মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

ডিস-ইন্টারনেট ব্যবসার শেয়ার বিক্রির নামে শিক্ষক দম্পতির প্রতারণা

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫, ৬:০০ পিএম | 88 বার পড়া হয়েছে
ডিস-ইন্টারনেট ব্যবসার শেয়ার বিক্রির নামে শিক্ষক দম্পতির প্রতারণা

রাজশাহীতে ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসার আংশিক মালিকানা ও শেয়ার বিক্রির নামে প্রতারণা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে। তাদের বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর গ্রামে। অভিযুক্ত সুজিত কুমার মন্ডল ও তার স্ত্রী তৃপ্তি রানী সরকার রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

এ দুই শিক্ষক প্রতারণা করে এলাকার অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। তাদের ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসার প্রতিষ্ঠানের নাম ‘শোভা নেটওয়ার্ক ক্যাবল ও ওয়াইফাই’। ভুক্তভোগীদের মধ্যে কাজী ইমরান ওরফে ইমন নামের একজন এ দম্পতির বিরুদ্ধে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। আগের দিন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এছাড়া বেলপুকুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছেও লিখিত অভিযোগ দেন। তারপরও তিনি এখন পর্যন্ত এ দম্পতিকে দেওয়া ১০ লাখ টাকা আদায় করতে পারেননি।

অভিযোগকারী ইমনের বাড়ি রাজশাহী নগরের দরগাপাড়া মহল্লায়। অভিযোগে তিনি বলেছেন, শিক্ষক সুজিত কুমার মন্ডল ও তার স্ত্রী তৃপ্তি রানী সরকার পারিবারিক ও আর্থিক চাপের কথা বলে ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসার শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। ২৫ শতাংশ মালিকানা দেওয়ার জন্য স্ট্যাম্পে লিখে ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি তারা ইমনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নেন। কিন্তু গত এক বছরেও ইমনকে তারা কোনো লভ্যাংশ দেননি। এ অবস্থায় ইমন বিনিয়োগের টাকা ফেরত চাইলে শিক্ষক দম্পতি তা দিতে অস্বীকৃতি জানান।

ইমন বলেন, ‘আমার কাছ থেকে সরাসরি ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন এবং চুক্তি অনুযায়ী মালিকানা দেন। তবে আমি যখন আমার লোকজন প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগ দেওয়ার কাজ শুরু করি, তখন জানতে পারি প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত আগের কর্মচারীরা গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেন। কর্মচারীদেরও বেতন বাবদ বিপুল অর্থ পাওনা রয়েছে। আমি কোনো লভ্যাংশ পাইনি। আমার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমি আমার বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত চাই।’

এর আগে সাইদুর রহমান নামের চারঘাটের আরেক ব্যক্তি প্রতারিত হন এই শিক্ষক দম্পতির কাছে। আলাপচারিতায় জানা যায়, ৬০ লাখ টাকায় তার কাছে ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির পুরোটিই বিক্রির কথা বলেছিলেন ওই শিক্ষক দম্পতি। প্রতিষ্ঠানটি কিনতে তিনি সাড়ে ৯ লাখ টাকা দিয়ে বায়না করেন। পরে তিনি দেখেন, প্রতিষ্ঠানটির মূল্য ৬০ লাখ টাকা হবে না। অল্প কিছু অর্থ আয় হলেও তা চলে যায় কর্মচারীদের বেতনের খাতে। তাছাড়া ওই শিক্ষক দম্পতি প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে একাধিক স্থান থেকে টাকা নিয়ে রেখেছেন। এ অবস্থায় তিনি প্রতিষ্ঠান না কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে টাকা ফেরত চান। কিন্তু ওই দম্পতি টাকা ফেরত দিতে চাননি। বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে মামলা করেন।

এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, এর আগে জহির, মনারুলের কাছ থেকে ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসা দেখিয়ে টাকা হাতিয়েছেন শিক্ষক দম্পতি। তারাও টাকার জন্য এখন ঘুরছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার নামে আরিফ নামের এক ব্যক্তির স্ত্রীর কাছ থেকেও ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে এই দম্পতির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের কাছে একাধিক অভিযোগ জমা দিলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।

ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, ‘আমার সঞ্চিত অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে বিনিয়োগ করেছিলাম। এখন কোনো দলিল পাই না, টাকা তো দূরের কথা। একজন নারী হিসেবে আমি খুবই অসহায় বোধ করছি। আমরা প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাই, যাতে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ ফেরত পাওয়ার পাশাপাশি এ দম্পতিকে আইনের আওতায় আনা যায়।’

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে শিক্ষক সুজিত কুমার মন্ডলকেএ ফোন করা হলে তার স্ত্রী তৃপ্তি রানী সরকার ধরেন। তিনি জানান, তার স্বামী অসুস্থ। অভিযোগের বিষয়ে তৃপ্তি রানী বলেন, ইমনকে তিনি প্রতিষ্ঠানের মালিকানা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। এখন টাকা দাবি করলে লাভ নেই। আরও অনেকে টাকা পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এখন পরিশোধের সামর্থ্য নেই। যখন সামর্থ্য হবে তখন দেবেন।

“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

টঙ্গী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০৪ পিএম
“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

২০১৫ সালে ইতালি পাঠানোর নামে বাংলাদেশ থেকে ৪২ জনের পাসপোর্ট ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় ইব্রাহিম শেখ নামের এক প্রতারক। প্রতারণার সেই অঙ্ক তখনই দাঁড়িয়েছিল প্রায় দুই কোটি তিন লাখ টাকায়। এরপর থেকেই ইব্রাহিম যেন হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক চোরাকারবারির ‘প্রতীক’।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে অবৈধ পথে দালালের মাধ্যমে হংকং পাড়ি জমান তিনি। হংকংয়ে পৌঁছেই সেখানে গড়ে তোলেন একাধিক প্রতারণার নেটওয়ার্ক। ইউরোপ পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ, নকল আইফোন ও সোনা বিক্রি, এমনকি বাংলাদেশ থেকে নকল পণ্য পাচার—সবই চলতে থাকে একই ছকের ভেতরে।

স্থানীয় সূত্র বলছে, হংকং-এ অবস্থানকালে ইব্রাহিম একাধিক বিয়ে করেছেন পরিচয় গোপন করে। তার প্রতিটি প্রতারণার পেছনে ছিল সুপরিকল্পিত জালিয়াতি।

সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে, হংকং থেকে বাংলাদেশে ফিরেও থেমে থাকেননি এই ‘ন্যাশনাল প্রতারক’। আনুমানিক ১২৩ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে লুকিয়ে রেখেছেন একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এমনকি মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতারণা, মাদক, চোরাচালান—সবকিছুতে সম্পৃক্ত এই ইব্রাহিম এখন দেশের ভেতরেই অবস্থান করছেন ছদ্মবেশে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এতদিন ধরেই তার অপকর্ম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো? প্রতারিত পরিবারগুলো চাইছেন দ্রুত এই চক্রের মূলহোতা ইব্রাহিমকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হোক।

কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মো:স্বাধীন খান বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০১ পিএম
কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

বগুড়ার কাহালুতে জমির ড্রেনের পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে কর্নিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর। তাঁর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার।

কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

রুহুল আমিন, রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ১:৫৪ পিএম
কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

কুড়িগ্রাম সদরের হরিম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকার বেতারাঘাতে এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গত ৪ আগস্ট ২০২৫ ইং দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেনীর ক্লাসে হাসিনা খাতুন নামের এক শিক্ষিকা বেতারাঘাত করেন। এ সময় হাতে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে রাকিবুল হাসান রাকিবকে বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাটিয়ে দেয়া হয়। এর পর বাড়িতে হাত ফুলে গিয়ে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে তাকে সন্ধ্যায় তার অভিভাবক কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। রাকিব বলেন, হাসিনা আপা বড় বড় তিনটি প্রশ্ন লেখতে বলেন। আমি একটু পড়ে লেখতে চাইলেই বেত দিয়ে আমাকে খুব জোড়ে মারেন।এখন আমার হাতে অনেক ব্যাথা হচ্ছে। রাকিবের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, আমার ছেলেকে পড়া-লেখা শিখানোর জন্য স্কুলে দিয়েছি। শিক্ষকের মার খেয়ে হাসপাতালে আসার জন্য নয়। আমি এর বিচার চাই। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন,ঘটনার সময় আমি স্কুলের বাহিরে ছিলাম। শুনেছি হাসিনা বেত দিয়ে মেরেছে এতেই রাকিব ব্যাথা পায়। হাসিনা বেগম বলেন, আমি তাকে পড়ার জন্য মারিনি,মেরেছি নির্দাশিকা লাঠি দিয়ে দুষ্টুমি করার জন্য। উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলহাজ্ব বুলবুল হোসেন বলেন,আমি আমার অফিসের এক স্টাফ এর নিকট বিষয়টি শুনলাম। প্রধান শিক্ষিকাকে ফোনে পাইনি। কাল ছুটি আছে অফিস খুললেই জেনে ব্যবস্তা নিবো।

error: Content is protected !!