শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম পাবনা (ঈশ্বরদী)

ঈশ্বরদীতে এক দশকে আবাদি জমি কমেছে ৬৪৮ হেক্টর

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম পাবনা (ঈশ্বরদী) প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:০২ পিএম | 39 বার পড়া হয়েছে
ঈশ্বরদীতে এক দশকে আবাদি জমি কমেছে ৬৪৮ হেক্টর

যত্রতত্র কলকারখানা নির্মাণ, তিন ফসলি জমিতে বসতি স্থাপন, অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খনন এবং রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে জমি অধিগ্রহনের জন্য ঈশ্বরদীতে গত ১ দশকে চাষযোগ্য জমি কমেছে প্রায় ৬৪৮ হেক্টর। সে সূত্রে এ অঞ্চলে প্রতি বছরে কেবল মাত্র ধানের উৎপাদনই কমেছে ৯৩৫ মেট্রিক টন।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সূত্রমতে, ২০১৫ সালে অত্রাঞ্চলে মোট ফসলি জমি ছিল ১৮২৪৯ হেক্টর। যা কমে ২০২৫ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ১৭৬০১ হেক্টর। সে সূত্রে বলাযায় গত ১ দশকে মোট চাষ যোগ্য জমি কমেছে ৬৪৮ হেক্টর।
ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রমতে, উপজেলার চরাঞ্চলের (পাকশী, লক্ষীকুন্ডা, নবীনগর) বিতৃর্ণ এলাকার আবাদি জমি গুলোর সবচেয়ে বেশি ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে ইটভাটার কারনে। কেননা পুরো উপজেলা জুড়ে বৈধ/অবৈধ ইট ভাটা রয়েছে মোট ৪৯ টি । এই ইটভাটার জন্য অত্রাঞ্চলে জমি নষ্ট হয়েছে মোট ১৭০ হেক্টর। কেননা ভাটা গুলোর খোলা নির্মাণে প্রতিবছর প্রচুর আবাদি জমি নষ্ট হয়ে যায়। যা মোট আবাদি জমি কমার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
সূত্রে আরও জানা যায়, রুপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের জন্য জমি অধিগ্রহন হয়েছে ২৯৪ একর। যার ফলে প্রচুর চাষযোগ্য জমি নষ্ট হয়েছে। যেসব জমিতে এক সময় গম, সবজি, ডাল ও তৈল জাতীয় শষ্য উৎপাদন হত সেখনে এখন গড়ে উঠেছে আবাসন। যা চাষযোগ্য জমিকে নষ্ট করেছে বহুলাংশে।
ঈশ্বরদী উপজেলা ধান চাষে প্রসিদ্ধ এলাকা অরকোলা মাঠ, বাঘহাছলা, মুলাডুলি, খয়েরবাড়িয়া, পতিরাজপুর, আরকান্দি প্রভৃতি এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিস্তৃর্ণ এলাকা জুরে তিন ফসলি জমি গুলোতে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট আবাসন। এদের মধ্যে অরণকোলা ও পতিরাজপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি মিল কারখানাও গড়ে উঠেছে। সেই কারখানা গুলোকে কেন্দ্র করে আশপাশ ঘিরে ফসলি জমিতে খন�

অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জলন!!

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:২৬ পিএম
অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জলন!!

 

-মোঃআশিকুর সরকার (রাব্বি)
-রাজারহাট কুড়িগ্রামঃ

অবিলম্বে দেশীয় অর্থে তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন বুড়ির হাট,তিস্তা নদীর তীরে মশাল প্রজ্বলন করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার(১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীর দুই তীরের ১১টি স্থানে একযোগে এ মশাল প্রজ্বলন কর্মসুচির উদ্বোধন করেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু।
এ মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাই সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হাক্কানী।এছাড়াও রংপুর ডালিয়া এলাকায় কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান।
বক্তারা বলে,আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলে রংপুরকে অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। এ সময় উক্ত মশাল মিছিলে, লাখো মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

‎লালমনিরহাটে জমি দখলে ব্যর্থ হামলাকারী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার গ্রেফতার!!

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:২২ পিএম
‎লালমনিরহাটে জমি দখলে ব্যর্থ হামলাকারী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার গ্রেফতার!!

 

 

চয়ন কুমার রায়
‎লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি

 

লালমনিরহাটে জমি দখলে ব্যর্থ হামলায় দুইজন আহত ও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৭ জনসহ ২০/২২ জন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হওয়ায় পুলিশ জাহাঙ্গীর আলম মাস্টারকে গ্রেফতার করেছেন।

‎মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের রতিপুর গ্রামের এরশাদুল হক দুদুর সাথে হাড়ীভাঙ্গা আরডিআরএস অফিসের পূর্ব পার্শ্বের জাহাঙ্গীর আলম মাস্টারের সাথে জমিজমা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

‎এরেই জের ধরে বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার (৫২), রতিপুর বসুনিয়াপাড়া গ্রামের আলমগীর (৪৭), মাহফুজ (৪৯), হাছান আলী (৩০), হাবিব (২৭), শফিকুল (৫০), ও জাহেদুল ইসলাম (৫০) সহ ২০/২২জন অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি হাতে লাঠিসোটা, লোহার রড, ধারালো ছোড়া, দেশীয় অস্ত্রে স্বস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দলবদ্ধ ভাবে রতিপুর গ্রামে দুদুর ভোগ দখলীয় জমি দখলের চেষ্টায় টিনের চালা ঘর ভাংচুর চালান। এতে দুদু বাঁধা নিষেধ করলে তাকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিটে মাথা ও পা সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ছেলা ফুলা হাড় ভাঙ্গা জখম সৃষ্টি হয়। এমনকি তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলাটিপে ধরায় তার আত্মচিৎকারে ছেলে হৃদয় বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তার দুই পায়ে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিটে ছেলা ফুলা ও রক্তাক্ত জখম হয়।

‎ছেলে হৃদয়ের আত্মচিৎকারে তার মা বিথী বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও চুলের মুঠি ধরিয়া টানাহেচরা করে এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে কাপড় টানাহেচরা করে শ্রীলতাহানী ঘটায়।

‎ওই সময় হামলাকারী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার গংরা বিথী বেগমের গলায় থাকা ১ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন, যার মূল্য ২লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। কানে থাকা ৮আনা ওজনের স্বর্নের দুল, যার মূল্য ১লক্ষ ৭হাজার ৫শত টাকা জোর পূর্বক ছিনাইয়া নেয়।

‎এতে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে এলাকাবাসী আহত দুদু ও তার ছেলে হৃদয়কে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তৃতীয় তলা, বেড নং-৩৩ ও ৩৬, ভর্তির তারিখ-১৫/১০/২৫।

‎এ ঘটনায় এরশাদুল হক দুদুর ভাতিজা ওয়ালি উল্লাহ বাদী হয়ে ওই ৭ জনসহ ২০/২২ জন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-জিআর ৬১২/২৫। তারিখ-১৫/১০/২৫। এ মামলা দায়ের পর ১নং আসামী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

‎এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুরনবী বলেন, জমি নিয়ে মারামারির ঘটনায় জাহাঙ্গীর নামের একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সোনাতলায় পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে অপহরণের ১৬ দিন পর স্কুল ছাত্রী উদ্ধার, অভিযুক্ত জেল হাজতে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:৪৬ পিএম
সোনাতলায় পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে অপহরণের ১৬ দিন পর স্কুল ছাত্রী উদ্ধার, অভিযুক্ত জেল হাজতে

 

ফয়সাল আহম্মেদ, সোনাতলা (বগুড়া):

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের মহিষাবাড়ী গ্রাম থেকে অপহৃত ১০ম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে র‌্যাব-১২ সিরাজগঞ্জ ক্যাম্প ও সোনাতলা থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলার বালুয়াহাট নামক এলাকায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায় স্থানীয় মিল্লাত প্রাং ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর পিতা মোঃ আব্দুল মতিন সোনাতলা থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করেন। অপহরনকারী মিল্লাত একই গ্রামের ঠান্ডু প্রামানিকের ছেলে।
এজাহারের ভিত্তিতে পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযান শুরু হয়। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর অবশেষে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) মামলার প্রধান আসামি মিল্লাত প্রাং-কে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রওশন কবির জানান, “র‌্যাব-১২ এর সহযোগিতায় মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চিকিৎসা ও আইনগত প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।”

অপহৃত কন্যার পরিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, এই ঘটনায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে, তবে স্কুল ছাত্রী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের নজরদারি অব্যাহত রাখার প্রয়োজন রয়েছে।

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
ফয়সাল আহম্মেদ
মোবা: ০১৯১২-৯৯৯২৪৭
তাং- ১৬/১০/২০২৫ ইং