শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২

পলাশ হোসেন, পাবনা

পেয়ারা চাষে ক্ষতি, মাল্টায় সাফল্য: বছরে আয় ১৫ লাখ

পলাশ হোসেন, পাবনা প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ২:০৮ পিএম | 23 বার পড়া হয়েছে
পেয়ারা চাষে ক্ষতি, মাল্টায় সাফল্য: বছরে আয় ১৫ লাখ

একসময় পেয়ারা ও কলা বাগান করেন শামীম আক্তার তুহিন। কিন্তু দফায় দফায় লোকসানে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। চাকরি ও অন্য ব্যবসা ছেড়ে কৃষিতে সফলতার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন আচ্ছন্ন হয় হতাশার কালো আঁধারে। তবে এখন তাকে ঘিরে রচিত হয়েছে পদ্মার চরে সাফল্যের গল্প।
জানা যায়, পাবনা সদর উপজেলার চর তারাপুর ইউনিয়নের কোলচরী গ্রামের আব্দুল জলিল বিশ্বাসের ছেলে তুহিন। এবার দেশি জাতের বারি-১ মাল্টা চাষে ভাগ্যবদলের হাতছানি দিচ্ছে তাকে। পদ্মার বুকে জেগে ওঠা চরে মাল্টা চাষের উপযোগী জমিতে ভালো ফলন ও দামে ১৮ বিঘা জমির বাগান থেকে এখন তার বছরে আয় কমপক্ষে ১৫ লাখ টাকা। বাগানে সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থানেরও। খরচের দ্বিগুণ দামে মাল্টা বিক্রি হওয়ায় মুনাফা ব্যাপক। তার দেখাদেখি এ জাতের মাল্টা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন বছরের পর বছর মুড়িকাটা পেঁয়াজে লোকসান গোনা চাষিরা।
উদ্যোক্তা তুহিন বলেন, ‌‘২০০৯ সালে শখের বশে বরইয়ের বাগান দিয়ে শুরু করি। পরে ৫৫ বিঘা জমিতে পেয়ারায় টুকটাক আয় হতে থাকে। এরপর ১৮ বিঘায় পেয়ারা ও কলা বাগান করি। সবমিলিয়ে প্রায় ৭০ বিঘার বাগান হয়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও করোনার কারণে সব শেষ হয়ে যায়। মোটামুটি ৫০ লাখ টাকার মতো লোকসান হয়। সবশেষ মাল্টা বাগান আবার আশা দেখিয়েছে। পদ্মার চরের মাটি বেলে-দোঁআশ বা পলিমাটি হওয়ায় ফলন ভালো হচ্ছে। শুরুতে দাম ও ফলন কম হলেও এ বছর তুলনামূলক ভালো বাজার ও ফলনে লাভজনক অবস্থায় আছি। খরচ বাদে বছরে লাখ পনেরো টাকা আয় হবে।
তিনি জানান, ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় ২০২২ সালে পদ্মা নদীর বুকে জেগে ওঠা চরের ১৮ বিঘা জমি লিজ নিয়ে মাল্টা চাষ শুরু করেন। চুয়াডাঙ্গার এক নার্সারি থেকে বারি-১ জাতের মাল্টার ১ হাজার ৭০০ চারা রোপণের পর প্রথমবার ৫০০ মণ ফলন পেলেও হতাশ হননি তুহিন। পরের বছরগুলোতে ৭০০ ও ৯০০ মণ করে ফলন মেলে। অনুকূল আবহাওয়ায় এ বছর কমপক্ষে ১ হাজার ২০০ মণ মাল্টা বাজারজাত করা সম্ভব হবে। বর্তমানে ২ হাজার ৫০০ টাকা মণ হিসেবে বাজারদর দাঁড়াবে প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
উদ্যোক্তা তুহিন বলেন, ‘প্রতি বছর এ সময় বাগান থেকে একবার মাল্টা তোলা হয়। বছরে দুবার সার দেওয়া বাবদ ১ লাখ টাকা, কীটনাশকে ২ লাখ, জৈব সারে ৪০ হাজার ও শ্রমিক বাবদ ৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়। এ ছাড়া ২০ হাজার টাকা বিঘা হিসেবে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও মাল্টা বিপণন বাবদ মোট ১২-১৫ লাখ টাকা খরচ হয়। পাবনা শহর, কাশিনাথপুর ও সুজানগরের বিভিন্ন আড়ত ও দোকানির কাছে এ মাল্টা বিক্রি করা হয়।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ বিদেশি পণ্যের নাম শুনলে অতিরিক্ত ঝোঁক দেখায়। ফলের ক্ষেত্রেও তাই। এভাবে বিদেশি ফলের দিকে না ঝুঁকে মানুষ যদি দেশি ফল বেশি বেশি কেনে, তবে এর বাজার ভালো হবে। চাষাবাদে আমাদেরও আগ্রহ বাড়বে। বর্তমানে বাজারদর ২৪০০-২৬০০ টাকা মণ। পরে আরও বাড়বে। ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার পর্যন্ত হতে পারে।
মাল্টা বাগানে কাজ করেন শ্রমিক সানোয়ার। ৭ হাজার টাকা বেতনে কাজ শুরু করলেও লাভ বৃদ্ধি ও বাজার হিসেবে এখন পারিশ্রমিক ১৮ হাজার টাকা। বাগানে তেমন কঠোর শ্রমের কিছু নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য বাগান বা ক্ষেত করার মতো মাল্টা বাগানে এত পরিশ্রম নেই। কাজও সহজ। শুরুতে গাছে ফল কম এলেও এ বছর অনেক ফল এসেছে। খেতেও সুস্বাদু। দাম ভালো পেলে মহাজনের এবার ভালো লাভ হবে।
আরেক বাগান শ্রমিক সরোয়ার বলেন, ‘শুরু থেকেই আমি বাগান মালিকের সাথে আছি। মাটি ও আবহাওয়া ভালো হওয়ায় বাগানে তেমন রোগবালাই এখনো দেখা যায় নাই। তবে মাকড় বা ছত্রাকের কারণে কখনো কখনো পাতা কুচকে যেতে দেখা যায়। তখন মালিককে দেখালে তার পরামর্শ অনুযায়ী কীটনাশক দিই। তবে সেটি খুবই কম। এ ছাড়া তেমন অতিরিক্ত সার বা কীটনাশক দেওয়া হয় না। এবার গাছে ফল অনেক আসছে। ডালে ডালে থোকায় থোকায় ধরে আছে। এবারে অনেক লাভ হবে।
তুহিনের মাল্টা বাগান দেখতে আসা স্থানীয় চাষি আব্দুর রহিম বলেন, ‘এ চরেই প্রতি বছর পেঁয়াজ আবাদ করি। দূর থেকে দেখি আর শুনি, চরের এই মাটিতে ভালো মাল্টার আবাদ হইছে। তাই ভাবলাম দেখে আসি। এসে দেখছি মাল্টা ভালোই আসছে গাছে। ২৫০০-২৬০০ টাকা মণ দাম হলে ভালো লাভ হওয়ার কথা। ভাবছি এসবের আবাদই ধরা যায় কি না।
চাষি হানিফ, সবুজ ও রশিদ বলেন, ‘মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ করে আমরা ঋণের ভারে একবারে শেষ। দু’এক বছর ছাড়া প্রায় প্রতি বছরই এমন হয়। গত বছরও বিঘা জমিতে অনেকে ৬০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্তও মার খেয়েছে। তবুও আবার মৌসুম এলেই আবাদ করি। আমরা চাষাবাদ ছাড়া করবো কী। তবে মাল্টা চাষে তুহিন ভাই ভালোই লাভ করতেছেন। বছরে লাখ দশেক টাকা লাভ আমাদের জন্য অনেক। লাভ হলে আমরাও এই বাগানই করবো।
পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রামাণিক বলেন, ‘মাল্টার ক্ষেত্রে পূর্বে আমদানি নির্ভরতাই বেশি ছিল। এখন চরাঞ্চলে এর চাষ আরও বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে। ফলটি বেশ সুমিষ্ট হওয়ায় বাজারেও এর চাহিদা আছে। পাবনায় ১৯ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। আবাদ বৃদ্ধি ও ভালো ফলনের ব্যাপারে কৃষি বিভাগ সহায়তা দিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ‘শুরুতে তারা ভালো দাম থেকে বঞ্চিত হতেন। তারা ফল সংগ্রহের সঠিক সময় জানতেন না। ফলে আগে আগে সংগ্রহ করায় ওজন ও স্বাদ কম হওয়ায় চাহিদা কম হতো। এখন সমস্যাটি নেই। আমরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছি। কেউ আগ্রহী হলে তাদেরও সহায়তা করবো। আশা করি মাল্টার চাষ আরও বাড়বে।

গোদাগাড়ী উপজেলায় কৃষকের মাঝে শাক-সবজির বীজ ও সার বিতরণ

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৫৮ এএম
গোদাগাড়ী উপজেলায় কৃষকের মাঝে শাক-সবজির বীজ ও সার বিতরণ

 

জি.আর রওনক,রাজশাহী :

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় কৃষকের মাঝে মাঠ ও বসতবাড়ি পর্যায়ে চাষের জন্যে আগাম শাক-সবজির বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় গত বুধবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ।
সভাপতিত্ব করেন গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মরিয়ম আহমেদ।

মরিয়ম আহমেদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রথমে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ,তিনি কৃষিদের উদ্দেশ্যে বলেন চাষযোগ্য আগাম শীতকালীন শাক-সবজির বীজ ও সার দেওয়ার মাধ্যমে কৃষকরা যেন উপকৃত হয় এবং সময়ের আগে ফসল ঘরে তুলতে পারে এজন্য সরকারের এই ব্যবস্তা কৃষকরা যেন লাভের মুখ দেখতে পাই। উপজেলা কৃষি অফিসার মরিয়ম আহমেদ বলেন কৃষকরা সঠিক সময়ে বীজ রোপন করতে পারে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে এজন্য সরকারের এধরণের উদ্যোগ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মরিয়ম আহমেদ আরও বলেন, গোদাগাড়ী উপজেলার ৭১৫ জন কৃষককে বিনামূল্যে আগাম সবজির বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে।

এরমধ্যে ২১৫ জনকে বসতবাড়িতে লাগানোর জন্য এবং মাঠে ৫০০ কৃষককে লাগানোর জন্য শাক-সবজি বীজ দেওয়া হয়।

এছাড়া প্রত্যেক কৃষককে ডিএপি সার ১০কেজি ও এমওপি সার ১০ কেজি করে বিতরণ করা হয়। অন্যদিকে বসতবাড়িতে শাকসবজি চাষে আগ্রহী ২১৫ উপকারভোগীর মাঝে বেগুন, পালংশাক, লালশাক, মটরশুটি, লাউ, মূলা ও বাটিশাক-এই ৭ প্রকার সবজির বীজ ৫০০ গ্রাম করে দেওয়া হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার,উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার, উপজেলা সহকারী কৃষি অফিসার ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মরিয়ম আহমেদ সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ শতাধিক কৃষক-কৃষানী।

গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার মরিয়ম আহমেদ জানান, এই উদ্যোগের মাধ্যমে কৃষকরা আগাম সবজি উৎপাদনে উৎসাহিত হবেন এবং পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে। চলতি অর্থবছরে রাজশাহী জেলায় ৬ হাজার ১৬০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের জন্য প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।

“ময়মনসিংহে পুলিশের দুর্ধর্ষ অভিযান, ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার”

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৫৩ এএম
“ময়মনসিংহে পুলিশের দুর্ধর্ষ অভিযান, ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার”

 

আবুল কালাম আজাদ, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহ শহরে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে ১০৫ পিস ইয়াবাসহ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ। বুধবার (১৬ অক্টোবর ২০২৫) দুপুর ৩টা ৩০ মিনিট থেকে ৪টা পর্যন্ত বলাশপুর পালপাড়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি বিশেষ রেইডিং টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন এসআই মোঃ আল মাসুদ। তার সঙ্গে ছিলেন এএসআই মাইন উদ্দিন ও সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা—সিপাই রাজু মিয়া, আশরাফুল, আলম পাপ্পু, সারোয়ার হোসেন নোমান এবং সালমান ফার্সি।

অভিযান চলাকালে পুলিশ সদস্যরা একটি ভাড়াকৃত গাড়িতে করে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজল রানী সরকারের বাড়ির পূর্ব পাশের গলিপথে এক সন্দেহজনক যুবককে চিহ্নিত করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে পালানোর চেষ্টা করলে দ্রুত ঘেরাও করে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তার দেহ তল্লাশি করে পরিহিত ট্রাউজারের পকেট থেকে একটি নীল পলিথিনে মোড়ানো ব্যাগে ১০৫ পিস কমলা রঙের ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

আটক যুবকের নাম মোঃ স্বপন মিয়া (২৭), পিতা মৃত নুর ইসলাম মাস্টার, মাতা কুলসুম বেগম, ঠিকানা—ভাটিকাশর, ময়মনসিংহ কোতোয়ালী। উদ্ধার করা ইয়াবার মোট ওজন ১০ গ্রাম এবং আনুমানিক বাজারমূল্য ৩১ হাজার ৫০০ টাকা।

পুলিশ জানায়, আটককৃত স্বপনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৯(১)(খ) ধারা অনুযায়ী মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে, যা আইনটির ৩৬(১) ধারার ১০(ক) অনুযায়ী বিচারযোগ্য অপরাধ।

অভিযান শেষে এসআই মোঃ আল মাসুদ বলেন, “মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি। আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী। সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে এই ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে।”

তিনি আরও জানান, পুলিশের এই অভিযান মাদকবিরোধী চলমান কার্যক্রমের একটি অংশ মাত্র। ময়মনসিংহ শহর ও আশপাশের এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পুলিশের পক্ষ থেকে স্থানীয় জনগণকে মাদক নির্মূলে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা বলেন, “আপনার এলাকায় মাদক সংক্রান্ত কোনো তথ্য থাকলে নিকটস্থ থানায় জানান। সবাই মিলে এগিয়ে এলে মাদকমুক্ত সমাজ গড়া সম্ভব।”

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, পুলিশের এই সাহসী পদক্ষেপ সমাজে মাদকের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর অংশগ্রহণ — “এই মুহূর্ত শুধু একজন ব্যক্তির নয়, আমাদের প্রজন্মেরও গর্বের প্রতীক”

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর অংশগ্রহণ — “এই মুহূর্ত শুধু একজন ব্যক্তির নয়, আমাদের প্রজন্মেরও গর্বের প্রতীক”

 

মো. শাহজাহান বাশার, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় এক অধ্যায় যোগ হতে যাচ্ছে আজ, ১৭ অক্টোবর ২০২৫। বিকেল চারটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান—যা রাষ্ট্রীয় ঐক্য, গণতান্ত্রিক চেতনা ও নাগরিক অঙ্গীকারের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এই ঐতিহাসিক আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ধান্যদৌল গ্রামের কৃতী সন্তান ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী, যিনি প্রখ্যাত সমাজসেবক আবদুর রাজ্জাক খান চৌধুরীর পুত্র।

ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারা নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তিনি লিখেছেন—“এই মুহূর্ত শুধু একজন ব্যক্তির নয়, আমাদের প্রজন্মেরও গর্বের প্রতীক। জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের অংশ হতে পারা আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অর্জন।”

তিনি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি জনাব মাহমুদুর রহমান মান্না-এর প্রতি, যার অনুপ্রেরণা ও সহায়তায় এই মহতি আয়োজনের অংশ হতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা আজকের এই ঐতিহাসিক আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, যিনি জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন, সুশাসন ও ঐক্যের নতুন অঙ্গীকার ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।

ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর এই অংশগ্রহণ শুধু তার ব্যক্তিগত গৌরব নয়—এটি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া তথা সমগ্র অঞ্চলের মানুষের জন্যও এক গর্বের বিষয়। স্থানীয়রা মনে করেন, দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক অধ্যায়ে তাদের এলাকার একজন তরুণ আইনজীবীর উপস্থিতি নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।

জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে ঘিরে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ইতোমধ্যেই উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। রাষ্ট্রীয় সংগীত, পতাকা উত্তোলন, এবং সম্মিলিত নাগরিক অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।