শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

কলমে: শেফালী সাথী

মোবাইল আসক্তি সন্তানের সাথে বাবা-মায়ের দূরত্ব বাড়ায়

কলমে: শেফালী সাথী প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১০:৪৫ এএম | 80 বার পড়া হয়েছে
মোবাইল আসক্তি সন্তানের সাথে বাবা-মায়ের দূরত্ব বাড়ায়

ভয়ংকর এক প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে। যাদের ভিতরে সভ্যতা, ভদ্রতা,লজ্জা, বিনয় কিংবা মনুষ্যত্ব কিছুই নেই।
আছে ব্যক্তি স্বার্থের নির্মম এক পেশে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের বেড়াজাল।
বলছি বর্তমান সময়ের সন্তানদের কথা। প্রতিনিয়ত স্ট্রাগেল আর প্রতিযোগিতার বাজারে অভিভাবকরা সন্তান লালন পালনে জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে যাচ্ছেন।
তাদের সন্তান যেন উজ্জ্বল ও নিরাপদ একটা ভবিষ্যৎ জীবন পায়।
প্রতিটি স্কুল কলেজ পড়ুয়া সন্তানদের হাতে স্মার্টফোন ইন্টারনেট ।
যৌথ পরিবারগুলো ভেঙে তৈরি হয়েছে ছোট পরিবার ।
প্রতিনিয়ত ভালো থাকার দৌড়ে মা-বাবার ব্যস্ততা ;সুযোগ তৈরি হচ্ছে একা থাকার, মোবাইলে নেটওয়ার্ক তৈরি, চ্যাটিং ,ভিডিও চ্যাটিং, গ্রুপিং, রাত জেগে নেট ব্যবহার, সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা ,ক্ষুধা মন্দা, ধুমপান , মাদক,স্কুল কলেজ ফাঁকি, পড়াশোনায় অনীহা।
আর এসব করতে করতে মা-বাবা ও পরিবারের সাথে তৈরি হয় এক মানসিক দূরত্ব।
সন্তানরা উপলব্ধি করতে ভুলে যায়,
তাদের জীবনে তাদের মা-বাবার ত্যাগ। নিজেদের খুশি ,ইচ্ছা, পছন্দ,কেই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়।
তাদের প্রতিনিয়ত চাহিদা পূরণের চাপে বাবা-মা ব্যর্থ হলে, তারা উশৃঙ্খলাচরণ করতেও পিছুপা হন না ।
সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে, সন্তানের জন্য কিছু করার মানসিকতাই এই প্রজন্মকে অধঃপতনের দাড় গোরায় এনে ফেলেছে।
এই প্রজন্ম নিজেরা বাবা-মায়ের কাছ হতে এত বেশি গুরুত্ব পেয়েছে; যে এরা নিজেদেরকে প্রথম শ্রেণীর পর্যায়ে চিন্তা করে।
আর বাবা মাকে চতুর্থ শ্রেণী। নিজেদেরকে বাবা-মায়ের চেয়ে উৎকৃষ্ট মানের কিছু ভাবতে শুরু করে।
তার উপর দেখা যায় ,’বাবা মা নিজেরা হয়তো সাধারন পরিবার হতে এসে, স্ট্রাগল করে বড় হয়েছেন ।
সেক্ষেত্রে বাবা-মায়ের আত্মীয় স্বজনদের আর্থিক অবস্থা অনেকটা দুর্বল।
এদিকে মা-বাবা তাদের সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বেস্ট স্কুল, কলেজ, বেস্ট পরিবেশে রাখার ফলে সন্তানদের চারপাশের পরিবেশ এবং বন্ধুবান্ধব, যাতায়াত একটা তথাকথিত উন্নত বলয় তৈরি হয়।
ফলে ওই সন্তানদের কথাবার্তা, চালচলন, পোশাক পরিচ্ছদ, ইত্যাদির সাথে তার শিকড়ের মানুষগুলোর সাথে ব্যাপক ব্যবধান তৈরি হয়।
তারা আর কিছুতেই তাদের সাথে মিশতে পারে না। তাদের সংস্কৃতির সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারে না।
এরপর শুরু হয় উচ্চাকাঙ্ক্ষা; অধিকাংশ সন্তান তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে। বাবা-মা তা পূরণে ব্যর্থ হলে, চলে অসন্তোষ, উশৃঙ্খল আচরণ, বেয়াদবি।
তার প্রতিচ্ছবি আমরা দেখেছি মেহেরিন কিংবা ঐশী সহ হাজার হাজার জানা-অজানা সব সন্তানের অধঃপতন থেকে ।
ঐশী তবু বাবা-মাকে হত্যা করে তাদেরকে চিরতরে বাবা-মা হিসেবে সন্তানের অধঃপতন দেখার যন্ত্রণা থেকে মুক্ত করে দিয়েছিল।
কিন্তু মেহরিন বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে বাবা মাকে জীবন্ত মৃত্যু দান করেছেন।
বাবা-মায়ের এতদিনের অর্জিত পারিবারিক শিক্ষা, সভ্যতা, আত্মসম্মান, মান -সম্মান এক নিমিষে সারা দেশবাসীর কাছে ধুলিষ্যৎ করে দিয়েছে।
অথচ এই বাবা-মা হয়তো রাত জেগে; দিনের পর দিন অসুস্থ মেয়েকে সেবা করেছেন। দিনের পর দিন তার স্বপ্ন পূরণের জন্য পরিশ্রম করে গেছেন।
দিনের পর দিন পরিশ্রম শেষে বাড়িতে ফিরে সন্তানের জন্য উৎকণ্ঠা করেছেন। তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য চেষ্টা করে গেছেন। আজ তারা তার প্রতিদান পাচ্ছেন।
উত্তোরণের উপায়:
বর্তমান এই অস্থির সময়ে এই সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ সবারই অজানা। তবু বলি,
* নিজেদের সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য কিছু করাটা বোকামি।
* আপনার যা আছে তার মধ্য দিয়ে আপনার সামর্থ্য এবং দায়িত্ব পালনের মধ্যে একটা ভারসাম্য রক্ষা করুন।
* সমস্ত পরিশ্রম ও কর্মব্যস্ততার মাঝে একটু সময় বের করে সন্তানের সাথে কাটান।
* এইচএসসি পরীক্ষার শেষের আগে সন্তানের হাতে স্মার্টফোন দিবেন না। একান্ত দরকার হলে, যোগাযোগ রক্ষার জন্য বাটন ফোন দিতে পারেন।
* সন্তানদের বন্ধু বান্ধবীদের আচার-আচরণ চাল -চলন সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখুন ।এবং সেই মোতাবেক সন্তানকে মিশতে দিন।
* প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ সন্তানের হাতে দিবেন না।
* মাঝে মাঝে সন্তানদের সাথে খোলামেলা আলাপ আলোচনা করুন। বিভিন্ন পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার পরামর্শ চান।
মনে রাখবেন;
সম্পদ হারিয়ে গেলে হয়তো মানুষ কষ্ট পায়। কিন্তু সেটা সাময়িক ।
কিন্তু সন্তান হারালে সেই যন্ত্রণা সইবার ক্ষমতা কোন বাবা-মায়ের থাকে না। সন্তান আমাদের স্নেহের, ভালোবাসার ধন ।
সময় থাকতে সাবধান হোন।
ভালো থাকুক পৃথিবীর সব সন্তানেরা । ভালো থাকুক সব বাবা মায়েরা।

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।