মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

বাংলাদেশের সমসাময়িক প্রেক্ষাপট

মোঃ আব্দুল কাদের তাড়াশ কলেজ, তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ প্রকাশিত: শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ৯:০৪ এএম | 345 বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের সমসাময়িক প্রেক্ষাপট

৫ আগষ্টের পর আমরা এমন এক সময়ে দাঁড়িয়ে আছি, যখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশ্বাস, সম্মান এবং নেতৃত্বের একটি নতুন রূপ গঠনের প্রয়োজনীয়তা দৃশ্যমান। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান দলের অবস্থানকে দেশের সবচেয়ে সম্মানিত ও বিশ্বস্ত রাজনৈতিক শক্তিতে রূপান্তরের যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, তা বাস্তবায়নের মূল ভিত্তি হতে পারে তিনটি গুণ: যোগ্যতা, সততা ও নৈতিকতা। আজ এই গুণগুলোর তাৎপর্য ও প্রাসঙ্গিকতা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করব।
সাফল্য কখনোই কাকতালীয়ভাবে আসে না। এটি আসে সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা, দলীয় ঐক্য এবং ব্যক্তিগত নিষ্ঠার সম্মিলন থেকে। একজন নেতার যোগ্যতা, একজন কর্মীর সততা এবং পুরো দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা—এই সমন্বয়ই একটি সংগঠনকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। সাফল্যের চাবিকাঠি হলো যখন আমরা সবাই এক লক্ষ্যে অটল থেকে নীতিনিষ্ঠভাবে এগিয়ে চলি। এটি আমাদের একক প্রচেষ্টার ফসল নয়, বরং সম্মিলিত নৈতিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ।
যোগ্যতা এমন একটি গুণ, যা একজন ব্যক্তির দক্ষতা, জ্ঞান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতাকে তুলে ধরে। এটি কেবল শিক্ষাগত যোগ্যতার সীমায় আবদ্ধ নয়, বরং বাস্তব অভিজ্ঞতা ও সমস্যার সমাধান দেওয়ার সক্ষমতাও এর অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে, সততা এমন এক নৈতিক অবস্থান, যা ব্যক্তি ও দলের প্রতি মানুষের আস্থা ও শ্রদ্ধা গড়ে তোলে। যোগ্যতা এবং সততার এই যুগলবন্দি আমাদের প্রতিদিনের কর্মকে আরও পেশাদার ও নির্ভরযোগ্য করে তোলে। এই দুই গুণ যখন একজন ব্যক্তির মধ্যে সঞ্চারিত হয়, তখন সে কেবল নিজের ক্যারিয়ারেই নয়, সংগঠনের ভাবমূর্তিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
নৈতিকতা একটি আদর্শ জীবনের চালিকাশক্তি। এটি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত গুণ নয়, বরং একটি প্রতিষ্ঠানের প্রাণ। রাজনীতি বা পেশাগত জীবনে নৈতিক বিচ্যুতি আমাদের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। অন্যায় ও অনিয়ম থেকে নিজেকে দূরে রাখা কেবল নৈতিক দায়িত্ব নয়, এটি আমাদের পেশাগত ও ব্যক্তিগত উন্নতির পূর্বশর্ত। সততার আলো আমাদের চিন্তাভাবনাকে যেমন আলোকিত করে, তেমনি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ পরিবেশকেও করে শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত।
একক প্রচেষ্টায় কোনো বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। প্রকৃত সাফল্য আসে দলগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহানুভূতি ও আস্থা—এই মানসিকতা একটি সংগঠনকে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে নিয়ে যায়। যখন দলীয় সদস্যরা একে অপরকে সম্মান করেন, সহায়তা করেন এবং সৎ উদ্দেশ্যে কাজ করেন, তখনই একটি সংগঠন তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। যোগ্যতা আর সততার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আমরা একসাথে গড়ে তুলতে পারি একটি আদর্শ রাজনীতি ও সমাজ।
এমনকি ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার উন্নয়নের ক্ষেত্রেও এই গুণগুলো অপরিহার্য। প্রতিদিন নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করা, সততার অনুশীলন এবং নৈতিকতা রক্ষা করা – এই অভ্যাসই একজন ব্যক্তিকে উচ্চতর পর্যায়ে উন্নীত করে। যখন প্রতিটি সদস্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে উন্নত হন, তখন দল ও প্রতিষ্ঠান উভয়ই সম্মিলিতভাবে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে। এভাবে যদি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি সুশৃঙ্খল ও আস্থাভাজন রাজনৈতিক শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে, তবে জাতিও পেতে পারে একটি গঠনমূলক নেতৃত্ব। কারণ, বর্তমানে এদেশের জনগণ এই দলটির উপরই আস্থাভাজন হয়ে আছে।
সবশেষে বলা যায়, বাংলাদেশ এখন একটি নৈতিক ও নেতৃত্বের পুনর্জাগরণের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। এই পরিবর্তনকে সফল করতে হলে আমাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যোগ্যতা, সততা ও নৈতিকতা ধারণ করতে হবে। রাজনীতিতে যদি আমরা এই গুণগুলো প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কেবল একটি দল হিসেবে নয়, বরং একটি আদর্শিক শক্তি হিসেবে জাতির শ্রদ্ধা অর্জন করবে। আমাদের যাত্রা হোক আলোর দিকে; যোগ্যতা, সততা ও নৈতিকতার দীপ্ত পথে। আমরা আশাবাদী, হতাশ নই।

“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

টঙ্গী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০৪ পিএম
“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

২০১৫ সালে ইতালি পাঠানোর নামে বাংলাদেশ থেকে ৪২ জনের পাসপোর্ট ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় ইব্রাহিম শেখ নামের এক প্রতারক। প্রতারণার সেই অঙ্ক তখনই দাঁড়িয়েছিল প্রায় দুই কোটি তিন লাখ টাকায়। এরপর থেকেই ইব্রাহিম যেন হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক চোরাকারবারির ‘প্রতীক’।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে অবৈধ পথে দালালের মাধ্যমে হংকং পাড়ি জমান তিনি। হংকংয়ে পৌঁছেই সেখানে গড়ে তোলেন একাধিক প্রতারণার নেটওয়ার্ক। ইউরোপ পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ, নকল আইফোন ও সোনা বিক্রি, এমনকি বাংলাদেশ থেকে নকল পণ্য পাচার—সবই চলতে থাকে একই ছকের ভেতরে।

স্থানীয় সূত্র বলছে, হংকং-এ অবস্থানকালে ইব্রাহিম একাধিক বিয়ে করেছেন পরিচয় গোপন করে। তার প্রতিটি প্রতারণার পেছনে ছিল সুপরিকল্পিত জালিয়াতি।

সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে, হংকং থেকে বাংলাদেশে ফিরেও থেমে থাকেননি এই ‘ন্যাশনাল প্রতারক’। আনুমানিক ১২৩ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে লুকিয়ে রেখেছেন একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এমনকি মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতারণা, মাদক, চোরাচালান—সবকিছুতে সম্পৃক্ত এই ইব্রাহিম এখন দেশের ভেতরেই অবস্থান করছেন ছদ্মবেশে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এতদিন ধরেই তার অপকর্ম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো? প্রতারিত পরিবারগুলো চাইছেন দ্রুত এই চক্রের মূলহোতা ইব্রাহিমকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হোক।

কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মো:স্বাধীন খান বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০১ পিএম
কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

বগুড়ার কাহালুতে জমির ড্রেনের পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে কর্নিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর। তাঁর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার।

কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

রুহুল আমিন, রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ১:৫৪ পিএম
কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

কুড়িগ্রাম সদরের হরিম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকার বেতারাঘাতে এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গত ৪ আগস্ট ২০২৫ ইং দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেনীর ক্লাসে হাসিনা খাতুন নামের এক শিক্ষিকা বেতারাঘাত করেন। এ সময় হাতে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে রাকিবুল হাসান রাকিবকে বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাটিয়ে দেয়া হয়। এর পর বাড়িতে হাত ফুলে গিয়ে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে তাকে সন্ধ্যায় তার অভিভাবক কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। রাকিব বলেন, হাসিনা আপা বড় বড় তিনটি প্রশ্ন লেখতে বলেন। আমি একটু পড়ে লেখতে চাইলেই বেত দিয়ে আমাকে খুব জোড়ে মারেন।এখন আমার হাতে অনেক ব্যাথা হচ্ছে। রাকিবের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, আমার ছেলেকে পড়া-লেখা শিখানোর জন্য স্কুলে দিয়েছি। শিক্ষকের মার খেয়ে হাসপাতালে আসার জন্য নয়। আমি এর বিচার চাই। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন,ঘটনার সময় আমি স্কুলের বাহিরে ছিলাম। শুনেছি হাসিনা বেত দিয়ে মেরেছে এতেই রাকিব ব্যাথা পায়। হাসিনা বেগম বলেন, আমি তাকে পড়ার জন্য মারিনি,মেরেছি নির্দাশিকা লাঠি দিয়ে দুষ্টুমি করার জন্য। উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলহাজ্ব বুলবুল হোসেন বলেন,আমি আমার অফিসের এক স্টাফ এর নিকট বিষয়টি শুনলাম। প্রধান শিক্ষিকাকে ফোনে পাইনি। কাল ছুটি আছে অফিস খুললেই জেনে ব্যবস্তা নিবো।

error: Content is protected !!