শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

এস. হোসেন মোল্লা (ঢাকা)

হিউম্যান এইড এন্ড ট্রাষ্ট ইন্টারন্যাশনাল’র অনুসন্ধানে কোটিপতি হোসেন মিয়ার অপকর্ম উদঘাটন

এস. হোসেন মোল্লা (ঢাকা) প্রকাশিত: শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪, ৯:২৮ পিএম | 84 বার পড়া হয়েছে
হিউম্যান এইড এন্ড ট্রাষ্ট ইন্টারন্যাশনাল’র অনুসন্ধানে কোটিপতি হোসেন মিয়ার অপকর্ম উদঘাটন

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি চালক মোঃ হোসেন মিয়া অবৈধভাবে বিভিন্ন সরকারি মালামাল বিক্রি করে গড়েছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ।হয়ে গেছেন কোটি টাকার সাম্রাজ্যের মালিক!

জানা গেছে, হোসেন মিয়ার মা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী।সেই সুবাদে হোসেন মিয়া উত্তর সিটি কর্পোরেশনের দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে চাকরিতে যোগদান করেছিলেন।পরবর্তীতে একজন সরকারি কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে ১৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে হাতিয়ে নেন সোনার হরিণ সরকারি চাকরি!আজও তার চরম দূনীতির স্বর্গ রাজ্যেই বসবাস! স্বনামধন্য কোটিপতিও বটেই!

উত্তর সিটি কর্পোরেশনের স্থায়ী চাকরিতে যুক্ত হওয়ার পরপরই বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় শুরু করেন ব্যাপক চুরি ও লুটপাট। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উত্তর সিটি কর্পোরেশনের যান্ত্রিক ও পরিবহন বিভাগের কয়েকজন কর্মচারীরা জানান, এই লুটেরা হোসেন মিয়া পরিবহন থেকে তার পছন্দের যান্ত্রিক বিভাগে ৩/৪ বার বদলি হয়েছেন এবং প্রতি বদলির জন্য দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা করে ঘুষ দিয়েছেন। সেই সাথে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের গাড়ির বিভিন্ন মালামাল, যন্ত্রাংশ, তেল ইত্যাদি চুরি করে মালিক হয়েছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদের। তার সহোদর ভাই হাসান মিয়া একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। দুই ভাই মিলে ব্যাপক লুটপাট ও অনিয়ম করে বিশাল অর্থ কামিয়ে নিয়েছেন। হোসেনের অপর ভাই হাসান দুর্নীতি ও তথ্য গোপনের দায়ে ইতিমধ্যেই চাকরিচ্যুত সত্বেও বহাল তবিয়তেই এখনো সিটি কর্পোরেশনের কাজ করে যাচ্ছেন এবং বেতন উঠাচ্ছেন। আরও শোনা যায়, এরা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সাবেক মেয়র তাপসের অনুসারী! এমনকি বিগত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যাত্রাবাড়ীর ৪৯নং ওয়ার্ডে এই হাসান আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের ব্যাপক অর্থ সহায়তা করেন! এদের দেখার যেন কেউই নেই!এই হাসানের অপকর্মের বিস্তারিত পরবর্তীতে প্রকাশ করার প্রস্তুতি চলছে।

বিস্তারিত অনুসন্ধানে জানা গেছে, হোসেন তার ব্যাপক দূর্নীতি ও চুরির অবৈধ অর্থ দিয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধলপুরে ৬৮/ডি নম্বরের প্লটটি ক্রয় করেছেন কয়েক কোটি টাকা দিয়ে। গাজীপুর সাভারে আরো বেশ কিছু জমি ক্রয় করেছেন। চলাফেরা করেন নিজ মোটরসাইকেলে যার মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। বিভিন্ন ব্যাংকে ৮ থেকে ১০টি একাউন্টে তার রয়েছে লক্ষাধিক টাকা। ডিউটি শেষ হবার পরে তাকে দেখলে আর চেনাই যায়না যে সে একজন সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়িচালক।সরাসরি তার চলাফেরা একজন মিলিয়নিয়ারের মতো! বিগত সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে গেলেই দাপট কিংবা অর্থ দিয়ে তাকে থামিয়ে দিয়েছেন।

আমাদের প্রতিনিধিগন তার কাছে প্রশ্ন করেন আপনি একজন ময়লার গাড়িচালক হয়ে কিভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ করেছেন!উত্তরে সে বলে ভাই সবাই কমবেশি কামায়। আপনারা নিউজ করে যদি আমার কিছু করতে পারেন কইরেন। তবে আপনারা কিছুই করতে পারবেন না।তাছাড়াও তার আচরণ সরাসরি বেপরোয়া ভাবে ভয়াবহ দাপট ও হুমকির দৃষ্টান্ত বহন করেছে! গোপন সুত্রে প্রকাশ, এই হোসেন মিয়া বিগত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে মিলে ব্যাপক অন্যায় অত্যাচার করেছিলো ছাত্রদের উপরে।

তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জানা যায়, তারা এই বিষয়ে কিছুই নাকি জানেন না। হোসেন কিভাবে এত কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়লো তা দেশ ও জাতীর কাছে অবাক বিস্ময়। সকলের প্রশ্ন, সামান্য কয় টাকার বেতনে যেখানে থাকা খাওয়াই কষ্টকর,সেখানে কিভাবে হোসেন মিয়া কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়লো!হোসেন মিয়ার সমস্ত অপকর্মের ব্যাপারে তদন্ত আবশ্যক।এসব ঘটনার সহস্য উদঘাটনসহ উচিত বিচার জরুরি ভাবে দাবি করেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলার সাধারণ জনতা।

বাংলাদেশ আহলে হাদিস সংগঠনের কেশবপুর শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন

পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর  প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:২৪ পিএম
বাংলাদেশ আহলে হাদিস সংগঠনের কেশবপুর শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে শণিবার (২৭ সেপ্টেম্বর-২৫) বিকেলে কেশবপুর বাজারে জমঈয়ত শুব্বানে আহলে হাদীস বাংলাদেশ যশোর জেলা এবং কেশবপুর-মণিরামপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশ, জাতী, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ, এই সত্যকে মেনে প্রতিটি মানুষের অন্তরে ধর্মীয় শিক্ষা তথা নৈতিকতা ও শিষ্টাচার প্রদানের লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হোক এ দাবি নিয়ে আজ কেশবপুর উপজেলা শহরে জমঈয়ত শুব্বানে আহলে হাদীস বাংলাদেশ যশোর জেলা এবং কেশবপুর-মণিরামপুর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। সকল ধর্মের জন্যই ধর্মীয় শিক্ষক অতিব প্রয়োজন এটা অবশ্যই সত্য। তাই সেই সত্যকে মেনে সরকারের উচিত এ বিষয়ে দৃষ্টি দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া।

 

বগুড়ায় গ্রেফতারের সময় সুরির আঘাতে আহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর মিন্টু

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:২১ পিএম
বগুড়ায় গ্রেফতারের সময় সুরির আঘাতে আহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর মিন্টু

বগুড়ায় গ্রেফতারের সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর লুৎফর রহমান মিন্টু (৪৩) সুরির আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে শহরের উপকণ্ঠে এ ঘটনা ঘটে। আহত মিন্টুকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

পুলিশ জানায়, মিন্টুর বিরুদ্ধে মোট আটটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি হত্যা মামলা, একটি অস্ত্র মামলা, একটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা অন্তর্ভুক্ত। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি পুলিশের খাতায় পলাতক আসামি ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য শনিবার দুপুরে অভিযান চালায় সদর থানা পুলিশ।

বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান বাসির জানান, মিন্টুকে আটক করতে গেলে এলাকায় ভিড় জমে যায়। এ সময় সুযোগ বুঝে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্ত হঠাৎ ছুরি নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা মিন্টুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে পালিয়ে যায়। বিশেষ করে পশ্চাৎদেশে গভীর ক্ষত তৈরি হয়।

তিনি বলেন, “আমরা তাঁকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করি এবং দ্রুত হাসপাতালে পাঠাই। বর্তমানে চিকিৎসকরা তাঁর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন।”

স্থানীয়রা জানান, হামলার ঘটনাটি আকস্মিকভাবে ঘটে এবং পুলিশ উপস্থিত থাকলেও দুর্বৃত্তরা মুহূর্তের মধ্যে পালিয়ে যায়। তবে হামলাকারীদের পরিচয় জানা যায়নি।

এদিকে এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক পরিচিতি থাকা সত্ত্বেও মিন্টুর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর মামলা থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে তদন্ত চলছে।

কালিগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধ: ভার্সিটি পড়ুয়া ছোট ভাইকে কুপিয়ে জখম করলো ২ বড় ভাই

হাফিজুর রহমান কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:১৮ পিএম
কালিগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধ: ভার্সিটি পড়ুয়া ছোট ভাইকে কুপিয়ে জখম করলো ২ বড় ভাই

জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় আপন দুই বড় ভাইয়ের হাতে নৃশংস হামলার শিকার হয়েছেন এক ভার্সিটি পড়ুয়া ছোট ভাই। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে উপজেলার পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহত তরুণের নাম মনিরুল ইসলাম, যিনি গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং মৃত আলহাজ্ব আব্দুল আজিজ গাজীর পুত্র।

আহত মনিরুল ইসলাম ও তার ভাই জাকিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বাবার মৃত্যুর পর থেকে মনিরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। এই সুযোগে তার বড় ভাই রফিকুল ইসলাম এবং মেজ ভাই শফিকুল ইসলাম (কালিগঞ্জ আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা) জোরপূর্বক তার জমি দখল করে ভোগ-দখল করছিলেন।

গতকাল শনিবার সকালে নিজের প্রাপ্য জমি চাইতে গেলে বড় দুই ভাই ধারালো দা দিয়ে মনিরুলকে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে। এই হামলায় মনিরুল ইসলাম রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম হন। হামলার পর অভিযুক্তরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে অভিযুক্ত বড় ভাই রফিকুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেজ ভাই শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্কুলের শিক্ষক নিয়োগে অর্ধ লক্ষ টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগে তাকে বহিষ্কারের দাবিতে ছাত্র-অভিভাবকরা দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে সড়ক অবরোধসহ আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকরা ঘরে ফেরেন। এরপর থেকে শফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন।

বর্তমানে মনিরুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।