মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

পীরগাছায় জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্বে পাল্টাপাল্টি মামলা

পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫, ৯:২৩ এএম | 90 বার পড়া হয়েছে
পীরগাছায় জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্বে পাল্টাপাল্টি মামলা

রংপুরের পীরগাছায় তিন পুরুষ ধরে জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্বে পাল্টাপাল্টি থানায় মামলা। স্থানীয়রা জানান, প্রায় তিন পুরুষ ধরে মন্ডল পরিবার ও সরকারের পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব। তবে সরকার পরিবার এই জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে তাদের নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য মন্ডল পরিবারকে আওয়ামী লীগের ট্যাগ লাগিয়ে রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে প্রচার করছে। সরকার পরিবারের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে মন্ডল পরিবারের সদস্যরা জানান, তারা শুরু থেকেই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এবিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হারুন অর রশিদ বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক মনছুর আলী সরকারসহ অনেকে সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাটি রাজনৈতিক ইস্যু নয়, এটা তাদের জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্ব। মন্ডল পরিবারের অনেকে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের মোংলাকুটি (উজানপাড়া) গ্রামে।
মন্ডল পরিবারের মামলার বাদি কায়সার আলম জানান, আমার ভাতিজা মনিরুল ইসলামের জমিজমা নিয়ে সরকার পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। এঘটনার জের ধরে ৩১ মে আসামিগণ আমার ভাতিজা মনিরুলের বাড়িঘর ভাঙচুর করলে মনিরুল বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা নং-১৫৭/২৫। মামলাটি বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আসামিরা জামিনে বের হয়ে মনিরুলকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপসৃষ্টি সহ গালিগালাজ করতে থাকে। চাপসৃষ্টি করে ব্যর্থ হলে ঘটনার দিন ২৯ জুন আমার চাচা সারোয়ার হোসেন মন্ডল, ভাই মিঠু মিয়াকে আমার বাড়ির সামনে একা পেয়ে আসামিরা অতর্কিভাবে হামলা ও গালিগালাজ করতে থাকে। সারোয়ার হোসেন তাদের গালিগালাজ করতে বাধা দিতে গেলে অপরাপর আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখী হয়ে ওঠে।
এক পর্যায়ে আসামিরা ধারালো ছোড়া দ্বারা মিঠু মিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে চোট মারলে মাথার বামপাশে কপালে মারাত্মক হাড় কাটা জখম হয় এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। মিঠুকে রক্ষার জন্য চাচা সরোয়ার হোসেন এবং আমি এগিয়ে গেলে আসামিদের হাতে থাকা লোহার রড় দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার চাচার মাথার উপরে আঘাত করলে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। স্থানীয়রা আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান।
এঘটনায় কায়সার আলম বাদি হয়ে সরকার পরিবারের ২৭জন সদস্যের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। তারা হলেন-আব্দুল লতিফ, সানোয়ার সরকার, আবু তালেব তারা, ইউনুস আলী, শহিদুল ইসলাম, জাহিদুল সরকার, শফিকুল সরকার, টুটুল সরকার, শরিফ মিয়া, মাসুদ রানা, রেজাউল করিম, সিয়ন সরকার, রাজা মিয়া, লিচু মিয়া, আকাশ মিয়া, আপেল মিয়া, মন্টু মিয়া, পিন্টু মিয়া, খালেক মিয়া, সাবিনা বেগম, টুলটুলী বেগম, সালমা বেগম, সাব্বির সরকার, ফুলমতি বেগম, হেলেনা বেগম, সপ্নীল সরকার, শিপন বেগম।
এর আগে সরকার পরিবারের পক্ষে আব্দুল লতিফ বাদি হয়ে ১জুলাই মন্ডল পরিবারের ২৫জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এনিয়ে ওই এলাকায় দুই পরিবারের মাঝে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। যেকোন সময়ে বড়ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
তবে আব্দুল লতিফ দুই পরিবারের এই ঘটনাকে জমিজমা বিরোধের দায় স্বীকার করে বলেন, আমরা তাদের সাথে কোন আপোষ করব না কারণ আমার ভাই এ সংঘর্ষে অঙ্গহানি হয়েছে। আমরা প্রতিশোধ নেব।
পীরগাছা থানা ওসি (তদন্ত) নাহিদ হোসেন বলেন, উভয়পক্ষের মামলা হয়েছে। এখনো কেউ ধরা পড়েনি। তবে উভয়পক্ষের আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

টঙ্গী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০৪ পিএম
“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

২০১৫ সালে ইতালি পাঠানোর নামে বাংলাদেশ থেকে ৪২ জনের পাসপোর্ট ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় ইব্রাহিম শেখ নামের এক প্রতারক। প্রতারণার সেই অঙ্ক তখনই দাঁড়িয়েছিল প্রায় দুই কোটি তিন লাখ টাকায়। এরপর থেকেই ইব্রাহিম যেন হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক চোরাকারবারির ‘প্রতীক’।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে অবৈধ পথে দালালের মাধ্যমে হংকং পাড়ি জমান তিনি। হংকংয়ে পৌঁছেই সেখানে গড়ে তোলেন একাধিক প্রতারণার নেটওয়ার্ক। ইউরোপ পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ, নকল আইফোন ও সোনা বিক্রি, এমনকি বাংলাদেশ থেকে নকল পণ্য পাচার—সবই চলতে থাকে একই ছকের ভেতরে।

স্থানীয় সূত্র বলছে, হংকং-এ অবস্থানকালে ইব্রাহিম একাধিক বিয়ে করেছেন পরিচয় গোপন করে। তার প্রতিটি প্রতারণার পেছনে ছিল সুপরিকল্পিত জালিয়াতি।

সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে, হংকং থেকে বাংলাদেশে ফিরেও থেমে থাকেননি এই ‘ন্যাশনাল প্রতারক’। আনুমানিক ১২৩ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে লুকিয়ে রেখেছেন একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এমনকি মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতারণা, মাদক, চোরাচালান—সবকিছুতে সম্পৃক্ত এই ইব্রাহিম এখন দেশের ভেতরেই অবস্থান করছেন ছদ্মবেশে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এতদিন ধরেই তার অপকর্ম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো? প্রতারিত পরিবারগুলো চাইছেন দ্রুত এই চক্রের মূলহোতা ইব্রাহিমকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হোক।

কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মো:স্বাধীন খান বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০১ পিএম
কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

বগুড়ার কাহালুতে জমির ড্রেনের পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে কর্নিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর। তাঁর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার।

কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

রুহুল আমিন, রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ১:৫৪ পিএম
কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

কুড়িগ্রাম সদরের হরিম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকার বেতারাঘাতে এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গত ৪ আগস্ট ২০২৫ ইং দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেনীর ক্লাসে হাসিনা খাতুন নামের এক শিক্ষিকা বেতারাঘাত করেন। এ সময় হাতে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে রাকিবুল হাসান রাকিবকে বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাটিয়ে দেয়া হয়। এর পর বাড়িতে হাত ফুলে গিয়ে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে তাকে সন্ধ্যায় তার অভিভাবক কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। রাকিব বলেন, হাসিনা আপা বড় বড় তিনটি প্রশ্ন লেখতে বলেন। আমি একটু পড়ে লেখতে চাইলেই বেত দিয়ে আমাকে খুব জোড়ে মারেন।এখন আমার হাতে অনেক ব্যাথা হচ্ছে। রাকিবের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, আমার ছেলেকে পড়া-লেখা শিখানোর জন্য স্কুলে দিয়েছি। শিক্ষকের মার খেয়ে হাসপাতালে আসার জন্য নয়। আমি এর বিচার চাই। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন,ঘটনার সময় আমি স্কুলের বাহিরে ছিলাম। শুনেছি হাসিনা বেত দিয়ে মেরেছে এতেই রাকিব ব্যাথা পায়। হাসিনা বেগম বলেন, আমি তাকে পড়ার জন্য মারিনি,মেরেছি নির্দাশিকা লাঠি দিয়ে দুষ্টুমি করার জন্য। উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলহাজ্ব বুলবুল হোসেন বলেন,আমি আমার অফিসের এক স্টাফ এর নিকট বিষয়টি শুনলাম। প্রধান শিক্ষিকাকে ফোনে পাইনি। কাল ছুটি আছে অফিস খুললেই জেনে ব্যবস্তা নিবো।

error: Content is protected !!