বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২
বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২

পরিবার থেকেই শুরু হোক শুদ্ধাচার

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৩:৩৫ এএম | 171 বার পড়া হয়েছে
পরিবার থেকেই শুরু হোক শুদ্ধাচার

ভালো মানুষের ভূষণ শুদ্ধাচার। শুদ্ধাচারী মানুষই ভালো মানুষ। আসলে যা-কিছু ভালো, যা-কিছু কল্যাণকর তা-ই শুদ্ধ। যা-কিছু মন্দ, যা-কিছু অকল্যাণকর তা-ই অশুদ্ধ। যা-কিছু সত্য, সুন্দর ও শুভ তা-ই শুদ্ধ। যা-কিছু অসত্য, পঙ্কিল ও অশুভ তা-ই অশুদ্ধ। যা-কিছু ন্যায় ও মানবিক তা-ই শুদ্ধ। যা-কিছু অন্যায়, জুলুম ও অমানবিক তা-ই অশুদ্ধ। যা শুদ্ধ ও কল্যাণকর তা-ই ধর্ম আর যা অশুদ্ধ ও অকল্যাণকর তা-ই অধর্ম। ধর্মের ফলিত রূপ হচ্ছে শুদ্ধাচার আর অধর্মের ফলিত রূপ হচ্ছে দুরাচার। আপনার আচারই বলে দেবে আপনি ধার্মিক, না অধার্মিক। আসলে ধার্মিক যেমন দুরাচারী হতে পারে না, তেমনি দুরাচারীও কখনো ধার্মিক বলে গণ্য হতে পারে না।

‘শুদ্ধাচারী’ হতে হলে প্রথম প্রয়োজন ব্যক্তির আচার-আচরণে করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা। বর্তমান সংকলনে এ ধারণাগুলোই দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে−সাবলীল ও সহজবোধ্য ভাষায়। আন্তরিকতার সাথে যিনিই এগুলো অনুসরণের চেষ্টা করবেন, নিঃসন্দেহে তিনি হয়ে উঠবেন পরিশীলিত ভালো মানুষ। তিনিই হয়ে উঠবেন শুদ্ধাচারী।

একজন মানুষের আসল রূপ প্রকাশ পায় পরিবারে, ঘরোয়া পরিবেশে। কিন্তু সাধারণভাবে ঘরেই শুদ্ধাচারের অনুশীলন হয় সবচেয়ে কম। ঘরে যত শুদ্ধাচারী হবেন, সদাচারী থাকবেন, পরিবারে প্রশান্তি তত বাড়বে; বাইরেও আপনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে সুন্দর আচরণ করতে পারবেন।

চলুন পরিবারে প্রতিদিন যেই আচরণগুলো করা উচিত জেনে আসা যাক…

> প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙতেই বলুন, শোকর আলহামদুলিল্লাহ/ থ্যাংকস গড/ হরি ওম বা প্রভু তোমাকে ধন্যবাদ একটি সুন্দর দিনের জন্যে।

> পরিবারে ছোট-বড় সবার সাথে সালাম বিনিময়ের অভ্যাস গড়ে তুলুন।

> বাসা থেকে বের হওয়ার সময় সম্ভব হলে মা-বাবা, স্বামী/ স্ত্রী এবং অন্য সদস্যদের বলে বের হোন। কোথায় যাচ্ছেন, কখন ফিরবেন তা-ও বলুন।

> বাসায় ফিরে আগে সবার খোঁজখবর নিন।

> ঘরে ঢুকেই বা কেউ ঘরে ফেরার সাথে সাথেই  কোনো অভিমান-অভিযোগ প্রকাশ করবেন না।

> যত ব্যস্ততাই থাকুক, দিনে অন্তত একবেলা পরিবারের সঙ্গে খাবার খান।

> পারিবারিক অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করুন।

> প্রত্যেকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে শ্রদ্ধা করুন। অনুমতি ছাড়া কারো মোবাইল ফোন ধরবেন না। ডায়েরি, চিঠি খুলে দেখবেন না; সামনে খোলা থাকলেও পড়বেন না।

> পারিবারিক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে চেষ্টা করুন। মত না মিললেও অধিকাংশ সদস্যের মতামতকে গুরুত্ব দিন এবং সেভাবে কাজ করুন।

> পরিবারে কোনো বিষয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। খুঁটিনাটি বিষয়ে অনড় অবস্থান নেবেন না। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় এসি চালানো, ফুল স্পিডে ফ্যান ছাড়া, ফুল ভলিউমে গান শোনা, অন্ধকার ঘরে ঘুমানো, অতিরিক্ত ঝাল খাওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ছাড় দিতে আন্তরিক হোন।

> পরিসর যত ছোটই হোক, পরিবার একটি সঙ্ঘ। তাই অপরের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনায় রাখুন।

> কাউকে হেয় করে বা খোঁচা দিয়ে কথা বলা, কূটতর্ক ও নেতিবাচক মন্তব্য করা পুরোপুরি বর্জন করুন।

> গালিগালাজ, অশ্লীল ও মন্দ কথার চর্চা পারিবারিক অশান্তির অন্যতম কারণ ও আলোকিত পরিবার গঠনে অন্তরায়। তাই পরিবারে সবসময় ভালো কথা বলার অভ্যাস করুন।

> কখনো কারো রান্নার নিন্দা বা সমালোচনা করবেন না।

> নিজের কাজ নিজেই করার চেষ্টা করুন। ঘরের কাজে সাধ্যমতো সহযোগিতা করুন।

> পরিবারের সদস্যদের বিশেষ দিনগুলো মনে রাখুন ও শুভেচ্ছা জানান।

> ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার আলোকে পারিবারিক মূল্যবোধ গড়ে তুলুন এবং পারিবারিকভাবে সেগুলোর চর্চা করুন।

> পথ ও বাইরের বিরক্তি বা কষ্ট দরজার বাইরে রেখে বাসায় প্রবেশ করুন হাসিমুখে। ঘরে ঢুকে প্রথমেই সবাইকে সালাম দিন।

> দরজায় কড়া নাড়ার সুযোগ থাকলে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে কাউকে ডাকাডাকি করবেন না। দরজায় কড়া নাড়ুন বা কলিং বেল বাজান।

> বাসায় প্রবেশের সময় বেল বাজানো/ কড়া নাড়ার আগে মনে মনে তিন বার বলুন-‘বাসায় যাচ্ছি শান্তির জন্যে। আমি শান্ত থাকব।’

> ঘন ঘন কলিং বেল বাজাবেন না। বেল না থাকলে দরজার কড়া আস্তে নাড়ুন কিংবা বাসায় আছেন-এমন কাউকে ফোন করে দরজা খুলতে অনুরোধ করুন।

> বাসায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ কেউ থাকলে পারতপক্ষে কলিং বেল না বাজিয়ে আস্তে কড়া নাড়ুন।

> কলিং বেল বাজানোর পর দরজা খুলতে দেরি হলে বিরক্ত হবেন না। ভুল করে কেউ কলিং বেল বাজালে দরজা খুলে তাকে ধমকে উঠবেন না।

> জুতো খুলে নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন। তারপর ভেতরে ঢুকুন। ঘরে পরার জন্যে আলাদা স্যান্ডেল রাখুন।

> কারো মুখের ওপর শব্দ করে দরজা বন্ধ করে দেবেন না।

> দরজা-জানালা বন্ধের কাজটি সন্তর্পণে করুন।

> বিশ্রামরত কারো অসুবিধা না করে যতটা সম্ভব নীরবে আপনার কাজ করুন।

> অনুমতি ছাড়া কারো শোবার ঘরে ঢুকবেন না, বিছানায় বসবেন না। বসতে হলেও বিছানায় পারতপক্ষে পা তুলবেন না।

> কারো ঘরের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় উঁকি দেবেন না, আড়চোখে তাকাবেন না। আড়ি পেতে অন্যদের কথা শোনা থেকে বিরত থাকুন।

> নিজ কক্ষে অবস্থানকালে অন্য বাড়ির জানালা/ ছাদ/ বারান্দা বা বাইরে থেকে কেউ আপনাকে লক্ষ করছে কিনা−সে ব্যাপারে সচেতন থাকুন।

> অন্য কেউ রুমে থাকলে টিভি লাইট ফ্যান এসি ইত্যাদি চালানো কিংবা স্পিড ও ভলিউম বাড়ানো-কমানোর আগে তার অনুমতি নিন।

> অফিসের বিষয়গুলো অফিসেই রেখে আসুন। বাসায় অফিসের বিষয় নিয়ে কোনো আলাপ বা বিরক্তি প্রকাশ করবেন না।

> ওয়াশরুমে বা আড়ালে গিয়ে পোশাক পরিবর্তন করুন।

> অপরিচিত কাউকে কারো বাসায় নিয়ে যাওয়ার আগে তার অনুমতি নিন।

> বারান্দা থেকে ফেরিওয়ালার সঙ্গে দরদাম না করে বাইরের দরজায় আসতে বলুন।

> নিচতলার বাসিন্দাদের অসুবিধা হতে পারে−এমন শব্দ যেন আপনার বাসার মেঝেতে না হয় সে ব্যাপারে সচেতন থাকুন।

> বারান্দায় কাপড় শুকাতে দিলে খেয়াল রাখুন যেন তা নিচতলার বারান্দা ঢেকে না ফেলে।

> ভেজা কাপড় চুঁইয়ে পড়া কিংবা ছাদ পরিষ্কারের পানি নিচতলার বারান্দায় বা পথচারীর গায়ে যেন না পড়ে। ছাদ বা বারান্দায় রাখা গাছের টবে পানি দেয়ার সময়ও সচেতন থাকুন।

> প্রতিবেশীর সমস্যা হয়−এমন শব্দে অডিও প্লেয়ার বা টিভি, কম্পিউটার/ লাউডস্পিকার চালাবেন না।

> বাড়িতে/ ছাদে কোনো পারিবারিক বা সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে প্রতিবেশীদের সুবিধা-অসুবিধা মাথায় রাখুন। আবাসিক এলাকায় উচ্চস্বরে গানবাজনা ও ডিজে পার্টি আয়োজন করা থেকে বিরত থাকুন। এটি একটি সামাজিক অনাচার।

> বাসায় (রান্নাঘর, শোবার ঘর, বসার ঘর, খাবার ঘর) পর্যাপ্ত ময়লা ফেলার ঝুড়ি/ বিন রাখুন। নির্দিষ্ট স্থানেই ময়লা ফেলুন।

> রান্নাঘরের সবরকম উচ্ছিষ্ট ময়লার ঝুড়ি/ বিনে রাখা পলিব্যাগের ভেতরে ফেলুন। ময়লা সংগ্রহকারী এলে তারপর তা বাইরে বের করুন। ভর্তি বা খালি বিন সিঁড়িঘরে/ বাসার সামনে রেখে দুর্গন্ধ ছড়াতে দেবেন না। ময়লা সংগ্রহকারী আসার আগেই বিন বাইরে রেখে আসতে হলে পলিব্যাগের মুখ ভালোভাবে বন্ধ করুন।

> বৃষ্টির দিনে সদর দরজার বাইরে বাড়তি একটি পাপোশ রাখুন। এতে ঘর কাদা থেকে মুক্ত থাকবে।

লেখাটি শহীদ আল বোখারী মহাজাতক- এর শুদ্ধাচার বই থেকে নেওয়া

বিদ্যালয়ের সময়ের আগেই শিক্ষকদের বিদ্যালয় ত্যাগ! অভিভাবকদের উদ্বেগ

মোঃ পলাশ শেখ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫৯ পিএম
বিদ্যালয়ের সময়ের আগেই শিক্ষকদের বিদ্যালয় ত্যাগ! অভিভাবকদের উদ্বেগ

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত শ্রেণিকক্ষ চলাকালীন সময়ের আগেই শিক্ষকদের বিদ্যালয় ত্যাগ করার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়ের সময় শেষ হয় বিকেল ৪টায় ১৫ মিনিট , কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রতিদিনই প্রায় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে বিদ্যালয় ত্যাগ করছেন।

এ ঘটনা ঘটে ৪ আগস্ট, সোমবার। অভিযোগ পাওয়া বিদ্যালয়গুলো হলো:

বিলধনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – সহকারী শিক্ষক রুবেল ও রাসেল

ভাটিমেওয়াখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – সহকারী শিক্ষক সবুজ ও ইউসুফ

বিশুড়ীগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – সহকারী শিক্ষক হাবিব ও মিজান

উজান মেওয়াখোলা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – সহকারী শিক্ষক আইয়ুব হোসেন

এ বিষয়ে স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ, “শিক্ষকরা সময়মতো বিদ্যালয়ে আসেন না এবং সময়ের আগেই চলে যান। এতে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে পাঠদান পাচ্ছে না।”

এ প্রসঙ্গে কাজিপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন,

> “আমি ইতোমধ্যে বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো শিক্ষক নিয়ম ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ও শহীদ স্মরণে নওগাঁর রাণীনগরে বিএনপির র‌্যালি-সমাবেশ

মোঃ আব্দুল মালেক, রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫৬ পিএম
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ও শহীদ স্মরণে নওগাঁর রাণীনগরে বিএনপির র‌্যালি-সমাবেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ও শহীদ স্মরণে নওগাঁর রাণীনগরে র‌্যালি ও সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে এই র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালিতে উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। র‌্যালি শেষে সদর বাজারের বিএনপির মোড়ে সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি।

রাণীনগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মখলেছুর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক নজমুল হক ছনি, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউল আজম রানা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নুরে আলম মিঠু, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রওশন উল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোসারব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল হক লিটন, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোজাক্কির হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক মতিউর রহমান উজ্জল, সদস্য সচিব মাহমুদ হাসান বেলাল, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান শিমুল, উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন টনি, উপজেলা জিয়া সাইবার ফোর্সের সভাপতি শামীম হোসেন, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি ফাহিমা প্রমুখ।

সিরাজগঞ্জ জেলা মানবাধিকার সংস্থার জেলা কমিটি গঠন: সভাপতি মাকসুদা সিদ্দিকা সাথী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম

কে এম শামীম হাসান সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫০ পিএম
সিরাজগঞ্জ জেলা মানবাধিকার সংস্থার জেলা কমিটি গঠন: সভাপতি মাকসুদা সিদ্দিকা সাথী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম

সিরাজগঞ্জ জেলা মানবাধিকার সংস্থার নতুন জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মাকসুদা সিদ্দিকা সাথী এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মোঃ আশরাফুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট ২০২৫) শহরের একটি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত মানবাধিকারকর্মীদের উপস্থিতিতে নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটি গঠনের পুরো প্রক্রিয়া ছিল গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ এবং সম্মানজনক।

নবনির্বাচিত সভাপতি মাকসুদা সিদ্দিকা সাথী বলেন,

“মানবাধিকার সংস্থা মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে পালন করব। সমাজের নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকাই আমাদের প্রধান অঙ্গীকার।”

সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন,

“আমি মানবাধিকারের আদর্শে বিশ্বাসী। নতুন কমিটির মাধ্যমে আমরা জেলার প্রতিটি স্তরে মানবাধিকার বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করবো এবং আইনি সহায়তা ও সেবার প্রসার ঘটাবো।”

নতুন জেলা কমিটিতে আরও রয়েছেন—

সিনিয়র সহ-সভাপতি: মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম

সহ-সভাপতি বিশ্বনাথ সাহা নন্দন

সাংগঠনিক সম্পাদক: কে এম শামীম হাসান

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: শামসুল আলম

সহকারী সম্পাদক: মোঃ সাইদুল রহমান

অর্থ সম্পাদক: আব্দুল করিম

কার্যকরী সদস্য: মুন্নাফ সাকি

সদস্য: শহিদুল ইসলাম

কমিটির অন্যান্য সদস্যদের নাম দ্রুত সময়ের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

এই নবগঠিত কমিটি সিরাজগঞ্জ জেলার প্রতিটি এলাকায় মানবাধিকার রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে – এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

error: Content is protected !!