মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

মহানায়ক উত্তম কুমার

অশোক বসু প্রকাশিত: বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫, ৩:৫০ পিএম | 120 বার পড়া হয়েছে
মহানায়ক উত্তম কুমার

একদিন মহানায়ক উত্তম কুমারের বাড়িতে ক্লাস সেভেন এর একটি ছেলে এসেছিল। মেদিনীপুর জেলার একটি গ্রাম থেকে। তাকে গ্রামের কেউ একজন বলেছিল, এই ঠিকানায় এসে আবেদন করলে তার পড়ার খরচ পেয়ে যাবে। ছেলেটি সরাসরি চলে এসেছিল উত্তম কুমারের ময়রা স্ট্রিটের বাড়িতে। উত্তম কুমারের হয়ে এই ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার খরচ দেওয়ার ব্যাপারটা অনেকটা দেখতেন সুনীল রায়চৌধুরী । সেদিনও ছেলেটি এসে সুনীল বাবুর কাছে আর্জি জানিয়েছিল।
সুনীলবাবু তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, বাবা, হেডমাস্টার মশাইয়ের কাছ থেকে চিঠি লিখিয়ে এনেছো কি? ছেলেটি বলেছিল, না। হেডমাস্টারমশাইয়ের সঙ্গে তার কোন কথা হয়নি। পাড়ার এক কাকু তাকে ঠিকানাটা দিয়ে আসতে বলেছিল। তাই সে সরাসরি চলে এসেছে। সুনীলবাবু বললেন, কিন্তু বাবা হেডমাস্টার মশাইয়ের চিঠি ছাড়া আমরা তো কিছু করতে পারবো না। আমাদের তো একটা নিয়ম মেনে চলতে হয়। তুমি আজ ফিরে যাও গিয়ে হেডমাস্টার মশাইয়ের সঙ্গে দেখা করে বল একটা চিঠি লিখে দিতে। তারপর সেটা নিয়ে কাল চলে এসো। হয়ে যাবে, কোনও অসুবিধা হবে না ।
ছেলেটি আকুল হয়ে সুনীল বাবুকে বলল, আসতে যেতে অনেক গাড়ি ভাড়ার খরচ। আমার মা অন্য লোকের বাড়ি ধান ভাঙার কাজ করে । আমার মায়ের পক্ষে তো আর একবার গাড়ি ভাড়া দেওয়া খুব কঠিন। ছেলেটি যখন বারবার আকুতি জানাচ্ছে, তখন উত্তম কুমার ভেতরের ঘরে বসে সব শুনছিলেন। ঘরের থেকেই বললেন, সুনুদা ছেলেটাকে ভেতরে নিয়ে এসো তো। সুনীল বাবু ছেলেটিকে নিয়ে ভেতরে আসতে উত্তম কুমার বললেন তোমার মা এত কষ্ট করে গাড়ি ভাড়া দিয়ে পাঠিয়েছেন। কেন? তোমার বাবা নেই ? ছেলেটি মুখ নিচু করে বলেছিল, আছে। কিন্তু আমাদের কাছে থাকে না। আরেকজন মাকে বিয়ে করে অন্য জায়গায় থাকে। আমি তার কাছে কোনদিনও যাইনি। মা যেতে দেয় না। উত্তম কুমার জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তোমার স্কুলের মাইনে কে দেয়? ছেলেটি বলেছিল, আমার স্কুলে মাইনে লাগে না। আমি ক্লাসে ফার্স্ট হইতো তাই। ছেলেটির কথা শুনে কিছুক্ষণ থম মেরে বসে রইলেন উত্তম কুমার। তারপরে বললেন, তুমি একটু বসো। আমি আসছি। কিছুক্ষণ পরে একটা খামের মধ্যে কিছু টাকা এনে দিলেন। খামটা ছেলেটির হাতে দিয়ে বললেন, তোমাকে কাল আর হেডমাস্টারমশাইয়ের চিঠি নিয়ে আসতে হবে না। সামনের বছর রেজাল্ট বেরোনোর পর আবার এখানে চলে এসো।
পর্দার বাইরে এই মহানায়ককে আমরা কতজন চিনি ?
মহানায়ককে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি 🙏 🙏 🙏

“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

টঙ্গী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০৪ পিএম
“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

২০১৫ সালে ইতালি পাঠানোর নামে বাংলাদেশ থেকে ৪২ জনের পাসপোর্ট ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় ইব্রাহিম শেখ নামের এক প্রতারক। প্রতারণার সেই অঙ্ক তখনই দাঁড়িয়েছিল প্রায় দুই কোটি তিন লাখ টাকায়। এরপর থেকেই ইব্রাহিম যেন হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক চোরাকারবারির ‘প্রতীক’।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে অবৈধ পথে দালালের মাধ্যমে হংকং পাড়ি জমান তিনি। হংকংয়ে পৌঁছেই সেখানে গড়ে তোলেন একাধিক প্রতারণার নেটওয়ার্ক। ইউরোপ পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ, নকল আইফোন ও সোনা বিক্রি, এমনকি বাংলাদেশ থেকে নকল পণ্য পাচার—সবই চলতে থাকে একই ছকের ভেতরে।

স্থানীয় সূত্র বলছে, হংকং-এ অবস্থানকালে ইব্রাহিম একাধিক বিয়ে করেছেন পরিচয় গোপন করে। তার প্রতিটি প্রতারণার পেছনে ছিল সুপরিকল্পিত জালিয়াতি।

সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে, হংকং থেকে বাংলাদেশে ফিরেও থেমে থাকেননি এই ‘ন্যাশনাল প্রতারক’। আনুমানিক ১২৩ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে লুকিয়ে রেখেছেন একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এমনকি মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতারণা, মাদক, চোরাচালান—সবকিছুতে সম্পৃক্ত এই ইব্রাহিম এখন দেশের ভেতরেই অবস্থান করছেন ছদ্মবেশে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এতদিন ধরেই তার অপকর্ম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো? প্রতারিত পরিবারগুলো চাইছেন দ্রুত এই চক্রের মূলহোতা ইব্রাহিমকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হোক।

কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মো:স্বাধীন খান বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০১ পিএম
কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

বগুড়ার কাহালুতে জমির ড্রেনের পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে কর্নিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর। তাঁর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার।

কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

রুহুল আমিন, রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ১:৫৪ পিএম
কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

কুড়িগ্রাম সদরের হরিম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকার বেতারাঘাতে এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গত ৪ আগস্ট ২০২৫ ইং দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেনীর ক্লাসে হাসিনা খাতুন নামের এক শিক্ষিকা বেতারাঘাত করেন। এ সময় হাতে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে রাকিবুল হাসান রাকিবকে বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাটিয়ে দেয়া হয়। এর পর বাড়িতে হাত ফুলে গিয়ে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে তাকে সন্ধ্যায় তার অভিভাবক কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। রাকিব বলেন, হাসিনা আপা বড় বড় তিনটি প্রশ্ন লেখতে বলেন। আমি একটু পড়ে লেখতে চাইলেই বেত দিয়ে আমাকে খুব জোড়ে মারেন।এখন আমার হাতে অনেক ব্যাথা হচ্ছে। রাকিবের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, আমার ছেলেকে পড়া-লেখা শিখানোর জন্য স্কুলে দিয়েছি। শিক্ষকের মার খেয়ে হাসপাতালে আসার জন্য নয়। আমি এর বিচার চাই। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন,ঘটনার সময় আমি স্কুলের বাহিরে ছিলাম। শুনেছি হাসিনা বেত দিয়ে মেরেছে এতেই রাকিব ব্যাথা পায়। হাসিনা বেগম বলেন, আমি তাকে পড়ার জন্য মারিনি,মেরেছি নির্দাশিকা লাঠি দিয়ে দুষ্টুমি করার জন্য। উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলহাজ্ব বুলবুল হোসেন বলেন,আমি আমার অফিসের এক স্টাফ এর নিকট বিষয়টি শুনলাম। প্রধান শিক্ষিকাকে ফোনে পাইনি। কাল ছুটি আছে অফিস খুললেই জেনে ব্যবস্তা নিবো।

error: Content is protected !!