রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২
রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২

ঢাকা-১৭ আসনের উন্নয়নে মানবতার ফেরিওয়ালা মুহাম্মদ রুবেল হোসেনের অঙ্গীকার: “আমি মানুষের শান্তির জন্য পরিবর্তন চাই”

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম | 188 বার পড়া হয়েছে
ঢাকা-১৭ আসনের উন্নয়নে মানবতার ফেরিওয়ালা মুহাম্মদ রুবেল হোসেনের অঙ্গীকার: “আমি মানুষের শান্তির জন্য পরিবর্তন চাই”

 

বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মন, নিজস্ব প্রতিবেদক:

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় দেশবাসী—এই সম্ভাষণ দিয়েই নিজের বক্তব্য শুরু করলেন এক মানবিক হৃদয়ের মানুষ, যিনি নিজেকে পরিচয় দেন “মানবতার ফেরিওয়ালা” হিসেবে। তিনি আর কেউ নন, মুহাম্মদ রুবেল হোসেন, ঢাকা-১৭ আসনের এক সচেতন নাগরিক ও সমাজসেবক, যিনি আজ নিজের জীবন উৎসর্গের অঙ্গীকার নিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

রুবেল হোসেন বলেন,
আমি আপনাদের সুখ-দুঃখের সাথী হতে চাই। আমাদের এই এলাকায় অসহায়, গরিব ও হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অথচ বিগত সময়ে যারা এই আসনের এমপি বা মন্ত্রী ছিলেন, তারা নির্বাচনী ইস্তেহারে অনেক আশা-ভরসা দিলেও বাস্তবে তেমন কোনো কাজ করেননি। জনগণের সেই আশা এখন হতাশায় রূপ নিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন,
এই পরিস্থিতিতে কেউ না কেউ জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাই আমি নিজেকে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি চাই আমার এলাকার মানুষের শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে। আমার জীবন আমি উৎসর্গ করতে প্রস্তুত।”

ঢাকা-১৭ আসন অন্তর্ভুক্ত মহাখালী, বনানী, গুলশান-১ ও ২, কালাচাঁদপুর, শাহজাদপুর, ভাষানটেক, কচুক্ষেত এবং ক্যান্টনমেন্ট এলাকা। এর মধ্যে কড়াইল বস্তি, সাততলা বস্তি ও ভাষানটেক বস্তিতে অসহায় মানুষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
এই জনগোষ্ঠীর দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে মানবতার ফেরিওয়ালা রুবেল হোসেন হাতে নিয়েছেন একগুচ্ছ বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা ও অঙ্গীকার।

ঢাকা-১৭ আসনের জন্য ১১ দফা অঙ্গীকার:
১️⃣ নিরাপদ পানির ব্যবস্থা

তিনি বলেন, “বছরের পর বছর মানুষ দূষিত পানি খেয়ে নানা রোগে ভুগছে। আমি কথা দিচ্ছি, প্রতিটি এলাকায় বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানির সুব্যবস্থা করা হবে।”

২️⃣ নিরাপদ বাসস্থান

নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নিরাপদ ও স্থায়ী আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি।

৩️⃣ বস্তির দুর্গন্ধমুক্ত আধুনিক পরিবেশ

বস্তির প্রতিটি পাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও দুর্গন্ধমুক্ত করে আধুনিক পাড়ায় রূপান্তরিত করার অঙ্গীকার করেন।

৪️⃣ ড্রেনেজ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা

রাস্তায় জমে থাকা নোংরা পানি অপসারণ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের মাধ্যমে একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন।

৫️⃣ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ

প্রতিটি বস্তিতে নিয়মিত নিরাপত্তা টহল ও পুলিশ পয়েন্ট স্থাপন করে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন বলে ঘোষণা দেন তিনি।

৬️⃣ চাঁদাবাজি ও হয়রানি মুক্ত সমাজ

বস্তি ও নিম্নবিত্ত এলাকায় চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের উদ্যোগ নেবেন তিনি।

৭️⃣ বৈদ্যুতিক সংযোগের আধুনিকায়ন

প্রতিটি বাড়িতে বৈধ ও নিরাপদ বৈদ্যুতিক সংযোগ নিশ্চিত করে অগ্নি ও দুর্ঘটনা ঝুঁকি কমানোর উদ্যোগ নেবেন বলে জানান।

৮️⃣ ব্যবসা-বাণিজ্যে শৃঙ্খলা

প্রতিটি এলাকার দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খোলা ও বন্ধ রাখার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা হবে।

৯️⃣ রাস্তার মোড়ে নিরাপত্তা ঘাঁটি

জননিরাপত্তা জোরদারে প্রতিটি মোড়ে পুলিশ পেট্রোলিং ঘাঁটি স্থাপন করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি।

🔟 সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠন

বস্তিতে সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য রোধে বিশেষ কমিটি ও স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করবেন।

১১️⃣ মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা

মাদক নির্মূলে বিশেষ অভিযান, পুনর্বাসন কর্মসূচি ও সচেতনতা প্রচার চালিয়ে সমাজকে মাদকমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

মুহাম্মদ রুবেল হোসেন বলেন, আমি ক্ষমতার লোভে রাজনীতি করতে চাই না, আমি পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করতে চাই। আমি চাই, এই বস্তির শিশুরা হাসুক, মায়েরা নিরাপদ থাকুক, এবং মানুষ সম্মানের সঙ্গে বাঁচুক। আমি বিশ্বাস করি—মানুষের ভালোবাসাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি।”

তিনি আরও যোগ করেন,
আমার লক্ষ্য একটাই—মানবতার কল্যাণে কাজ করা, সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা এবং একটি আধুনিক, মানবিক ঢাকা-১৭ গড়ে তোলা। এজন্য আমি সবার দোয়া, সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করছি।”

ঢাকা-১৭ আসনের অবহেলিত জনগণের কল্যাণে, উন্নয়ন ও মানবতার পুনর্জাগরণের বার্তা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন একজন তরুণ সমাজপ্রেমী—মানবতার ফেরিওয়ালা মুহাম্মদ রুবেল হোসেন।
তাঁর এই ১১ দফা প্রতিশ্রুতি যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে নিঃসন্দেহে ঢাকা-১৭ আসন একদিন হবে “মানবতার মডেল আসন” — যেখানে মানুষ বাঁচবে নিরাপদে, মর্যাদার সঙ্গে ও ভালোবাসার ছায়ায়।

শুভেচ্ছান্তে,
মুহাম্মদ রুবেল হোসেন
মানবতার ফেরিওয়ালা ও
ঢাকা-১৭ আসনের সর্বোচ্চ সচেতন নাগরিক।

ইতালি প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা: দোষীদের বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

অপি মুন্সী : শিবচর ( মাদারীপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ২:৪০ পিএম
ইতালি প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা: দোষীদের বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

 

মাদারীপুরে মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ইতালি প্রবাসীর স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারের আত্মহত্যার ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের পরিবার।
রোববার দুপুরে মাদারীপুর শহরের একটি সাংবাদিক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত সুমাইয়ার মা রুমি বেগম অভিযোগ করে বলেন, বছরখানেক আগে সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের ভরুয়াপাড়া গ্রামের সরোয়ার হাওলাদারের ছেলে ইতালি প্রবাসী জহিরুল হাওলাদারের সঙ্গে বিয়ে হয় রাজৈর উপজেলার কিসমদ্দি বাজিতপুর গ্রামের নাসির হাওলাদারের মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের।
বিয়ের পর স্ত্রীকে ইতালি নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিলেও জহিরুলের পরিবার এতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ নিয়ে দাম্পত্য জীবনে শুরু হয় কলহ। একপর্যায়ে বিয়ের সময় দেওয়া স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করে সুমাইয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে স্বামীর পরিবার। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সুমাইয়া বাবার বাড়ি ফিরে আসেন।

গত মঙ্গলবার রাতে স্বামীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথাকাটাকাটির পর সুমাইয়া ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরদিন সন্ধ্যায় নিহতের মরদেহ বাবার বাড়িতে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা নাসির হাওলাদার গত ৫ নভেম্বর রাজৈর থানায় জহিরুল হাওলাদারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
অন্যদিকে, মামলার বিষয়টি জানাজানি হলে জহিরুলের বাবা সরোয়ার হাওলাদার ৬ নভেম্বর মাদারীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সুমাইয়ার বাবাসহ আটজনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করেন।

এই অবস্থায় ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান নিহতের স্বজনরা।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের বাবা নাসির হাওলাদার, মা রুমি বেগম, চাচা কালাম হাওলাদার ও মামা হিরু তালুকদারসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ খান বলেন, “এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসামিদের গ্রেফতারের অভিযানও চলছে।

বিএনপিতে অনৈক্য

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রভাব ও সমাধান

এম. এ. কাদের (শিক্ষক ও গবেষক) প্রকাশিত: রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:২৫ পিএম
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রভাব ও সমাধান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক যুগান্তকারী অধ্যায় রচনা করেছিল ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। স্বাধীনতার পর জাতীয় ঐক্য পুনর্গঠন ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রত্যয়ে বিএনপির জন্ম হয়। “বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ” ছিল দলের মূল আদর্শ, যার ভিত্তিতে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, ইসলামি মূল্যবোধ, এবং জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
দলের লক্ষ্য ছিল একটি স্বনির্ভর, ন্যায়ভিত্তিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। ১৯৯১, ২০০১ ও সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে বিএনপি প্রশাসনিক দক্ষতা ও গণতান্ত্রিক চর্চার কিছু দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেও, সমালোচনার মুখে পড়ে দুর্নীতি, দলীয়করণ ও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণের কারণে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপি এক জটিল সঙ্কটে আবদ্ধ। একদিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততার অভাব, অন্যদিকে দলীয় ঐক্যের ঘাটতি ক্রমে রাজনৈতিক শক্তিকে দুর্বল করে দিচ্ছে। দলীয় নেতৃত্বের অনুপস্থিতি বিশেষ করে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রবাসবাস কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে সিদ্ধান্তহীনতা সৃষ্টি করেছে।
এই শূন্যতায় আভ্যন্তরীণ কোন্দল স্পষ্টত দৃশ্যমান। মনোনয়ন বণ্টনে অসন্তোষ, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব, জেলা পর্যায়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আস্থাহীনতা এবং দলীয় পদবণ্টনে বঞ্চিত নেতাদের ক্ষোভ আজ বিএনপিকে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় যেসব নেতা “তারেক-ঘনিষ্ঠ” বা “বদরুদ্দোজা ঘরানার” ট্যাগে বিভক্ত হচ্ছেন, তারা মাঠে একে অপরের বিপক্ষে কাজ করছেন—যা আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
কেন্দ্র ও তৃণমূলে সম্পর্কহীনতা এখন বিএনপির সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। অনেক সময় স্থানীয় নেতারা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আগ্রহী নন, কারণ তাদের মনে হয়, কেন্দ্র মাঠের বাস্তবতা বোঝে না। দলীয় কাউন্সিল বা নিয়মিত আলোচনা না থাকায় এই দূরত্ব আরও বেড়েছে। মাঠ পর্যায়ে অভিযোগ উঠেছে, কেন্দ্রীয় নেতারা জনগণের দুর্ভোগ বা আন্দোলনের ত্যাগের যথাযথ মূল্যায়ন করেন না।
এমন পরিস্থিতিতে দলের ভিতরে “কাদা ছড়াছড়ি” রীতিমতো জনসমক্ষে চলে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতাদের পরস্পরের প্রতি তীর্যক মন্তব্য ও দোষারোপ বিএনপির ভাবমূর্তিকে ক্রমশ ক্ষয় করছে। যে ঐক্যের মাধ্যমে সরকারবিরোধী আন্দোলন সংগঠিত হওয়ার কথা ছিল, তা এখন ব্যক্তিগত ক্ষমতার দ্বন্দ্বে পরিণত হয়েছে।
এর প্রভাব পড়ছে সরাসরি আগামী জাতীয় নির্বাচনে। বিএনপি যদি ঐক্যবদ্ধ কৌশল তৈরি না করে, তাহলে মাঠ পর্যায়ে প্রার্থী একাধিক হওয়া, ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপের অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতা, ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত এজেন্টের অভাব এবং প্রচারে সমন্বয়হীনতা দলের জন্য ভয়াবহ হতে পারে। তৃণমূলের হতাশা ও বিভক্তির কারণে ভোটারদের আস্থাও ক্ষুণ্ণ হবে—যা শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাসীন দলকে সুবিধা এনে দেবে।
তবে এই সংকট থেকে উত্তরণের উপায় এখনো আছে, যদি বিএনপি দলীয় আত্মসমালোচনা ও গবেষণাভিত্তিক সংস্কারের পথে হাঁটে। নিচে কয়েকটি গবেষণামূলক পরামর্শ উল্লেখ করা হলো—
১. দলীয় কাঠামোর পুনর্গঠন: কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্বের মধ্যে স্বচ্ছ যোগাযোগ স্থাপন ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ।
২. মনোনয়ন নীতির সংস্কার: ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়, যোগ্যতা ও জনআস্থাভিত্তিক প্রার্থী নির্ধারণের মানদণ্ড প্রবর্তন।
৩. প্রবাসী নেতৃত্বের কার্যকর সম্পৃক্ততা: বিদেশে থাকা নেতৃত্বের অনলাইন কাউন্সিল বা ভার্চুয়াল নীতিনির্ধারণী সভার নিয়মিত আয়োজন।
৪. রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সেল: তরুণ কর্মীদের জন্য রাজনৈতিক শিক্ষাক্রম চালু করা।
৫. দলীয় গণতন্ত্র জোরদার: নিয়মিত অভ্যন্তরীণ নির্বাচন ও মতবিনিময় সভা আয়োজন।
৬. ডিজিটাল যোগাযোগ কাঠামো: কেন্দ্র ও জেলা পর্যায়ে ডিজিটাল নেটওয়ার্ক গড়ে দলীয় সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রচার।
৭. নারী ও তরুণ নেতৃত্বের উত্থান: নতুন প্রজন্মকে নেতৃত্বে আনতে সংরক্ষিত পদ ও সুযোগ।
৮. গণআন্দোলন পুনর্গঠন: দলীয় কর্মসূচিকে জনগণের মৌলিক সমস্যা—মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব, দুর্নীতি—এর সঙ্গে যুক্ত করা।
৯. মিডিয়া ব্যবস্থাপনা: নেতিবাচক প্রচারণা মোকাবিলায় তথ্যভিত্তিক ও গবেষণামূলক প্রতিক্রিয়া টিম গঠন।
১০. ঐক্যের জন্য ‘সংলাপ ফোরাম’: দলের প্রবীণ ও তরুণদের সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্ল্যাটফর্ম তৈরি।
বিএনপির সামনে এখন সময় অল্প, কিন্তু সুযোগ যথেষ্ট। যদি তারা নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে একক লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে—গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের আস্থা পুনরায় অর্জনের—তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শুধু তাদের জন্য নয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্যও এক নতুন সূচনা হতে পারে।

এম. এ. কাদের (শিক্ষক ও গবেষক)

রূপগঞ্জ আসনে ধানের শীষে মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজু রহমান ভূঁইয়া দিপুর পক্ষে দাউদপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:১৯ পিএম
রূপগঞ্জ আসনে ধানের শীষে মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজু রহমান ভূঁইয়া দিপুর পক্ষে দাউদপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

নারায়ণগঞ্জ ১ রূপগঞ্জ আসনে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপুর পক্ষে দাউদপুর ইউনিয়ন বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত।উক্ত নির্বাচনী প্রস্তুতি সভায় দাউদ পুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এডভোকেট হেলাল উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে ও দাউদ পুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ সুলতান মাহমুদ সিনিয়র সহ সভাপতি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র দল,শফিক সরকার সাবেক সহ সভাপতি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র দল, মোঃ আহসান উল্লাহ মাস্টার সিনিয়র সহ সভাপতি দাউদ পুর ইউনিয়ন বিএনপি,রিয়াদ ভূইয়া কিরন সিনিয় যুগ্ম সম্পাদক দাউদ পুর ইউনিয়ন বিএনপি,আবুল কালাম সাংগঠনিক সম্পাদক দাউদ পুর ইউনিয়ন বিএনপি,সিপন সাংগঠনিক সম্পাদক দাউদ পুর ইউনিয়ন বিএনপি,মেহেদী হাসান মিঠু সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল,আশিকুর রহমান রুবেল সাধারণ সম্পাদক দাউদ পুর ইউনিয়ন যুবদল,ইসাক সরকার সাবেক সভাপতি দাউদ পুর ইউনিয়ন ছাত্রদল সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।