শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

মহাকাশে বাণিজ্যিক স্টেশন স্থাপনের তোড়জোড়

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:৫৯ এএম | 134 বার পড়া হয়েছে
মহাকাশে বাণিজ্যিক স্টেশন স্থাপনের তোড়জোড়

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের পর আর কোন অংশীদার ভিত্তিক গবেষণা কেন্দ্র তৈরি হবে না মহাকাশে। তার বদলে মহাকাশে জায়গা নিতে পারে বিভিন্ন দেশের একাধিক বাণিজ্যিক মহাকাশ স্টেশন। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র চীন রাশিয়া ভারতসহ বিভিন্ন দেশ অন্তত ১০টি মহাকাশ কেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে। আইএসএস পরবর্তীযুগ মহাকাশ পর্যটনের নতুন দুয়ার উন্মোচন করবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।

স্নায়ুযুদ্ধের পর দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া প্রথম যেভাবে এক হয়েছিল সেটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের চুক্তি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ছাড়াও বিশ্বের আরও ৩০টি দেশ এই মহাকশ কেন্দ্র পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। যার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব প্রকল্প বলা হয় আইএসএস’কে।

২০৩০ সালে গুরুত্বপূর্ণ এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। এরপর এতো বড় পরিসরে আর কোন যৌথ প্রকল্প দেখা যাবে না মহাকাশে। এর বিপরীতে মহাশূন্যে ছোট ছোট মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা করছে বিভিন্ন দেশ। এতে পর্যটন বিকাশের পাশাপাশি নানাভাবে মহাকাশকে বাণিজ্যিকরণ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

মহাকাশে প্রভাব বিস্তারের এই দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। আইএসআসের পর অন্তত ৫টি ব্যক্তিগত মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নাসা। এরই মধ্যে নতুন মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের জন্য স্পেসএক্স বোয়িংসহ বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে কয়েকশ’ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

নাসার পরবর্তী ৫ মহাকাশ স্টেশনগুলো হচ্ছে অ্যাক্সিওম স্পেস স্টেশন, অরবিটাল রিফ, স্টারল্যাব, নর্থরুপ গ্রুম্যান স্টেশন, ভাস্ট স্পেস স্টেশন। ২০২৮ সালের পর থেকেই এসব স্টেশন প্রতিস্থাপনের কাজ শুরুর কথা রয়েছে নাসার।

মহাকাশের অন্যতম পরাশক্তি হওয়ার লড়াইয়ে আছে চীনও। এরই মধ্যে ২০২২ সালে নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি তিয়ানগং মহাকাশ কেন্দ্রের প্রথম অংশ মহাশূন্যে স্থাপন করেছে বেইজিং। এতে তৃতীয় দেশ হিসেবে মহাকাশে স্টেশন তৈরির নজির গড়ছে চীন। থাকার ঘর, গবেষণাগার নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থার মতো বহু সুযোগ-সুবিধা রাখা রয়েছে তিয়ানগং বা স্বর্গের প্রাসাদ নামের এই কেন্দ্রে।

২০৩০ সালের মধ্যে নিজস্ব স্পেস স্টেশন নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়াও। উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন ৪ মডিউল কোরের স্টেশনটি নির্মানে ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলার। ২০২৭ সালে কেন্দ্রটির প্রথম অংশ মহাকাশে পাঠাতে চায় মস্কো।

রাশিয়া, আমেরিকা এবং চীনের পর স্পেস স্টেশন নির্মাণ করে সারা বিশ্বে চতুর্থ স্থানের অধিকারী হতে চায় ভারত। ২০৩৫ সাল নাগাদ নিজস্ব প্রযুক্তির মহাকাশ কেন্দ্র স্থাপনের কথা জানিয়েছে ইসরো। জানা গেছে, ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন নামক এই কেন্দ্রের ভেতরে দুই থেকে চার জন নভোচারী থাকার ব্যবস্থা করা হবে।

এয়ারবাস লুপ নামের একটি মহাকাশ কেন্দ্র নির্মাণে কাজ শুরু করেছে ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ৮ মিটার ব্যাসার্ধের একক মডিউলের এই স্টেশনটি তৈরি করা হচ্ছে মহাকাশে দীর্ঘকাল টিকে থাকার জন্য। এছাড়া নভোচারীদের জন্য ভ্রমণকে উপভোগ্য করাই হবে এই মহাকাশ কেন্দ্রের উদ্দেশ্য।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপ জাপান ও কানাডার যৌথ উদ্যোগে নির্মাণ করা হচ্ছে আরেক মহাকাশ কেন্দ্র গেটওয়ে। পাঁচ-মডিউলের স্টেশনটিকে চন্দ্রপৃষ্ঠে যাওয়ার পথে একটি বেস ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করতে চান বিজ্ঞানীরা।

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।