মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

সেনা অভিযানে রাজশাহীর ‘সন্ত্রাসী সাংবাদিক’ জুলু গ্রেপ্তার-অস্ত্র উদ্ধারে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫, ৬:৩৫ পিএম | 146 বার পড়া হয়েছে
সেনা অভিযানে রাজশাহীর ‘সন্ত্রাসী সাংবাদিক’ জুলু গ্রেপ্তার-অস্ত্র উদ্ধারে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন

রাজশাহীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে হত্যা মামলাসহ ২২টির অধিক মামলার পলাতক আসামি, স্বঘোষিত সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নজরুল ইসলাম জুলুস (জুলু) গ্রেপ্তার হয়েছেন। বুধবার (২ জুলাই) দুপুর আড়াইটা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরীর টিকাপাড়া ও খুলিপাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত এই অভিযান পরিচালনায় সেনাবাহিনী নজরুল ইসলাম জুলুর বাড়ি ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালায়। এ সময় তার ছেলে জিম ইসলাম (২৫) ও ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. মুন্না (২৩)কেও আটক করা হয়।

পুলিশের সিডিএমএস তালিকা অনুযায়ী, জুলুর বিরুদ্ধে অন্তত ১৫টি মামলা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে একাধিক গোয়েন্দা সূত্র বলছে, বাস্তবে তার বিরুদ্ধে মামলা সংখ্যা ২২টিরও বেশি, যার মধ্যে রয়েছে হত্যা, হত্যা চেষ্টা, অবৈধ অস্ত্র বহন, চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা সন্ত্রাসমূলক অভিযোগ।

বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, ঢাকার ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া একটি আলোচিত হত্যা মামলার প্রধান আসামি জুলু। ওই মামলার চার্জশিটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামও আসামি তালিকায় রয়েছে বলে একটি উচ্চপদস্থ সূত্র জানিয়েছে।

অভিযানের আগের দিন (মঙ্গলবার), জুলুর দুই ভাতিজার নেতৃত্বে রাজশাহী নগরীর বাসার রোড এলাকায় প্রকাশ্যে ফাঁকা গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী যুবক সিয়াম ইসলাম।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জুলু বিএনপি ঘনিষ্ঠ কিছু নেতার আশ্রয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। সাংবাদিকতার ছদ্মবেশে তিনি রাজশাহী প্রেসক্লাব দখল করে একে টর্চার সেলে পরিণত করেন এবং একটি সন্ত্রাসী চক্র পরিচালনা করেন। চক্রের সদস্যরা চাঁদাবাজি, হুমকি, নির্যাতন ও হয়রানিতে যুক্ত ছিল। জুলুর ছেলে, ভাতিজা ও নিকট আত্মীয়রাও এসব অপকর্মে সক্রিয়ভাবে জড়িত।

সেনাবাহিনীর সফল অভিযান কেবল একজন পলাতক আসামিকে আটক করাই নয়, বরং পুরো একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ককে ভেঙে দিয়েছে বলে মনে করছেন নগরবাসী। শহরজুড়ে স্বস্তি ফিরে এসেছে, অনেক জায়গায় স্থানীয়রা মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ প্রকাশ করেন। রাতে জুলুর দখলে থাকা প্রেসক্লাব ভবনে তালা ঝুলিয়ে তা পুনর্দখল করে সাধারণ সাংবাদিকরা।

রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও প্রবীণ সাংবাদিক সাইদুর রহমান বলেন,
“জুলু প্রেসক্লাবকে ভয় ও নির্যাতনের ঘাঁটিতে পরিণত করেছিলেন। সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা এমনকি নিজের আত্মীয়স্বজন পর্যন্ত তার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে নিজের পুত্রবধু ও নিকট আত্মীয়কে যৌন হয়রানির অভিযোগও রয়েছে।”

অভিযান শেষে সেনাবাহিনী গ্রেপ্তারকৃতদের বোয়ালিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের আদালতে সোপর্দ করে এবং অস্ত্র উদ্ধারের লক্ষ্যে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে।

বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক হোসেন বলেন,
“জুলুসহ গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। আমরা তাদের রিমান্ডে এনে অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি চক্রটির মূল নেটওয়ার্ক উন্মোচনে কাজ করছি।”

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই সাহসী, সুনির্দিষ্ট ও তথ্যভিত্তিক অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজশাহীর সাংবাদিক সমাজ, সচেতন নাগরিক ও সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন,
“এমন কঠোর পদক্ষেপই পারে সাংবাদিকতা, প্রশাসন ও রাজনীতি থেকে সন্ত্রাস ও দুর্নীতির চক্র উপড়ে ফেলতে।”

“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

টঙ্গী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০৪ পিএম
“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

২০১৫ সালে ইতালি পাঠানোর নামে বাংলাদেশ থেকে ৪২ জনের পাসপোর্ট ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় ইব্রাহিম শেখ নামের এক প্রতারক। প্রতারণার সেই অঙ্ক তখনই দাঁড়িয়েছিল প্রায় দুই কোটি তিন লাখ টাকায়। এরপর থেকেই ইব্রাহিম যেন হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক চোরাকারবারির ‘প্রতীক’।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে অবৈধ পথে দালালের মাধ্যমে হংকং পাড়ি জমান তিনি। হংকংয়ে পৌঁছেই সেখানে গড়ে তোলেন একাধিক প্রতারণার নেটওয়ার্ক। ইউরোপ পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ, নকল আইফোন ও সোনা বিক্রি, এমনকি বাংলাদেশ থেকে নকল পণ্য পাচার—সবই চলতে থাকে একই ছকের ভেতরে।

স্থানীয় সূত্র বলছে, হংকং-এ অবস্থানকালে ইব্রাহিম একাধিক বিয়ে করেছেন পরিচয় গোপন করে। তার প্রতিটি প্রতারণার পেছনে ছিল সুপরিকল্পিত জালিয়াতি।

সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে, হংকং থেকে বাংলাদেশে ফিরেও থেমে থাকেননি এই ‘ন্যাশনাল প্রতারক’। আনুমানিক ১২৩ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে লুকিয়ে রেখেছেন একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এমনকি মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতারণা, মাদক, চোরাচালান—সবকিছুতে সম্পৃক্ত এই ইব্রাহিম এখন দেশের ভেতরেই অবস্থান করছেন ছদ্মবেশে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এতদিন ধরেই তার অপকর্ম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো? প্রতারিত পরিবারগুলো চাইছেন দ্রুত এই চক্রের মূলহোতা ইব্রাহিমকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হোক।

কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মো:স্বাধীন খান বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০১ পিএম
কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

বগুড়ার কাহালুতে জমির ড্রেনের পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে কর্নিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর। তাঁর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার।

কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

রুহুল আমিন, রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ১:৫৪ পিএম
কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

কুড়িগ্রাম সদরের হরিম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকার বেতারাঘাতে এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গত ৪ আগস্ট ২০২৫ ইং দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেনীর ক্লাসে হাসিনা খাতুন নামের এক শিক্ষিকা বেতারাঘাত করেন। এ সময় হাতে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে রাকিবুল হাসান রাকিবকে বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাটিয়ে দেয়া হয়। এর পর বাড়িতে হাত ফুলে গিয়ে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে তাকে সন্ধ্যায় তার অভিভাবক কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। রাকিব বলেন, হাসিনা আপা বড় বড় তিনটি প্রশ্ন লেখতে বলেন। আমি একটু পড়ে লেখতে চাইলেই বেত দিয়ে আমাকে খুব জোড়ে মারেন।এখন আমার হাতে অনেক ব্যাথা হচ্ছে। রাকিবের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, আমার ছেলেকে পড়া-লেখা শিখানোর জন্য স্কুলে দিয়েছি। শিক্ষকের মার খেয়ে হাসপাতালে আসার জন্য নয়। আমি এর বিচার চাই। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন,ঘটনার সময় আমি স্কুলের বাহিরে ছিলাম। শুনেছি হাসিনা বেত দিয়ে মেরেছে এতেই রাকিব ব্যাথা পায়। হাসিনা বেগম বলেন, আমি তাকে পড়ার জন্য মারিনি,মেরেছি নির্দাশিকা লাঠি দিয়ে দুষ্টুমি করার জন্য। উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলহাজ্ব বুলবুল হোসেন বলেন,আমি আমার অফিসের এক স্টাফ এর নিকট বিষয়টি শুনলাম। প্রধান শিক্ষিকাকে ফোনে পাইনি। কাল ছুটি আছে অফিস খুললেই জেনে ব্যবস্তা নিবো।

error: Content is protected !!