ঢাকা-১৭ আসনের উন্নয়নে মানবতার ফেরিওয়ালা মুহাম্মদ রুবেল হোসেনের অঙ্গীকার: “আমি মানুষের শান্তির জন্য পরিবর্তন চাই”


বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মন, নিজস্ব প্রতিবেদক:
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় দেশবাসী—এই সম্ভাষণ দিয়েই নিজের বক্তব্য শুরু করলেন এক মানবিক হৃদয়ের মানুষ, যিনি নিজেকে পরিচয় দেন “মানবতার ফেরিওয়ালা” হিসেবে। তিনি আর কেউ নন, মুহাম্মদ রুবেল হোসেন, ঢাকা-১৭ আসনের এক সচেতন নাগরিক ও সমাজসেবক, যিনি আজ নিজের জীবন উৎসর্গের অঙ্গীকার নিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
রুবেল হোসেন বলেন,
আমি আপনাদের সুখ-দুঃখের সাথী হতে চাই। আমাদের এই এলাকায় অসহায়, গরিব ও হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অথচ বিগত সময়ে যারা এই আসনের এমপি বা মন্ত্রী ছিলেন, তারা নির্বাচনী ইস্তেহারে অনেক আশা-ভরসা দিলেও বাস্তবে তেমন কোনো কাজ করেননি। জনগণের সেই আশা এখন হতাশায় রূপ নিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন,
এই পরিস্থিতিতে কেউ না কেউ জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাই আমি নিজেকে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি চাই আমার এলাকার মানুষের শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে। আমার জীবন আমি উৎসর্গ করতে প্রস্তুত।”
ঢাকা-১৭ আসন অন্তর্ভুক্ত মহাখালী, বনানী, গুলশান-১ ও ২, কালাচাঁদপুর, শাহজাদপুর, ভাষানটেক, কচুক্ষেত এবং ক্যান্টনমেন্ট এলাকা। এর মধ্যে কড়াইল বস্তি, সাততলা বস্তি ও ভাষানটেক বস্তিতে অসহায় মানুষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
এই জনগোষ্ঠীর দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে মানবতার ফেরিওয়ালা রুবেল হোসেন হাতে নিয়েছেন একগুচ্ছ বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা ও অঙ্গীকার।
ঢাকা-১৭ আসনের জন্য ১১ দফা অঙ্গীকার:
১️⃣ নিরাপদ পানির ব্যবস্থা
তিনি বলেন, “বছরের পর বছর মানুষ দূষিত পানি খেয়ে নানা রোগে ভুগছে। আমি কথা দিচ্ছি, প্রতিটি এলাকায় বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানির সুব্যবস্থা করা হবে।”
২️⃣ নিরাপদ বাসস্থান
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নিরাপদ ও স্থায়ী আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি।
৩️⃣ বস্তির দুর্গন্ধমুক্ত আধুনিক পরিবেশ
বস্তির প্রতিটি পাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও দুর্গন্ধমুক্ত করে আধুনিক পাড়ায় রূপান্তরিত করার অঙ্গীকার করেন।
৪️⃣ ড্রেনেজ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা
রাস্তায় জমে থাকা নোংরা পানি অপসারণ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের মাধ্যমে একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন।
৫️⃣ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ
প্রতিটি বস্তিতে নিয়মিত নিরাপত্তা টহল ও পুলিশ পয়েন্ট স্থাপন করে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন বলে ঘোষণা দেন তিনি।
৬️⃣ চাঁদাবাজি ও হয়রানি মুক্ত সমাজ
বস্তি ও নিম্নবিত্ত এলাকায় চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের উদ্যোগ নেবেন তিনি।
৭️⃣ বৈদ্যুতিক সংযোগের আধুনিকায়ন
প্রতিটি বাড়িতে বৈধ ও নিরাপদ বৈদ্যুতিক সংযোগ নিশ্চিত করে অগ্নি ও দুর্ঘটনা ঝুঁকি কমানোর উদ্যোগ নেবেন বলে জানান।
৮️⃣ ব্যবসা-বাণিজ্যে শৃঙ্খলা
প্রতিটি এলাকার দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খোলা ও বন্ধ রাখার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা হবে।
৯️⃣ রাস্তার মোড়ে নিরাপত্তা ঘাঁটি
জননিরাপত্তা জোরদারে প্রতিটি মোড়ে পুলিশ পেট্রোলিং ঘাঁটি স্থাপন করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি।
🔟 সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠন
বস্তিতে সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য রোধে বিশেষ কমিটি ও স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করবেন।
১১️⃣ মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা
মাদক নির্মূলে বিশেষ অভিযান, পুনর্বাসন কর্মসূচি ও সচেতনতা প্রচার চালিয়ে সমাজকে মাদকমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
মুহাম্মদ রুবেল হোসেন বলেন, আমি ক্ষমতার লোভে রাজনীতি করতে চাই না, আমি পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করতে চাই। আমি চাই, এই বস্তির শিশুরা হাসুক, মায়েরা নিরাপদ থাকুক, এবং মানুষ সম্মানের সঙ্গে বাঁচুক। আমি বিশ্বাস করি—মানুষের ভালোবাসাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি।”
তিনি আরও যোগ করেন,
আমার লক্ষ্য একটাই—মানবতার কল্যাণে কাজ করা, সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা এবং একটি আধুনিক, মানবিক ঢাকা-১৭ গড়ে তোলা। এজন্য আমি সবার দোয়া, সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করছি।”
ঢাকা-১৭ আসনের অবহেলিত জনগণের কল্যাণে, উন্নয়ন ও মানবতার পুনর্জাগরণের বার্তা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন একজন তরুণ সমাজপ্রেমী—মানবতার ফেরিওয়ালা মুহাম্মদ রুবেল হোসেন।
তাঁর এই ১১ দফা প্রতিশ্রুতি যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে নিঃসন্দেহে ঢাকা-১৭ আসন একদিন হবে “মানবতার মডেল আসন” — যেখানে মানুষ বাঁচবে নিরাপদে, মর্যাদার সঙ্গে ও ভালোবাসার ছায়ায়।
শুভেচ্ছান্তে,
মুহাম্মদ রুবেল হোসেন
মানবতার ফেরিওয়ালা ও
ঢাকা-১৭ আসনের সর্বোচ্চ সচেতন নাগরিক।