সিম কার্ডের মালিকানা পরিবর্তন


সিম কার্ডের মালিকানা পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা নিরাপত্তা ও তথ্যের সঠিকতা নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করে সম্পন্ন করতে হয়। সাধারণত নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করা হয়:
১. উভয় পক্ষের উপস্থিতি
বর্তমান মালিক (দাতা) এবং নতুন মালিক (গ্রহীতা) — উভয়কেই একসাথে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার বা মনোনীত বিক্রয় কেন্দ্রে যেতে হয়। বর্তমানে অনেক অপারেটর নির্দিষ্ট এলাকায় অনলাইন আবেদন বা হোম ডেলিভারির মাধ্যমেও এই সেবা প্রদান করছে।
২. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্য
জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা স্মার্ট কার্ড: উভয় পক্ষের মূল NID/স্মার্ট কার্ড অথবা বিকল্প হিসেবে বৈধ পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন হতে পারে।
ছবি: কিছু ক্ষেত্রে পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগতে পারে, যদিও বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের কারণে এখন এর প্রয়োজনীয়তা কম।
অন্যান্য তথ্য:
সিমের বর্তমান সাবস্ক্রিপশন পেপারের কপি (যদি থাকে)
বর্তমান মালিকের স্বাক্ষর ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট
নতুন মালিকের ব্যক্তিগত তথ্য ও যোগাযোগ নম্বর
৩. বায়োমেট্রিক যাচাই
দাতা ও গ্রহীতা—উভয়ের আঙুলের ছাপ নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেসের সাথে মিলিয়ে যাচাই করা হয়। ছাপ না মিললে মালিকানা পরিবর্তন সম্ভব নয়।
৪. সার্ভিস চার্জ
অপারেটর ভেদে মালিকানা পরিবর্তনের জন্য নির্দিষ্ট সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য হতে পারে। কিছু অপারেটর নির্দিষ্ট কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে বিনামূল্যে এই সেবা দেয়, আবার হোম ডেলিভারি সেবার জন্য অতিরিক্ত চার্জ নিতে পারে।
🔍 গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
অনলাইন পদ্ধতি: গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেলসহ কিছু অপারেটর অনলাইন শপের মাধ্যমে নির্দিষ্ট এলাকায় হোম ডেলিভারির মাধ্যমে মালিকানা পরিবর্তনের সুযোগ দেয়। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হয়।
সুনির্দিষ্ট তথ্যের জন্য যোগাযোগ: প্রতিটি অপারেটরের (যেমন: গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক, টেলিটক) নিয়ম ও প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন হতে পারে। তাই মালিকানা পরিবর্তনের আগে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে সঠিক তথ্য জেনে নেওয়াই শ্রেয়।