ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সব মুসলিম রাষ্ট্রের জন্য জিহাদ ফরজ


গাজায় চলমান ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোর নিষ্ক্রিয়তায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্বখ্যাত পাকিস্তানি ইসলামি চিন্তাবিদ এবং ওয়েফাকুল মাদারিসের প্রধান মুফতি তাকি উসমানি। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “যদি মুসলিম দেশগুলোর সেনাবাহিনী গাজায় মজলুমদের রক্ষায় জিহাদে অংশ না নেয়, তবে এই অস্ত্র ও বাহিনী রাখারই বা কী প্রয়োজন?”
জাতীয় ফিলিস্তিন সম্মেলনে বৃহস্পতিবার বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুফতি উসমানি শান্তিপূর্ণ উপায়ে ইসরায়েল এবং তাদের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ বর্জনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “বিক্ষোভ অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হতে হবে। জানমাল ধ্বংস করা ইসলামিক শরিয়াহ অনুযায়ী সম্পূর্ণ হারাম।”
তিনি পাকিস্তানের অবস্থান পুনরায় দৃঢ়ভাবে তুলে ধরে বলেন, “পাকিস্তান কখনোই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবে না। দেশটির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ইসরায়েলকে অবৈধ রাষ্ট্র ঘোষণা করেছিলেন, সেই অবস্থান আজও অটল।”
সম্মেলনে বিভিন্ন মাদ্রাসার শীর্ষ আলেমরা গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় তুলে ধরেন। বক্তারা জানান, এখন পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।
জেইউআই-এফ প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান বলেন, “ইসরায়েল একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্ব আজ নির্বিকার। নীরবতা ভেদ করে এবার সময় এসেছে সামরিক হস্তক্ষেপের।” তিনি বলেন, “শুধু বিবৃতি নয়, এবার জিহাদে নামার সময়।”
সাবেক সিনেটর মুশতাক আহমদ খান বলেন, “গাজায় গণহত্যা চলছে। ৫৭টি ইসলামি দেশের উচিত শুধু নিন্দা নয়, বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া।”
সম্মেলন শেষে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, “ইসরায়েলের আগ্রাসন একটি প্রকাশ্য গণহত্যা। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আদালতের নিষ্ক্রিয়তা নিন্দনীয়।” ঘোষণায় ফিলিস্তিনে জিহাদকে ধর্মীয় কর্তব্য হিসেবে চিহ্নিত করে বলা হয়, “সবচেয়ে নিকটস্থ মজলুমের সাহায্য ইসলামের শিক্ষা।”
সম্মেলনে আগামীকালকে ‘নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের দিবস’ হিসেবে পালনের ডাক দেওয়া হয় এবং মুসলিম বিশ্বের প্রতি ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার আহ্বান জানানো হয়।
ঘোষণায় আরও বলা হয়, “ফিলিস্তিন ও জেরুজালেমসহ পুরো অঞ্চল ঐতিহাসিকভাবেই ফিলিস্তিনিদের। ইসরায়েলি দখল অবৈধ।”