মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

আসামিদের গ্রেপ্তারে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

সাত বছরেও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫, ৫:০৭ পিএম | 102 বার পড়া হয়েছে
সাত বছরেও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ইউসুফগঞ্জ স্কুলের ছাত্রী সুবর্ণা ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো বিচার সম্পন্ন হয়নি।

দ্রুত বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে পূর্বাচল উপশহরের ১ নম্বর সেক্টরে ইউসুফগঞ্জ স্কুলের সামনে মানববন্ধন করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী,অভিভাবক, শিক্ষক ও এলাকাবাসী।

২০১৮ সালে ইউসুফগঞ্জ স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুবর্ণাকে অপহরণ করে নির্মমভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। এরপর মামলা দায়ের হলেও দীর্ঘ সাত বছরেও বিচার সম্পন্ন না হওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে সুবর্ণার পিতা বলেন, “আমার মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। বিচার চাইতে গিয়ে আজ আমি নিজেই হুমকির মুখে। মামলা তুলে নিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল, সাব্বির, শান্তসহ আসামিপক্ষের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে।”

সুবর্ণার চাচা মো.রাশেদ বলেন, ২০১৮ সালে আমার চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে সূর্বনাকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার বিচার চেয়ে আমরা মামলা করি। কিন্তু মামলা তুলে নিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক রাসেল,সাব্বির, শান্ত সহ তাদের সহযোগী আসামিপক্ষের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে আমাদের হুমকি দিয়ে আসছিল।

তিনি আরও বলেন, গত শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে পূর্বাচলের অফিস থেকে আমাকে অপহরণ করে একটি পরিত্যক্ত বাগানবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে তারা ৭০ লাখ টাকা দাবি করে। আমার পরিবার বিষয়টি জরুরি নাম্বার ৯৯৯ ফোন দিয়ে জানালে অপহরণকারীরা পরিস্থিতি আঁচ করে আমাকে আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থানায় সোপর্দ করতে চায়। পরে পুলিশ তাদের আটক করে।

এ বিষয়ে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা সুবর্ণার বন্ধুরা। তার জন্য বিচার চাইতে এসেছি। আমরা চাই, আর কোনো সুবর্ণার এমন পরিণতি না হোক। দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।”

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মানবাধিকার কর্মী ও এলাকাবাসীরাও দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার দুপুরে যুবদল নেতা রাসেল আহমেদের নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একটি দল রাশেদের অফিসে গিয়ে তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমরা অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে ভিকটিমকে উদ্ধার করি এবং ঘটনাস্থল থেকে ৬ জনকে গ্রেফতার করি।”

তিনি আরও জানান, “গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের আলোচিত ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে অপহরণ ও মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

টঙ্গী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০৪ পিএম
“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

২০১৫ সালে ইতালি পাঠানোর নামে বাংলাদেশ থেকে ৪২ জনের পাসপোর্ট ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় ইব্রাহিম শেখ নামের এক প্রতারক। প্রতারণার সেই অঙ্ক তখনই দাঁড়িয়েছিল প্রায় দুই কোটি তিন লাখ টাকায়। এরপর থেকেই ইব্রাহিম যেন হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক চোরাকারবারির ‘প্রতীক’।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে অবৈধ পথে দালালের মাধ্যমে হংকং পাড়ি জমান তিনি। হংকংয়ে পৌঁছেই সেখানে গড়ে তোলেন একাধিক প্রতারণার নেটওয়ার্ক। ইউরোপ পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ, নকল আইফোন ও সোনা বিক্রি, এমনকি বাংলাদেশ থেকে নকল পণ্য পাচার—সবই চলতে থাকে একই ছকের ভেতরে।

স্থানীয় সূত্র বলছে, হংকং-এ অবস্থানকালে ইব্রাহিম একাধিক বিয়ে করেছেন পরিচয় গোপন করে। তার প্রতিটি প্রতারণার পেছনে ছিল সুপরিকল্পিত জালিয়াতি।

সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে, হংকং থেকে বাংলাদেশে ফিরেও থেমে থাকেননি এই ‘ন্যাশনাল প্রতারক’। আনুমানিক ১২৩ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে লুকিয়ে রেখেছেন একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এমনকি মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতারণা, মাদক, চোরাচালান—সবকিছুতে সম্পৃক্ত এই ইব্রাহিম এখন দেশের ভেতরেই অবস্থান করছেন ছদ্মবেশে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এতদিন ধরেই তার অপকর্ম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো? প্রতারিত পরিবারগুলো চাইছেন দ্রুত এই চক্রের মূলহোতা ইব্রাহিমকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হোক।

কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মো:স্বাধীন খান বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০১ পিএম
কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

বগুড়ার কাহালুতে জমির ড্রেনের পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে কর্নিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর। তাঁর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার।

কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

রুহুল আমিন, রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ১:৫৪ পিএম
কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

কুড়িগ্রাম সদরের হরিম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকার বেতারাঘাতে এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গত ৪ আগস্ট ২০২৫ ইং দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেনীর ক্লাসে হাসিনা খাতুন নামের এক শিক্ষিকা বেতারাঘাত করেন। এ সময় হাতে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে রাকিবুল হাসান রাকিবকে বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাটিয়ে দেয়া হয়। এর পর বাড়িতে হাত ফুলে গিয়ে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে তাকে সন্ধ্যায় তার অভিভাবক কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। রাকিব বলেন, হাসিনা আপা বড় বড় তিনটি প্রশ্ন লেখতে বলেন। আমি একটু পড়ে লেখতে চাইলেই বেত দিয়ে আমাকে খুব জোড়ে মারেন।এখন আমার হাতে অনেক ব্যাথা হচ্ছে। রাকিবের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, আমার ছেলেকে পড়া-লেখা শিখানোর জন্য স্কুলে দিয়েছি। শিক্ষকের মার খেয়ে হাসপাতালে আসার জন্য নয়। আমি এর বিচার চাই। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন,ঘটনার সময় আমি স্কুলের বাহিরে ছিলাম। শুনেছি হাসিনা বেত দিয়ে মেরেছে এতেই রাকিব ব্যাথা পায়। হাসিনা বেগম বলেন, আমি তাকে পড়ার জন্য মারিনি,মেরেছি নির্দাশিকা লাঠি দিয়ে দুষ্টুমি করার জন্য। উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলহাজ্ব বুলবুল হোসেন বলেন,আমি আমার অফিসের এক স্টাফ এর নিকট বিষয়টি শুনলাম। প্রধান শিক্ষিকাকে ফোনে পাইনি। কাল ছুটি আছে অফিস খুললেই জেনে ব্যবস্তা নিবো।

error: Content is protected !!