রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সিম কার্ডের মালিকানা পরিবর্তন

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:১০ এএম | 140 বার পড়া হয়েছে
সিম কার্ডের মালিকানা পরিবর্তন

সিম কার্ডের মালিকানা পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা নিরাপত্তা ও তথ্যের সঠিকতা নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করে সম্পন্ন করতে হয়। সাধারণত নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করা হয়:

১. উভয় পক্ষের উপস্থিতি

বর্তমান মালিক (দাতা) এবং নতুন মালিক (গ্রহীতা) — উভয়কেই একসাথে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার বা মনোনীত বিক্রয় কেন্দ্রে যেতে হয়। বর্তমানে অনেক অপারেটর নির্দিষ্ট এলাকায় অনলাইন আবেদন বা হোম ডেলিভারির মাধ্যমেও এই সেবা প্রদান করছে।

২. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্য

জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা স্মার্ট কার্ড: উভয় পক্ষের মূল NID/স্মার্ট কার্ড অথবা বিকল্প হিসেবে বৈধ পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন হতে পারে।

ছবি: কিছু ক্ষেত্রে পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগতে পারে, যদিও বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের কারণে এখন এর প্রয়োজনীয়তা কম।

অন্যান্য তথ্য:

সিমের বর্তমান সাবস্ক্রিপশন পেপারের কপি (যদি থাকে)

বর্তমান মালিকের স্বাক্ষর ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট

নতুন মালিকের ব্যক্তিগত তথ্য ও যোগাযোগ নম্বর

৩. বায়োমেট্রিক যাচাই

দাতা ও গ্রহীতা—উভয়ের আঙুলের ছাপ নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেসের সাথে মিলিয়ে যাচাই করা হয়। ছাপ না মিললে মালিকানা পরিবর্তন সম্ভব নয়।

৪. সার্ভিস চার্জ

অপারেটর ভেদে মালিকানা পরিবর্তনের জন্য নির্দিষ্ট সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য হতে পারে। কিছু অপারেটর নির্দিষ্ট কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে বিনামূল্যে এই সেবা দেয়, আবার হোম ডেলিভারি সেবার জন্য অতিরিক্ত চার্জ নিতে পারে।

🔍 গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

অনলাইন পদ্ধতি: গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেলসহ কিছু অপারেটর অনলাইন শপের মাধ্যমে নির্দিষ্ট এলাকায় হোম ডেলিভারির মাধ্যমে মালিকানা পরিবর্তনের সুযোগ দেয়। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হয়।

সুনির্দিষ্ট তথ্যের জন্য যোগাযোগ: প্রতিটি অপারেটরের (যেমন: গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক, টেলিটক) নিয়ম ও প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন হতে পারে। তাই মালিকানা পরিবর্তনের আগে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে সঠিক তথ্য জেনে নেওয়াই শ্রেয়।

নির্বাহী সম্পাদকঃ অঞ্জনা চৌধুরী

কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে

নির্বাহী সম্পাদকঃ অঞ্জনা চৌধুরী প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:০২ পিএম
কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে, যা মনসুরনগর চরের শিক্ষার্থীদেরসহ স্থানীয়দের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি করছে; বিশেষ করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে ও স্কুলে যেতে তাদের ডুবোচরের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে, যা একটি বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
মূল সমস্যা: শুষ্ক মৌসুমে জেগে ওঠা অসংখ্য ডুবোচর যাতায়াতে বাধা দিচ্ছে।
প্রভাব: ছাত্রছাত্রী, রোগীসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
উদাহরণ: মনসুরনগর চরের লোকজন কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে ও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৫০ এএম
কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে ৬ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস। এ দিবস পালন উপলক্ষ্যে সকালে হানাদার মুক্ত দিবসের বিজয় মিছিল,পুস্প্যমাল্য অর্পন ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত হয়। এই দিন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল চাপের মুখে পাকিস্তানি সেনারা পরাজয় মেনে নিয়ে কুড়িগ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস। কোম্পানি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাই সরকার বীর প্রতীকের নেতৃত্বে কুড়িগ্রাম ওভারহেড পানির টাংকির উপর প্রথম স্বাধীনতার বিজয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এই দিবসের শুরুতে সকাল ৯ টায় একটি বিজয় মিছিল কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হতে বেড় হয়ে শহর পদক্ষিন করে। পরে কলেজ মোড় স্বাধীনতার বিজয় স্থম্ভে পুস্প্য মাল্য অর্পণ করে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং সদর কমান্ডের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল বাতেন সরকারের সঞ্চালনায় এক স্মৃতি চারণ মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে বক্তব্য রাখেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা,কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন,এনডিসি এবিএম মেজবাহ উদ্দিন,সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুল্যা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাই সরকার (বীর প্রতীক), বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর আব্দুস সালাম(অবঃ), বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ,প্রবীন সাংবাদিক সফি খান,মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি মাহবুবুর রশীদ তালুকদার স্বপন,সহ সভাপতি নব কুমার সরখেল ববি,সাধারণ সম্পাদক আমানুর রহমান খোকন,উদীচী শিল্পিগোষ্ঠির অনিরুদ্ধ প্রণয় প্রান্তিক,১৯ সংগঠনের রাজ্য জ্যোতি,জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম সদস্য সচিব হেলাল আহমেদ,প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব আব্দুল মুমিন বাবু প্রমুখ ।

জাবিতে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি-সম্পাদক তাড়াশের মাসুদ ও মোন্নাফ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
জাবিতে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি-সম্পাদক তাড়াশের মাসুদ ও মোন্নাফ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধ্যয়নরত সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সদ্য গঠিত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম আবর্তনের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের কৃতী শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আব্দুল মোন্নাফ। একই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী, তাড়াশের নাদোসৈয়দপুর গ্রামের মাসুদ রানা।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। দায়িত্বগ্রহণের পর খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হবে বলে জানান নবনির্বাচিত সভাপতি ও সম্পাদক।

সংগঠনের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সভাপতি শাহরিয়ার আব্দুল মোন্নাফ বলেন, “প্রতিবারের মতো এবারও সিরাজগঞ্জ থেকে আগত শিক্ষার্থী ও ভর্তি পরীক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইনশাআল্লাহ, সংগঠনের কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করে আমরা আরও নতুনত্বের প্রকাশ ঘটাবো।”

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, “সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আমার জন্য এক বিশেষ সম্মান। এই বিশ্বাস ও ভালোবাসাকে শক্তি হিসেবে নিয়ে আমরা সমিতিকে আরও সংগঠিত, কার্যকর ও শিক্ষার্থীবান্ধব একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তুলব। আগামী দিনে সিরাজগঞ্জের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা, মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের ক্যাম্পাসের সম্পর্ক জোরদার করাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাব।”

নতুন কমিটি ঘোষণায় জাবির সিরাজগঞ্জের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।