🔴“যেখানে ভোট বিভাজিত, সেখানে রাষ্ট্রও টিকে না”
পিআর সিস্টেমের ভয়াবহ বাস্তবতা


🔳পিআর সিস্টেমের ভয়াবহ বাস্তবতা
🟠 ইসরায়েল:নির্বাচনের রাজনীতি, শাসনের নয়:
ইসরায়েলে ১৯৪৮ থেকে এখন পর্যন্ত ৩৮টি সরকার পরিবর্তিত হয়েছে।
কারণ- কোনো দলই কখনও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।
প্রতিটি সরকার গঠিত হয়েছে জোট ও ব্ল্যাকমেইলের সমঝোতায়।
ধর্মীয় ও অতিরাষ্ট্রবাদী ছোট দলগুলো সরকারকে জিম্মি করে রেখেছে।
👉 ফলাফল: নীতি বদলায়, নেতৃত্ব বদলায়, কিন্তু বিভাজন থাকে স্থায়ী।
রাষ্ট্রের মধ্যে “রাষ্ট্রের রাজনীতি”- এটাই পিআর-এর ভয়াবহতা।
🟠 ইতালি: সরকারের আয়ু, গড় দুই বছর
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী ইউরোপে ইতালি সবচেয়ে অস্থির রাষ্ট্র।
১৯৪৬ থেকে আজ পর্যন্ত ৭০টিরও বেশি সরকার পরিবর্তিত হয়েছে!
কারণ- পিআর সিস্টেমে সংসদ ভর্তি হয় ছোট দল ও আঞ্চলিক সংগঠনে।
প্রতিটি সরকার চলে আপোষ, ভাগাভাগি ও তোষণের ভারে।
👉 ফল: নীতি ধারাবাহিকতা নেই, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারে না।
“প্রতিনিধিত্ব” বেড়েছে, কিন্তু দায়বদ্ধতা হারিয়েছে।
🟡 নেদারল্যান্ডস: গণতন্ত্রের নামে স্থবিরতা
তাদের সংসদে প্রায় ১৭টি দল থাকে একসাথে!
সরকার গঠনে সময় লাগে প্রায় ২০০ দিন।
সিদ্ধান্তহীনতা এত গভীর যে, ভোটাররা বলে-
> “আমরা ভোট দিই, সরকার তৈরি হয় লবির টেবিলে।”
👉 এটাই পিআর সিস্টেমের প্রকৃত রূপ-
ভোটার গণতন্ত্রে নয়,জোটের দরকষাকষিতে হারিয়ে যায়।
🟣 জার্মানি: ব্যালেন্সড মডেল, তবু বিপদ আছে
জার্মানি পিআর ও সরাসরি ভোটের মিশ্র ব্যবস্থা চালায়।
তবে ইতিহাস বলে- ১৯২০-এর দশকে এই পিআরই
ওয়েইমার রিপাবলিককে দুর্বল করে হিটলারের উত্থানের পথ খুলে দেয়।
অসংখ্য দল ও ভাঙা সংসদ জাতিকে বিভক্ত করে দেয়।
👉 শেখায়- প্রতিনিধিত্ব বেশি মানেই গণতন্ত্র নয়;
যখন ঐক্য হারায়, তখন স্বাধীনতাও হারায়।
🟢 ৫️⃣ নেপাল: দক্ষিণ এশিয়ার সতর্কবার্তা
পিআর+এফপিটিপি (FPTP) মিশ্র ব্যবস্থায় ২০ বছরের রাজনীতি
তাদের রাষ্ট্রকে দিয়েছে অস্থিরতা ও অবিশ্বাসের সংস্কৃতি।
প্রতিটি সরকার জোট নির্ভর, গড়ে ১–২ বছরের আয়ু।
সংবিধান তিনবার সংশোধিত, তবু রাজনৈতিক স্থিতি নেই।
👉 ফলাফল: বিদেশি প্রভাব বৃদ্ধি, অর্থনীতি স্থবির, জনগণ বিমুখ।
⚫ বিশ্বের শিক্ষা:
> “যে দেশে দল সংখ্যা বাড়ে, সেখানে জাতি ক্ষুদ্র হয়ে যায়।”
🔷পিআর সিস্টেমের মূল সমস্যা একটাই-
এটা গণতন্ত্রকে বিচ্ছিন্ন দলগুলোর বাজারে পরিণত করে।
যেখানে ক্ষমতা মানে আপোষ, নীতি নয়;
আর ভোট মানে বাণিজ্যিক সংখ্যার খেলা, জনগণের আস্থা নয়।
📢আমার বক্তব্য:
পিআর সিস্টেম গণতন্ত্রের পোশাক পরে আসে,
কিন্তু ভিতরে লুকিয়ে থাকে অস্থিতিশীলতার ভাইরাস।
যে রাষ্ট্র এখনো আদর্শ, নেতৃত্ব ও জনগণের বিশ্বাসে টিকে আছে,
তাদের জন্য পিআর মানে নিজের শিকড় কেটে ভোটের গাছ লাগানো।
রাষ্ট্র টিকে থাকে ঐক্যে-
আর ঐক্যের শত্রু হলো কোটা নির্ভর রাজনীতি।
> “বিশ্ব দেখিয়েছে, পিআর মানে গণতন্ত্র নয়-
পিআর মানে বিভক্ত রাষ্ট্রের স্থায়ী রোগ।”