ভাঙ্গন আতঙ্কে তিস্তা নদী তীরবর্তী মানুষ
লালমনিরহাট জেলার তিস্তা নদীর পানি কমে গেছে। তবে ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছেন তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন।
গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিলো। এরপর তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদরের গোকুন্ডা ইউনিয়নের গরিবুল্লা পাড়া, হরিণচওড়া এলাকার বেশকিছু এলাকা,খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকার আবাদি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে ও হরিণচওড়া এলাকার ৬ টি বাড়ী তীরবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তবে এসব এলাকার ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা করছে।
সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ আনন্দ বাজার এলাকার এনামুল হক জানান, শীতকালীন সবজি চাষাবাদের জন্য আমরা জমি প্রস্তুত করেছিলাম। এ বন্যায় আবাদি জমির পাশাপাশি আমাদের সকল বীজ নষ্ট হয়ে গেছে।
একই এলাকার লুৎফর রহমান বলেন, এ বন্যায় আমাদের ধানগুলো পানিতে ডুবে গেছে। আরো অন্যান্য ফসল পানিতে ডুবে যাওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি।
লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৮৩৩ হেক্টর জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত ছিলো আর অন্যান্য ফসলি জমি ১৪৩ হেক্টর পানিতে নিমজ্জিত ছিলো।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. সাইখুল আরিফিন জানান, পানিতে নিমজ্জিত ধান ক্ষেত থেকে পানি নেমে গেলে তেমন ক্ষতি হবে না। তবে অন্যান্য ১৪৩ হেক্টর জমির ফসলের পানি নেমে গেলে আমরা জানতে পারবো কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ৬ টি ফসলের উপর প্রণোদনা দেওয়ার ব্যাবস্থা করবো।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার বলেন, আমরা কয়েকটি জায়গায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা করছি। এছাড়া আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সকল তথ্য প্রেরণ করেছি। অনুমতি সাপেক্ষে ভাঙ্গন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলানো হবে।