সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ২:০৯ এএম | 66 বার পড়া হয়েছে
আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন

আগে সংস্কার তারপর নির্বাচন চায় জামায়াতে ইসলামী বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, একটি সংস্কারের, অন্যটি নির্বাচনের। ভোটের আগে সংস্কার চায় জামায়াত। আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন। এ জন্য অনেকগুলো প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াত।

শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ শেষে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বিকাল সাড়ে তিনটার একটু আগে জামায়াতের প্রতিনিধি দল যমুনায় প্রবেশ করে। জামায়াতে ইসলামীর ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন- জামায়াতের নায়েবে আমির আবু তাহের মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, এমএম শামসুল ইসলাম, মজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পওয়ার।

জামায়াত আমির বলেন, এই সরকার দেশ শাসনের জন্য আসেনি, তারা একটা ভোটের পরিবেশ তৈরির জন্য এসেছে। তাদেরকে নানা রকম সংস্কারের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। জামায়াতের পক্ষ থেকে আগামী ৯ তারিখ রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা তুলে ধরা হবে।

তিনি আরও বলেন, এই সরকারকে নিরপেক্ষ থেকে একটি ভালো নির্বাচন উপহার দেবে জাতিকে। আমরা সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চায়, সেটা কতদিনের সেটা আমরা জানাবো।

জামায়াতের আমির বলেন, আমরা দুটি প্রস্তাব করেছি। প্রথমটি সংস্কার কত দিনে হবে? দ্বিতীয়টি নির্বাচন কবে হবে? তবে নির্বাচন থেকে সংস্কার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ৯ অক্টোবর জামায়াতে ইসলাম রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা তুলে ধরবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, (শনিবার) বিকাল সাড়ে তিনটায় গণতন্ত্র মঞ্চ এবং বিকাল চারটায় বাম গণতান্ত্রিক জোট, বিকাল সাড়ে চারটায় হেফাজতে ইসলাম, পাঁচটায় ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ, সাড়ে ৫টায় এবি (আমার বাংলাদেশ) পার্টির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপের সময় নির্ধারিত ছিল।

হযরত ইউসুফ ( আঃ) কে কুয়োতে ফেলে দেওয়ার ঘটনা

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:২২ এএম
হযরত ইউসুফ ( আঃ) কে কুয়োতে ফেলে দেওয়ার ঘটনা

হযরত ইউসুফ (আঃ), যাঁর বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর, তিনি ছিলেন তাঁর পিতা নবী হযরত ইয়াকুব (আঃ)-এর অত্যন্ত আদরের কলিজার টুকরা। ভাইয়েরা এই কারণে তাঁকে হিংসা করত। একদিন তারা এক ষড়যন্ত্র করল।
কূপে নিক্ষেপ ও জিব্রাইলের (আঃ) রক্ষা
ভাইয়েরা পরিকল্পনা করল—ইউসুফকে দূরে কোথাও খেলার জন্য নিয়ে যাবে। পথে ইউসুফ (আঃ) তাদের গন্তব্য জিজ্ঞাসা করলেও উত্তর ছিল কেবল নীরবতা।
যখন তারা এক গভীর কুয়োর কাছে পৌঁছাল, তখন জালিম ভাইয়েরা ইউসুফকে জোর করে ধরে কুয়োর মধ্যে ফেলে দিল। ইউসুফ (আঃ) অসহায়ভাবে বললেন: “হে আল্লাহ! সবাই আমার সঙ্গ ছেড়ে দিয়েছে, তারপরেও তুমিই আমার রব!”
আল্লাহ তা’আলা তৎক্ষণাৎ হযরত জিব্রাইল (আঃ)-কে হুকুম দিলেন: “যাও, আমার নবীকে সাহায্য কর!”
ইউসুফ (আঃ) নিচে পড়ে যাওয়ার আগেই হযরত জিব্রাইল (আঃ) তাঁকে ধরে ফেললেন। জিব্রাইল (আঃ) বললেন: “ইউসুফ, ভয় পেও না, আমি আছি। একদিন এই ভাইয়েরা তোমার কাছে মাথা নত করবে।”
ভাইয়েরা ও মিথ্যা ছলনা
ইউসুফ (আঃ)-কে কূপে নিক্ষেপ করে ভাইয়েরা তাদের বাবা ইয়াকুব (আঃ)-এর কাছে গিয়ে মিথ্যা গল্প তৈরি করল। তারা রাতে কাঁদতে কাঁদতে পিতার কাছে এল এবং বললো: “হে পিতা! আমরা দৌড় প্রতিযোগিতা করছিলাম এবং ইউসুফকে আসবাবপত্রের কাছে বসিয়ে রেখেছিলাম। এমতাবস্থায় তাকে বাঘে খেয়ে ফেলেছে!”
তাদের কথা বিশ্বাস করানোর জন্য তারা বাড়িতে যাওয়ার পথে একটি ছাগল জবাই করে ইউসুফের কাপড়ে রক্ত মাখিয়ে আনল।
পবিত্র কোরআনে তাদের ছলনার কথা বর্ণিত হয়েছে: “তারা তার মিথ্যা রক্ত মাখানো জামা হাজির করল।”
ইয়াকুব (আঃ) তখন তাঁর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে বুঝলেন, এ তাদের ছলনা। তিনি বললেন: “কখনোই নয়! বরং তোমাদের মন তোমাদের জন্য একটা কথা তৈরী করে দিয়েছে। এখন সবর করাই শ্রেয়। তোমরা যা কিছু বললে তাতে আল্লাহই আমার একমাত্র সাহায্যস্থল।” (সূরা ইউসুফ, আয়াত: ১৬-১৮)
কুয়ো থেকে উদ্ধার ও মিশরের বাজারে
ভাইয়েরা ইউসুফ (আঃ)-কে কূপে ফেলে চলে যাওয়ার পর তিনি প্রায় তিন দিন একা সেই অন্ধকার কূপে রইলেন।
এরপর হঠাৎ সিরিয়া থেকে মিশরগামী একটি ব্যবসায়ী কাফেলা সেই কূপের পাশে যাত্রা বিরতি নিল। পিপাসা নিবারণের জন্য তারা কূপে বালতি ফেলল। বালতি তোলার পর দেখল—বালতিতে পানি নেই, পানির পরিবর্তে উঠে এসেছে সুন্দর এক বালক!
যিনি বালতি ফেলেছিলেন, তিনি অনিন্দ্য সুন্দর এই বালককে দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে বলে উঠলেন: “কী আনন্দের কথা! এ যে সুন্দর এক বালক!”
সেই যুগে মানুষ পণ্যের মতো বেচা-কেনা হতো। তাই তারা বালক ইউসুফ (আঃ)-কে দেখে মালিকবিহীন পণ্যদ্রব্য মনে করে লুকিয়ে ফেলল।
মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা
অন্ধকূপ থেকে উদ্ধার করে ব্যবসায়ী কাফেলা ইউসুফ (আঃ)-কে বিক্রির জন্য মিশরের বাজারে নিয়ে এলো। মানুষ কেনা-বেচার সেই হাটে এই অনিন্দ্য সুন্দর বালককে দেখে বিত্তশালী খরিদ্দাররা রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু করল।
কিন্তু আল্লাহ তাঁকে মর্যাদার স্থানে সমুন্নত করতে চেয়েছিলেন। সব খরিদ্দারকে ডিঙিয়ে মিশরের তৎকালীন অর্থ ও রাজস্বমন্ত্রী ক্বিৎফীর তাঁকে চড়ামূল্যে খরিদ করে নিলেন। ক্বিৎফীর ছিলেন নিঃসন্তান।
তিনি ইউসুফ (আঃ)-কে ক্রয় করে নিজের স্ত্রীর হাতে সমর্পণ করলেন এবং বললেন: “একে সম্মানজনকভাবে থাকার ব্যবস্থা কর। সম্ভবত, সে আমাদের কল্যাণে আসবে অথবা আমরা তাকে পুত্ররূপে গ্রহণ করে নেব।”
ইউসুফ (আঃ)-এর সুন্দর চেহারা ও নম্র-ভদ্র ব্যবহারে তাদের মধ্যে সন্তানের মমতা জেগে উঠেছিল। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে: “এভাবে আমরা ইউসুফকে সেদেশে প্রতিষ্ঠিত করলাম এবং এজন্যে যে তাকে আমরা বাক্যাদির পূর্ণ মর্ম অনুধাবনের পদ্ধতি বিষয়ে শিক্ষা দেই। আল্লাহ স্বীয় কর্মে সর্বদা বিজয়ী। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না।” (সূরা ইউসুফ, আয়াত: ২১)
শিক্ষা:
আল্লাহ্‌র পরীক্ষা কঠিন হতে পারে, কিন্তু তাঁর বান্দার প্রতি সাহায্য অলৌকিকভাবে আসে। বিদ্বেষ ও ছলনা কখনোই সফল হয় না; বরং আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাদেরকে শেষ পর্যন্ত মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেন।

ঈমান ও পরীক্ষা

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:২০ এএম
ঈমান ও পরীক্ষা

মদিনার এক যুবক ছিল, নাম তার আবদুল্লাহ। ছোটবেলা থেকেই সে নামাজ পড়ে, আল্লাহর প্রেমে বড় হয়ে উঠেছে। কিন্তু জীবনের এক সময় তার ঈমান কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হলো।
একদিন তার ব্যবসায় বড় ক্ষতি হলো। বন্ধুরা বলল,
“তুই আল্লাহর ওপর এত ভরসা করিস, তবু তো কিছুই ঠিক হচ্ছে না! আস, আমাদের মতো শর্টকাটে আয় কর, দুনিয়ায় সুখে থাক।”
আবদুল্লাহর মনে দ্বন্দ্ব তৈরি হলো। সে একা বসে কাঁদছিলো। তখন তার মা কাছে এসে বললেন,
“বাবা, আমি তোমাকে একটি সূরা শুনাতে চাই — সূরা আন-কাবুত।”
তিনি কুরআন খুলে পড়তে লাগলেন—
“মানুষ কি মনে করে যে, তারা শুধু ‘আমরা ঈমান এনেছি’ বললেই তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না?” (সূরা আন-কাবুত: আয়াত ২)
এই আয়াত শুনে আবদুল্লাহর হৃদয়ে আলো জ্বলে উঠল। সে বুঝল—আল্লাহ যাদের ভালোবাসেন, তাদেরকে পরীক্ষা করেন। যেমন একটি মাকড়সা তার দুর্বল জাল তৈরি করে, তেমনি মানুষ যদি আল্লাহর পরিবর্তে দুনিয়ার উপর ভরসা করে, তার ভরসাও ভেঙে যাবে।
আবদুল্লাহ ধৈর্য ধরল, হার মানল না। সে আবার সৎ পথে ব্যবসা শুরু করল। মাসের পর মাস কেটে গেল, অবশেষে আল্লাহ তাকে বরকত দিলেন।
একদিন এক বন্ধু এসে জিজ্ঞেস করল,
“তুই কীভাবে এত ধৈর্য ধরলি?”
আবদুল্লাহ মুচকি হেসে বলল,
“সূরা আন-কাবুত আমাকে শিখিয়েছে—সত্যিকার বিশ্বাস মানে পরীক্ষায় টিকে থাকা। মাকড়সার জাল যেমন দুর্বল, তেমনি দুনিয়ার ভরসাও অস্থায়ী। কিন্তু আল্লাহর ভরসা সর্বদা অটল।”
এই গল্প আমাদের শেখায় যে, ঈমান শুধু মুখে বলা নয়। বাস্তব পরীক্ষার মধ্য দিয়েই তা প্রমাণিত হয়। ধৈর্য, নির্ভরশীলতা, এবং আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখাই আমাদের জীবনের শক্তি।
শিক্ষা
সত্যিকারের ঈমান মানে পরীক্ষার সময় হার না মানা। দুনিয়ার ভরসা অস্থায়ী, কিন্তু আল্লাহর ওপর ভরসা স্থায়ী। ধৈর্য ধরো, চেষ্টা চালাও, আর আল্লাহর ওপর আস্থা রাখো।

হযরত ঈসা (আঃ) এক অলৌকিক নবীর গল্প

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:১৯ এএম
হযরত ঈসা (আঃ) এক অলৌকিক নবীর গল্প

✨ আলৌকিক নবী: হযরত ঈসা (আঃ)-এর জন্ম ও মহান মুজিযা 🕊️
আল্লাহ তা’আলা যুগে যুগে মানুষের হিদায়াতের জন্য নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন হযরত ঈসা (আঃ), যিনি সম্পূর্ণ অলৌকিক উপায়ে পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন।
অলৌকিক জন্ম
হযরত ঈসা (আঃ)-এর মা হযরত মারইয়াম (আঃ) ছিলেন অত্যন্ত পরহেজগার ও আল্লাহর ভীরু নারী। একদিন ফেরেশতা হযরত জিব্রাইল (আঃ) তাঁর কাছে এসে বললেন: “আল্লাহ তোমাকে একটি পবিত্র সন্তান দান করবেন।”
মারইয়াম (আঃ) বিস্ময় নিয়ে বললেন: “হে আমার রব, কীভাবে আমার সন্তান হবে? অথচ কোনো মানুষ আমাকে স্পর্শ করেনি!”
ফেরেশতা উত্তর দিলেন: “এভাবেই আল্লাহ যা চান, সৃষ্টি করেন। তিনি যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তখন তাকে শুধু বলেন, ‘হও’, ফলে তা হয়ে যায়।” (সূরা আলে-ইমরান ৪৫-৪৭)
“সে দোলনায় থাকা অবস্থায় এবং পরিণত বয়সে মানুষের সাথে কথা বলবে এবং সে হবে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত।” সূরা আলে-ইমরান-৪৬
আল্লাহ তা’আলা কোনো পিতা ছাড়াই তাঁকে সৃষ্টি করার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর জন্ম ছিল আল্লাহর মহান কুদরতের এক উজ্জ্বল নিদর্শন।
দোলনায় কথা বলা
জন্মের পরেই যখন সমাজের লোকেরা মারইয়াম (আঃ)-কে দোষারোপ করতে শুরু করল, তখন এক অলৌকিক ঘটনা ঘটল। নবজাতক ঈসা (আঃ) কথা বলে উঠলেন!
তিনি বললেন: “নিশ্চয়ই আমি আল্লাহর বান্দা। তিনি আমাকে কিতাব দান করেছেন এবং নবী করেছেন।” (সূরা মারইয়াম ১৯:৩০)
“সে (ঈসা) বলল, ‘আমি তো আল্লাহর বান্দা। তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং আমাকে নবী করেছেন’”, যা ঈসা (আঃ)-এর শৈশবে আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত সম্মান ও মর্যাদার ঘোষণা।
এই অলৌকিক ঘটনা সবাইকে হতবাক করে দিল।
মুজিযা ও দাওয়াত
সময়ের সাথে তিনি বড় হতে লাগলেন। আল্লাহ তাঁকে শিক্ষা, প্রজ্ঞা এবং বহু অলৌকিক ক্ষমতা দান করলেন। আল্লাহর অনুমতিতে তিনি:
অসুস্থকে সুস্থ করতেন।
অন্ধকে চোখের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতেন।
মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করতেন। (সূরা আলে ইমরান ৩:৪৯)
ঈসা (আঃ)-এর মুজিযা ও নবুয়তের প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে তিনি আল্লাহর হুকুমে কাদা দিয়ে পাখির আকৃতি তৈরি করে ফুঁকে দেন, জন্মান্ধ ও কুষ্ঠরোগীকে সুস্থ করেন, মৃতকে জীবিত করেন এবং মানুষ যা খায় ও জমা রাখে তা বলে দেন, যা তাঁর রিসালাতের সুস্পষ্ট নিদর্শন।
হযরত ঈসা (আঃ) মানুষকে এক আল্লাহর ইবাদতের দিকে ডাক দিতেন: “নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক। সুতরাং তোমরা তাঁরই ইবাদত কর। এটাই সরল পথ।” (সূরা আলে ইমরান ৩:৫১)
এই আয়াতটি আল্লাহ্‌র একত্ববাদ (তাওহিদ) এবং একমাত্র তাঁরই ইবাদতের গুরুত্বের উপর জোর দেয়, যা ইসলামে সরল ও সঠিক পথ হিসেবে পরিচিত।
সরল পথ: একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করাই হলো ‘সিরাতুল মুস্তাকীম’ বা সরল পথ, যা মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করে।
আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তন
কিন্তু কিছু লোক তাঁকে বিশ্বাস করলো না। বরং তাঁর বিরোধিতা করলো এবং তাঁকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করলো। তবে আল্লাহ তাঁকে রক্ষা করলেন এবং নিজস্ব কুদরতে জীবিত অবস্থায় তাঁকে নিজের নিকট উঠিয়ে নিলেন। (সূরা আন-নিসা ৪:১৫৭-১৫৮)
কিয়ামতের আগে প্রত্যাবর্তন
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উম্মতকে সুসংবাদ দিয়েছেন: “আমি সেই সময় খুব নিকটে যখন মরিয়মের পুত্র ঈসা তোমাদের মাঝে ন্যায় শাসক হয়ে অবতরণ করবেন। তিনি ক্রুশ ভেঙ্গে ফেলবেন, শূকরের মাংস নিষিদ্ধ করবেন এবং জিযিয়া (কর) তুলে দিবেন।” (সহীহ বুখারী, হাদীস ২৪৭৬)
কিয়ামতের আগে তিনি আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। সত্যধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবেন, দাজ্জালকে হত্যা করবেন, এবং পৃথিবীতে শান্তি ও ন্যায়ের রাজত্ব কায়েম করবেন।
শিক্ষা:
হযরত ঈসা (আঃ)-এর জীবন প্রমাণ করে যে, আল্লাহর কুদরত সীমাহীন। আল্লাহর ইচ্ছায়ই অলৌকিক ঘটনা ঘটে এবং শেষ পরিণতি আল্লাহর হাতেই নির্ধারিত।