মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

বগুড়ায় ভূয়া ব্যারিস্টার প্রতারক টাউট ফিটিংবাজ শহরের কারবালার শামীম রহমান গ্রেফতার

মোঃ হাফিজুর রহমান বগুড়া প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫, ৪:৩৬ পিএম | 47 বার পড়া হয়েছে
বগুড়ায় ভূয়া ব্যারিস্টার প্রতারক টাউট ফিটিংবাজ শহরের কারবালার শামীম রহমান গ্রেফতার

মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করিয়া ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে। পরবর্তীতে গত ২২ জুন বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৫ টায় মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ থেকে উল্লেখিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দানকারী ব্যারিস্টার শামীম রহমান ফোন দিয়ে সাক্ষী মোঃ ইমরান হোসেন ও মোঃ গোলাম রব্বানী জায়েদারদ্বয়কে বগুড়া সদর উপজেলার মম-ইন কফি শপের সামনে যাইতে বলে এবং তাদেরকে দলের পদ-পদবী নিয়ে কথা বলবে মর্মে জানায়। সাক্ষী মোঃ ইমরান হোসেন ও মোঃ গোলাম রব্বানী জায়েদারদ্বয় সন্ধ্যা অনুমানিক সাড়ে ৬ টায় উক্ত কফি শপের সামনে গেলে ব্যারিস্টার শামীম রহমান নামধারী ব্যাক্তি আলাপচারিতার এক পর্যায়ে ১নং সাক্ষী ইমরান হোসেনকে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় যুবদলের পদ পাইয়ে দেওয়ার জন্য (দুই লক্ষ) টাকা দাবী করে এবং ২নং সাক্ষী মোঃ গোলাম রব্বানীকে জেলা যুবদলের পদ দেওয়ার কথা বলিয়া তার কাছে (এক লক্ষ) টাকা দাবী করে। তখন আলাপচারিতা শেষে সাক্ষী মোঃ ইমরান হোসেন ও মোঃ গোলাম রব্বানী জায়েদারদ্বয় তাহাকে যথাক্রমে নগদ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে সাক্ষীদ্বয় বিভিন্ন মারফতে খোঁজ নিয়ে জানিতে পারে যে, উক্ত মোবাইল ব্যাবহারকারী ব্যারিস্টার শামীম রহমান নামে তারেক রহমানের কোন চাচাতো ভাই নেই এবং উক্ত মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যাবহারকারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে বগুড়া জেলাসহ বিভিন্ন জেলায় ফোন এবং ম্যাসেজ দিয়ে দলীয় নেতা কর্মীদের এবং প্রশাসনের বিভিন্ন সিনিয়র অফিসারের নিকটে পদ এবং পোস্টিং এর কথা বলিয়া টাকা দাবি করে আসছে। এ সংক্রান্তে বগুড়া সদর থানার মামলা নং-০৯, তারিখ-০৩/০৭/২০২৫ খ্রি, ধারা-৪১৯/৪২০ মামলা দায়ের করা হয়।
উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে বগুড়া ডিবির একটি চৌকস দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিএমপি ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানাধীন উত্তরা ৪নং সেক্টরের মাটির মসজিদ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করিযা উক্ত মোবাইল সিমসহ আসামী মোঃ শামীম রহমান (৩৩) গ্রেফতার।
গ্রেফতারকৃত আসামী হ্যালো, বগুড়া শহরের নিশিন্দারা কারবালার পিতা মৃত লিল মিয়ার পুত্র শামীম রহমান। গ্রেফতারকৃত আসামী শামীম রহমানের হেফাজত থেকে ডজন খানেক বিভিন্ন কোম্পানীর সিম কার্ড, ২টি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের ৪ টি এটিএম কার্ড ও শামীমের নিজ নামীয় বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই ভূয়া ব্যারিস্টার শামীম রহমান পরিচয় দিয়ে আসছিলো মর্মে স্বীকার করে।
আসামী শামীমকে উল্লেখিত মামলায় আজ বৃহস্পতিবার আদালতে আদালতে প্রেরণ করা হবে।

“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

টঙ্গী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০৪ পিএম
“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

২০১৫ সালে ইতালি পাঠানোর নামে বাংলাদেশ থেকে ৪২ জনের পাসপোর্ট ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় ইব্রাহিম শেখ নামের এক প্রতারক। প্রতারণার সেই অঙ্ক তখনই দাঁড়িয়েছিল প্রায় দুই কোটি তিন লাখ টাকায়। এরপর থেকেই ইব্রাহিম যেন হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক চোরাকারবারির ‘প্রতীক’।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে অবৈধ পথে দালালের মাধ্যমে হংকং পাড়ি জমান তিনি। হংকংয়ে পৌঁছেই সেখানে গড়ে তোলেন একাধিক প্রতারণার নেটওয়ার্ক। ইউরোপ পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ, নকল আইফোন ও সোনা বিক্রি, এমনকি বাংলাদেশ থেকে নকল পণ্য পাচার—সবই চলতে থাকে একই ছকের ভেতরে।

স্থানীয় সূত্র বলছে, হংকং-এ অবস্থানকালে ইব্রাহিম একাধিক বিয়ে করেছেন পরিচয় গোপন করে। তার প্রতিটি প্রতারণার পেছনে ছিল সুপরিকল্পিত জালিয়াতি।

সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে, হংকং থেকে বাংলাদেশে ফিরেও থেমে থাকেননি এই ‘ন্যাশনাল প্রতারক’। আনুমানিক ১২৩ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে লুকিয়ে রেখেছেন একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এমনকি মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতারণা, মাদক, চোরাচালান—সবকিছুতে সম্পৃক্ত এই ইব্রাহিম এখন দেশের ভেতরেই অবস্থান করছেন ছদ্মবেশে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এতদিন ধরেই তার অপকর্ম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো? প্রতারিত পরিবারগুলো চাইছেন দ্রুত এই চক্রের মূলহোতা ইব্রাহিমকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হোক।

কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মো:স্বাধীন খান বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০১ পিএম
কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

বগুড়ার কাহালুতে জমির ড্রেনের পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে কর্নিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর। তাঁর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার।

কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

রুহুল আমিন, রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ১:৫৪ পিএম
কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

কুড়িগ্রাম সদরের হরিম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকার বেতারাঘাতে এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গত ৪ আগস্ট ২০২৫ ইং দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেনীর ক্লাসে হাসিনা খাতুন নামের এক শিক্ষিকা বেতারাঘাত করেন। এ সময় হাতে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে রাকিবুল হাসান রাকিবকে বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাটিয়ে দেয়া হয়। এর পর বাড়িতে হাত ফুলে গিয়ে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে তাকে সন্ধ্যায় তার অভিভাবক কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। রাকিব বলেন, হাসিনা আপা বড় বড় তিনটি প্রশ্ন লেখতে বলেন। আমি একটু পড়ে লেখতে চাইলেই বেত দিয়ে আমাকে খুব জোড়ে মারেন।এখন আমার হাতে অনেক ব্যাথা হচ্ছে। রাকিবের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, আমার ছেলেকে পড়া-লেখা শিখানোর জন্য স্কুলে দিয়েছি। শিক্ষকের মার খেয়ে হাসপাতালে আসার জন্য নয়। আমি এর বিচার চাই। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন,ঘটনার সময় আমি স্কুলের বাহিরে ছিলাম। শুনেছি হাসিনা বেত দিয়ে মেরেছে এতেই রাকিব ব্যাথা পায়। হাসিনা বেগম বলেন, আমি তাকে পড়ার জন্য মারিনি,মেরেছি নির্দাশিকা লাঠি দিয়ে দুষ্টুমি করার জন্য। উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলহাজ্ব বুলবুল হোসেন বলেন,আমি আমার অফিসের এক স্টাফ এর নিকট বিষয়টি শুনলাম। প্রধান শিক্ষিকাকে ফোনে পাইনি। কাল ছুটি আছে অফিস খুললেই জেনে ব্যবস্তা নিবো।

error: Content is protected !!