শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২

পলাশ হোসেন, পাবনা

পেয়ারা চাষে ক্ষতি, মাল্টায় সাফল্য: বছরে আয় ১৫ লাখ

পলাশ হোসেন, পাবনা প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ২:০৮ পিএম | 21 বার পড়া হয়েছে
পেয়ারা চাষে ক্ষতি, মাল্টায় সাফল্য: বছরে আয় ১৫ লাখ

একসময় পেয়ারা ও কলা বাগান করেন শামীম আক্তার তুহিন। কিন্তু দফায় দফায় লোকসানে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। চাকরি ও অন্য ব্যবসা ছেড়ে কৃষিতে সফলতার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন আচ্ছন্ন হয় হতাশার কালো আঁধারে। তবে এখন তাকে ঘিরে রচিত হয়েছে পদ্মার চরে সাফল্যের গল্প।
জানা যায়, পাবনা সদর উপজেলার চর তারাপুর ইউনিয়নের কোলচরী গ্রামের আব্দুল জলিল বিশ্বাসের ছেলে তুহিন। এবার দেশি জাতের বারি-১ মাল্টা চাষে ভাগ্যবদলের হাতছানি দিচ্ছে তাকে। পদ্মার বুকে জেগে ওঠা চরে মাল্টা চাষের উপযোগী জমিতে ভালো ফলন ও দামে ১৮ বিঘা জমির বাগান থেকে এখন তার বছরে আয় কমপক্ষে ১৫ লাখ টাকা। বাগানে সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থানেরও। খরচের দ্বিগুণ দামে মাল্টা বিক্রি হওয়ায় মুনাফা ব্যাপক। তার দেখাদেখি এ জাতের মাল্টা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন বছরের পর বছর মুড়িকাটা পেঁয়াজে লোকসান গোনা চাষিরা।
উদ্যোক্তা তুহিন বলেন, ‌‘২০০৯ সালে শখের বশে বরইয়ের বাগান দিয়ে শুরু করি। পরে ৫৫ বিঘা জমিতে পেয়ারায় টুকটাক আয় হতে থাকে। এরপর ১৮ বিঘায় পেয়ারা ও কলা বাগান করি। সবমিলিয়ে প্রায় ৭০ বিঘার বাগান হয়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও করোনার কারণে সব শেষ হয়ে যায়। মোটামুটি ৫০ লাখ টাকার মতো লোকসান হয়। সবশেষ মাল্টা বাগান আবার আশা দেখিয়েছে। পদ্মার চরের মাটি বেলে-দোঁআশ বা পলিমাটি হওয়ায় ফলন ভালো হচ্ছে। শুরুতে দাম ও ফলন কম হলেও এ বছর তুলনামূলক ভালো বাজার ও ফলনে লাভজনক অবস্থায় আছি। খরচ বাদে বছরে লাখ পনেরো টাকা আয় হবে।
তিনি জানান, ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় ২০২২ সালে পদ্মা নদীর বুকে জেগে ওঠা চরের ১৮ বিঘা জমি লিজ নিয়ে মাল্টা চাষ শুরু করেন। চুয়াডাঙ্গার এক নার্সারি থেকে বারি-১ জাতের মাল্টার ১ হাজার ৭০০ চারা রোপণের পর প্রথমবার ৫০০ মণ ফলন পেলেও হতাশ হননি তুহিন। পরের বছরগুলোতে ৭০০ ও ৯০০ মণ করে ফলন মেলে। অনুকূল আবহাওয়ায় এ বছর কমপক্ষে ১ হাজার ২০০ মণ মাল্টা বাজারজাত করা সম্ভব হবে। বর্তমানে ২ হাজার ৫০০ টাকা মণ হিসেবে বাজারদর দাঁড়াবে প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
উদ্যোক্তা তুহিন বলেন, ‘প্রতি বছর এ সময় বাগান থেকে একবার মাল্টা তোলা হয়। বছরে দুবার সার দেওয়া বাবদ ১ লাখ টাকা, কীটনাশকে ২ লাখ, জৈব সারে ৪০ হাজার ও শ্রমিক বাবদ ৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়। এ ছাড়া ২০ হাজার টাকা বিঘা হিসেবে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও মাল্টা বিপণন বাবদ মোট ১২-১৫ লাখ টাকা খরচ হয়। পাবনা শহর, কাশিনাথপুর ও সুজানগরের বিভিন্ন আড়ত ও দোকানির কাছে এ মাল্টা বিক্রি করা হয়।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ বিদেশি পণ্যের নাম শুনলে অতিরিক্ত ঝোঁক দেখায়। ফলের ক্ষেত্রেও তাই। এভাবে বিদেশি ফলের দিকে না ঝুঁকে মানুষ যদি দেশি ফল বেশি বেশি কেনে, তবে এর বাজার ভালো হবে। চাষাবাদে আমাদেরও আগ্রহ বাড়বে। বর্তমানে বাজারদর ২৪০০-২৬০০ টাকা মণ। পরে আরও বাড়বে। ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার পর্যন্ত হতে পারে।
মাল্টা বাগানে কাজ করেন শ্রমিক সানোয়ার। ৭ হাজার টাকা বেতনে কাজ শুরু করলেও লাভ বৃদ্ধি ও বাজার হিসেবে এখন পারিশ্রমিক ১৮ হাজার টাকা। বাগানে তেমন কঠোর শ্রমের কিছু নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য বাগান বা ক্ষেত করার মতো মাল্টা বাগানে এত পরিশ্রম নেই। কাজও সহজ। শুরুতে গাছে ফল কম এলেও এ বছর অনেক ফল এসেছে। খেতেও সুস্বাদু। দাম ভালো পেলে মহাজনের এবার ভালো লাভ হবে।
আরেক বাগান শ্রমিক সরোয়ার বলেন, ‘শুরু থেকেই আমি বাগান মালিকের সাথে আছি। মাটি ও আবহাওয়া ভালো হওয়ায় বাগানে তেমন রোগবালাই এখনো দেখা যায় নাই। তবে মাকড় বা ছত্রাকের কারণে কখনো কখনো পাতা কুচকে যেতে দেখা যায়। তখন মালিককে দেখালে তার পরামর্শ অনুযায়ী কীটনাশক দিই। তবে সেটি খুবই কম। এ ছাড়া তেমন অতিরিক্ত সার বা কীটনাশক দেওয়া হয় না। এবার গাছে ফল অনেক আসছে। ডালে ডালে থোকায় থোকায় ধরে আছে। এবারে অনেক লাভ হবে।
তুহিনের মাল্টা বাগান দেখতে আসা স্থানীয় চাষি আব্দুর রহিম বলেন, ‘এ চরেই প্রতি বছর পেঁয়াজ আবাদ করি। দূর থেকে দেখি আর শুনি, চরের এই মাটিতে ভালো মাল্টার আবাদ হইছে। তাই ভাবলাম দেখে আসি। এসে দেখছি মাল্টা ভালোই আসছে গাছে। ২৫০০-২৬০০ টাকা মণ দাম হলে ভালো লাভ হওয়ার কথা। ভাবছি এসবের আবাদই ধরা যায় কি না।
চাষি হানিফ, সবুজ ও রশিদ বলেন, ‘মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ করে আমরা ঋণের ভারে একবারে শেষ। দু’এক বছর ছাড়া প্রায় প্রতি বছরই এমন হয়। গত বছরও বিঘা জমিতে অনেকে ৬০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্তও মার খেয়েছে। তবুও আবার মৌসুম এলেই আবাদ করি। আমরা চাষাবাদ ছাড়া করবো কী। তবে মাল্টা চাষে তুহিন ভাই ভালোই লাভ করতেছেন। বছরে লাখ দশেক টাকা লাভ আমাদের জন্য অনেক। লাভ হলে আমরাও এই বাগানই করবো।
পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রামাণিক বলেন, ‘মাল্টার ক্ষেত্রে পূর্বে আমদানি নির্ভরতাই বেশি ছিল। এখন চরাঞ্চলে এর চাষ আরও বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে। ফলটি বেশ সুমিষ্ট হওয়ায় বাজারেও এর চাহিদা আছে। পাবনায় ১৯ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। আবাদ বৃদ্ধি ও ভালো ফলনের ব্যাপারে কৃষি বিভাগ সহায়তা দিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ‘শুরুতে তারা ভালো দাম থেকে বঞ্চিত হতেন। তারা ফল সংগ্রহের সঠিক সময় জানতেন না। ফলে আগে আগে সংগ্রহ করায় ওজন ও স্বাদ কম হওয়ায় চাহিদা কম হতো। এখন সমস্যাটি নেই। আমরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছি। কেউ আগ্রহী হলে তাদেরও সহায়তা করবো। আশা করি মাল্টার চাষ আরও বাড়বে।

অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জলন!!

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:২৬ পিএম
অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জলন!!

 

-মোঃআশিকুর সরকার (রাব্বি)
-রাজারহাট কুড়িগ্রামঃ

অবিলম্বে দেশীয় অর্থে তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন বুড়ির হাট,তিস্তা নদীর তীরে মশাল প্রজ্বলন করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার(১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীর দুই তীরের ১১টি স্থানে একযোগে এ মশাল প্রজ্বলন কর্মসুচির উদ্বোধন করেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু।
এ মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাই সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হাক্কানী।এছাড়াও রংপুর ডালিয়া এলাকায় কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান।
বক্তারা বলে,আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলে রংপুরকে অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। এ সময় উক্ত মশাল মিছিলে, লাখো মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

‎লালমনিরহাটে জমি দখলে ব্যর্থ হামলাকারী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার গ্রেফতার!!

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:২২ পিএম
‎লালমনিরহাটে জমি দখলে ব্যর্থ হামলাকারী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার গ্রেফতার!!

 

 

চয়ন কুমার রায়
‎লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি

 

লালমনিরহাটে জমি দখলে ব্যর্থ হামলায় দুইজন আহত ও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৭ জনসহ ২০/২২ জন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হওয়ায় পুলিশ জাহাঙ্গীর আলম মাস্টারকে গ্রেফতার করেছেন।

‎মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের রতিপুর গ্রামের এরশাদুল হক দুদুর সাথে হাড়ীভাঙ্গা আরডিআরএস অফিসের পূর্ব পার্শ্বের জাহাঙ্গীর আলম মাস্টারের সাথে জমিজমা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

‎এরেই জের ধরে বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার (৫২), রতিপুর বসুনিয়াপাড়া গ্রামের আলমগীর (৪৭), মাহফুজ (৪৯), হাছান আলী (৩০), হাবিব (২৭), শফিকুল (৫০), ও জাহেদুল ইসলাম (৫০) সহ ২০/২২জন অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি হাতে লাঠিসোটা, লোহার রড, ধারালো ছোড়া, দেশীয় অস্ত্রে স্বস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দলবদ্ধ ভাবে রতিপুর গ্রামে দুদুর ভোগ দখলীয় জমি দখলের চেষ্টায় টিনের চালা ঘর ভাংচুর চালান। এতে দুদু বাঁধা নিষেধ করলে তাকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিটে মাথা ও পা সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ছেলা ফুলা হাড় ভাঙ্গা জখম সৃষ্টি হয়। এমনকি তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলাটিপে ধরায় তার আত্মচিৎকারে ছেলে হৃদয় বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তার দুই পায়ে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিটে ছেলা ফুলা ও রক্তাক্ত জখম হয়।

‎ছেলে হৃদয়ের আত্মচিৎকারে তার মা বিথী বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও চুলের মুঠি ধরিয়া টানাহেচরা করে এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে কাপড় টানাহেচরা করে শ্রীলতাহানী ঘটায়।

‎ওই সময় হামলাকারী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার গংরা বিথী বেগমের গলায় থাকা ১ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন, যার মূল্য ২লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। কানে থাকা ৮আনা ওজনের স্বর্নের দুল, যার মূল্য ১লক্ষ ৭হাজার ৫শত টাকা জোর পূর্বক ছিনাইয়া নেয়।

‎এতে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে এলাকাবাসী আহত দুদু ও তার ছেলে হৃদয়কে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তৃতীয় তলা, বেড নং-৩৩ ও ৩৬, ভর্তির তারিখ-১৫/১০/২৫।

‎এ ঘটনায় এরশাদুল হক দুদুর ভাতিজা ওয়ালি উল্লাহ বাদী হয়ে ওই ৭ জনসহ ২০/২২ জন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-জিআর ৬১২/২৫। তারিখ-১৫/১০/২৫। এ মামলা দায়ের পর ১নং আসামী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

‎এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুরনবী বলেন, জমি নিয়ে মারামারির ঘটনায় জাহাঙ্গীর নামের একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সোনাতলায় পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে অপহরণের ১৬ দিন পর স্কুল ছাত্রী উদ্ধার, অভিযুক্ত জেল হাজতে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:৪৬ পিএম
সোনাতলায় পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে অপহরণের ১৬ দিন পর স্কুল ছাত্রী উদ্ধার, অভিযুক্ত জেল হাজতে

 

ফয়সাল আহম্মেদ, সোনাতলা (বগুড়া):

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের মহিষাবাড়ী গ্রাম থেকে অপহৃত ১০ম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে র‌্যাব-১২ সিরাজগঞ্জ ক্যাম্প ও সোনাতলা থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলার বালুয়াহাট নামক এলাকায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায় স্থানীয় মিল্লাত প্রাং ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর পিতা মোঃ আব্দুল মতিন সোনাতলা থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করেন। অপহরনকারী মিল্লাত একই গ্রামের ঠান্ডু প্রামানিকের ছেলে।
এজাহারের ভিত্তিতে পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযান শুরু হয়। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর অবশেষে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) মামলার প্রধান আসামি মিল্লাত প্রাং-কে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রওশন কবির জানান, “র‌্যাব-১২ এর সহযোগিতায় মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চিকিৎসা ও আইনগত প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।”

অপহৃত কন্যার পরিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, এই ঘটনায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে, তবে স্কুল ছাত্রী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের নজরদারি অব্যাহত রাখার প্রয়োজন রয়েছে।

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
ফয়সাল আহম্মেদ
মোবা: ০১৯১২-৯৯৯২৪৭
তাং- ১৬/১০/২০২৫ ইং