শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সব মুসলিম রাষ্ট্রের জন্য জিহাদ ফরজ

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ১:৩২ এএম | 63 বার পড়া হয়েছে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সব মুসলিম রাষ্ট্রের জন্য জিহাদ ফরজ

গাজায় চলমান ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোর নিষ্ক্রিয়তায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্বখ্যাত পাকিস্তানি ইসলামি চিন্তাবিদ এবং ওয়েফাকুল মাদারিসের প্রধান মুফতি তাকি উসমানি। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “যদি মুসলিম দেশগুলোর সেনাবাহিনী গাজায় মজলুমদের রক্ষায় জিহাদে অংশ না নেয়, তবে এই অস্ত্র ও বাহিনী রাখারই বা কী প্রয়োজন?”
জাতীয় ফিলিস্তিন সম্মেলনে বৃহস্পতিবার বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুফতি উসমানি শান্তিপূর্ণ উপায়ে ইসরায়েল এবং তাদের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ বর্জনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “বিক্ষোভ অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হতে হবে। জানমাল ধ্বংস করা ইসলামিক শরিয়াহ অনুযায়ী সম্পূর্ণ হারাম।”
তিনি পাকিস্তানের অবস্থান পুনরায় দৃঢ়ভাবে তুলে ধরে বলেন, “পাকিস্তান কখনোই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবে না। দেশটির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ইসরায়েলকে অবৈধ রাষ্ট্র ঘোষণা করেছিলেন, সেই অবস্থান আজও অটল।”
সম্মেলনে বিভিন্ন মাদ্রাসার শীর্ষ আলেমরা গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় তুলে ধরেন। বক্তারা জানান, এখন পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।
জেইউআই-এফ প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান বলেন, “ইসরায়েল একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্ব আজ নির্বিকার। নীরবতা ভেদ করে এবার সময় এসেছে সামরিক হস্তক্ষেপের।” তিনি বলেন, “শুধু বিবৃতি নয়, এবার জিহাদে নামার সময়।”
সাবেক সিনেটর মুশতাক আহমদ খান বলেন, “গাজায় গণহত্যা চলছে। ৫৭টি ইসলামি দেশের উচিত শুধু নিন্দা নয়, বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া।”
সম্মেলন শেষে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, “ইসরায়েলের আগ্রাসন একটি প্রকাশ্য গণহত্যা। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আদালতের নিষ্ক্রিয়তা নিন্দনীয়।” ঘোষণায় ফিলিস্তিনে জিহাদকে ধর্মীয় কর্তব্য হিসেবে চিহ্নিত করে বলা হয়, “সবচেয়ে নিকটস্থ মজলুমের সাহায্য ইসলামের শিক্ষা।”
সম্মেলনে আগামীকালকে ‘নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের দিবস’ হিসেবে পালনের ডাক দেওয়া হয় এবং মুসলিম বিশ্বের প্রতি ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার আহ্বান জানানো হয়।
ঘোষণায় আরও বলা হয়, “ফিলিস্তিন ও জেরুজালেমসহ পুরো অঞ্চল ঐতিহাসিকভাবেই ফিলিস্তিনিদের। ইসরায়েলি দখল অবৈধ।”

মুন্সীগঞ্জে বাল্যবিবাহ ছড়িয়ে পরেছে তা নিয়ে সতর্ক বার্তা জেলা প্রশাসকের

মোঃ সুজন বেপারী প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১:৩০ এএম
মুন্সীগঞ্জে বাল্যবিবাহ ছড়িয়ে পরেছে তা নিয়ে সতর্ক বার্তা জেলা প্রশাসকের

– মুন্সীগঞ্জের জেলায় বাল্যবিবাহ ছড়িয়ে পরেছে স্কুল ও মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়েদের কে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে একশ্রেণির বখাটে ছেলেরা গোপনে কাজী অফিসে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পালিয়ে যায় এমন প্রশ্নের অভিযোগ উঠেছে সাধারণ জনসম্মুখেে তা এনিয়ে সতর্ক বার্তা জেলা প্রশাসক।

এছাড়াও রেজিস্ট্রারের বিভিন্ন জায়গায় বর ও কনের জন্মের তারিখ লিপিবদ্ধ করা হয় না। এমনকি বিবাহ পড়ানো ব্যক্তি, সাক্ষী, কনে ও কাজির সই ও থাকে না। বেআইনি প্রক্রিয়ায় অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের জন্য এ সব অভিনব কৌশল অবলম্বন করা হয় বলে কাজিদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের দুর্নীতি রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাল্যবিয়ে হলো অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির আনুষ্ঠানিক অথবা অনানুষ্ঠানিক বিয়ে। বাংলাদেশে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’ অনুযায়ী মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ এবং ছেলেদের ২১ বছর। এর আগে বিয়ে করলে সেটি বাল্যবিয়ে বলে গণ্য হবে।

বাল্যবিয়ের শাস্তি এই আইনের ৭ ধারায় বলা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক কোনও নারী বা পুরুষ বাল্যবিয়ে করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তার জন্য দুই বছর কারাদণ্ড অথবা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে উভয় দণ্ড পেলে অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এ ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনও নারী বা পুরুষ বাল্যবিয়ে করলে এক মাসের আটকাদেশ কিংবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় ধরনের শাস্তি পাবেন। বাল্যবিয়ে সংশ্লিষ্ট বাবা-মাসহ অন্যান্য অভিভাবকের শাস্তি আইনের ৮ ধারায় বলা হয়েছে, বাবা-মা অভিভাবক অথবা অন্য কোনও ব্যক্তি, আইনগতভাবে বা আইনবহির্ভূতভাবে কোনও অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ওপর কর্তৃত্ব সম্পন্ন হয়ে বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করলে অথবা করার অনুমতি বা নির্দেশ দিলে অথবা নিজেদের অবহেলার কারণে বিয়ে বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে এটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তার জন্য তিনি দুই বছর অথবা ন্যূনতম ছয় মাস কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে উভয় দণ্ড পেলে অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

মুন্সীগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুল জান্নাত মহোদয় বলেন ,আমাদের বাল্যবিবাহ সচেতনতামূলক প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক আমরা কার্যক্রম চলমান রয়েছে ও বিভিন্ন সকল ইউএনওদের এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কনভিন্স বিষয়টি নজরে রাখার নির্দেশনা রয়েছে বলে এতথ্য নিশ্চিত করেন।

তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রপতির সাথে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ

জান্নাতুল ফেরদৌস আশাঃ সৌদি আরব প্রতিনিধি- প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১:২৮ এএম
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রপতির সাথে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ

সৌদি আরবের নেতৃত্বের নির্দেশনায়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ বৃহস্পতিবার তেহরানের রাষ্ট্রপতি প্রাসাদে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রপতি ডঃ মাসুদ পেজেশকিয়ানের সাথে সাক্ষাত করেছেন। সাক্ষাতের সময়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ এবং তাঁর রাজকীয় মহামান্য প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ, ক্রাউন প্রিন্স এবং প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা জানান, পাশাপাশি ইরানের সরকার এবং ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের জন্য অব্যাহত অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির কামনা করেন। পরিবর্তে, রাষ্ট্রপতি পেজেশকিয়ান দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম এবং তাঁর রাজকীয় মহামান্য ক্রাউন প্রিন্সের প্রতি তার শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বৈঠকে সৌদি-ইরান সম্পর্ক বৃদ্ধির উপায়গুলি অনুসন্ধান করা হয় এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এবং সেগুলি সমাধানের জন্য করা প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

লিবিয়া এলএনএ স্থল বাহিনী ৬০৩ তম পদাতিক ব্যাটালিয়নকে সর্বাধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত করেছে

মোঃ নাসির আলীঃ- লিবিয়া প্রতিনিধি- প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১:২৬ এএম
লিবিয়া এলএনএ স্থল বাহিনী ৬০৩ তম পদাতিক ব্যাটালিয়নকে সর্বাধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত করেছে

লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির স্থল বাহিনীর প্রধান (২১) ব্রিগেডের সাথে যুক্ত ৬০৩তম পদাতিক ব্যাটালিয়নকে সর্বশেষ সামরিক সরঞ্জাম এবং সক্ষমতা দিয়ে সজ্জিত করার ঘোষণা দিয়েছেন।

চিফ অফ স্টাফের মতে, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হল এর যুদ্ধ দক্ষতা এবং মাঠ প্রস্তুতি বৃদ্ধি করা।
এতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে এই সহায়তা লিবিয়ার সেনা ইউনিটগুলি বিকাশের একটি বিস্তৃত পরিকল্পনার অংশ হিসাবে এসেছে, উল্লেখ করে যে ৬০৩ তম ব্যাটালিয়নকে সর্বশেষ সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করা এলএনএ জেনারেল কমান্ডের স্বদেশ রক্ষা এবং উচ্চ দক্ষতা এবং কার্যকারিতার সাথে দক্ষিণ লিবিয়াকে সুরক্ষিত করার প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।
চিফ অফ স্টাফ জোর দিয়ে বলেন যে এই পদক্ষেপটি প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি সমন্বিত কৌশলের অংশ, যা যেকোনো সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলায় বাহিনীর সক্ষমতা নিশ্চিত করে এবং সারা দেশে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ভিত্তি সুসংহত করতে অবদান রাখে।
এটি আরও জোর দিয়ে বলেছে যে জেনারেল কমান্ড বর্তমান এবং ভবিষ্যতের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলির সাথে সামঞ্জস্য রেখে সামরিক অবকাঠামো আধুনিকীকরণ এবং তার কর্মীদের কর্মক্ষমতা উন্নত করার প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রেখেছে।

error: Content is protected !!