রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

ভাঙ্গন আতঙ্কে তিস্তা নদী তীরবর্তী মানুষ

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৩:৪৪ পিএম | 116 বার পড়া হয়েছে
ভাঙ্গন আতঙ্কে তিস্তা নদী তীরবর্তী মানুষ

লালমনিরহাট জেলার তিস্তা নদীর পানি কমে গেছে। তবে ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছেন তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন।

গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিলো। এরপর তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদরের গোকুন্ডা ইউনিয়নের গরিবুল্লা পাড়া, হরিণচওড়া এলাকার বেশকিছু এলাকা,খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকার আবাদি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে ও হরিণচওড়া এলাকার ৬ টি বাড়ী তীরবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

তবে এসব এলাকার ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা করছে।

সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ আনন্দ বাজার এলাকার এনামুল হক জানান, শীতকালীন সবজি চাষাবাদের জন্য আমরা জমি প্রস্তুত করেছিলাম। এ বন্যায় আবাদি জমির পাশাপাশি আমাদের সকল বীজ নষ্ট হয়ে গেছে।

একই এলাকার লুৎফর রহমান বলেন, এ বন্যায় আমাদের ধানগুলো পানিতে ডুবে গেছে। আরো অন্যান্য ফসল পানিতে ডুবে যাওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি।

লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৮৩৩ হেক্টর জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত ছিলো আর অন্যান্য ফসলি জমি ১৪৩ হেক্টর পানিতে নিমজ্জিত ছিলো।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. সাইখুল আরিফিন জানান, পানিতে নিমজ্জিত ধান ক্ষেত থেকে পানি নেমে গেলে তেমন ক্ষতি হবে না। তবে অন্যান্য ১৪৩ হেক্টর জমির ফসলের পানি নেমে গেলে আমরা জানতে পারবো কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ৬ টি ফসলের উপর প্রণোদনা দেওয়ার ব্যাবস্থা করবো।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার বলেন, আমরা কয়েকটি জায়গায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা করছি। এছাড়া আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সকল তথ্য প্রেরণ করেছি। অনুমতি সাপেক্ষে ভাঙ্গন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলানো হবে।

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া

কাহালুতে বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৪৫ এএম
কাহালুতে বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

বগুড়ার কাহালু উপজেলায় বিএনপি’র পক্ষ থেকে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। দেশনায়ক ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতির সামনে উপস্থাপিত এই ৩১ দফা দিকনির্দেশনামূলক কর্মসূচি গত ২ আগস্ট শনিবার বিকেল ৫টায় কাহালু উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিতরণ করেন স্থানীয় ও জেলা বিএনপির নেতারা।

এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও কাহালু পৌরসভার সাবেক মেয়র ফরিদুর রহমান ফরিদ, কাহালু উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন ফকির, সাবেক পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, আজিজুল হক মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নওয়াজ উদ্দিন, কাহালু উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আকরাম হোসেন, উপজেলা বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোনোয়ার হোসেন মিনু, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুঞ্জুরুল আলম পান্না, পৌর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক কমিশনার রাম চন্দ্র দাস, পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর রহমান, কাহালু উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুল হক, পাইকড় ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য জামিল উদ্দিন, যুবদলের কাহালু উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ ফকির, পৌর বিএনপির প্রচার সম্পাদক হাবিল উদ্দিন, পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, মাষ্টার মোজাফ্ফর হোসেন, যুব নেতা বারী প্রাং এবং পৌর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রাকিব হোসেন প্রমুখ।

এ সময় এক বক্তব্যে অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, “বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, যেটি জনগণের কল্যাণে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনটি বরাবরই বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এই এলাকার মানুষ বরাবরই জিয়া পরিবারকে ভালোবাসে এবং শ্রদ্ধা করে। তাই তৃণমূল নেতাকর্মীদের আকাঙ্ক্ষা, এ আসনে জিয়া পরিবারের কোনো সদস্যকে প্রার্থী করা হোক, অথবা বিকল্প হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে আসা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয়া হোক।”

তিনি আরও বলেন, “৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের এই কর্মসূচি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে তা পৌঁছে দিচ্ছি, যাতে মানুষ বুঝতে পারে বিএনপি শুধু ক্ষমতার রাজনীতি নয়, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিশ্বাস করে।”

এই সাহসী কার্যক্রমে কাহালু উপজেলার সর্বস্তরের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও শ্রমিক দলের নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। মাঠপর্যায়ে বিএনপির এই তৎপরতা আবারও প্রমাণ করে যে, তারা জনগণের সঙ্গে থেকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া

৩ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের প্রথম বর্ষপূর্তি: উজ্জ্বল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সাহসী যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৩৭ এএম
৩ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের প্রথম বর্ষপূর্তি: উজ্জ্বল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সাহসী যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা

আজ ৩ আগস্ট ২০২৫ — ইতিহাসের পাতায় লেখা গৌরবময় এক দিন। এক বছর আগে এই দিনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। ২০২৪ সালের এই দিনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। সেই ঐতিহাসিক ঘটনার আজ প্রথম বর্ষপূর্তি।

এই গৌরবের দিনে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল উজ্জ্বল বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আন্তরিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন এবং গণতন্ত্রকামী সকল শহিদ, সংগ্রামী এবং সাহসী যোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসজুড়ে চলা দুর্বার গণআন্দোলনে ছাত্রসমাজ, তরুণ প্রজন্ম, শ্রমজীবী মানুষ ও সাধারণ জনগণের একতাবদ্ধ লড়াই ছিল অবিস্মরণীয়। তারা অন্যায়, দুঃশাসন ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় বুক চিতিয়ে। অনেকেই হারিয়েছেন প্রাণ, অনেকে আহত হয়েছেন, কিন্তু সেই আত্মত্যাগের ফলেই দেশে এসেছে গণতন্ত্রের নতুন ভোর।

এই সংগ্রামের পেছনে শুধু রাজপথে নয়, সাহসিকতার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন দেশের গণমাধ্যমকর্মীরাও। বিশেষ করে উজ্জ্বল বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত সম্পাদক রাজিবুল করিম রোমিও তখনকার কঠিন পরিস্থিতিতেও নি‌র্বিচারে সাহসী সংবাদ প্রচার অব্যাহত রাখেন। দমন-পীড়নের ভয়ে থেমে না গিয়ে, তিনি দেশবাসীর সামনে নির্ভয়ে তুলে ধরেছেন আন্দোলনের প্রতিটি মুহূর্ত, সত্য ঘটনা ও জনগণের অবস্থান।

রাজিবুল করিম রোমিও তাঁর নেতৃত্বে সংবাদপত্রকে কেবল তথ্য পরিবেশনের মাধ্যম নয়, বরং প্রতিবাদের প্রতীক এবং জনগণের কণ্ঠস্বর হিসেবে রূপ দেন। তাঁর নির্ভীক সংবাদকর্মিতা, বিশ্লেষণ ও প্রতিবেদন গণআন্দোলনের গতি আরও তরান্বিত করে এবং আন্দোলনের শক্তিকে পৌঁছে দেয় ঘরে ঘরে।

উজ্জ্বল বাংলাদেশ মনে করে, ৩ আগস্ট শুধু একটি রাজনৈতিক পরিবর্তনের দিন নয় — এটি সাহস, চেতনাবোধ ও জনতার বিজয়ের এক অমর স্মৃতি। আজকের এই দিনে সেই সকল সাহসী যোদ্ধাদের স্মরণ করা এবং তাঁদের আদর্শকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

আসুন, আমরা সবাই মিলে এই দিনের চেতনাকে ধারণ করি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নেওয়া এবং সত্য প্রকাশে নির্ভীক থাকা — এ হোক আমাদের অঙ্গীকার।

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া

দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট চাইলেন ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৩০ এএম
দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট চাইলেন ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ মালঞ্চা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভায় অংশ নেন।

গণসংযোগের অংশ হিসেবে তিনি মালঞ্চা ইউনিয়নের গুড়বিশা, সাবানপুর, মাগুড়া, এরুইল, বিশা, কলমা, ইন্দুখুর, ভালশুন, কল্যাপাড়া, পানিসারা ও মালঞ্চা বাজার এলাকায় সাধারণ জনগণের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন।

গণসংযোগ শেষে মালঞ্চা বাজারে পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ বলেন,
“ইসলামের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে ইসলামিক পতাকার নিচে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ন্যায়, ইনসাফ ও আদর্শভিত্তিক সমাজ গঠনে জামায়াতের বিজয় জরুরি।”

পথসভায় সভাপতিত্ব করেন মালঞ্চা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আলহাজ্ব মাওলানা আবু দাউদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাহালু উপজেলা জামায়াতে ইসলামী’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

গণসংযোগে স্থানীয় জনগণের ব্যাপক আগ্রহ ও উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়। জামায়াত প্রার্থীকে ঘিরে সৃষ্টি হয় প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর পরিবেশ।

error: Content is protected !!