মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদেশি এসএমজি ও নগদ ১৪ লাখ টাকাসহ আটক ৪

জামাল উদ্দীন, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ৯:০৪ পিএম | 60 বার পড়া হয়েছে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদেশি এসএমজি ও নগদ ১৪ লাখ টাকাসহ আটক ৪

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিদেশী অস্ত্র কেনাবেচার সময় এবার অস্ত্র ও নগদ টাকাসহ চারজনকে গ্রেফতারের দাবী করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা প্রত্যেকেই ক্যাম্পের কথিত ‘কুখ্যাত ডাকাত’ নবী হোসেন গ্রুপের সদস্য।
ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন- এপিবিএন-৮ এর অধিনায়ক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ জানান, সেনাবাহিনীকে সাথে নিয়ে যৌথ অভিযান চালিয়ে রোববার সন্ধায় ক্যাম্প ১১ থেকে নগদ ১৪ লক্ষ টাকা ও বিদেশী অস্ত্রসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্রটি UZI SMG মডেলের। যেটি মিয়ানমার সেনাবাহিনী ব্যবহার করে থাকে।
রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আশ্রয় শিবিরের ১১ নম্বর ক্যাম্পের সি/৬ ব্লক এর মাঝি কেফায়েত এর বাড়িতে কেনাবেচার সময় ওই অভিযান চালানো হয়। তবে মূল অস্ত্র ব্যবসায়ী ইলিয়াস পালিয়ে যায়।
এসময় গ্রেফতার হয়েছেন ক্যাম্প ১১, ব্লক ই এর মোঃ আনাস (৩০), ক্যাম্প ৯, ব্লক সি-১৪ এর মনসুর আহমেদ (৩২), ক্যাম্প ৯, ব্লক সি-১৬ ইয়াসের আরাফাত (৩৫), ক্যাম্প ১১, ব্লক সি-৬ কেফায়েত উল্লাহ (৩৫)।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা রোহিঙ্গা ডাকাত নবী হোসেন দলের সদস্য বলে স্বীকার করার কথা জানিয়েছেন এই এপিবিএন কর্মকর্তা।
তিনি জানান, অস্ত্রটি ক্যাম্প ৮ (ইস্ট) এ নবী হোসেনের আস্তানায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিলো বলে তারা জানতে পেরেছেন।
এদিকে কথিত ‘কুখ্যাত ডাকাত’ নবী হোসেন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছে এপিবিএন ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।
গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডাকাত নবী হোসেন ARA (Arakan Rohyinga Army) এর কমান্ডার হিসেবে কাজ করছে। বর্তমানে সে তার দলের সদস্যদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় পাঠিয়ে দেয়। পাশাপাশি সে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে অস্ত্র ও ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত।
২০২৩ সালে নবী হোসেন মায়ানমারের চাকমা কাটা, তমব্রু থেকে বাংলাদেশে আসে এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে সে Rohyinga Committee for Peace and Repatriation (RCPR) এর প্রধান দলনেতা দিল মোহাম্মদের অধীনে Arakan Rohyinga Army (ARA) গ্রুপের প্রধান হিসেবে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। অতীতে বহুবার অস্ত্রের মহড়া ও ইয়াবা চোরাচালানের সাথে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলেও বাংলাদেশী প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সংস্থার ছত্রছায়ায় থাকার কারনে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানানো হয় ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
তবে সেসব ব্যক্তি ও সংস্থার নাম বলেনি তারা।
“বর্তমানে নবী হোসেন ক্যাম্প ৮(ইস্ট) এ অবৈধভাবে বাসস্থান হিসেবে দালান বাড়ি গড়ে তুলেছে। ক্যাম্পের অভ্যন্তরে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সে ৬০ ফিট দীর্ঘ ও ২০ ফিট প্রস্থের পাকা বাসস্থান নির্মান করেছে।

“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

টঙ্গী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০৪ পিএম
“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

২০১৫ সালে ইতালি পাঠানোর নামে বাংলাদেশ থেকে ৪২ জনের পাসপোর্ট ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় ইব্রাহিম শেখ নামের এক প্রতারক। প্রতারণার সেই অঙ্ক তখনই দাঁড়িয়েছিল প্রায় দুই কোটি তিন লাখ টাকায়। এরপর থেকেই ইব্রাহিম যেন হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক চোরাকারবারির ‘প্রতীক’।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে অবৈধ পথে দালালের মাধ্যমে হংকং পাড়ি জমান তিনি। হংকংয়ে পৌঁছেই সেখানে গড়ে তোলেন একাধিক প্রতারণার নেটওয়ার্ক। ইউরোপ পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ, নকল আইফোন ও সোনা বিক্রি, এমনকি বাংলাদেশ থেকে নকল পণ্য পাচার—সবই চলতে থাকে একই ছকের ভেতরে।

স্থানীয় সূত্র বলছে, হংকং-এ অবস্থানকালে ইব্রাহিম একাধিক বিয়ে করেছেন পরিচয় গোপন করে। তার প্রতিটি প্রতারণার পেছনে ছিল সুপরিকল্পিত জালিয়াতি।

সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে, হংকং থেকে বাংলাদেশে ফিরেও থেমে থাকেননি এই ‘ন্যাশনাল প্রতারক’। আনুমানিক ১২৩ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে লুকিয়ে রেখেছেন একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এমনকি মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতারণা, মাদক, চোরাচালান—সবকিছুতে সম্পৃক্ত এই ইব্রাহিম এখন দেশের ভেতরেই অবস্থান করছেন ছদ্মবেশে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এতদিন ধরেই তার অপকর্ম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো? প্রতারিত পরিবারগুলো চাইছেন দ্রুত এই চক্রের মূলহোতা ইব্রাহিমকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হোক।

কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মো:স্বাধীন খান বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০১ পিএম
কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

বগুড়ার কাহালুতে জমির ড্রেনের পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে কর্নিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর। তাঁর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার।

কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

রুহুল আমিন, রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ১:৫৪ পিএম
কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

কুড়িগ্রাম সদরের হরিম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকার বেতারাঘাতে এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গত ৪ আগস্ট ২০২৫ ইং দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেনীর ক্লাসে হাসিনা খাতুন নামের এক শিক্ষিকা বেতারাঘাত করেন। এ সময় হাতে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে রাকিবুল হাসান রাকিবকে বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাটিয়ে দেয়া হয়। এর পর বাড়িতে হাত ফুলে গিয়ে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে তাকে সন্ধ্যায় তার অভিভাবক কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। রাকিব বলেন, হাসিনা আপা বড় বড় তিনটি প্রশ্ন লেখতে বলেন। আমি একটু পড়ে লেখতে চাইলেই বেত দিয়ে আমাকে খুব জোড়ে মারেন।এখন আমার হাতে অনেক ব্যাথা হচ্ছে। রাকিবের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, আমার ছেলেকে পড়া-লেখা শিখানোর জন্য স্কুলে দিয়েছি। শিক্ষকের মার খেয়ে হাসপাতালে আসার জন্য নয়। আমি এর বিচার চাই। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন,ঘটনার সময় আমি স্কুলের বাহিরে ছিলাম। শুনেছি হাসিনা বেত দিয়ে মেরেছে এতেই রাকিব ব্যাথা পায়। হাসিনা বেগম বলেন, আমি তাকে পড়ার জন্য মারিনি,মেরেছি নির্দাশিকা লাঠি দিয়ে দুষ্টুমি করার জন্য। উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলহাজ্ব বুলবুল হোসেন বলেন,আমি আমার অফিসের এক স্টাফ এর নিকট বিষয়টি শুনলাম। প্রধান শিক্ষিকাকে ফোনে পাইনি। কাল ছুটি আছে অফিস খুললেই জেনে ব্যবস্তা নিবো।

error: Content is protected !!