মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

মুরাদনগরে মব ও ভিডিওর নেপথ্যে দুই ভাইয়ের বিরোধ: র‌্যাব

কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি: ( শাহরিয়ার শিকদার ) প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫, ৩:৪৩ পিএম | 105 বার পড়া হয়েছে
মুরাদনগরে মব ও ভিডিওর নেপথ্যে দুই ভাইয়ের বিরোধ: র‌্যাব

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাহেরচর গ্রামে এক নারীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা এবং সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর পেছনে মূল কারণ শাহ পরান এবং তার বড় ভাই ফজর আলীর মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাবের দাবি, পূর্ব শত্রুতার জেরে শাহ পরান তার বড় ভাই ফজর আলীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে এই ঘটনা সাজিয়েছিলেন।

শুক্রবার (৪ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

লে. কর্নেল সাজ্জাদ জানান, বাহেরচর গ্রামের ফজর আলী এবং ছোট ভাই শাহ পরান দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী নারীকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। ঘটনার দুই মাস আগে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধের কারণে কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়। গ্রাম্য শালিসে ফজর আলী তার ছোট ভাই শাহ পরানকে প্রকাশ্যে চড় মারেন, যা শাহ পরানের প্রতিশোধের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এরপর ভুক্তভোগীর মা ফজর আলীর কাছ থেকে সুদের বিনিময়ে ৫০ হাজার টাকা ধার নেন।

ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর ভুক্তভোগীর বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ফজর আলী সুদের টাকা আদায়ের অজুহাতে তার ঘরে প্রবেশ করেন। এর ২০ মিনিট পর শাহ পরান তার পূর্বপরিকল্পিত পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থানীয় আবুল কালাম, অনিক, আরিফ, সুমন, রমজান এবং অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনের সঙ্গে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়েন। তারা ভুক্তভোগী নারীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও শ্লীলতাহানী করেন এবং অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।

র‍্যাব জানায়, ঘটনার পর শাহ পরানসহ আবুল কালাম ও অন্য আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহ পরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, ফজর আলীর উপর প্রতিশোধ নিতে তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। তিনি ইমোর মাধ্যমে অন্যদের ডেকে মব সৃষ্টি করেন। শাহ পরানকে মুরাদনগর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে, এবং অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে গত এক জুলাই নির্যাতনের শিকার নারী জানান, মামলা তুলে নিতে পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তিনি মামলা চালিয়ে যাবেন।

বলেন, ‘‘কিন্তু আমি ভয় পাচ্ছি না। প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতায় আমি ন্যায় বিচার আশা করি। আমার সঙ্গে আগে কারো কোনো সম্পর্ক ছিলো না। ফজর আলী দরজার খিল ভেঙে ঘরে ঢুকে আমাকে ধর্ষণ করে। আমি নির্যাতনের শিকার, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। স্বামী হুমকি পাওয়ার পর প্রবাস থেকে ফোন করে মামলা তুলে নিতে বলেছিলেন। তবে পরিবার ও নিজের সিদ্ধান্তে মামলা চালিয়ে যাবো। অন্যায়ের বিচার না হলে অন্যের সঙ্গেও এমন হতে পারে। প্রশাসনসহ সবার আশ্বাস- তারা আমার পাশে থাকবে। আমি অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি।’

গত ২৬ জুন দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে এবং ২৯ জুন ভুক্তভোগী মুরাদনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। এ পর্যন্ত ধর্ষণের অভিযোগে ফজর আলীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

টঙ্গী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০৪ পিএম
“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

২০১৫ সালে ইতালি পাঠানোর নামে বাংলাদেশ থেকে ৪২ জনের পাসপোর্ট ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় ইব্রাহিম শেখ নামের এক প্রতারক। প্রতারণার সেই অঙ্ক তখনই দাঁড়িয়েছিল প্রায় দুই কোটি তিন লাখ টাকায়। এরপর থেকেই ইব্রাহিম যেন হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক চোরাকারবারির ‘প্রতীক’।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে অবৈধ পথে দালালের মাধ্যমে হংকং পাড়ি জমান তিনি। হংকংয়ে পৌঁছেই সেখানে গড়ে তোলেন একাধিক প্রতারণার নেটওয়ার্ক। ইউরোপ পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ, নকল আইফোন ও সোনা বিক্রি, এমনকি বাংলাদেশ থেকে নকল পণ্য পাচার—সবই চলতে থাকে একই ছকের ভেতরে।

স্থানীয় সূত্র বলছে, হংকং-এ অবস্থানকালে ইব্রাহিম একাধিক বিয়ে করেছেন পরিচয় গোপন করে। তার প্রতিটি প্রতারণার পেছনে ছিল সুপরিকল্পিত জালিয়াতি।

সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে, হংকং থেকে বাংলাদেশে ফিরেও থেমে থাকেননি এই ‘ন্যাশনাল প্রতারক’। আনুমানিক ১২৩ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে লুকিয়ে রেখেছেন একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এমনকি মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতারণা, মাদক, চোরাচালান—সবকিছুতে সম্পৃক্ত এই ইব্রাহিম এখন দেশের ভেতরেই অবস্থান করছেন ছদ্মবেশে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এতদিন ধরেই তার অপকর্ম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো? প্রতারিত পরিবারগুলো চাইছেন দ্রুত এই চক্রের মূলহোতা ইব্রাহিমকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হোক।

কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মো:স্বাধীন খান বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০১ পিএম
কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

বগুড়ার কাহালুতে জমির ড্রেনের পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে কর্নিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর। তাঁর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার।

কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

রুহুল আমিন, রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ১:৫৪ পিএম
কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

কুড়িগ্রাম সদরের হরিম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকার বেতারাঘাতে এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গত ৪ আগস্ট ২০২৫ ইং দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেনীর ক্লাসে হাসিনা খাতুন নামের এক শিক্ষিকা বেতারাঘাত করেন। এ সময় হাতে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে রাকিবুল হাসান রাকিবকে বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাটিয়ে দেয়া হয়। এর পর বাড়িতে হাত ফুলে গিয়ে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে তাকে সন্ধ্যায় তার অভিভাবক কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। রাকিব বলেন, হাসিনা আপা বড় বড় তিনটি প্রশ্ন লেখতে বলেন। আমি একটু পড়ে লেখতে চাইলেই বেত দিয়ে আমাকে খুব জোড়ে মারেন।এখন আমার হাতে অনেক ব্যাথা হচ্ছে। রাকিবের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, আমার ছেলেকে পড়া-লেখা শিখানোর জন্য স্কুলে দিয়েছি। শিক্ষকের মার খেয়ে হাসপাতালে আসার জন্য নয়। আমি এর বিচার চাই। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন,ঘটনার সময় আমি স্কুলের বাহিরে ছিলাম। শুনেছি হাসিনা বেত দিয়ে মেরেছে এতেই রাকিব ব্যাথা পায়। হাসিনা বেগম বলেন, আমি তাকে পড়ার জন্য মারিনি,মেরেছি নির্দাশিকা লাঠি দিয়ে দুষ্টুমি করার জন্য। উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলহাজ্ব বুলবুল হোসেন বলেন,আমি আমার অফিসের এক স্টাফ এর নিকট বিষয়টি শুনলাম। প্রধান শিক্ষিকাকে ফোনে পাইনি। কাল ছুটি আছে অফিস খুললেই জেনে ব্যবস্তা নিবো।

error: Content is protected !!