শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২

বিশ্ব খাদ্য দিবসে জাতিকে আহার যোগানো কৃষকদের প্রতি অঙ্গীকার

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:২৪ পিএম | 30 বার পড়া হয়েছে
বিশ্ব খাদ্য দিবসে জাতিকে আহার যোগানো কৃষকদের প্রতি অঙ্গীকার

বিশ্ব খাদ্য দিবসে জাতিকে আহার যোগানো কৃষকদের প্রতি অঙ্গীকার নতুন করে পুনর্ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে তাদের হাতে, পুষ্ট হয়েছে তাদের ত্যাগে, আর শক্তি পেয়েছে তাদের অবিচল স্থিতিশীলতায়। বগুড়ার উর্বর মাঠ থেকে শুরু করে বরিশালের ‘ভাসমান বাগান’ পর্যন্ত—প্রতিটি শস্যদানায় লুকিয়ে আছে তাদের সহনশীলতার গল্প এবং আমাদের সম্মিলিত ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিশ্ব খাদ্য দিবসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে, প্রকৃত খাদ্য নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব সরকার, কৃষক, উদ্যোক্তা ও জনগণের যৌথ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে—যেখানে সবাই একসঙ্গে কাজ করবে একটি টেকসই খাদ্যব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দুর্ভিক্ষ ও হতাশার ছায়ার মধ্যে নেতৃত্বে আসেন। তিনি বুঝেছিলেন, খাদ্য নিরাপত্তা ছাড়া জাতীয় স্বাধীনতার কোনো অর্থ নেই। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নির্ভরতা থেকে আত্মমর্যাদার পথে যাত্রা শুরু করে—সেচব্যবস্থা সম্প্রসারণ, খাল পুনঃখনন এবং বহুমুখী ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে এক সময়ের দুর্ভিক্ষপীড়িত জাতিকে খাদ্যে সক্ষম করে তোলে।
প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেই ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মে এগিয়ে নিয়ে যান। সার ভর্তুকি, গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন এবং ‘ফুড ফর ওয়ার্ক’ কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের ক্ষমতায়ন করা হয়; গ্রামীণ জীবনে নতুন প্রাণ ফিরে আসে এবং নিশ্চিত করা হয় যাতে কোনো পরিবার অনাহারে না থাকে। এই ভিত্তির ওপরই আজ আমরা দাঁড়িয়ে আছি।
তারেক রহমান বলেন, আজ যখন বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান খাদ্যমূল্য, পানির সংকট ও জলবায়ু হুমকির মুখোমুখি, তখন আমাদের সেই ভিত্তির ওপর আরও উন্নয়ন ঘটাতে হবে—শুধু নিজেদের জন্য নয়, বরং তাদের জন্যও যারা আমাদের সীমান্তের ভেতরে নিরাপত্তা ও আহার খুঁজে আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে ১১.৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিচ্ছে—যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির। সেখানে আন্তর্জাতিক সহায়তা হ্রাস পাওয়ায় পরিবারগুলো এখন মাসে মাত্র ছয় ডলারের খাদ্য সহায়তায় বেঁচে আছে। বিএনপি মনে করে, সরকারসমূহ, আন্তর্জাতিক সংস্থা, দাতা দেশ ও বেসরকারি অংশীদারদের অবিলম্বে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে—খাদ্য সহায়তা পুনরুদ্ধার এবং জীবিকাকে টেকসই করার জন্য, যাতে বিশ্ব সম্প্রদায় যৌথভাবে এই সংকট সমাধানে তাদের প্রতিশ্রুতি নতুন করে নিশ্চিত করতে পারে।
বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তা কতটা সংকটাপন্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, গাজা, সুদান, ইয়েমেন অথবা আমাদের নিজেদের দোরগোড়ায়, খাদ্য সংকটের চিত্র সর্বত্র। বাংলাদেশে আমাদের খাদ্য ও কৃষির ভাবনা হতে হবে যেমন মানবিক, তেমনি উদ্ভাবনীও।
নতুন প্রযুক্তি, সরঞ্জাম ও দৃঢ় অঙ্গীকারের মাধ্যমে বিএনপি এমন এক খাদ্যব্যবস্থার কল্পনা করে যা অংশীদারিত্বের ওপর গড়ে উঠবে। আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার মডেল কৃষকের সম্মান রক্ষা করবে, উদ্ভাবনকে আলিঙ্গন করবে এবং বৈশ্বিক দায়বদ্ধতাকে সামনে নিয়ে আসবে—প্রমাণ করবে যে ন্যায্য, পুষ্ট ও মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশ এক অনিশ্চিত
পৃথিবীতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে, যোগ করেন তিনি।
বিএনপির খাদ্য নিরাপত্তা পরিকল্পনার ছয়টি প্রধান অঙ্গীকারও তুলে ধরেন তারেক রহমান। সেগুলো হলো—
১. কৃষক কার্ড উদ্যোগ: প্রত্যেক কৃষক একটি নিরাপদ ডিজিটাল পরিচয়পত্র পাবেন, যার মাধ্যমে তারা সরাসরি ভর্তুকি, ন্যায্য দাম, ঋণ, ফসল বিমা ও সরকারি ক্রয়ের সুবিধা পাবেন মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই। এতে শোষণ বন্ধ হবে এবং কৃষকরা জাতীয় অর্থনীতির সমান অংশীদার হবেন।
২. জলবায়ু সহনশীল কৃষি ও পানি নিরাপত্তা: আমরা ২০ হাজার কিলোমিটার নদী ও খাল পুনরুদ্ধার করব, কমিউনিটি সেচব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করব এবং আধুনিক তিস্তা ও গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণ করব যাতে পানির প্রবাহ নিরাপদ থাকে।
৩. জল সংরক্ষণভিত্তিক কৃষি: আমরা বিকল্প ভেজানো-শুকানো (Alternate Wetting and Drying) ধান চাষ সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যা কার্বন নিঃসরণ কমাবে, পানি সাশ্রয় করবে এবং বাংলাদেশকে কোটি কোটি টাকার কার্বন ক্রেডিট আয় করতে সাহায্য করবে।
৪. পুষ্টি ও মানব উন্নয়ন: “ফ্যামিলি কার্ড” ও “হেলথ ফর অল” কর্মসূচির মাধ্যমে নারীদের—যারা পরিবারপ্রধান হিসেবে স্বীকৃত—খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার নেতৃত্বে আনা হবে, যা তাদের অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও পারিবারিক কল্যাণকে শক্তিশালী করবে।
৫. কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন: আমাদের কর্মসূচিগুলো কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাতে ১৩ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে—কোল্ড স্টোরেজ লজিস্টিকস থেকে রপ্তানিমুখী খাদ্য শিল্প পর্যন্ত। কৃষককে দেশের ও বিদেশের বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। আধুনিক শস্য ও ঠান্ডা সংরক্ষণাগার স্থাপনের মাধ্যমে খাদ্য অপচয় কমানো হবে, যাতে কৃষক বেশি আয় করে এবং ভোক্তারা কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
যুবসমাজকে কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে যান্ত্রিকীকরণ, ড্রোন প্রযুক্তি এবং স্টার্টআপ তহবিলের সুযোগ দেওয়া হবে—যাতে নতুন প্রজন্ম কৃষিতে আগ্রহী হয়।
৬. পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন: সারাদেশে “চক্রাকার অর্থনীতি” (Circular Economy) মডেল চালু করা হবে, যা প্লাস্টিক, ই-বর্জ্য ও কৃষি বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করে দূষণকে উৎপাদনে রূপান্তর করবে। পুনর্ব্যবহার কেন্দ্র, বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদন কেন্দ্র ও গ্রামীণ বায়োগ্যাস ব্যবস্থার মাধ্যমে এটি বাস্তবায়িত হবে। ভবিষ্যৎ কৃষি নীতিতে আধুনিক গবেষণা, সম্প্রসারণ ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা হবে, যাতে মানসম্মত বীজ, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি সরাসরি কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া যায়।
সবশেষে তারেক রহমান বলেন, নিশ্চয়তার অভাবে ভরা এক বিশ্বে বাংলাদেশ একটি উদাহরণ স্থাপন করতে পারে। প্রমাণ করে দিতে পারে যে খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসইতা এবং কৃষকদের মর্যাদা কেবল দূরবর্তী স্বপ্ন নয়, বরং অর্জনযোগ্য বাস্তবতা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের শক্তি বরাবরই ছিল এর মাটিতে কাজ করা হাতগুলোতে। বিএনপি সেই হাতগুলোকে ক্ষমতায়ন করবে, যাতে তারা গড়ে তুলতে পারে জাতির ভবিষ্যৎ।

জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর অংশগ্রহণ — “এই মুহূর্ত শুধু একজন ব্যক্তির নয়, আমাদের প্রজন্মেরও গর্বের প্রতীক”

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর অংশগ্রহণ — “এই মুহূর্ত শুধু একজন ব্যক্তির নয়, আমাদের প্রজন্মেরও গর্বের প্রতীক”

 

মো. শাহজাহান বাশার, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় এক অধ্যায় যোগ হতে যাচ্ছে আজ, ১৭ অক্টোবর ২০২৫। বিকেল চারটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান—যা রাষ্ট্রীয় ঐক্য, গণতান্ত্রিক চেতনা ও নাগরিক অঙ্গীকারের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এই ঐতিহাসিক আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ধান্যদৌল গ্রামের কৃতী সন্তান ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী, যিনি প্রখ্যাত সমাজসেবক আবদুর রাজ্জাক খান চৌধুরীর পুত্র।

ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারা নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তিনি লিখেছেন—“এই মুহূর্ত শুধু একজন ব্যক্তির নয়, আমাদের প্রজন্মেরও গর্বের প্রতীক। জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের অংশ হতে পারা আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অর্জন।”

তিনি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি জনাব মাহমুদুর রহমান মান্না-এর প্রতি, যার অনুপ্রেরণা ও সহায়তায় এই মহতি আয়োজনের অংশ হতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা আজকের এই ঐতিহাসিক আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, যিনি জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন, সুশাসন ও ঐক্যের নতুন অঙ্গীকার ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।

ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর এই অংশগ্রহণ শুধু তার ব্যক্তিগত গৌরব নয়—এটি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া তথা সমগ্র অঞ্চলের মানুষের জন্যও এক গর্বের বিষয়। স্থানীয়রা মনে করেন, দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক অধ্যায়ে তাদের এলাকার একজন তরুণ আইনজীবীর উপস্থিতি নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।

জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে ঘিরে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ইতোমধ্যেই উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। রাষ্ট্রীয় সংগীত, পতাকা উত্তোলন, এবং সম্মিলিত নাগরিক অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ক্ষুধার্ত পথশিশুদের একবেলার আহার সমাজের বিবেকে প্রশ্নচিহ্ন

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৪৬ এএম
ক্ষুধার্ত পথশিশুদের একবেলার আহার সমাজের বিবেকে প্রশ্নচিহ্ন

রুবিনা শেখঃ

রাজধানীর ব্যস্ত এক মোড়ে ফুটপাতের পাশে বসে কয়েকজন ক্ষুদে শিশু এক থালা ভাত ভাগাভাগি করে খাচ্ছে। কারও গায়ে মলিন জামা, কারও শরীর প্রায় উলঙ্গ, কেউবা কাগজের গ্লাসে পানি খাচ্ছে— কিন্তু সবার মুখে একটাই অনুভূতি, ক্ষুধা মিটিয়ে বেঁচে থাকার আনন্দ।
তাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো ব্যস্ত, কেউ তাকায় না। যেন এই দৃশ্যটা এখন খুব স্বাভাবিক হয়ে গেছে শহরের প্রতিটি অলিতে গলিতে।
এই শিশুরা কারও সন্তান নয়— অথচ সবাই কারও না কারও সমাজের অংশ।
এক প্লেট খাবারের জন্য যেভাবে তারা একত্রে বসে খাচ্ছে, তা শুধু দারিদ্র্যের ছবি নয়, আমাদের বিবেকের এক নীরব প্রশ্নচিহ্ন।
বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের পথে— বলা হয় আমরা মধ্যম আয়ের দেশে। শহরে উঁচু অট্টালিকা, শপিংমল, বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ বাড়ছে প্রতিদিন।
তবু এই ক্ষুদে মুখগুলো কেন আজও ফুটপাতে ভাত খায়, এই প্রশ্নের উত্তর কেউ দেয় না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীতে এখন হাজার হাজার পথশিশু প্রতিদিন ক্ষুধার সঙ্গে যুদ্ধ করছে।
সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র, বেসরকারি সংস্থার তৎপরতা— সবকিছুর পরও বাস্তবতা হচ্ছে, রাস্তায় এদের সংখ্যা কমছে না; বরং প্রতিদিন বাড়ছে।
সমাজের বিত্তবান শ্রেণি প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে আরাম-আয়েশে।
কিন্তু তাদের একটুখানি দয়া, একবেলার খাবারের দান, বা একটি আশ্রয় দিলে হয়তো এই শিশুরাও নতুন ভবিষ্যৎ পেতে পারত।
এই ছবিটি তাই শুধু এক মুহূর্তের দৃশ্য নয়, এটি আমাদের সমাজের আয়নায় এক নগ্ন প্রতিচ্ছবি—
যেখানে উন্নয়নের রঙিন আলোয় লুকিয়ে আছে ক্ষুধার্ত মুখের নীরব কান্না।
ছবির ক্যাপশন:
রাজধানীর এক গলিতে এক থালা ভাত ভাগাভাগি করে খাচ্ছে ক্ষুধার্ত পথশিশুরা। পাশে কেউ নেই আছে শুধু ক্ষুধা আর টিকে থাকার লড়াই।

অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জলন!!

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:২৬ পিএম
অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জলন!!

 

-মোঃআশিকুর সরকার (রাব্বি)
-রাজারহাট কুড়িগ্রামঃ

অবিলম্বে দেশীয় অর্থে তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন বুড়ির হাট,তিস্তা নদীর তীরে মশাল প্রজ্বলন করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার(১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীর দুই তীরের ১১টি স্থানে একযোগে এ মশাল প্রজ্বলন কর্মসুচির উদ্বোধন করেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু।
এ মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাই সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হাক্কানী।এছাড়াও রংপুর ডালিয়া এলাকায় কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান।
বক্তারা বলে,আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলে রংপুরকে অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। এ সময় উক্ত মশাল মিছিলে, লাখো মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।