সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

মাহরাম ও গায়রে মাহরাম

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:১৭ পিএম | 62 বার পড়া হয়েছে
মাহরাম ও গায়রে মাহরাম

যেসব নারীকে যেসব পুরুষের বিয়ে করা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ সেসব নারী ওইসব পুরুষদের মাহরাম। যেসব নারীকে সাময়িকভাবে বিয়ে করা একজন পুরুষের জন্য নিষিদ্ধ যেমন- নিজের স্ত্রী থাকা অবস্থায় তার বোন, ফুফু ও খালা বিয়ে করা- তারা এই পুরুষের মাহরাম নয়। পুরুষরা যেসব নারীকে বিয়ে করা বৈধ, সেসব নারী পুরুষদের গায়রে মাহরাম। অনুরূপভাবে নারীরা যেসব পুরুষকে বিয়ে করা স্থায়ীভাবে অবৈধ ওইসব পুরুষ নারীদের মাহরাম। আর নারীরা যেসকল পুরুষকে বিয়ে করা বৈধ, ওইসব পুরুষ নারীদের গায়রে মাহরাম।

ইসলামী শরীয়তে গায়রে মাহরাম পুরুষ ও নারীর মধ্যে একে অপরকে পর্দা করা ফরজ। গায়রে মাহরাম অর্থাৎ বেগানা নারীর প্রতি দৃষ্টিপাত করা পুরুষের জন্য হারাম। তেমনি গায়রে মাহরাম পুরুষের প্রতি দৃষ্টিপাত করা নারীর জন্য উচিত নয়। তবে অনিচ্ছায় হঠাৎ যে দৃষ্টি পড়ে যায়, সেটার কথা ভিন্ন। ইচ্ছাকৃতভাবে দৃষ্টিকে দীর্ঘায়িত করা হলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ছতর ঢেকে রাখা ফরজ। ছতর পর্দার আওতাধীন। পুরুষের ছতর নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত এবং নারীর ছতর মুখমণ্ডল, হাতের কব্জি এবং পায়ের পাতা ছাড়া বাকি সর্বাঙ্গ। অবশ্য মুখমণ্ডল ছতরের অন্তর্ভুক্ত না হলেও হিজাবের অন্তর্ভুক্ত। তাই নারীরা গায়রে মাহরাম থেকে নিজের মুখমণ্ডল ঢেকে রাখতে হবে। কারও ছতর স্পর্শ করা তো দূরের কথা দূর হতে দেখা এবং দেখানোও হারাম। অবশ্য বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন চিকিৎসার জন্য ছতরের প্রয়োজনীয় অংশ দেখানো যেতে পারে। এছাড়াও মুসলিম নারী বিধর্মী নারীদের সাথেও পর্দা করতে হবে। নারীরা তার মাহরামের সামনে বের হতে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু কোনো ফিতনার আশঙ্কা থাকলে বের না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পর্দার কোনো হুকুম নেই। তবে একে অন্যের লজ্জাস্থান দেখা উচিত নয়।

নিম্নবর্ণিত নারীরা পুরুষের মাহরাম
১. মা: এ পর্যায়ে আপন মা, সৎ মা এবং দুধ মা মাহরামভুক্ত। সৎ মা’র সঙ্গে পিতার সহবাস হোক বা নাই হোক। তবে দুধ সম্পর্কিত সৎ মা, দুধ ভাইবোনের আপন মা ও দুধ মা এবং দুধ ছেলেমেয়ের আপন দাদি ও দুধ দাদি মাহরামভুক্ত নয়। এছাড়া অন্য কোনো প্রকারের মা যেমন- ধর্মীয় মা, পালক মা, চাচি ও মামি মাহরাম নয়।

২. খালা: এ পর্যায়ে আপন খালা, সৎ খালা, বৈপিত্রেয় খালা, দুধ খালা অর্থাৎ দুধ মা’র আপন বোন, সৎ বোন, বৈপিত্রেয় বোন এবং দুধ বোন মাহরাম। এমনিভাবে আপন মাতা-পিতার খালা, দাদা-দাদির খালা ও নানা-নানির খালাও মাহরামভুক্ত। উল্লেখ্য যে, বৈপিত্রেয় বলতে বোঝায়, দুইজন লোক চাই পুরুষ হোক কিংবা নারী, যদি তাদের মা এক এবং বাপ ভিন্ন হয়, তাহলে সে দু’জন বৈপিত্রেয় স¤পর্কে ভাইবোন।

৩. ফুফু: এ পর্যায়ে আপন ফুফু, সৎ ফুফু, বৈপিত্রেয় ফুফু ও দুধ ফুফু মাহরাম। এমনি নিজের মাতাপিতার ফুফু, দাদা-দাদির ফুফু ও নানা-নানির ফুফু এভাবে যত উপরে যাক সকলেই মাহরাম। তবে বৈপিত্রেয় ফুফুর ফুফু মাহরাম নয়।

৪. বোন: এ পর্যায়ে আপন বোন, সৎ বোন, বৈপিত্রেয় বোন এবং দুধ মা’র আপন মেয়ে ও সৎ মেয়ে মাহরাম। তবে সৎ ভাইয়ের বৈপিত্রেয় বোন মাহরাম নয়। আপন ছেলেমেয়ের দুধ মা, আপন ভাইবোনের দুধ বোন, দুধ ভাইবোনের আপন বোন ও দুধ বোন মাহরাম নয়। অনুরূপ দুধ মা’র দুধ মেয়ের আপন বোন, সৎ বোন ও দুধ বোন মাহরাম নয়। তেমনি দুধ ছেলেমেয়ের আপন ফুফু ও দুধ ফুফু মাহরাম নয়। এছাড়া চাচাতো, খালাতো, ফুফাতো ও মামাতো বোন মাহরাম নয়।

৫. মেয়ে: এ পর্যায়ে আপন মেয়ে, দুধ মেয়ে ও বৈপিত্রেয় মেয়ে অর্থাৎ নিজের স্ত্রীর প্রাক্তন ঔরসজাত মেয়ে মাহরাম। অবশ্য বৈপিত্রেয় মেয়ে মাহরাম হবে যদি তার মায়ের সঙ্গে সহবাস হয়ে থাকে। আর যদি শুধু বিয়ের আকদ হয়ে থাকে, কিন্তু সহবাস না হয়ে থাকে, তাহলে স্ত্রীর প্রাক্তন মেয়ে মাহরাম নয়। বর্ণিত নারীদের অধঃস্তন নারীরাও মাহরাম। তবে দুধ ছেলেমেয়ের আপন বোন ও দুধ বোন মাহরাম নয়।

৬. পুত্রবধূ: এ পর্যায়ে আপন পুত্রের স্ত্রী, দুধ পুত্রের স্ত্রী মাহরাম। তেমনি আপন পুত্রের পুত্রের স্ত্রী এবং দুধ পুত্রের পুত্রের স্ত্রী এভাবে নিচের দিকে যতই যাক। বৈপিত্রেয় পুত্রের স্ত্রী মাহরামভুক্ত নয়। তেমনি দুধ পুত্রের পুত্রের দুধ মা ও দুধ মেয়ের মেয়ের দুধ মা মাহরাম নয়।

৭. ভাতিজি: এ পর্যায়ে আপন ভাইয়ের মেয়ে, সৎ ভাইয়ের মেয়ে, বৈপিত্রেয় ভাইয়ের মেয়ে ও দুধ ভাইয়ের মেয়ে মাহরাম। তবে চাচাতো, ফুফাতো, খালাতো ও মামাতো ভাইয়ের মেয়ে মাহরাম নয়।

৮. ভাগিনি: এ পর্যায়ে আপন বোনের মেয়ে, সৎ বোনের মেয়ে, দুধ বোনের মেয়ে, বৈপিত্রেয় বোনের মেয়ে এবং এদের অধঃস্তন সবাই মাহরাম। চাচাতো, ফুফাতো, খালাতো ও মামাতো বোনের মেয়ে মাহরাম নয়।

৯. নাতিন: এ পর্যায়ে আপন ছেলের মেয়ে, দুধ ছেলের মেয়ে, বৈপিত্রেয় ছেলের মেয়ে, আপন মেয়ের মেয়ে, দুধ মেয়ের মেয়ে, বৈপিত্রেয় মেয়ের মেয়ে, আপন ভাইয়ের ছেলের মেয়ে, সৎ ভাইয়ের ছেলের মেয়ে, দুধ ভাইয়ের ছেলের মেয়ে, বৈপিত্রেয় ভাইয়ের ছেলের মেয়ে, আপন ভাইয়ের মেয়ের মেয়ে, সৎ ভাইয়ের মেয়ের মেয়ে, দুধ ভাইয়ের মেয়ের মেয়ে, বৈপিত্রেয় ভাইয়ের মেয়ের মেয়ে, আপন বোনের ছেলের মেয়ে, সৎ বোনের ছেলের মেয়ে, দুধ বোনের ছেলের মেয়ে, বৈপিত্রেয় বোনের ছেলের মেয়ে, আপন বোনের মেয়ের মেয়ে, সৎ বোনের মেয়ের মেয়ে, দুধ বোনের মেয়ের মেয়ে ও বৈপিত্রেয় বোনের মেয়ের মেয়ে এবং বোনের অধঃস্তন সকল নারী মাহরামভুক্ত।

বৈপিত্রেয় ছেলের মেয়ে ও বৈপিত্রেয় মেয়ের মেয়ে হলÑ নিজের স্ত্রীর যথাক্রমে প্রাক্তন ছেলের মেয়ে এবং মেয়ের মেয়ে। এক্ষেত্রে নিজ স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস হয়ে থাকলে এরা দু’জন মাহরামভুক্ত হবে অন্যথায় নয়। তবে দুধ ছেলেমেয়ের আপন বোনের মেয়ে ও দুধ ছেলেমেয়ের দুধ বোনের মেয়ে মাহরাম নয়।

১০. দাদি: এ পর্যায়ে আপন দাদি এবং তার মা এভাবে যত উপরে যাক, সৎ দাদি, দুধ দাদি, আপন দাদি ও দুধ দাদির আপন বোন, সৎ বোন, দুধ বোন ও বৈপিত্রেয় বোন মাহরামভুক্ত। তবে দুধ চাচা ও দুধ ফুফুর আপন মা ও দুধ মা মাহরাম নয়।

১১. নানি: এ পর্যায়ে আপন নানি এবং তার মা এভাবে যত উপরে যাক, সৎ নানি, দুধ নানি, আপন নানি ও দুধ নানির আপন বোন, সৎ বোন, দুধ বোন ও বৈপিত্রেয় বোন মাহরামভুক্ত। তবে দুধ মামা-খালার আপন মা ও দুধ মা মাহরাম নয়।

১২. শাশুড়ি: এ পর্যায়ে আপন শাশুড়ি ও দুধ শাশুড়ি যত উপরে যাক মাহরাম। সৎ শাশুড়ি মাহরাম নয়। তেমনি দুধ ছেলেমেয়ের আপন নানি ও দুধ নানি মাহরাম নয়।

১৩. দাদি শাশুড়ি: এ পর্যায়ে আপন দাদি শাশুড়ি ও দুধ দাদি শাশুড়ি যত উপরে যাক মাহরাম। সৎ দাদি শাশুড়ি মাহরাম নয়।

১৪. নানি শাশুড়ি: এ পর্যায়ে আপন নানি শাশুড়ি ও দুধ নানি শাশুড়ি মাহরাম। সৎ নানি শাশুড়ি, মামি শাশুড়ি, চাচি শাশুড়ি, খালা শাশুড়ি ও ফুফু শাশুড়ি মাহরাম নয়।

নিম্নবর্ণিত পুরুষরা নারীদের মাহরাম:
১. পিতা: এ পর্যায়ে আপন পিতা, সৎ পিতা এবং দুধ পিতা মাহরাম। অন্য যেকোনো প্রকারের পিতা যেমন, ধর্মীয় পিতা, পালক পিতা ও উকিল পিতা মাহরাম নয়।

২. দাদা: এ পর্যায়ে আপন দাদা এবং তার আপন ভাই, সৎ ভাই, দুধ ভাই ও বৈপিত্রেয় ভাই মাহরাম। তেমনি দাদার পিতা এভাবে যত উপরে যাক সবাই মাহরাম।

৩. চাচা: এ পর্যায়ে আপন চাচা, সৎ চাচা, বৈপিত্রেয় চাচা ও দুধ চাচা অর্থাৎ আপন পিতার দুধ ভাই, দুধ পিতার আপন ভাই, সৎ ভাই, বৈপিত্রেয় ভাই ও দুধ ভাই মাহরাম। এমনিভাবে পিতা, দাদা ও নানার চাচারাও মাহরাম।

৪. মামা: এ পর্যায়ে আপন মামা, সৎ মামা, বৈপিত্রেয় মামা ও দুধ মামা অর্থাৎ আপন মা’র দুধ ভাই, দুধ মা’র আপন ভাই, সৎ ভাই, বৈপিত্রেয় ভাই ও দুধ ভাই মাহরাম। এমনিভাবে মা, দাদি ও নানির মামারাও মাহরাম। তবে আপন ফুফা ও খালুও মাহরাম নয়।

৫. ভাই: এ পর্যায়ে আপন ভাই, সৎ ভাই, বৈপিত্রেয় ভাই ও দুধ ভাই অর্থাৎ আপন মা’র দুধ ছেলে, দুধ মা’র আপন ছেলে, সৎ ছেলে ও দুধ ছেলে মাহরাম। এ ছাড়া চাচাতো, খালাতো, মামাতো, ফুফাতো ভাই এবং দুলাভাই, দেবর ও ভাসুর মাহরাম নয়।

৬. ছেলে: এ পর্যায়ে আপন ছেলে, সৎ ছেলে ও দুধ ছেলে মাহরাম। পালক ছেলে ও ধর্মীয় ছেলে মাহরাম নয়।

৭. জামাই: এ পর্যায়ে আপন মেয়ের জামাই ও দুধ মেয়ের জামাই মাহরাম। অনুরূপ আপন মেয়ের মেয়ের জামাই এবং দুধ মেয়ের মেয়ের জামাই এভাবে যত নিচের দিকে যাক সবাই মাহরামভুক্ত।

৮. ভাইপো: এ পর্যায়ে আপন ভাইয়ের ছেলে, সৎ ভাইয়ের ছেলে, দুধ ভাইয়ের ছেলে এবং বৈপিত্রেয় ভাইয়ের ছেলে মাহরাম।

৯. ভাগিনা: এ পর্যায়ে আপন বোনের ছেলে, সৎ বোনের ছেলে, দুধ বোনের ছেলে এবং বৈপিত্রেয় বোনের ছেলে মাহরাম।

১০. নাতি: এ পর্যায়ে আপন ছেলের ছেলে, সৎ ছেলের ছেলে, দুধ ছেলের ছেলে, আপন মেয়ের ছেলে, সৎ মেয়ের ছেলে, দুধ মেয়ের ছেলে, আপন ভাইয়ের ছেলের ছেলে, সৎ ভাইয়ের ছেলের ছেলে, দুধ ভাইয়ের ছেলের ছেলে, বৈপিত্রেয় ভাইয়ের ছেলের ছেলে, আপন ভাইয়ের মেয়ের ছেলে, সৎ ভাইয়ের মেয়ের ছেলে, দুধ ভাইয়ের মেয়ের ছেলে, বৈপিত্রেয় ভাইয়ের মেয়ের ছেলে, আপন বোনের ছেলের ছেলে, সৎ বোনের ছেলের ছেলে, দুধ বোনের ছেলের ছেলে, বৈপিত্রেয় বোনের ছেলের ছেলে, আপন বোনের মেয়ের ছেলে, সৎ বোনের মেয়ের ছেলে, দুধ বোনের মেয়ের ছেলে এবং বৈপিত্রেয় বোনের মেয়ের ছেলে ও তাদের অধঃস্তন পুরুষরাও মাহরামভুক্ত।

১১. নানা: এ পর্যায়ে আপন নানা এবং তার আপন ভাই, বৈপিত্রেয় ভাই, দুধ ভাই ও সৎ ভাইÑ এভাবে যত উপরে যাক, সবাই মাহরাম।

১২. শ্বশুর: এ পর্যায়ে আপন শ্বশুর ও দুধ শ্বশুর মাহরাম। তবে সৎ শ্বশুর যেমন- শাশুড়ির প্রাক্তন স্বামী মাহরাম নয়।

১৩. দাদা শ্বশুর: এ পর্যায়ে আপন দাদা শ্বশুর ও দুধ দাদা শ্বশুর মাহরাম। সৎ দাদা শ্বশুর মাহরাম নয়।

১৪. নানা শ্বশুর: এ পর্যায়ে আপন নানা শ্বশুর ও দুধ নানা শ্বশুর মাহরাম। সৎ নানা শ্বশুর, মামা শ্বশুর, চাচা শ্বশুর, খালু শ্বশুর ও ফুফা শ্বশুর মাহরাম নয়। এছাড়া মাহরামের উপরে বর্ণিত তালিকা ছাড়া পৃথিবীর সকল পুরুষ নারীদের জন্য এবং সকল নারী পুরুষদের জন্য গায়রে মাহরাম।

লেখক: প্রধান শিক্ষক, কিন্ডারগার্টেন শাখা, শাহবাগ জামিয়া মাদানিয়া কাসিমুল উলুম জকিগঞ্জ, সিলেট ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, জকিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট।

তথ্যসূত্র:
১. সূরা: নিসা, আয়াত- ২২, ২৩ ও ২৪
২. সূরা: নূর, আয়াত- ৩১
৩. ফতওয়ায়ে শামী, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৯৯-১০৮ ও ৪০২-৪১০
৪. ফতওয়ায়ে আলমগিরী, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ২৭৩-২৭৭
৫. বাদায়িউস সানায়ে, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ৩৯৬-৪০০

১০ হাজার টাকা জরিমানা

পাইকগাছায় নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ কারেন্ট জাল জব্দ

শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি:- প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:৩০ পিএম
পাইকগাছায় নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ কারেন্ট জাল জব্দ

রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ ও কারেন্ট জাল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।পাইকগাছার গদাইপুর ইউনিয়নের মেলেক পুরাইকাটি গ্রামের সাধু পাড়ায় নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ কারেন্ট জাল আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে।এসময় মেলেক পুরাইকাটি গ্রামের প্রণব সাধুর বাড়ি থেকে ৩১৪ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ উদ্ধার করে এবং তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৬ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে।একই গ্রামের সত্য সাধুর বাড়ি থেকে ৪২ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্ট জাল উদ্ধার করে এবং তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে।জব্দকৃত ৩১৪কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ, ৪২কেজি কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। উক্ত নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ ও কারেন্ট জালের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় আনুমানিক ১লক্ষ ২০হাজার টাকা।অভিযান পরিচালনাকালে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর উদয় কুমার মন্ডল,পুলিশ উপপরিদর্শক বাবলা দাশ,উপজেলা আনসার ভিডিপি প্রশিক্ষক মোঃ আলতাফ হোসেন,পেশকার মোঃ ইবরাহীম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন,নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ ও কারেন্ট জাল পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।এগুলো ক্রয় বিক্রয় মজুদ দণ্ডনীয় অপরাধ।উপজেলা প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মুন্সীগঞ্জে মামলার রহস্য উদঘাটনে গোয়েন্দা পুলিশকে স্বীকৃতি প্রদান

মোঃ সুজন বেপারী প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:১০ পিএম
মুন্সীগঞ্জে মামলার রহস্য উদঘাটনে গোয়েন্দা পুলিশকে স্বীকৃতি প্রদান

মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানাধীন পদ্মা সেতুর মহাসড়কের বাইপাস লেন-এ একটি ক্লু-লেস হত্যা মামলা রহস্য উদঘাটন এবং শ্রীনগর থানাধীন মহাসড়ে ক্লু- লেস রোড ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন সহ দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং হত্যা কান্ড ব্যবহৃত বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত বিদেশী পিস্তলসহ উদ্ধারসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় মুন্সিগঞ্জ জেলার সুযোগ্য ও মানবিক পুলিশ সুপার জনাব মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার মহোদয় অদ্য ইং ২৩/১২/২০২৪ তারিখ সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় মুন্সিগঞ্জ পুলিশ লাইন্স শহিদ কনস্টবল বোরহান উদ্দিন খান মিলনায়তন-এ মাসিক কল্যাণ সভার সভাপতি মুন্সিগঞ্জ জেলার সুযোগ ও পুলিশ সুপার মহোদয় ক্লু-লেস হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার করায় এবং ক্লু-লেস ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার করায় এবং লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় তদন্তকারী সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ মুন্সিগঞ্জ জেলার সুযোগ্য ও মানবিক পুলিশ সুপার মহোদয় আমাকে সম্মাননা স্মারক হিসেবে নগদ অর্থ পুরস্কার প্রদান করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব মোহাম্মদ বদিউজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস্) জনাব মোঃ ফিরোজ কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ডিএসবি) জনাব কাজী হুমায়ূন রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুন্সিগঞ্জ সদর সার্কেল) জনাব মোঃ বিল্লাল হোসেন মহোদয়।

ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতার এবং ক্লু-লেস ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার ও ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান সহ অভিযানের সাহস এবং অভিযানের বিষয় সার্বিক সহযোগিতা করেন মুন্সিগঞ্জ জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার মহোদয় এবং অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ ইশতিয়াক আহমেদ রাসেল, জেলা গোয়েন্দা শাখা মুন্সিগঞ্জ মহোদয়।

মাধবপুরে মুফতি গিয়াস উদ্দিন ত্বাহেরী নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবী তে মানববন্ধন করছেন

হবিগঞ্জ ( মাধবপুর প্রতিনিধি )ফোরকান উদ্দিন রোমান  প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫:১৮ পিএম
মাধবপুরে মুফতি গিয়াস উদ্দিন ত্বাহেরী নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবী তে মানববন্ধন করছেন

আজ( ২১শে ডিসেম্বর ) শনিবার সকাল ১১ টা দিকে মাধবপুর উপজেলা গেইটের সামনে

মুফতি গিয়াস উদ্দিন ত্বাহেরী নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী তে মানববন্ধন পালন করছেন,

মাধবপুর উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠন এবং সকল পীর মাশায়েখগন।

মুফতি দুলাল ইসলাম বীন নুরী বলেন, মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরীর নামে যে মামলাটি করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমরা তার নামে মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহার চাই,

শেখ তানভীর হোসাইন আরিফ বলেন, মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরি আমাদের গর্ব, উনার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা হয়েছে তা প্রত্যাহার করা হোক,

মাধবপুর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনেক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন,