মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

মহাকাশে বাণিজ্যিক স্টেশন স্থাপনের তোড়জোড়

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:৫৯ এএম | 130 বার পড়া হয়েছে
মহাকাশে বাণিজ্যিক স্টেশন স্থাপনের তোড়জোড়

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের পর আর কোন অংশীদার ভিত্তিক গবেষণা কেন্দ্র তৈরি হবে না মহাকাশে। তার বদলে মহাকাশে জায়গা নিতে পারে বিভিন্ন দেশের একাধিক বাণিজ্যিক মহাকাশ স্টেশন। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র চীন রাশিয়া ভারতসহ বিভিন্ন দেশ অন্তত ১০টি মহাকাশ কেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে। আইএসএস পরবর্তীযুগ মহাকাশ পর্যটনের নতুন দুয়ার উন্মোচন করবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।

স্নায়ুযুদ্ধের পর দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া প্রথম যেভাবে এক হয়েছিল সেটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের চুক্তি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ছাড়াও বিশ্বের আরও ৩০টি দেশ এই মহাকশ কেন্দ্র পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। যার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব প্রকল্প বলা হয় আইএসএস’কে।

২০৩০ সালে গুরুত্বপূর্ণ এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। এরপর এতো বড় পরিসরে আর কোন যৌথ প্রকল্প দেখা যাবে না মহাকাশে। এর বিপরীতে মহাশূন্যে ছোট ছোট মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা করছে বিভিন্ন দেশ। এতে পর্যটন বিকাশের পাশাপাশি নানাভাবে মহাকাশকে বাণিজ্যিকরণ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

মহাকাশে প্রভাব বিস্তারের এই দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। আইএসআসের পর অন্তত ৫টি ব্যক্তিগত মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নাসা। এরই মধ্যে নতুন মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের জন্য স্পেসএক্স বোয়িংসহ বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে কয়েকশ’ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

নাসার পরবর্তী ৫ মহাকাশ স্টেশনগুলো হচ্ছে অ্যাক্সিওম স্পেস স্টেশন, অরবিটাল রিফ, স্টারল্যাব, নর্থরুপ গ্রুম্যান স্টেশন, ভাস্ট স্পেস স্টেশন। ২০২৮ সালের পর থেকেই এসব স্টেশন প্রতিস্থাপনের কাজ শুরুর কথা রয়েছে নাসার।

মহাকাশের অন্যতম পরাশক্তি হওয়ার লড়াইয়ে আছে চীনও। এরই মধ্যে ২০২২ সালে নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি তিয়ানগং মহাকাশ কেন্দ্রের প্রথম অংশ মহাশূন্যে স্থাপন করেছে বেইজিং। এতে তৃতীয় দেশ হিসেবে মহাকাশে স্টেশন তৈরির নজির গড়ছে চীন। থাকার ঘর, গবেষণাগার নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থার মতো বহু সুযোগ-সুবিধা রাখা রয়েছে তিয়ানগং বা স্বর্গের প্রাসাদ নামের এই কেন্দ্রে।

২০৩০ সালের মধ্যে নিজস্ব স্পেস স্টেশন নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়াও। উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন ৪ মডিউল কোরের স্টেশনটি নির্মানে ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলার। ২০২৭ সালে কেন্দ্রটির প্রথম অংশ মহাকাশে পাঠাতে চায় মস্কো।

রাশিয়া, আমেরিকা এবং চীনের পর স্পেস স্টেশন নির্মাণ করে সারা বিশ্বে চতুর্থ স্থানের অধিকারী হতে চায় ভারত। ২০৩৫ সাল নাগাদ নিজস্ব প্রযুক্তির মহাকাশ কেন্দ্র স্থাপনের কথা জানিয়েছে ইসরো। জানা গেছে, ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন নামক এই কেন্দ্রের ভেতরে দুই থেকে চার জন নভোচারী থাকার ব্যবস্থা করা হবে।

এয়ারবাস লুপ নামের একটি মহাকাশ কেন্দ্র নির্মাণে কাজ শুরু করেছে ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ৮ মিটার ব্যাসার্ধের একক মডিউলের এই স্টেশনটি তৈরি করা হচ্ছে মহাকাশে দীর্ঘকাল টিকে থাকার জন্য। এছাড়া নভোচারীদের জন্য ভ্রমণকে উপভোগ্য করাই হবে এই মহাকাশ কেন্দ্রের উদ্দেশ্য।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপ জাপান ও কানাডার যৌথ উদ্যোগে নির্মাণ করা হচ্ছে আরেক মহাকাশ কেন্দ্র গেটওয়ে। পাঁচ-মডিউলের স্টেশনটিকে চন্দ্রপৃষ্ঠে যাওয়ার পথে একটি বেস ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করতে চান বিজ্ঞানীরা।

বিদ্যালয়ের সময়ের আগেই শিক্ষকদের বিদ্যালয় ত্যাগ! অভিভাবকদের উদ্বেগ

মোঃ পলাশ শেখ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫৯ পিএম
বিদ্যালয়ের সময়ের আগেই শিক্ষকদের বিদ্যালয় ত্যাগ! অভিভাবকদের উদ্বেগ

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত শ্রেণিকক্ষ চলাকালীন সময়ের আগেই শিক্ষকদের বিদ্যালয় ত্যাগ করার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়ের সময় শেষ হয় বিকেল ৪টায় ১৫ মিনিট , কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রতিদিনই প্রায় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে বিদ্যালয় ত্যাগ করছেন।

এ ঘটনা ঘটে ৪ আগস্ট, সোমবার। অভিযোগ পাওয়া বিদ্যালয়গুলো হলো:

বিলধনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – সহকারী শিক্ষক রুবেল ও রাসেল

ভাটিমেওয়াখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – সহকারী শিক্ষক সবুজ ও ইউসুফ

বিশুড়ীগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – সহকারী শিক্ষক হাবিব ও মিজান

উজান মেওয়াখোলা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – সহকারী শিক্ষক আইয়ুব হোসেন

এ বিষয়ে স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ, “শিক্ষকরা সময়মতো বিদ্যালয়ে আসেন না এবং সময়ের আগেই চলে যান। এতে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে পাঠদান পাচ্ছে না।”

এ প্রসঙ্গে কাজিপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন,

> “আমি ইতোমধ্যে বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো শিক্ষক নিয়ম ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ও শহীদ স্মরণে নওগাঁর রাণীনগরে বিএনপির র‌্যালি-সমাবেশ

মোঃ আব্দুল মালেক, রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫৬ পিএম
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ও শহীদ স্মরণে নওগাঁর রাণীনগরে বিএনপির র‌্যালি-সমাবেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ও শহীদ স্মরণে নওগাঁর রাণীনগরে র‌্যালি ও সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে এই র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালিতে উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। র‌্যালি শেষে সদর বাজারের বিএনপির মোড়ে সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি।

রাণীনগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মখলেছুর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক নজমুল হক ছনি, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউল আজম রানা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নুরে আলম মিঠু, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রওশন উল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোসারব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল হক লিটন, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোজাক্কির হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক মতিউর রহমান উজ্জল, সদস্য সচিব মাহমুদ হাসান বেলাল, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান শিমুল, উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন টনি, উপজেলা জিয়া সাইবার ফোর্সের সভাপতি শামীম হোসেন, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি ফাহিমা প্রমুখ।

সিরাজগঞ্জ জেলা মানবাধিকার সংস্থার জেলা কমিটি গঠন: সভাপতি মাকসুদা সিদ্দিকা সাথী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম

কে এম শামীম হাসান সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫০ পিএম
সিরাজগঞ্জ জেলা মানবাধিকার সংস্থার জেলা কমিটি গঠন: সভাপতি মাকসুদা সিদ্দিকা সাথী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম

সিরাজগঞ্জ জেলা মানবাধিকার সংস্থার নতুন জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মাকসুদা সিদ্দিকা সাথী এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মোঃ আশরাফুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট ২০২৫) শহরের একটি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত মানবাধিকারকর্মীদের উপস্থিতিতে নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটি গঠনের পুরো প্রক্রিয়া ছিল গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ এবং সম্মানজনক।

নবনির্বাচিত সভাপতি মাকসুদা সিদ্দিকা সাথী বলেন,

“মানবাধিকার সংস্থা মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে পালন করব। সমাজের নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকাই আমাদের প্রধান অঙ্গীকার।”

সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন,

“আমি মানবাধিকারের আদর্শে বিশ্বাসী। নতুন কমিটির মাধ্যমে আমরা জেলার প্রতিটি স্তরে মানবাধিকার বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করবো এবং আইনি সহায়তা ও সেবার প্রসার ঘটাবো।”

নতুন জেলা কমিটিতে আরও রয়েছেন—

সিনিয়র সহ-সভাপতি: মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম

সহ-সভাপতি বিশ্বনাথ সাহা নন্দন

সাংগঠনিক সম্পাদক: কে এম শামীম হাসান

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: শামসুল আলম

সহকারী সম্পাদক: মোঃ সাইদুল রহমান

অর্থ সম্পাদক: আব্দুল করিম

কার্যকরী সদস্য: মুন্নাফ সাকি

সদস্য: শহিদুল ইসলাম

কমিটির অন্যান্য সদস্যদের নাম দ্রুত সময়ের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

এই নবগঠিত কমিটি সিরাজগঞ্জ জেলার প্রতিটি এলাকায় মানবাধিকার রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে – এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

error: Content is protected !!