শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

বিয়ে: ভাগ্যের খেলা, ভালোবাসার যুদ্ধ

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ৪:০৩ পিএম | 156 বার পড়া হয়েছে
বিয়ে: ভাগ্যের খেলা, ভালোবাসার যুদ্ধ

বিয়ে মানে কেবল একটা অনুষ্ঠানের নাম না। বিয়ে মানে একজন অপরিচিত মানুষকে হঠাৎ করে নিজের সবচেয়ে ব্যক্তিগত জায়গাটায় ঢুকতে দেওয়া। একসাথে ঘুমানো, জাগা, ভালো লাগা— এমনকি কষ্টগুলো পর্যন্ত ভাগ করে নেওয়া।
আমার পরিচিত এক আপুর গল্প মনে পড়ে।
ছোটবেলা থেকেই খুব মিষ্টি আর ভদ্র মেয়ে ছিলেন। স্বপ্ন ছিল— জীবনসঙ্গী হবে একজন বুঝদার মানুষ, যার চোখে থাকবে সম্মান, কথায় থাকবে শ্রদ্ধা, আর আচরণে থাকবে নিরাপত্তা। পরিবারের কথায় হঠাৎ করেই বিয়ের প্রস্তাব আসে এক সুপাঠ্য, স্থিতিশীল পরিবার থেকে। ছেলেটার সাথে তেমন বেশি কথাও হয়নি। কিন্তু মা-বাবার মতামতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে রাজি হয়ে গেলেন।
বিয়ের প্রথম কয়েক মাস ঠিকই চললো। হাসি, ঘোরাঘুরি, ছবি তোলা— বাইরের দুনিয়ার চোখে পারফেক্ট একটা দম্পতি।
কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝতে পারলেন— ছেলেটি খুব ভালো একজন ‘ছেলে’ হলেও, খুব খারাপ একজন ‘জীবনসঙ্গী’।
সে কথা শুনে না, অনুভূতি বোঝে না, রেগে গেলে গায়ে হাত তোলে না ঠিকই—but তার শব্দ দিয়ে শরীর না, আত্মা কেঁপে ওঠে।
মেয়েটি চুপ থাকে। বলে, “সব ঠিক হয়ে যাবে সময়ের সঙ্গে।”
কিন্তু সময় তো কেবল মানুষকে মানিয়ে নেওয়ার শিক্ষা দেয়, সমাধান নয়।
একদিন আমি তাকে বলেছিলাম,
“চলে আয় আপু। এই জীবন তোর একার না, তুই তোর ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য।”
সে হেসে বলল,
“ভাই, আমি এখন বুঝি— দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হচ্ছে বিয়ে।
ভাগ্য করে যদি ঠিক মানুষটা মেলে, তাহলে জীবনটা স্বর্গ।
আর যদি ভুল মানুষ হয়, তাহলে সেটা কবর পর্যন্ত নিয়ে যায়।
তখন ভালোবাসা না, ‘সহ্য’ হয়ে ওঠে সম্পর্কের ভিত্তি।
আর মেয়েরা? তারা তখন শুধু সবকিছুতে মানিয়ে নিতে শিখে যায়… কাঁদতে কাঁদতে হাসতে শিখে যায়…”
এই গল্পটা শুধু একজনের না— এমন হাজারো মেয়ে, ছেলে আছেন এই সমাজে, যারা ভদ্রতা, মান-ইজ্জত, পরিবারের চাপ, কিংবা ‘সমাজ কী বলবে’ ভয় পেয়ে প্রতিদিন নিজের ভালোবাসার স্বপ্নগুলোকে কবর দেয়।
তবুও, কেউ কেউ এখনো বিশ্বাস রাখে— একদিন ঠিক সেই মানুষটা আসবে, যার সাথে জীবনটা সত্যিই “জীবন” হয়ে উঠবে।

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।