বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২
বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২

ডিসেম্বরে নির্বাচন, জানুয়ারিতে নতুন সরকার

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:০৫ পিএম | 93 বার পড়া হয়েছে
ডিসেম্বরে নির্বাচন, জানুয়ারিতে নতুন সরকার

অক্টোবরের দিকে তফসিল ঘোষণা, ডিসেম্বরে নির্বাচন এবং জানুয়ারির মধ্যে নতুন সরকার গঠন হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দেশের একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা জানান।

সাক্ষাতকারে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম, পোশাক শ্রমিকদের পরিস্থিতি, নির্বাচন ও বর্তমানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন।

দেশ এখন কোন দিকে যাচ্ছে?, এমন এক প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সরকারের সব কাজে একজন উপদেষ্টার সম্পৃক্ততা থাকে না। আমি যদি এই প্রশ্নের মূল বিষয় বুঝে থাকি, তাহলে বলতে পারি, নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে, তারা কাজ করছে। আমি যদি খুব ভুল না করে থাকি, তাহলে অক্টোবরের দিকে তফসিল ঘোষণা, ডিসেম্বরে নির্বাচন এবং জানুয়ারির মধ্যে নতুন সরকার গঠন হতে পারে—এমন সংকেত পাচ্ছি।

এরই মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেছেন, জরুরি সংস্কার শেষে নির্বাচনে যেতে চাইলে এ বছরের শেষের দিকে এবং বিস্তৃত সংস্কার চাইলে আগামী বছরের প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে। সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন এসেছে। এগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়েছে। আমরা মনে করি, সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তাদের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সংস্কার টিকবে না।

তিনি আরও বলেন, আমি যা বলছি, এগুলো সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত মতামত। প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া টাইমলাইন অনুযায়ী ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। আমি মনে করি, কিছু বিষয়ে মৌলিক সিদ্ধান্তে না এসে নির্বাচনে যাওয়া উচিত নয়। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়ের মধ্যে সেটা সম্ভব।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, পরবর্তী নির্বাচিত সরকার দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার চালিয়ে নেবে। এটা আশাব্যঞ্জক বলে মনে করি। রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি একটি ভাবমূর্তি তৈরি করতে পেরেছেন। তিনি যখন এ ধরণের বক্তব্য রাখেন, তখন আশ্বস্ত হওয়ার মতো কারণ আছে।

তবে, অতীত অভিজ্ঞতা ভালো না থাকায় অনেকের মধ্যে সংশয় কাজ করে। কারণ, রাজনৈতিক দলে একজন নেতাই সব নন। তার দলে আরও অনেকে আছেন। এর বাইরে অন্যান্য দলও সংসদে যাবে। তারা কী চাইবে, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।

আস্থা ফেরানোর আলাদা কোনো ফর্মুলা নেই। যারা দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের বুঝতে হবে কাদের সঙ্গে কথা বললে হবে, কাদেরকে চায়ের দাওয়াত দিতে হবে।

বাংলাদেশে নির্বাচন কি নির্বাচন কমিশন করে নাকি সরকার, এমন এক প্রশ্নের জবাবে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পৃথিবীর কোথাও নির্বাচন কমিশন একা নির্বাচন করতে পারে না। ছয়-সাত লাখ মানুষকে কাজ করতে হয়। পুলিশ, প্রিসাইডিং অফিসারসহ বেশিরভাগ বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করতে হয়। এতে দোষের কিছু নেই। প্রশ্ন হচ্ছে নির্বাচন বিষয়ে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিটা কী।

যেমন, গত তিনটি নির্বাচনে সরকার চেয়েছে তাকে জিততে হবে, পরে অন্য কিছু। এটা করতে গিয়ে তারা প্রথমবার বিরোধীদল ছাড়া নির্বাচন করলো, দ্বিতীয়বার রাতের নির্বাচন করলো এবং তৃতীয়বার ডামি নির্বাচন করলো।

পৃথিবীতে এমন মডেলে নির্বাচন আর কোথাও দেখা যায়নি। এমনকি আমাদের দেশে এরশাদের আমলেও এমন ঘটনা ঘটেনি। জেলা প্রশাসকরা বেছে বেছে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের লোকজনকে প্রিসাইডিং অফিসার বানিয়েছিল।

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা? মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে কিনা? জানতে চাইলে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সাধারণ মানুষের বিশ্বাস এখনো আসেনি। নির্বাচন কমিশনের উপরের দিকে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু নির্বাচন নিয়ে গত এক দশকের বেশি সময়ে হওয়া অনিয়মের বিষয়ে মানুষের আস্থা রাতারাতি ফেরানো সম্ভব নয়। তাই অনাস্থার জায়গাটা এখনো রয়ে গেছে বলে মনে করি। মানুষের আস্থা ফেরানোই বড় চ্যালেঞ্জ।

নির্বাচন কমিশনকে বলবো, এটা কোনো আমলাতান্ত্রিক দায়িত্ব নয়। এটা অনেক কঠিন দায়িত্ব। সাধারণ মানুষের আপনাদের ওপর বিশ্বাস থাকতে হবে। যেমন: আমরা (যখন নির্বাচন কমিশনার ছিলাম) খারাপ-ভালো যাই করি, আমাদের ওপর মানুষের একটা বিশ্বাস ছিল।

নির্বাচনে কমিশনকে সরকারের সহযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের সরকার থেকে এরই মধ্যে বলে দেওয়া হয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা ফেরাতে হবে। আমরা যখন দায়িত্ব পালন করেছি তখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি। এর বাইরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছি।

নির্বাচন কমিশন কীভাবে সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এর আলাদা কোনো ফর্মুলা নেই। যারা দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের বুঝতে হবে কাদের সঙ্গে কথা বললে হবে, কাদেরকে চায়ের দাওয়াত দিতে হবে। নিজেদের মতো কাজ করতে হবে।

কারখানা বন্ধ, শ্রমিক বেকার প্রসঙ্গে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সরকার কোনো কারখানা বন্ধ করেনি। কারখানা বন্ধ হচ্ছে, কারণ এসব কোম্পানি ব্যাংক ঋণ নিয়ে সাব-কন্ট্রাক্টে চলছিল। এখন ব্যাংক আর ঋণ দিচ্ছে না, কারখানাও চলতে পারছে না। ব্যাংক কোথা থেকে ঋণ দেবে? কোম্পানিগুলো তো ঋণ নিয়ে আর ফেরত দেয়নি।

বেক্সিমকোতে ২৭ হাজার শ্রমিকের হিসাব আমরা পেয়েছি। কিন্তু বেক্সিমকো যেসব কোম্পানির নামে ঋণ নিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ১৬টির হদিসই পাওয়া যাচ্ছে না। অর্থাৎ এসব কোম্পানির নামে ঋণ নিয়েছে, শ্রমিক দেখানো হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে হদিস নেই।

সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম বেক্সিমকো ২৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এটা ভাবা যায়? অন্যান্য ব্যাংক মিলিয়ে বেক্সিমকো মোট ৪০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এসব টাকা নিয়ে কী করেছে হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গত সরকারের আমলে এত এত উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু কেউ টাকা দেশে আনেনি। রাষ্ট্রের অবস্থা বুঝতেই তিন মাস লেগেছে। ব্যাংকগুলো লুট করা হয়েছে, রিজার্ভের অবস্থা ছিল শোচনীয়, অর্থনীতি নিয়ে সরকার অসম্ভব চ্যালেঞ্জে ছিল। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বলতে কিছুই ছিল না, তারপরও অল্প সময়ের মধ্যে অসাধারণ উন্নতি হয়েছে।

সরকারের ছয় মাসকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এই সরকারের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে রাষ্ট্রটা ব্যর্থ হয়ে যায়নি, রাষ্ট্র ফাংশন করছে। যদিও পরিস্থিতি আরও ভালো হলে খুশি হতাম। এর জন্য সবচেয়ে বড় ক্রেডিট হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের।

একটি লিডারলেস আন্দোলনের পর কী হয় তার উদাহরণ ইরাক, লিবিয়াতে আমরা দেখছি। বাংলাদেশে একটি সরকার হঠাৎ হওয়া আন্দোলনে সব ছেড়ে পালিয়েছে। জাতীয় সংসদে বিরোধী দল পর্যন্ত নেই যারা হাল ধরবে। ঠিক তখন আমাদের সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। অনেকে চেয়েছে দেশটা বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ুক, এখনো অনেকে চাচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ এই সরকারের ওপর আস্থা রেখেছে।

এই সরকার নিয়ে ভবিষ্যতে মানুষ কীভাবে মূল্যায়ন করবে বলে মনে করেন? এর উত্তরে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিদায়ের পর গালিও খাবো, ভালো কথাও শুনবো।

কক্সবাজার থেকে : কামরুন তানিয়া

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের বর্ষপূর্তিতে উখিয়া উপজেলা বিএনপির গণমিছিল পরিণত হয় জনসমুদ্রে

কক্সবাজার থেকে : কামরুন তানিয়া প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৩৪ এএম
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের বর্ষপূর্তিতে উখিয়া উপজেলা বিএনপির গণমিছিল পরিণত হয় জনসমুদ্রে

৫ ই আগস্টকে কেন্দ্র করে “” গণ অভ্যুত্থানের”” বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কক্সবাজার জেলার উখিয়ায় বিএনপির গণমিছিল এবং জন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত মিছিলে লাখো মানুষের তথা বিএনপির অঙ্গ,সংগঠনের লোক জমায়েত হয়। উখিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরওয়ার জাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে উখিয়া স্টেশন চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির আসনে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী।
তিনি বলেন, “গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্টদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে,চলমান থাকবে ইনশাআল্লাহ। জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির লড়াই শেষ হয়নি। এই আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলে জানান। পাশাপাশি তিনি উখিয়া টেকনাফের মানুষের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জানান।তিনি আরও বলেন যে,
তিনি উখিয়াকে পৌরসভা হিসেবে আগামীতে দেখতে চান।তিনি পৌরসভার ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “উখিয়াকে একটি পূর্ণাঙ্গ পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা হবে ইনশাআল্লাহ। সাবেক হুইপ আরও বলেন যে,দেশের কল্যাণে বিএনপির পাশে থাকার জন্য আমি উখিয়াবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছি।সেই সাথে তিনি তুলে ধরেন বিগত আমলে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির বিরুদ্ধে প্রচারিত মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, “ফেসবুকে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এসব মিথ্যাচারে কান না দিয়ে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিন। সত্যের পথে থাকুন, আন্দোলনের পথে থাকুন।অদ্য
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আরও উখিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব সোলতান মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, “৫ আগস্ট গণ অভ্যুত্থান আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে একটি মাইলফলক নজির সৃষ্টি করেছে।সেই দিনের চেতনাকে সামনে রেখেই আমাদের বর্তমান আন্দোলনকে সফল করতে হবে।এ সময় বক্তারা ৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি গভীর শোক, শ্রদ্ধা জানিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ হাজারো জনতা। সমাবেশর আগে বর্ণাঢ্য গণমিছিল রাজা পালং ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার সামনে থেকে শুরু হয়ে উখিয়া স্টেশনের সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
শৃঙ্খলাবদ্ধ এ মিছিলে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দলীয় শ্লোগানে মুখরিত ছিল। সমাবেশ ও মিছিলকে কেন্দ্র করে উখিয়াজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল।উখিয়ার পরিবেশ পরিস্থিতি খুবই টানটান এবং সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই সমাবেশ সমাপ্তি ঘোষণা করেন আছরের আজানের একটু আগে।

তাড়াশে ফসল বাঁচাতে রাস্তা কেটে দিল কৃষক

উজ্জ্বল বাংলাদেশ প্রতিবেদকঃ প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:১৫ এএম
তাড়াশে ফসল বাঁচাতে রাস্তা কেটে দিল কৃষক

গত কয়েকদিনের টানা প্রবল বর্ষণে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার কাটাগাড়ী আঞ্চলিক সড়কে মহিলা কলেজ সংলগ্ন যাতায়াতের সড়ক কেটে দিয়েছে কৃষকগণ। প্রায় ৩০- ৪০ গ্রামের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা প্রায় ২০০ হেক্টর আবাদি জমি তলিয়ে গেছে এতে চরম বিপাকে পড়েন কৃষক। রোপা আমন ধান যেন নষ্ট না হয় সেজন্য কোদাল সাবল দিয়ে রাস্তা কেটে আটকে থাকা ঢলের পানি বের করার ব্যবস্থা করলেন কৃষকগণ। তবে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের এমন বেহাল দশা মেনে নিতে পারছেন না সাধারণ মানুষ, কাটাগাড়ী, আড়ংগাইল, কাস্তা, সেরাজপুর, গুরমা সহ প্রায় ২০-৩০ গ্রামের মানুষ সহ মহিলা কলেজ জে আই টেকনিক্যাল স্কুল যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এই রাস্তাটি। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো যাত্রীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ দীর্ঘদিন যাবত এখানে এই ব্রিজটি র কাজ শেষ হচ্ছে না ফলে মাঝে মাঝেই যানবাহন উল্টে আহত হন মানুষ। চলনবিল উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক আব্দুল আজিজ বলেন এই ব্রিজ নিয়ে অনেক লেখা লেখি হয়েছে ঠিকাদার ও কতৃপক্ষের গাফিলতিতে আমাদের মত সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তি। এটার দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত। স্থানীয় বাসিন্দা ফরহাদ হোসেন বলেন রাস্তার পাশেই বমার বাড়ি এখানে খুব তারাতাড়ি বিকল্প সড়কের ব্যাবস্থা করার জন্য কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি তানাহলে যে বাঁশের ব্রিজ টি করা হয়েছে মানুষ পড়ে স্রোতে তলিয়ে মারা যাওয়ায় ঘটনা ঘটতে পারে। মাহবুবুল হক মিনু বলেন স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী রা কিভাবে যাতায়াত করবেন এই এলাকার কেউ অসুস্থ হলে কিভাবে হাসপাতালে নিবে দ্রুত এর একটা সমাধান হওয়া উচিত। জনগুরুত্বপূ্র্ণ ভুক্তভোগীরা দ্রুত উভয় সড়ক সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।

এলজিইডি নির্মাণাধীন সেতুর বিকল্প ব্রিজ নির্মাণের কাজ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। বাঁধের ওপর দিয়ে যান চলাচলের জন্য বিকল্প রাস্তার তেমন ব্যাবস্থা নেই, পানি যাওয়া-আসার সুযোগও রাখা হয়নি। এতে বাঁধের পূর্বদিকের অংশের ফসলি মাঠে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিজটির কাজ অনেক আগেই কাজ শেষ হবার কথা ছিল স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ পেলেও এলজিইডি বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেয়ায় আজ লাখ লাখ মানুষের এই অসুবিধা।

এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান বলেন, বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

✍ শোয়েব হোসেন

কালীগঞ্জে জমি দখলের ভয়ংকর চক্র সক্রিয়

✍ শোয়েব হোসেন প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
কালীগঞ্জে জমি দখলের ভয়ংকর চক্র সক্রিয়

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার চুয়ারিখোলা ও দরিপাড়া এলাকা বর্তমানে একদল দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর নিয়ন্ত্রণে। দিনের আলোতেই ঘটে চলেছে চুরি, ছিনতাই, হামলা ও মাদক ব্যবসার মতো ভয়ংকর অপরাধ। দীর্ঘদিন ধরে এইসব অপকর্মে লিপ্ত একটি চক্র প্রশাসনের নাকের ডগায় থেকে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

এই চক্রের বিরুদ্ধে বারবার প্রতিবাদ জানিয়ে আসা স্থানীয় ব্যবসায়ী মামুন মোল্লা ও তাঁর পরিবার সম্প্রতি প্রাণঘাতী হামলার শিকার হন। মামুনের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে এলেম হোসেন, সৌরভ হোসেন, জামান মিয়া, বাবুলসহ আরও কয়েকজন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী মামুনের বাড়িতে হামলা চালায়। তার বৃদ্ধ পিতাকে মারধর করে, বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং মামুনসহ তিনজনকে পাইপ ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

আহত মামুন বর্তমানে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, সন্ত্রাসীরা হামলার সময় ১০ আনার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় এবং চিকিৎসা ব্যয়ে মামুনের পরিবার ইতোমধ্যে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই অপরাধীচক্র ৫–৭ বছর ধরে তেল চুরি, জমি দখল, মাদক পাচার, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে লিপ্ত। বারবার অভিযুক্ত হয়েও তারা জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় একই অপরাধে যুক্ত হয় এবং রাজনৈতিক পরিচয় পাল্টে প্রশাসনের একাংশের প্রশ্রয়ে কার্যত ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে।

প্রতিবেশীরা জানান, এলাকায় এমন অবস্থা যে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। মামুন মোল্লা হচ্ছেন ব্যতিক্রম – যিনি চরম ঝুঁকি নিয়ে বারবার প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছেন। তার এই অবস্থার জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের নিরবতা ও ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

এছাড়া “হিউম্যান এইড এন্ড ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনাল” এর অনুসন্ধানে উঠে আসে, এই সন্ত্রাসীদের পেছনে প্রবাসী অর্থদাতা ও রাজনৈতিক শক্তির হাত রয়েছে। চুয়ারিখোলা এলাকার একটি পুরোনো টিনের ঘর ঘিরে রয়েছে বহু রহস্য। জনশ্রুতি অনুযায়ী, এর মালিক সৌদি প্রবাসী সাইফুল নামে এক ব্যক্তি, যিনি মাসে ৪০ হাজার টাকায় ওই ঘর ভাড়া দিয়ে সন্ত্রাসীদের সহায়তা করছেন।

স্থানীয়রা আতঙ্কিত। একজন বলেন, “আমাদের সন্তানরা সন্ত্রাসীদের ভয়ে ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়। প্রশাসন সব জেনেও নীরব কেন?”

সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো। এখন প্রশ্ন একটাই—এই অন্ধকার থেকে মুক্তি পাবে তো কালীগঞ্জ?

অনুসন্ধান চলমান…

error: Content is protected !!