শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

মাহরাম ও গায়রে মাহরাম

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:১৭ পিএম | 97 বার পড়া হয়েছে
মাহরাম ও গায়রে মাহরাম

যেসব নারীকে যেসব পুরুষের বিয়ে করা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ সেসব নারী ওইসব পুরুষদের মাহরাম। যেসব নারীকে সাময়িকভাবে বিয়ে করা একজন পুরুষের জন্য নিষিদ্ধ যেমন- নিজের স্ত্রী থাকা অবস্থায় তার বোন, ফুফু ও খালা বিয়ে করা- তারা এই পুরুষের মাহরাম নয়। পুরুষরা যেসব নারীকে বিয়ে করা বৈধ, সেসব নারী পুরুষদের গায়রে মাহরাম। অনুরূপভাবে নারীরা যেসব পুরুষকে বিয়ে করা স্থায়ীভাবে অবৈধ ওইসব পুরুষ নারীদের মাহরাম। আর নারীরা যেসকল পুরুষকে বিয়ে করা বৈধ, ওইসব পুরুষ নারীদের গায়রে মাহরাম।

ইসলামী শরীয়তে গায়রে মাহরাম পুরুষ ও নারীর মধ্যে একে অপরকে পর্দা করা ফরজ। গায়রে মাহরাম অর্থাৎ বেগানা নারীর প্রতি দৃষ্টিপাত করা পুরুষের জন্য হারাম। তেমনি গায়রে মাহরাম পুরুষের প্রতি দৃষ্টিপাত করা নারীর জন্য উচিত নয়। তবে অনিচ্ছায় হঠাৎ যে দৃষ্টি পড়ে যায়, সেটার কথা ভিন্ন। ইচ্ছাকৃতভাবে দৃষ্টিকে দীর্ঘায়িত করা হলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ছতর ঢেকে রাখা ফরজ। ছতর পর্দার আওতাধীন। পুরুষের ছতর নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত এবং নারীর ছতর মুখমণ্ডল, হাতের কব্জি এবং পায়ের পাতা ছাড়া বাকি সর্বাঙ্গ। অবশ্য মুখমণ্ডল ছতরের অন্তর্ভুক্ত না হলেও হিজাবের অন্তর্ভুক্ত। তাই নারীরা গায়রে মাহরাম থেকে নিজের মুখমণ্ডল ঢেকে রাখতে হবে। কারও ছতর স্পর্শ করা তো দূরের কথা দূর হতে দেখা এবং দেখানোও হারাম। অবশ্য বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন চিকিৎসার জন্য ছতরের প্রয়োজনীয় অংশ দেখানো যেতে পারে। এছাড়াও মুসলিম নারী বিধর্মী নারীদের সাথেও পর্দা করতে হবে। নারীরা তার মাহরামের সামনে বের হতে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু কোনো ফিতনার আশঙ্কা থাকলে বের না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পর্দার কোনো হুকুম নেই। তবে একে অন্যের লজ্জাস্থান দেখা উচিত নয়।

নিম্নবর্ণিত নারীরা পুরুষের মাহরাম
১. মা: এ পর্যায়ে আপন মা, সৎ মা এবং দুধ মা মাহরামভুক্ত। সৎ মা’র সঙ্গে পিতার সহবাস হোক বা নাই হোক। তবে দুধ সম্পর্কিত সৎ মা, দুধ ভাইবোনের আপন মা ও দুধ মা এবং দুধ ছেলেমেয়ের আপন দাদি ও দুধ দাদি মাহরামভুক্ত নয়। এছাড়া অন্য কোনো প্রকারের মা যেমন- ধর্মীয় মা, পালক মা, চাচি ও মামি মাহরাম নয়।

২. খালা: এ পর্যায়ে আপন খালা, সৎ খালা, বৈপিত্রেয় খালা, দুধ খালা অর্থাৎ দুধ মা’র আপন বোন, সৎ বোন, বৈপিত্রেয় বোন এবং দুধ বোন মাহরাম। এমনিভাবে আপন মাতা-পিতার খালা, দাদা-দাদির খালা ও নানা-নানির খালাও মাহরামভুক্ত। উল্লেখ্য যে, বৈপিত্রেয় বলতে বোঝায়, দুইজন লোক চাই পুরুষ হোক কিংবা নারী, যদি তাদের মা এক এবং বাপ ভিন্ন হয়, তাহলে সে দু’জন বৈপিত্রেয় স¤পর্কে ভাইবোন।

৩. ফুফু: এ পর্যায়ে আপন ফুফু, সৎ ফুফু, বৈপিত্রেয় ফুফু ও দুধ ফুফু মাহরাম। এমনি নিজের মাতাপিতার ফুফু, দাদা-দাদির ফুফু ও নানা-নানির ফুফু এভাবে যত উপরে যাক সকলেই মাহরাম। তবে বৈপিত্রেয় ফুফুর ফুফু মাহরাম নয়।

৪. বোন: এ পর্যায়ে আপন বোন, সৎ বোন, বৈপিত্রেয় বোন এবং দুধ মা’র আপন মেয়ে ও সৎ মেয়ে মাহরাম। তবে সৎ ভাইয়ের বৈপিত্রেয় বোন মাহরাম নয়। আপন ছেলেমেয়ের দুধ মা, আপন ভাইবোনের দুধ বোন, দুধ ভাইবোনের আপন বোন ও দুধ বোন মাহরাম নয়। অনুরূপ দুধ মা’র দুধ মেয়ের আপন বোন, সৎ বোন ও দুধ বোন মাহরাম নয়। তেমনি দুধ ছেলেমেয়ের আপন ফুফু ও দুধ ফুফু মাহরাম নয়। এছাড়া চাচাতো, খালাতো, ফুফাতো ও মামাতো বোন মাহরাম নয়।

৫. মেয়ে: এ পর্যায়ে আপন মেয়ে, দুধ মেয়ে ও বৈপিত্রেয় মেয়ে অর্থাৎ নিজের স্ত্রীর প্রাক্তন ঔরসজাত মেয়ে মাহরাম। অবশ্য বৈপিত্রেয় মেয়ে মাহরাম হবে যদি তার মায়ের সঙ্গে সহবাস হয়ে থাকে। আর যদি শুধু বিয়ের আকদ হয়ে থাকে, কিন্তু সহবাস না হয়ে থাকে, তাহলে স্ত্রীর প্রাক্তন মেয়ে মাহরাম নয়। বর্ণিত নারীদের অধঃস্তন নারীরাও মাহরাম। তবে দুধ ছেলেমেয়ের আপন বোন ও দুধ বোন মাহরাম নয়।

৬. পুত্রবধূ: এ পর্যায়ে আপন পুত্রের স্ত্রী, দুধ পুত্রের স্ত্রী মাহরাম। তেমনি আপন পুত্রের পুত্রের স্ত্রী এবং দুধ পুত্রের পুত্রের স্ত্রী এভাবে নিচের দিকে যতই যাক। বৈপিত্রেয় পুত্রের স্ত্রী মাহরামভুক্ত নয়। তেমনি দুধ পুত্রের পুত্রের দুধ মা ও দুধ মেয়ের মেয়ের দুধ মা মাহরাম নয়।

৭. ভাতিজি: এ পর্যায়ে আপন ভাইয়ের মেয়ে, সৎ ভাইয়ের মেয়ে, বৈপিত্রেয় ভাইয়ের মেয়ে ও দুধ ভাইয়ের মেয়ে মাহরাম। তবে চাচাতো, ফুফাতো, খালাতো ও মামাতো ভাইয়ের মেয়ে মাহরাম নয়।

৮. ভাগিনি: এ পর্যায়ে আপন বোনের মেয়ে, সৎ বোনের মেয়ে, দুধ বোনের মেয়ে, বৈপিত্রেয় বোনের মেয়ে এবং এদের অধঃস্তন সবাই মাহরাম। চাচাতো, ফুফাতো, খালাতো ও মামাতো বোনের মেয়ে মাহরাম নয়।

৯. নাতিন: এ পর্যায়ে আপন ছেলের মেয়ে, দুধ ছেলের মেয়ে, বৈপিত্রেয় ছেলের মেয়ে, আপন মেয়ের মেয়ে, দুধ মেয়ের মেয়ে, বৈপিত্রেয় মেয়ের মেয়ে, আপন ভাইয়ের ছেলের মেয়ে, সৎ ভাইয়ের ছেলের মেয়ে, দুধ ভাইয়ের ছেলের মেয়ে, বৈপিত্রেয় ভাইয়ের ছেলের মেয়ে, আপন ভাইয়ের মেয়ের মেয়ে, সৎ ভাইয়ের মেয়ের মেয়ে, দুধ ভাইয়ের মেয়ের মেয়ে, বৈপিত্রেয় ভাইয়ের মেয়ের মেয়ে, আপন বোনের ছেলের মেয়ে, সৎ বোনের ছেলের মেয়ে, দুধ বোনের ছেলের মেয়ে, বৈপিত্রেয় বোনের ছেলের মেয়ে, আপন বোনের মেয়ের মেয়ে, সৎ বোনের মেয়ের মেয়ে, দুধ বোনের মেয়ের মেয়ে ও বৈপিত্রেয় বোনের মেয়ের মেয়ে এবং বোনের অধঃস্তন সকল নারী মাহরামভুক্ত।

বৈপিত্রেয় ছেলের মেয়ে ও বৈপিত্রেয় মেয়ের মেয়ে হলÑ নিজের স্ত্রীর যথাক্রমে প্রাক্তন ছেলের মেয়ে এবং মেয়ের মেয়ে। এক্ষেত্রে নিজ স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস হয়ে থাকলে এরা দু’জন মাহরামভুক্ত হবে অন্যথায় নয়। তবে দুধ ছেলেমেয়ের আপন বোনের মেয়ে ও দুধ ছেলেমেয়ের দুধ বোনের মেয়ে মাহরাম নয়।

১০. দাদি: এ পর্যায়ে আপন দাদি এবং তার মা এভাবে যত উপরে যাক, সৎ দাদি, দুধ দাদি, আপন দাদি ও দুধ দাদির আপন বোন, সৎ বোন, দুধ বোন ও বৈপিত্রেয় বোন মাহরামভুক্ত। তবে দুধ চাচা ও দুধ ফুফুর আপন মা ও দুধ মা মাহরাম নয়।

১১. নানি: এ পর্যায়ে আপন নানি এবং তার মা এভাবে যত উপরে যাক, সৎ নানি, দুধ নানি, আপন নানি ও দুধ নানির আপন বোন, সৎ বোন, দুধ বোন ও বৈপিত্রেয় বোন মাহরামভুক্ত। তবে দুধ মামা-খালার আপন মা ও দুধ মা মাহরাম নয়।

১২. শাশুড়ি: এ পর্যায়ে আপন শাশুড়ি ও দুধ শাশুড়ি যত উপরে যাক মাহরাম। সৎ শাশুড়ি মাহরাম নয়। তেমনি দুধ ছেলেমেয়ের আপন নানি ও দুধ নানি মাহরাম নয়।

১৩. দাদি শাশুড়ি: এ পর্যায়ে আপন দাদি শাশুড়ি ও দুধ দাদি শাশুড়ি যত উপরে যাক মাহরাম। সৎ দাদি শাশুড়ি মাহরাম নয়।

১৪. নানি শাশুড়ি: এ পর্যায়ে আপন নানি শাশুড়ি ও দুধ নানি শাশুড়ি মাহরাম। সৎ নানি শাশুড়ি, মামি শাশুড়ি, চাচি শাশুড়ি, খালা শাশুড়ি ও ফুফু শাশুড়ি মাহরাম নয়।

নিম্নবর্ণিত পুরুষরা নারীদের মাহরাম:
১. পিতা: এ পর্যায়ে আপন পিতা, সৎ পিতা এবং দুধ পিতা মাহরাম। অন্য যেকোনো প্রকারের পিতা যেমন, ধর্মীয় পিতা, পালক পিতা ও উকিল পিতা মাহরাম নয়।

২. দাদা: এ পর্যায়ে আপন দাদা এবং তার আপন ভাই, সৎ ভাই, দুধ ভাই ও বৈপিত্রেয় ভাই মাহরাম। তেমনি দাদার পিতা এভাবে যত উপরে যাক সবাই মাহরাম।

৩. চাচা: এ পর্যায়ে আপন চাচা, সৎ চাচা, বৈপিত্রেয় চাচা ও দুধ চাচা অর্থাৎ আপন পিতার দুধ ভাই, দুধ পিতার আপন ভাই, সৎ ভাই, বৈপিত্রেয় ভাই ও দুধ ভাই মাহরাম। এমনিভাবে পিতা, দাদা ও নানার চাচারাও মাহরাম।

৪. মামা: এ পর্যায়ে আপন মামা, সৎ মামা, বৈপিত্রেয় মামা ও দুধ মামা অর্থাৎ আপন মা’র দুধ ভাই, দুধ মা’র আপন ভাই, সৎ ভাই, বৈপিত্রেয় ভাই ও দুধ ভাই মাহরাম। এমনিভাবে মা, দাদি ও নানির মামারাও মাহরাম। তবে আপন ফুফা ও খালুও মাহরাম নয়।

৫. ভাই: এ পর্যায়ে আপন ভাই, সৎ ভাই, বৈপিত্রেয় ভাই ও দুধ ভাই অর্থাৎ আপন মা’র দুধ ছেলে, দুধ মা’র আপন ছেলে, সৎ ছেলে ও দুধ ছেলে মাহরাম। এ ছাড়া চাচাতো, খালাতো, মামাতো, ফুফাতো ভাই এবং দুলাভাই, দেবর ও ভাসুর মাহরাম নয়।

৬. ছেলে: এ পর্যায়ে আপন ছেলে, সৎ ছেলে ও দুধ ছেলে মাহরাম। পালক ছেলে ও ধর্মীয় ছেলে মাহরাম নয়।

৭. জামাই: এ পর্যায়ে আপন মেয়ের জামাই ও দুধ মেয়ের জামাই মাহরাম। অনুরূপ আপন মেয়ের মেয়ের জামাই এবং দুধ মেয়ের মেয়ের জামাই এভাবে যত নিচের দিকে যাক সবাই মাহরামভুক্ত।

৮. ভাইপো: এ পর্যায়ে আপন ভাইয়ের ছেলে, সৎ ভাইয়ের ছেলে, দুধ ভাইয়ের ছেলে এবং বৈপিত্রেয় ভাইয়ের ছেলে মাহরাম।

৯. ভাগিনা: এ পর্যায়ে আপন বোনের ছেলে, সৎ বোনের ছেলে, দুধ বোনের ছেলে এবং বৈপিত্রেয় বোনের ছেলে মাহরাম।

১০. নাতি: এ পর্যায়ে আপন ছেলের ছেলে, সৎ ছেলের ছেলে, দুধ ছেলের ছেলে, আপন মেয়ের ছেলে, সৎ মেয়ের ছেলে, দুধ মেয়ের ছেলে, আপন ভাইয়ের ছেলের ছেলে, সৎ ভাইয়ের ছেলের ছেলে, দুধ ভাইয়ের ছেলের ছেলে, বৈপিত্রেয় ভাইয়ের ছেলের ছেলে, আপন ভাইয়ের মেয়ের ছেলে, সৎ ভাইয়ের মেয়ের ছেলে, দুধ ভাইয়ের মেয়ের ছেলে, বৈপিত্রেয় ভাইয়ের মেয়ের ছেলে, আপন বোনের ছেলের ছেলে, সৎ বোনের ছেলের ছেলে, দুধ বোনের ছেলের ছেলে, বৈপিত্রেয় বোনের ছেলের ছেলে, আপন বোনের মেয়ের ছেলে, সৎ বোনের মেয়ের ছেলে, দুধ বোনের মেয়ের ছেলে এবং বৈপিত্রেয় বোনের মেয়ের ছেলে ও তাদের অধঃস্তন পুরুষরাও মাহরামভুক্ত।

১১. নানা: এ পর্যায়ে আপন নানা এবং তার আপন ভাই, বৈপিত্রেয় ভাই, দুধ ভাই ও সৎ ভাইÑ এভাবে যত উপরে যাক, সবাই মাহরাম।

১২. শ্বশুর: এ পর্যায়ে আপন শ্বশুর ও দুধ শ্বশুর মাহরাম। তবে সৎ শ্বশুর যেমন- শাশুড়ির প্রাক্তন স্বামী মাহরাম নয়।

১৩. দাদা শ্বশুর: এ পর্যায়ে আপন দাদা শ্বশুর ও দুধ দাদা শ্বশুর মাহরাম। সৎ দাদা শ্বশুর মাহরাম নয়।

১৪. নানা শ্বশুর: এ পর্যায়ে আপন নানা শ্বশুর ও দুধ নানা শ্বশুর মাহরাম। সৎ নানা শ্বশুর, মামা শ্বশুর, চাচা শ্বশুর, খালু শ্বশুর ও ফুফা শ্বশুর মাহরাম নয়। এছাড়া মাহরামের উপরে বর্ণিত তালিকা ছাড়া পৃথিবীর সকল পুরুষ নারীদের জন্য এবং সকল নারী পুরুষদের জন্য গায়রে মাহরাম।

লেখক: প্রধান শিক্ষক, কিন্ডারগার্টেন শাখা, শাহবাগ জামিয়া মাদানিয়া কাসিমুল উলুম জকিগঞ্জ, সিলেট ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, জকিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট।

তথ্যসূত্র:
১. সূরা: নিসা, আয়াত- ২২, ২৩ ও ২৪
২. সূরা: নূর, আয়াত- ৩১
৩. ফতওয়ায়ে শামী, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৯৯-১০৮ ও ৪০২-৪১০
৪. ফতওয়ায়ে আলমগিরী, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ২৭৩-২৭৭
৫. বাদায়িউস সানায়ে, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ৩৯৬-৪০০

ভূঞাপুরে জামায়াতে ইসলামের পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত 

খন্দকার আউয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮:১৫ পিএম
ভূঞাপুরে জামায়াতে ইসলামের পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত 

টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলায় শনিবার বাদ আসর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের উদ্যোগে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

বিক্ষোভ মিছিলটি বাদ আসর নামাজ শেষে উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল চলাকালে এলাকাজুড়ে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট অতিক্রম করে শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন , উপজেলা আমির আবদুল্লাহ আল মামুন, নায়েবে আমির মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, উপজেলা পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের আমিরসহ বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থক। সমাবেশে বক্তারা সরকারের প্রতি পাঁচ দফা দাবি জানান এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে পি,আর পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার কথা জোরালোভাবে তুলে ধরেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই একমাত্র পথ। এজন্য নির্বাচনকালীন সময়ে নির্দলীয় সরকার গঠন, গণহত্যার বিচার কার্যকর করা, জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি এবং রাষ্ট্র সংস্কারের মতো বিষয়গুলোও এখন সময়ের দাবি।

বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ রক্ষায় জামায়াতে ইসলাম সবসময় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। জনগণের অধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা পাঁচ দফা দাবির পক্ষে স্লোগান দেন এবং সরকারের প্রতি দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

মোঃ আব্দুল আজিজ ভাঙ্গুড়া পাবনা প্রতিনিধি

ভাঙ্গুড়ায় গরু বোঝাই নছিমন উল্টে ৩টি গরুর মৃত্যু

মোঃ আব্দুল আজিজ ভাঙ্গুড়া পাবনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:০৯ পিএম
ভাঙ্গুড়ায় গরু বোঝাই নছিমন উল্টে ৩টি গরুর মৃত্যু

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গরু বোঝাই একটি নছিমন উল্টে ৩টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর ) দুপুর ২টার দিকে ভাঙ্গুড়া টু নওগাঁ সড়কের খানমরিচ ইউনিয়নের পরমানন্দপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গরু গুলো তারাশ থানার নওগাঁ এলাকার এক ব্যবসায়ী বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় ভাঙ্গুড়া শরৎনগর গরুর হাট থেকে ৯টি গরু বোঝাই একটি নম্বর ও অনুমোদনহীন নছিমন দিয়ে নওগাঁ যাচ্ছিল। এই সময় পরমানন্দপুর মোড়ে গাড়িটি ব্রেক করে ঘুরাতে গেলে ব্রেক থেকে পা সরে গেলে উল্টে পাশের খাদে পড়ে যায়। নছিমনে থাকা ৯টি গরুর মধ্যে ৩টি গরু মারা যায়।এ সময় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে। জানা যায় লছিমনে থাকা মানুষের কোন ক্ষতি হয়নি।

প্রধান অতিথি কর্ণেল (অব.) জয়নাল আবেদীন

মনোহরদীতে বিএনপির উপজেলা কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন

আব্দুল মাবুদ মোহাম্মদ ইউসুফ, মনোহরদী, নরসিংদী প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:০২ পিএম
মনোহরদীতে বিএনপির উপজেলা কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোহরদী উপজেলা প্রাধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে নতুন কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল (অব.) জয়নাল আবেদিন। তিনি নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশীও বটে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কর্ণেল (অব.) জয়নাল আবেদিন বলেন, বিএনপি হচ্ছে দেশের গণমানুষের দল। এ দল দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হবে। আমরা ধানের শীষের পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নামবো।

অনুষ্ঠানে বিএনপির উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, নতুন কার্যালয় থেকে দলীয় কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে এ কার্যালয় হবে শক্তিশালী কেন্দ্রবিন্দু।

সভায় নেতাকর্মীরা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষকে বিজয়ী করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।