধু অস্ত্রই যে প্রতিরোধ তা নয়,বরং কখনো কখনো সাহস আর ত্যাগও প্রতিরোধ হয়ে উঠে। আবু সাঈদ তার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
আপোষ আর প্রলোভনে যারা বিকট প্রতিবাদী হয়ে উঠে, ঠিক তখনি সংগ্রাম আর উদ্যম হাতিয়ার বনে যায়। শ্লোগান হয়ে উঠে অনুপ্রেরণা
জাগ্রত হয় মননের গভীরতম স্তম্ভ।
দুই হাজার চব্বিশ’এর জুলাই আন্দোলনে তাঁর উপমা খুঁজে পাওয়া যায়।
মিথ্যা, অসত্য, অপ্রযোজ্য ও অশালীনতার বোলি নিজেকেই ধীক্কার দেয়, সময়ের পরিক্রমায় বিশেষ কোনো প্রলাপ সংলাপে নিজেকেই হারিয়ে দেয় অকল্পনীয় পরিনামে।
তাঁর দৃশ্যমান নমুনা অবলোকন হয়েছে, কোটা সংস্কার দাবীর আন্দোলনে।
মানুষের অন্তরস্থে নরম অঙ্গ থাকে
সেই অঙ্গে যখন টাস্ লাগে,
সে তখন এক অলৌকিক শক্তিমত্তায়, ও আপন স্বত্ত্বা সঞ্চারিত হয়,
ফলে আহ্বান, আবেদন, আরাধনায়
এক অবিস্ফোরিত হয় সত্যের প্রদ্বীপ।
অন্যায় অত্যাচার, অবিচার, জোর, জুলুমের বিদঘুটে অন্ধকারকে দূরীভূত করে আলোকময় করে তোলে।
যার জলন্ত প্রমান ২০২৪ এর জুলাই/ আগস্ট।
সেদিন যেনো এক ঐশী আহবান ছিলো, বাংলাদেশের ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক,শ্রমিক, কবি লেখক, শিল্পী, সাংবাদিক, পেশাজীবি,আইনজীবী, পথশিশু,আবাল বৃদ্ধ বনিতা,নারী-শিশু কিশোর সহ আপামর জনসাধারণ
রাজপথে নেমে এলো একদফা একদাবী নিয়ে। কী অদ্ভুত এক বার্তা ছিলো, শৈরাচারী শাসনের নিপাতিত উদ্যোগ, একযোগে দূর্বার আন্দোলনের মুখে অন্ধকার কেটে গেলো,
নিরপরাধ কয়েদি, হাজতি মুক্তি পেলো, মুক্তি পেলো দেশের শান্তিকামী,মুক্তিকামী জনতা।
সেদিন ছিলো নতুন স্বাধীনতার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নতুন ইতিহাস।
হাজারো লাশের মিছিলের মধ্যেও
ধ্বনিত হয়েছিলো ইনকিলাব জিন্দাবাদ।
পথে- প্রান্তরে প্রকম্পিত হচ্ছিলো আপোষ না সংগ্রাম?
ক্ষমতা না রাজপথ?