সোমবার, ৫ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২
সোমবার, ৫ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২

বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক লিটন, ফিরলেন শান্ত-হৃদয়

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ৪ মে, ২০২৫, ৫:৫৩ পিএম | 60 বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক লিটন, ফিরলেন শান্ত-হৃদয়

পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরা সফরে আসন্ন দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ সামনে রেখে ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন লিটন দাস। আসন্ন পাকিস্তান-আমিরাত সিরিজে লিটনের সহ অধিনায়ক হিসেবে কাজ করবেন শেখ মেহেদী হাসান।

২০২৪-এর ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে লিটন নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলকে। ২০ ওভারের ক্রিকেটে লম্বা মেয়াদেই অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। লিটনকে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত অধিনায়ক করেছে বিসিবি। বিষয়টি আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম।

আমিরাত-পাকিস্তান সফর দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফিরেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়। সবশেষ তাঁরা বাংলাদেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন গত বছরের অক্টোবরে ভারতের বিপক্ষে। শান্ত অবশ্য টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিয়মিত ছিলেন না। সবশেষ বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন শান্ত ফরচুন বরিশালের নিয়মিত একাদশেই জায়গা পাননি।

টপ অর্ডারে থাকছেন সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমনের মতো বাঁহাতিরা। লিটনের সঙ্গে উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসেবে থাকবেন জাকের আলী অনিক। শেষের দিকে ঝড় তুলতে জাকেরের সঙ্গে থাকছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী।

পাকিস্তান-আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল

লিটন দাস (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, শামিম হোসেন পাটোয়ারী, জাকের আলী অনিক, মোস্তাফিজু্র রহমান, শেখ মেহেদী হাসান (সহ অধিনায়ক), নাহিদ রানা, তানজিম হাসান সাকিব, শরীফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, হাসান মাহমুদ

চাঁদপুরে হত্যা মামলায় ২০ বছরের মতো কারাভোগ করেন এক বৃদ্ধা

মোঃ আনজার শাহ প্রকাশিত: সোমবার, ৫ মে, ২০২৫, ১০:৩৭ এএম
চাঁদপুরে হত্যা মামলায় ২০ বছরের মতো কারাভোগ করেন এক বৃদ্ধা

চাঁদপুরে একটি হ*ত্যা মামলায় ২০ বছরের মত কারাভোগ করার পর আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হয়
শতবর্ষী এক নারী -অহিদুন্নেসা।

তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর ছাড়া পেয়েছেন কাশিমপুর জেল থেকে।কারা কর্তৃপক্ষ বলছে,
ছাড়া পাওয়ার সময় যারা তার মুক্তির জন্য ভূমিকা রেখেছেন,অহিদুন্নেসা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কা’রাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, কা’রাগারের ভেতরেই মা’রা যেতে হয় কিনা এরকম একটা বিষয় তার মাথায় সবসময় কাজ করতো।
যেহেতু তার অনেক বয়স হয়েছিলো, তার চলাফেরায় অসুবিধা হতো,
কিন্তু মুক্তি পাওয়ার আগেই দৃষ্টিশক্তি প্রায় পুরোটাই হারিয়ে ফেলেছেন অহিদুন্নেসা।

জেলে থাকা অবস্থাতেই স্বামী ও এক সন্তানকে হারিয়েছেন। তবে মৃ’ত্যুর আগে অন্তত মু’ক্তির স্বাদ পেলেন।

সোনার বাংলাদেশে অহিদুন্নেসার মতো হাজারো নিরীহ মানুষ কে, মিথ্যে মা’মলা দিয়ে প্রতিদিনেই ফাঁ’সানো হয়।

আমি সব সময় সত্য আর ন্যায়ের পক্ষে কথা বলি

বৈরাগী প্রকাশিত: সোমবার, ৫ মে, ২০২৫, ১০:২৫ এএম
আমি সব সময় সত্য আর ন্যায়ের পক্ষে কথা বলি

আমি বৈরাগী– আমি সব সময় সত্য আর ন্যায়ের পক্ষে কথা বলি।
কে কি ভাবলো তাতে আমার কিছু যায় আসে না। অন্যায় দেখলে আমি চুপ থাকতে পারি না ——- আমি প্রতিবাদ করি, করব।
.
আমি কাউকে ভুল পথে যেতে দেই না, আমি ভালো পরামর্শ দেওয়ার চেস্টা করি , যদিও আমার জ্ঞানের পরিধি খুবি সামান্য – বলতে গেলে জ্ঞান বা ট্যালেন্ট আমার নাই বললেই চলে ।
.
আমার দেশের প্রতি আমার ভালোবাসা সীমাহীন।
সবার আগে আমার দেশ, তার পর দেশের মানুষ। আমি যেটা জনগণের পক্ষে ভালো, সেটাই বলি আর সেটাই করি।
.
কারো চাপ, ভয় বা চাটুকারিতা আমার ভিতরে নাই। আমি যা ঠিক মনে করি, সেইটাই বলি — গলা উঁচু করে বলি।
.
আমি বিশ্বাস করি, একটা মানুষ যদি সৎ পথে থাকে, তার পেছনে একদিন পুরো জাতি দাঁড়ায়।
.
তাই আমি আছি, থাকবো — সত্য আর ন্যায়ের পাশে, দেশের পক্ষে, মানুষের পাশে।
.

ফেমডম সেশন নামে গোপন ব্যবসা

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৫ মে, ২০২৫, ১০:২৪ এএম
ফেমডম সেশন নামে গোপন ব্যবসা

‘ফেমডম সেশন’ শব্দটার সাথে আগে পরিচিত ছিলাম না। একটি খবর দেখে কৌতূহল তৈরি হয়—দুই নারী গ্রেফতার হয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা ‘ফেমডম সেশন’-এর নামে নির্যাতন চালিয়েছেন এবং সেই দৃশ্য ধারণ করে ছড়িয়েছেন। এ নিয়ে একটু খোঁজ-খবর শুরু করতেই চমকে উঠি। এ কেবল কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—এমন এক অজানা জগৎ, যেখানে ব্যবসাও চলছে, অথচ অধিকাংশ মানুষ এর নামটিই জানে না।

সামাজিক মাধ্যমে ফেমডম সেশন দিয়ে সার্চ করে একজন ‘মিস্ট্রেসকে’ খুজে পেলাম, যিনি ফেমডম সেশন করান। তার আইডিতে ঢু মেরে মনে হলো আমি দিন দুনিয়া সম্পর্কে কিছুই জানি না। এটাও যে একটা ব্যবসা হতে পারে, ধারণার বাইরে। এটাকে একটা শিল্পে পরিণত করেছেন ওই মিস্ট্রেস। এক ঘণ্টা বা একদিনের চাকর হতে ওই মিস্ট্রেককে টাকা দিয়ে তার কাছে যেত স্লেভরা। হাউ কাম… ( ১ ঘণ্টা ৬ হাজার)। যাই হোক আগ্রহ নিয়ে ঘাটাঘাটি করে এখন কিছুটা বিজ্ঞ হয়েছি এ বিষয়ে।

ফেমডম মানে নারী কর্তৃত্বে যৌন সম্পর্কের খেলা। এটি BDSM ধারার একটি শাখা, যেখানে নারী ‘ডমিন্যান্ট’ এবং পুরুষ বা অংশগ্রহণকারী সহায়ক ভূমিকা পালন করেন। এতে অনেক সময় চাবুক দিয়ে আঘাত, শরীর বেঁধে ফেলা, আদেশ-নির্দেশ, এমনকি অপমানও থাকে—তবে সবার সম্মতিতে এবং পূর্বনির্ধারিত নিয়মে।

পশ্চিমে এই ধরনের সেশন ‘প্রফেশনাল ডমিনাট্রিক্স’-এর মাধ্যমে হয়ে থাকে, যারা টাকার বিনিময়ে এই কাজ করেন, আবার অনেকে নিছক ব্যক্তিগত আনন্দের জন্যও করেন।

এই ঘটনাটি আমাদের এক জটিল প্রশ্নের সামনে দাঁড় করায়—সম্মতি থাকলেই কি সব বৈধ? বাংলাদেশে যেখানে যৌনতা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা অনুপস্থিত, সেখানে এমন একটি গোপন ব্যবসার অস্তিত্ব সত্যিই বিস্ময় জাগায়। কিন্তু যখন এই খেলার ভিডিও ধারণ করা হয়, তা অনলাইনে ছড়ানো হয় বা টাকার বিনিময়ে সেবা দেওয়া হয়, তখন তা খুব সহজেই পর্নোগ্রাফি, পতিতাবৃত্তি ও নির্যাতনের অভিযোগে পরিণত হতে পারে।

খোজাখুজি করে দেখতে পেলাম—গোপন ফেসবুক গ্রুপ, টেলিগ্রাম চ্যানেল কিংবা হোয়াটসঅ্যাপে অনেক সেবা প্রদানকারী নিজেদের ‘ডমিনেট্রিক্স’ বা ‘মিস্ট্রেস’ পরিচয়ে উপস্থাপন করছেন। কিছু মানুষ এটিকে আধুনিক বিকল্প যৌনচর্চা ভাবলেও, অনেকে এটিকে মানবদেহের পণ্যায়ন বা মনস্তাত্ত্বিক শোষণ হিসেবে দেখেন।

যাই হোক, সমাজের অজানা গলি-ঘুপচিতে অনেক কিছু ঘটে—কখনো আনন্দের মোহে, কখনো অর্থের প্রলোভনে। ফেমডম সেশন তারই একটি প্রতিফলন—যা আমাদের জানার সীমা ঠেলে দেয় আরও গভীরে।

error: Content is protected !!