গাবতলীতে স্বপ্নসিঁড়ি পাঠাগারের আয়োজনে শহীদ স্মরণে আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত


পড়িলে বই আলোকিত হই -না পড়িলে বই অন্ধকারে রই—এই প্রেরণাদায়ী স্লোগানকে ধারণ করে স্বপ্নসিঁড়ি পাঠাগার জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর বীর শহীদদের স্মরণে এক আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
বুধবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, বগুড়ার গাবতলী উপজেলার তরফমেরু গ্রামে পাঠাগার কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ও স্বপ্নসিঁড়ি পাঠাগারের উপদেষ্টা অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার।
সভাপতিত্ব করেন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল ওয়ারিছ হারেছ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আব্দুস সালাম, আব্দুর রউফ, আব্দুর রহমান, জহুরুল ইসলাম খোকন, আতিকুর রহমান রাজা, হাফেজ উজ্জল, মিজানুর রহমান মিজান, জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুর রশিদ, মাস্টার মমিনসহ এলাকার গুণীজন ও সচেতন পাঠক সমাজ।
আলোচনার শুরুতে বক্তারা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন—জুলাই গণঅভ্যুত্থান গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে এক সাহসী অধ্যায়। শহীদদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথ সুগম হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার বলেন:জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। শহীদদের আত্মত্যাগ ছিল স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সাহসী প্রতিবাদ। বর্তমান প্রজন্মকে এই ইতিহাস জানতে হবে, বুঝতে হবে এবং তার আলোকে দায়িত্ববান নাগরিক হয়ে উঠতে হবে। পাঠাগার হতে পারে সেই প্রেরণার উৎস। স্বপ্নসিঁড়ি পাঠাগার যে ভূমিকা রেখে চলেছে, তা প্রশংসার দাবিদার।
সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল ওয়ারিছ হারেছ বলেন:শহীদদের রক্ত যেন বৃথা না যায়—এই বিশ্বাস থেকেই প্রতিবছর আমরা এই অনুষ্ঠান আয়োজন করি। পাঠাগার কেবল বই পড়ার স্থান নয়, এটি সমাজ গঠনের একটি আন্দোলন। তরুণদের জাগিয়ে তুলতেই আমাদের এই প্রয়াস। বইয়ের আলোতে আলোকিত হোক আমাদের ভবিষ্যৎ।
অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠের মাধ্যমে শহীদদের স্মরণ করা হয়। পরিশেষে দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি এবং শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।