মোহাম্মদ হানিফ ফেনী
ফেনীতে প্রশাসনের নাকের ডগায় আওয়ামী লীগের প্রকাশ্য দলীয় কার্যক্রম


বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও ফেনী জেলায় প্রকাশ্যে দলীয় কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি দেখেও যেন না দেখার ভান করছে—এমন অভিযোগ উঠেছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে।
ফেনী জেলা আইনজীবী ও জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট শাজাহান সাজু, যিনি ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, তিনি কয়েক দিনের মধ্যেই “অদৃশ্য শক্তির ইশারায়” জামিনে মুক্তি পান বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ফেনী কোর্ট প্রাঙ্গণে তিনি প্রকাশ্যে ছাত্র-জনতাকে রাজাকার ও বিএনপি-জামায়াতের পেতাত্মা বলে কটূক্তি করেন এবং হুমকি দেন “তাদের দেখে নেওয়া হবে” বলে। তার সেই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফেনী মহিপালে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই আটজন নিহত হন, পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়ায়।
জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর শাজাহান সাজু পুনরায় নিজাম হাজারীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে ফেনীতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। অন্যদিকে বিএনপি ও জামায়াতের কিছু নেতা অভিযোগ করেছেন, সাজুকে বিএনপি-জামায়াতের কয়েকজন আইনজীবী গোপনে সহযোগিতা করছেন—যার কারণে তিনি প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
ছাত্র-জনতা নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আমাদের সঙ্গে কেন ধোঁকাবাজি করা হচ্ছে?
কেন আওয়ামী লীগকে এখনো সুযোগ দেওয়া হচ্ছে? আমাদের সন্তানরা কী ভুল করেছিল যে আজও তাদের হত্যাকারীরা মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে?”
উল্লেখ্য, শাজাহান সাজু এখনও তার দলীয় পরিচয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিচ্ছেন, যা ফেনীর সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।